প্রেমিক
ওই ছেলে হিমুকে রেখে কবে পালিয়ে যেত: হিমুর প্রেমিক প্রসঙ্গে মিহির
সম্প্রতি মারা গিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। তার মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনেক রহস্য। এরই মধ্যে তার প্রেমিক জিয়াউদ্দিন রাফিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার এই তারকার মৃত্যু নিয়ে কথা বললেন তার মেকআপ আর্টিস্ট মিহির।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে আলোচিত মিহির নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন। ১৫ মিনিটের সেই লাইভে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানান।
মিহির বলেন, ‘ফেসবুকে আমাকে নিয়ে ঝড় তুলছে কিছু মানুষ। আমি হেন, আমি তেন, আমি ড্রাগ ডিলার। তারপর পুলিশ আমাকে রিমান্ডে নেয় না কেন?’
আরও পড়ুন: মায়ের পাশে সমাহিত হবেন হিমু
তিনি বলেন, ‘আপনারা যে এটা লিখেছেন আপনারা কি জানেন আমি এই তিন দিন কোথায় ছিলাম? আমি হিমুকে বাসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি, যখন ডাক্তার ঘোষণা দিয়েছে যে হিমু মৃত, সঙ্গে সঙ্গে হিমুর বয়ফ্রেন্ড দুটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারপর হিমুর খালারা আসছে, আমরা থানায় গিয়েছি, স্টেটমেন্ট দিয়েছি। তখন থেকে আমি কালকে (শনিবার) পর্যন্ত থানায় বসা ছিলাম। শনিবার সকালে ওসি আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পুরান ঢাকা পাঠাইছেন। ওখানে গিয়ে আমি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সাক্ষী দিই। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে বলেছেন যে ঠিক আছে আপনি এখন যেতে পারেন। এসআই সাব্বির ভাই বলল আপনার আর কোনো কাজ নেই আপনি যেতে পারেন। এই তিন দিন ধরে আমাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে, নজরবন্দিতে রাখা হয়েছে। আমার ফোন টেপ করা হয়েছে। আমাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে। হাজার হাজার প্রশ্ন করা হয়েছে।’
প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের কথা উল্লেখ্য করে মিহিরি বলেন, ‘তাজিন আপা মরছে আমি ছিলাম, হিমু মরছে আমি ছিলাম এ বিষয়টি আপনাদের ভাবিয়ে তুলছে। এই পাঁচ বছরের ব্যবধানে দু’জন মানুষ মরছে আমি ছিলাম। এরা আমার নিকট আত্মীয় ছিল, ফ্যামিলি মেম্বারের মতো।’
তিনি বলেন, ‘তাজিন আপা আমাকে বলত মুন্নার সঙ্গে আমার যখন বিয়ে হইছে তোর মতন ছেলে হইত আমার। তাজিন আপা আমাকে নিজের ছেলের মতো সম্বোধন করত। তাজিন আপার বাসায় ছিলাম বলে আমি আপাকে নিয়ে হাসপাতালে গেছি। চিকিৎসা করাইছি। চিকিৎসা করতে গিয়ে উনি তিন-চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা পরে মারা গেছেন। আর না হলে তো তাজিন আপা স্ট্রোক করে বাসায় মরে পড়ে থাকত। সাতদিন ধরে দরজা বন্ধ থাকত পরে লাশ বের করতে হইত। আপনারা খবর পাইতেন। আমি ছিলাম বলে এরকম কিছু হয়নি। এটা কেউ বলে না যে, তুই ছিলি বলে আমরা তাজিন আপারে ফ্রেশ তরতাজা দাফন করতে পারছি।’
হিমুর প্রেমিকের প্রসঙ্গ টেনে মিহির বলেন, ‘আমি না থাকলে হিমুর বয়ফ্রেন্ড তাকে ঘরের ভেতর ঝুলাইয়া রাইখা দরজা বন্ধ কইরা পালাইয়া যাইত। এটা কি হতো না? এটা তো কেউ বলেন না যে, তুই ছিলি বলে হিমুকে আমরা বের করে আনতে পারছি বা ওকে ধরতে পারছে পুলিশ। হিমুর বয়ফ্রেন্ড ইন্ডিয়ান। না হলে তো ওই ছেলে হিমুকে রেখে কবে পালাইয়া যাইত। ঠান্ডা মাথায় পলাইয়া যাইত। আমি ভালো করছি এটা কেউ বলে না। সব খারাপ করছি, আমি রাবন। আমাকে পারলে ফাঁসি দিয়ে দেন। আপনারা একটা মানুষ আছেন, কেউ আছেন যে আমার পাশে দাঁড়াবেন। আমার খোঁজ নিয়েছেন। আমি কেমনে আছি, আমার মানসিক যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি মানুষ না। আমার কষ্ট হচ্ছে না হিমু আমার বোনের মতো, মরে গেছে, আমার কি ভেতরে সুখ লাগতেছে, আমার ভালো লাগতেছে। আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলার জন্য সকলে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।’
আরও পড়ুন: সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না: অমিতাভ রেজা
মিহির বলেন, ‘হিমু মরছে আমি ছিলাম। এখন আমি করছি না ওই ছেলে করছে সেটা তো ওই ছেলে নিজেই স্বীকার করছে। তারপরও কেন আপনাদের ভেতর এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব যে মিহির ছিল। মিহির ছিল বলেই তো ফ্রেশ হিমুরে বের করে হাসপাতালে নিয়ে আসছে। আমি উপকার করছি এই জন্য আমাকে সকলে মিলে ফাঁসি দিয়ে দেন। আমার কেউ নেই তো, কোনো বড় লেভের মানুষ নেই যে আমাকে সাপোর্ট দেবে, ব্যাকআপ দেবে। আমি মনে করতাম মিডিয়া আমার ফ্যামিলি, আমি কাজ করি, সবাই আমার পরিবার, আমি যখন যেখানে কাজ পাই তাদের জন্য মন থেকে কাজ করি। এমনকি অতিরিক্ত কাজও করে দেই। তাদের যে কাজ আমার করার না এগুলোও আমি করি শুটিংয়ের সেটে। আমি সেটে সবাইকে আপন করার চেষ্টা করি। সবাইকে ভালো করে সার্ভিস দেই। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি এত বছরের সার্ভিসে। আমার ভুলটা কোথায় একজন বের হন, একজন গাইড করেন আমাকে। তা না খালি আমাকে নিয়ে বড় বড় কথা আর বদনাম করবেন, করেন। আমি যদি কোনো ধরনের খারাপ কাজ করতাম তাহলে ভয়ে পালাইয়া যাইতাম। আমার ভেতরে ভয় লাগে না। আমার ভেতরে ঘেন্না লাগছে, ভেতরে কষ্ট হচ্ছে। আপনাদের জন্য মায়া হচ্ছে যে, আপনারা এতটা নেগেটিভ যে আপনারা মানুষকে নিয়ে ভাবতে পারেন না। মানুষের সাহায্য করতে পারেন না।’
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে বিয়েবহির্ভুত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীর প্রেমিককে হত্যার অভিযোগ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে বিয়েবহির্ভুত সম্পর্কের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর স্বামী, ছেলে ও ছেলের বন্ধুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের কলাবাগান মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবক জামাল পৌরশহরের কলাবাগান ছয়গন্ডা মহল্লার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ভালুকায় ‘মাদকাসক্ত’ ছেলের বিরুদ্ধে মাকে হত্যার অভিযোগ
নিহতের স্বজনরা জানায়, পৌর শহরের পূর্বদাপুনিয়া এলাকার শরিফের স্ত্রী শামসুন্নাহারের সঙ্গে জামালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি মীমাংসা করতে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। তবে মীমাংসা হয়নি। পরে শুক্রবার রাতে শামসুন্নাহার জামালকে তার বাড়িতে ডেকে আনেন। জামাল বাড়িতে ঢুকতেই শামসুন্নাহারের স্বামী শরিফ মিয়ার সঙ্গে জামালের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শরিফ মিয়া, তার ছেলে সজিব ও সজিবের বন্ধু মামুন মিলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।
খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শরিফ মিয়া, তার ছেলে সজীব ও সজীবের বন্ধু মামুন আটক করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ মেডিকেলে র্যাবের অভিযানে ‘দালাল চক্রের’ ৭ সদস্য আটক
ময়মনসিংহে রেলক্রসিংয়ে আটকা পড়া ট্রাকের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
১ বছর আগে
নওগাঁয় বাগান থেকে প্রেমিক যুগলের লাশ উদ্ধার
নওগাঁর মান্দায় এক প্রেমিক যুগলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০ টাযর দিকে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের তুলসীরামপুর গ্রামের ইউক্যালিপ্টাসের বাগান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- তুলসীরামপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আরিফ হোসেন (২২) এবং হাফিজুল ইসলামের মেয়ে জনি আক্তার (১৭)।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে ২ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
আরিফ ডিগ্রি কলেজে এবং জনি উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশুনা করতেন।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে ওই যুবক ও তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি তাদের পরিবার জানতে পেরে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা তাদের সম্মতিতে বিয়ে দিতে বললেও পরিবার রাজি হয়নি।
রবিবার রাতে তারা দুজনেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হলেও রাতে বাড়ি ফেরেননি।
পরে সকালে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ইউক্যালিপটাস বাগানে লাশদুটো পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মান্দা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোজাম্মেল হক জানান, নিহতদের পাশে বিষাক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট ও কোমলপানীয় বোতল পাওয়া গেছে।
ওসি আরও জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কুমিল্লার হোমনায় প্রেমিককে ভিডিওকলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিকা। উপজেলার ঘারমোড়া ইউনিয়নের মনিপুর বাজারে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিকা সালমা আক্তার (২২) ঘারমোড়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
সালমা আক্তার ওই ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে কিশোরীসহ ৩ জনের ‘আত্মহত্যা’
জানা যায়, প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে ব্যাংকের ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সালমা আক্তার। এসময় প্রেমিক সাকিল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েও প্রমিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। প্রেমিকাকে বাঁচাতে না পেরে সাকিল বার বার দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকেও আহত করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে। পরের দিন ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, সালমার পরিবারে প্রায় সময় সালমার মা ও ভাবির মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ও পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। কিন্ত সালমা তা পছন্দ করতেন না।
রবিবার সকালে তার মা ও ভাবির ঝগড়ার কারণে নাস্তা না খেয়ে ব্যাংকে চলে যান তিনি। বিকালে বাড়ি গিয়ে দেখেন তাদের ঝগড়া থামেনি, বাড়িতে রান্নাও হয়নি।
তাই সালমা আক্তার অভিমান করে তার প্রেমিক সাকিলের মোবাইলে ভিডিওকল দিয়ে ব্যাংকের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
পরবর্তীতে সাকিল দ্রুত এসে দরজা ভেঙে তার প্রমিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্ত বাঁচাতে না পেরে নিজেও বার বার দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকেও আহত করে।
পরে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ এসে সালমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় সালমার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য মনির হোসেন জানান, সালমা সকালে মা ও ভাবীর ঝগড়ার কারণে নাস্তা না খেয়েই ব্যাংকে চলে যায়। বিকালে বাড়িতে গিয়েও দেখেন তাদের ঝগড়ার কারণে দুপুরের রান্নাও হয়নি। এতে সে অভিমান করে ব্যাংকের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাসঁ দেয়।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা। তবুও প্রেমিক সাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, এরপর স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
মাগুরায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
১ বছর আগে
ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এক বছরের শিশু মরিয়ম হত্যা মামলায় মায়ের প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে শিশুর মাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উভয়কেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, অপর একটি ধারায় এই দুইজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন-জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকার লিচু আকন্দের ছেলে সোলাইমান এবং আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত শিশুর মা পটুয়াখালির গলাচিপার এলাকার নয়া হওলাদারের মেয়ে বিলকিস।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা আহমেদ বলেন, ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লায় নন্দলালপুর এলাকার বেকারির গলি থেকে এক বছর বয়সী অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর হত্যাকাণ্ডের স্থান শনাক্ত করে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত দম্পতির বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। শিশুটির মায়ের খালা জবানবন্দির প্রেক্ষিতে পরকীয়া প্রেমিকসহ শিশুর মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেছেন। উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল রাখেন আমরা সেই প্রার্থনা করছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
প্রেমিকসহ স্ত্রীকে খুন, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে প্রেমিক ইউসুফসহ স্ত্রী রিনা বেগমকে হত্যার দায়ে ইব্রাহিম খলিল (৪০) নামে এক যুবককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রিনা ও তার প্রেমিক ইউসুফ অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। বাড়িতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ইব্রাহিম তাদের হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম ফেনীর একটি ইটভাটার মাঝি ছিলেন। রামগতি চরলক্ষ্মী গ্রামের বেলাল মাঝির ছেলে ইউসুফ ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এতে প্রায়ই ইউসুফ তার বাড়িতে যেতেন। একপর্যায়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনার সঙ্গে ইউসুফের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৭ সালের ৩ জুন ইফতারের সময় ইউসুফ ওই বাড়িতে যায়। এর প্রায় ১৫ দিন আগে ইউসুফ কাজ থেকে চলে আসে। পরে তিনি এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ফেনী থেকে ইব্রাহিম বাড়িতে এসে রিনা ও ইউসুফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম দুজনকেই ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ইউসুফকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ইউসুফকে হত্যার ঘটনায় পরের দিন তছলিমা বেগম বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
এছাড়া আহত অবস্থায় রিনাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রিনা মারা যান। পরে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় নিহতের মা জানু বেগম একটি জিডি করেন।
এদিকে হত্যা দুটি একই ঘটনা হওয়ায় ১১ জুন মামলাটি রামগতি থানার মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার ইব্রাহিমকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন।
একই বছরের ১২ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন আল মাহমুদ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধর্ষণ ও ২ শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
১ বছর আগে
বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে কলেজের ছাত্রী হলের কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিক অন্তরকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
নিহত রত্না তিনি বরিশাল বাবুগঞ্জের রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা!
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন।
ওসি জানান, রত্নার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল অন্তর নামের এক যুবকের। তারা দুজনই বরিশাল বাবুগঞ্জের রহমতপুর কৃষি কলেজের শিক্ষার্থী। গত কয়েকদিন ধরে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। পরে রত্না তার প্রেমিক অন্তরের মোবাইল ফোনে ভিডিও কল করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।পরে রত্নার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা হয়েছে। এতে প্রেমিক অন্তরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গত রাতে কোনো এক সময় ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। আমরা রাত ৩টার দিকে খবর পেয়েছি।পরে পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোবাইল না কিনে দেয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা!
১ বছর আগে
তৃতীয় বারের মত প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাকিবুল ইসলামের (২০) বাড়িতে অনশনে বসে এক কিশোরী। শনিবার দুপুর থেকে ওই কিশোরী উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মত অনশনে বসে।
এ খবরে সাকিবুলের বাড়িতে ভিড় জমায় উৎসুক মানুষ।
তবে খবর পেয়ে রবিবার পুলিশ সাকিবুলের বাড়িতে গিয়ে সাকিবুল ও অনশনরত ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচি
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের ওই কিশোরী এ বছর স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এর আগেও দুইবার একই দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেছে মেয়েটি।
ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আশ্বাস দেয়া হলেও কার্যত তেমন কোন সমাধান না হওয়ায় তৃতীয়বারের মত মেয়েটি অনশনে বসে।
ওই কিশোরী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। সাকিবুলের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার তা মেনে নিচ্ছে না। পারিবারিকভাবে তাকে অন্যত্র বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তাই সে নিজের ইচ্ছায় সাকিবুলের বাড়িতে এসে বিয়ের জন্য অনশন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাকিবের মা ফেরদৌসি বেগম বলেন, চার থেকে পাঁচ বছর ধরে সাকিবুলের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। আমরা চাই বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান হোক।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাকিবুলের বাড়ি থেকে সাকিবুল ও ওই কিশোরীকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
বিয়ের দাবিতে ছাত্রীর অনশন, ছেলে বলছে ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’
২ বছর আগে
নকলায় ‘প্রেমিকে’র ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রী খুন, বাবা আহত
শেরপুরের নকলা উপজেলার কায়দা এলাকায় কথিত প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে সোহাগী আক্তার (২২) নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে এ ঘটনায় তার বাবা গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত শহিদুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর পরই স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ আরিফুল ইসলামকে (২৮) আটক করেছে।
আটক আরিফুর রহমান নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব সিয়ারচর লালখা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোনের জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নকলা সরকারি হাজী জালমামুম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সোহাগী আক্তারের সঙ্গে গত রমজান মাসের দিকে মোবাইল ফোনের কথোপকথনে নারায়ণগঞ্জের ছেলে আরিফুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আরিফুল নারায়ণগঞ্জ থেকে রবিবার রাতে শেরপুরে নকলার কায়দা এলাকায় আসে এবং সোহাগী আক্তারদের বাড়ির রান্নাঘরে লুকিয়ে থাকে। সোমবার ভোরে সোহাগীর বাবা শহিদুল ইসলাম ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হলে আরিফুল ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাতারিভাবে আঘাত করে। এসময় চিৎকারে সোহাগী আক্তার এগিয়ে গিয়ে বাঁধা দিলে তাকেও আরিফুল ছুরি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে। বাবা-মেয়ের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটি যায় এবং বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসক সোহাগী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাবা শহীদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে নকলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আরিফুলকে আটক করে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘দেবরের হাতে’ ভাবি খুন
২ বছর আগে
রাজশাহীতে প্রেমিককে ডেকে হত্যা, প্রেমিকাসহ ২ নারী গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে বাড়িতে ডেকে প্রেমিককে হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগে নিহতের প্রেমিকা ও তার বান্ধবীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার তাদের গ্রেপ্তারের পর নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত রশিদুল মন্ডল (২৪) নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার পয়লান গ্রামের জহির মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছার একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে মেরিনা খাতুন (২১) এবং ঈশা হকের মেয়ে নেশা খাতুন (২২)।
আরও পড়ুন: থানায় গিয়ে তিনি বললেন, স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন!
পুলিশ জানায়, সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে কাজের সুবাদে প্রায় এক বছর আগে মেরিনা খাতুনের সাথে নিহত রশিদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেরিনা খাতুন বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। গত মঙ্গলবার রাতে বুলবুলের বাড়িতে রশিদুল মেরিনার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখানে মেরিনা রশিদুলকে বিয়ে করার জন্য বলে। কিন্তু রশিদুল পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরে জানাবে বলে জানায়। রাত ১১টার দিকে রশিদুল সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা তাকে বাধা দেয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মেরিনা খাতুন রশিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই ভোরে মেরিনা তার বান্ধবী নেশা খাতুনকে ডেকে নিয়ে এসে দুজন মিলে লাশ বাড়ির ছাদের স্টোর-রুমে রেখে তালাবদ্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার এসআই
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম বুধবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়ি থেকে আসামি মেরিনাকে আটক করে। মেরিনার দেয়া তথ্যমতে বাড়ির ছাদের স্টোর-রুম থেকে রশিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপর আসামি নেশা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত রশিদুলের বাবা জহির মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
২ বছর আগে