পেঁয়াজ আমদানি
এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের একটা প্রবণতা আছে, কোনো পণ্যের সংকট হচ্ছে এমন গুজব রটালেই আমরা সবাই গিয়ে এক কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি কেনা শুরু করি। এতে করে ব্যসায়ীরা আরও সুযোগ পায়। এক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। তবে পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমে যাবে। ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসবে। সবমিলে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তবে বেশির ভাগ পণ্যের দাম গত দুই সপ্তাহে কমেছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত দুই সপ্তাহে বেশির ভাগ দ্রব্যের মূল্য কমেছে। গরুর মাংস আমার এলাকায় ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। যেখানে কয়দিন আগেও সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল। শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে। পেঁয়াজের দামটা হঠাৎ করে বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম যে লাফিয়ে বেড়েছে সে বিষয়ে আমি একমত। এটি বাড়ার কোনো কারণ ছিল না। ভারত পেঁয়াজ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি করা বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাওয়া আমাদের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। তারা জরিমানা করেছে। এতে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও পুরোপুরি আসেনি। যেকোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা এটির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমেও যদি নিবন্ধ লেখা বা রিপোর্ট করা হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। তবে পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমে যাবে। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
দাম কিছুটা কমের দিকে, তাই আরও দুই থেকে তিন দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রবিবার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘জানি মধ্যম আয়ের, সীমিত আয়ের সব মানুষেরই কষ্ট হচ্ছে। ৮০ টাকা কেজি তো পেঁয়াজ হতে পারে না। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আমরা শেষ পর্যন্ত চাষীর স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ পর্যায়ে, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করেছি। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইনশাআল্লাহ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনারা সিদ্ধান্ত পাবেন যে আমরা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করব কি না।’
মন্ত্রী বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'গত বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভালো ছিল। পেঁয়াজের দাম কম ছিল, কৃষক কম দাম পেয়েছিল। দাম বাড়বে- এই আশায় মজুত করে রাখা পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ কারণেই এ বছর পেঁয়াজের কী অবস্থা হয় তা আমরা দেখতে চাচ্ছি। কৃষকের কাছে, গুদামে ও আড়তে কী পরিমাণ পেঁয়াজ আছে, তা দেখতে গত ২-৩ দিন মাঠ পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা খোঁজ নিয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে। তবে, দাম আরও বৃদ্ধির আশায় তারা বাজারে বিক্রি করছে না। এছাড়া মাত্রই পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এখনই দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যম ও সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত কৃষকের স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গত বছর কৃষক দাম কম পাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় দুই লাখ টনের মতো।'
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। তবে আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়।
যদি শেলফ লাইফ বাড়ান যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই: কৃষিসচিব
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেছেন,আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে থাকি। এখন পর্যন্ত কৃষক পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছে। এছাড়া সামনে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে, সেটিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তাই আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে আমরা নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি, কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হবে।
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সচিব এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের মান উন্নয়নে সহযোগিতা দিবে ডেনমার্ক
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭৭টি। মোট বরাদ্দ তিন হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। এছাড়া জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩৫ শতাংশ।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
আলুর দাম ২-৩ দিনের মধ্যে সরকার নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেমে আসবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
খুচরা বাজারে আলুর দাম আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সরকার নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
৪ বছর আগে
তুরস্ক, মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার
দেশের বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে একাধিক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
৪ বছর আগে