হোল্ডিং ট্যাক্স
হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে কেসিসি
হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন কর আদায় শাখার প্রধান ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান।
কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স ধরার জন্য এখন নতুন ভবন ও বর্ধিত ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্সের বিল নথির সঙ্গে ওই ছবি যুক্ত থাকবে। এতে করে নগরীর সব ভবনের প্রকৃত ধারণা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থাকবে। এতে করে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করার সময় যে অনিয়ম হতো তা অনেকাংশে কমবে। বাড়বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে এখন ভবন মালিকরা ইচ্ছা করলেই ঘরে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে জমা দিতে পারেন। এতে করে বাড়ির মালিকদের সময় বাঁচবে আর ঝামেলা মুক্ত থাকবেন।
তিনি বলেন, নগরীতে নতুন করে ১ হাজার ১৫৮টি ভবন হয়েছে। যার বিপরীতে ট্যাক্স ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ৪০৩টি ভবনের ট্যাক্স হালনাগাদ করা হয়েছে। এসব ভবনের বিপরীতে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। চলতি বছরে নতুন করে মোট ৬ কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এ ট্যাক্স আদায়ে কেসিসি নতুন নতুন কৌশল গ্রহণসহ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী
কেসিসির প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু বলেন, ভবন মালিকদের সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এতে করে ভবন মালিকরা সন্তুষ্টচিত্তে নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন।
এছাড়া এককালীন হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে ভবন মালিকদের ছাড় দেওয়াসহ নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সচেতন হোল্ডিং মালিকরা কেসিসি এ সুবিধা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে খুলনা নগরীতে ৭৬ হাজার ৬২৮টি হোল্ডিং রয়েছে। এর বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কেসিসি প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে। আনাদায়ী রয়েছে প্রায় কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
কর আদায় শাখার প্রধান তপন কুমার নন্দী বলেন, অনাদায়ী ১০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্সের বড় অংশ আদায় করা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নৌ বাহিনীর, বন্ধ পাটকল, এজাক্স জুট মিল, দৌলতপুরের কয়েকটি পাটের গোডাউনসহ বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কেসিসির পাওনা ৫০ কোটি টাকার মতো হবে।
তবে বকেয়া টাকা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা হচ্ছে। আগের মতো বাড়ির মালামাল ক্রোকসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখন আর ঘটছে না। ভবন মালিকরা অনেক সচেতন, তারা নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন বলে জানান তপন নন্দী।
বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের গতি বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১ হাজার ৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা
১০ মাস আগে
২৪ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি দল।
হোল্ডিং ট্যাক্স বার্ষিক স্থানীয় নাগরিক সংস্থার পক্ষ থেকে দেয়া সম্পত্তি কর।
বারবার নোটিশ দিয়েও ২৪ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ না করায় বুধবার ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল হাসপাতালটি সিলগালা করার জন্য অভিযান পরিচালনা করে।
নাগরিক সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই হাসপাতালটি ২৪ বছর ধরে ডিএসসিসিকে দুই কোটি ৪০ হাজার টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করেনি।
মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে অনেক নোটিশ এবং রিমাইন্ডার সত্ত্বেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে অভিযান চলাকালীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে এবং মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি বকেয়া পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
২ বছর আগে
বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
ঢাকা, ২১ জুলাই (ইউএনবি)-দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ না করায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বুধবার ডিএসসিসি সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ডিএসএসসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর থেকে ডিএসসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছে না গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। এতে দীর্ঘ ২৪ বছরে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ বকেয়া দাঁড়ায় দুই কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ১১০ টাকা।
আরও পড়ুন: এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে ডিএসসিসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই বকেয়া পরিশোধে বিগত দেড় বছরে অনেক পত্র, তাগিদপত্র ও ক্রোকি নোটিশ প্রদান করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অনেকটাই নির্বিকার। তাই বকেয়া পরিশোধ না করায় অবশেষে আজ হাসপাতালটি সিলগালা করার উদ্দেশে আমরা অভিযান পরিচালনা করি।’
তিনি বলেন, ‘অভিযানকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে এবং মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি বকেয়া পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
২ বছর আগে
জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারও নেই: মেয়র আতিক
খাল দখলদারদের হুশিয়ার করে দিয়ে বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারও নেই। আপনাদের (দখলদারদের) হাত যতই লম্বা হোক না কেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা নয়।
৪ বছর আগে