নতুন প্রজন্ম
বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে জানানোর আহ্বান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশি ও নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকI
তিনি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ যে অসাধারণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে তা দেশে-বিদেশে তুলে ধরার জন্যও তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ২ মে থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে: বিএমডি
শনিবার (২৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবন সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার এই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ প্রবাসীদের ও নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে জানানো আমাদের সবার কর্তব্য।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: টিপু-প্রীতি হত্যা: আ. লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পরিবহন-যোগাযোগ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
৬ মাস আগে
নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প পৌঁছে দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মের কাছে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প পৌঁছে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
রবিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা উৎসব ২০২৪’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন গুরুত্বপূর্ণ: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বিজয়ের পর তারা জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু করেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার কাজ।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মকেই এর নেতৃত্ব দিতে হবে।
এসময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ও ভারতের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ও ভারতের ট্যাকটিক্যাল সহায়তা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত করেছিল।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্ট চেয়াররম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: তামাকজাত পণ্যে অতিরিক্ত কর আরোপ করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে সক্ষম ও সচেতন করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সারা বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ প্রশমনেও ব্যাপক কার্যক্রম নেওয়া হবে।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে বড়বাগ গভর্নমেন্ট অফিসার্স কম্পাউন্ডে ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মহড়া’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সব পর্যায়ের জনসাধারণকে দুর্যোগকালে করণীয় সম্পর্কে সজাগ করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নতুন অবকাঠামো তৈরির সময় সামান্য ব্যয় বৃদ্ধি করলেই তা অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্প সহনশীল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
প্রতিমন্ত্রী এসময় রাজধানীসহ সারা দেশকে নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং পুরোনো অবকাঠামো মেরামত করে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সবাইকে আহ্বান জানান।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মহড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম শফিকুল হায়দার এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন: ঢাকায় বলীখেলায় তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যগুলো নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন এবং সে জন্যই ঢাকায় জব্বারের বলীখেলার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শারীরিক শিক্ষা কলেজ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র বাষিক মেলা ও মেজবানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সেখানে বলী খেলা উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা'র সভাপতি জয়নুল আবেদীন জামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন হিরোর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
ড. হাছান বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে আব্দুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রামে বলীখেলা চালু করেন। তখন থেকে এই জব্বারের বলীখেলা চট্টগ্রামের ইতিহাসের অংশ হিসেবে প্রসিদ্ধ।
আরও পড়ুন: জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন জীবন বলী
মন্ত্রী এ সময় তার গত বছরের অনুরোধে এবার মেজবানের পাশাপাশি বলীখেলা আয়োজনের জন্য সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে ঢাকায় আরও পারিচিত করেছেন। তিনি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বলীদেরও ধন্যবাদ জানান এবং বাল্যকালে বলীখেলা ও গরুর লড়াই দেখার স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি আরও বলেন, 'মেজবানের মতো বলীখেলাও চট্টগ্রামের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অংশ। ভবিষ্যতে বড় জায়গা পেলে আমরা গরুর লড়াইয়ের আয়োজন করব।'
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আজ ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সন্তান ড. হাছান চাটগাঁ ভাষায় তার মেজবানপ্রীতি তুলে ধরে বলেন, 'আই সারা বছর মেজবানের লাই অপেক্ষা করি। আইজ তেমন কিছু ন' খাই। চাটগাঁয় বঙ্গবন্ধু টানেলের ভৌতকর্ম সমাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষের নাশতাও ন' খাই এই মেজবানের লাই।' (আমি সারাবছর মেজবানের জন্য অপেক্ষা করি। আজকে তেমন কিছু খাইনি। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভৌতকর্ম সমাপ্তির অনুষ্ঠান শেষের নাশতাও খাইনি এই মেজবানের জন্য।)
পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। খেলায় চট্টগ্রামের চকোরিয়ার জীবন বলী চ্যাম্পিয়ন হন। মেজবান ও মেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম সমিতির ঐতিহ্যবাহী মেজবানী
১ বছর আগে
প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, প্রযুক্তির এই যুগে দেশের প্রকৃত ইতিহাস, স্বাধীনতা, জাতির পিতার আত্মত্যাগ এবং লাখো শহীদের রক্তদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে তাদের (নতুন প্রজন্মকে) অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া সম্ভব হবে না।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পৃথিবী নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক উন্মুক্ত, তাই তারা আর বিভ্রান্ত হবে না।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর ধরে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করেছে।
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখন এটা আর করা যাবে না,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দশকের পর দশক বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি স্মরণ করেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল।
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাঙালিদের স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করে এমন ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এই ভাষণ বাজানোর জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দীর্ঘ ২১ বছরের শাসনে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করেছে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, লাখো শহীদের রক্তদান ও মানুষের সংগ্রামকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে। এখন এটা প্রমাণিত যে কেউ সত্যকে মুছে ফেলতে পারে না।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো হয়।
পড়ুন: সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
২ বছর আগে
নতুন প্রজন্মকে ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের অর্জনের পেছনের সংগ্রাম ও ত্যাগ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যত প্রজন্ম যদি এসব ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানে তাহলে তারা দেশপ্রেমের মূল্য শিখবে। তাদের যোগ্যতা, জ্ঞান এবং সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে।’
রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবন পট’ শীর্ষক ১৫০ ফুট দীর্ঘ স্ক্রল পেইন্টিংয়ের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
তিনি বলেন, সরকার ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়ন ছড়িয়ে দেয়ায় দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে এবং মানুষ শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: তরুণরাই রূপকল্প ২০৪১ এর নেতৃত্ব দেবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই উন্নয়নের সাথে আমি মনে করি যে এই অর্জনগুলোর পেছনে ত্যাগ ও সংগ্রাম জনগণকে জানতে হবে।’
তিনি জনগণের সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করতে নিরস্ত্র বাঙালিদের সাহসিকতার কথাও স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। আমাদের শিশু, যুবক ও নতুন প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানতে হবে। এটা জানলে তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং জনগণের কল্যাণে তাদের উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারা দেশের জনগণের সেবা করার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে এবং এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে।
পড়ুন: বিমানকে পরিষেবার উন্নতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, কিন্তু জাতির পিতার নাম দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায়নি, সত্যের জয় হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের চিত্র তুলে ধরে দেশের দীর্ঘতম স্ক্রল পেইন্টিং এঁকেছেন শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে দুই সপ্তাহ ধরে প্রদর্শনী চলবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রদর্শনীর আয়োজক সহযোগী বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘মাত্রা’র পক্ষ থেকে ম্যানেজিং পার্টনার শিল্পী আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি শিল্পী জামাল আহমেদ বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিববর্ষের থিমসং এবং স্ক্রল পেইন্টিংযের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয়।
পড়ুন: ‘এরা জমির আগাছা’- দেশের অর্জনকে অস্বীকার করে যারা তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ইতিহাস নিয়ে নতুন প্রজন্মের আগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর সন্তুষ্টি প্রকাশ
স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ইতিহাস জানতে চাওয়া এবং এ ব্যাপারে গর্ববোধ করায় তরুণদের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে অবশ্যই সমৃদ্ধির উচ্চ শিখরে পৌঁছাবে এবং আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হব।'
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নয়জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে আদর্শের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিলে তা ১৯৭৫ এর পর হারিয়ে যেতে বসেছিলে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
তিনি বলেন, 'আমরা সেই আদর্শ আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে, আমরা অব্যশই মুক্তিযোদ্ধারা যা করেছেন সেটাকে স্বীকৃতি দিব।’
আরও পড়ুন: প্রত্যেক জেলায় পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে স্মরণ করে সেজন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশের জন্য কিছু করতে উদ্বুদ্ধ হবে এবং তারা নিশ্চয় তাদের মেধা ও সৃজনশীলতা ব্যবহার করবে।
হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীন জনগণ সব সময় বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।
তিনি বলেন, 'যেটা আমরা চেয়েছি, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমরা কারো কাছে করুণা ভিক্ষা করব না।'
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী বললেন, সংগ্রামের মাধ্যমে এই সম্মান এসেছে
এর আগে তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মাঝে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক প্রদান করেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা একেএম বজলুর রহমান, শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং আখতারুজ্জামান বাবুকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। তাদের পরিবারের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসামান্য অবদানের জন্য ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, সাহিত্যে কবি মহাদেব সাহা, সংস্কৃতিতে আতাউর রহমান এবং গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন এবছর স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং পদকপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে আতাউর রহমান বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় সরকার।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে: রাষ্ট্রদূত
নতুন প্রজন্মের হৃদয় ও মননে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ও আদর্শ ধারণ করার ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ।
৩ বছর আগে
বাঘা যতীন: যার বীরত্বে কেঁপে উঠেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য
আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এক মুক্ত ও স্বাধীন দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। তবে নতুন প্রজন্ম কি বলতে পারে, এ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের পূর্বপুরুষদের কত রক্তাক্ত বলিদান দিতে হয়েছিল? আজকের এ নিবন্ধে আমরা আপনাদের বিপ্লবী বীর বাঘা যতীনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। যার অদম্য সাহস এবং বীরত্ব তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে ভয় ধরিয়ে দিয়ছিল এবং যা পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে সাহস যুগিয়েছিল।
৩ বছর আগে
নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান চর্চায় আত্মনিয়োগ করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশকে এগিয়ে নিতে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
৩ বছর আগে