স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ইতিহাস জানতে চাওয়া এবং এ ব্যাপারে গর্ববোধ করায় তরুণদের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে অবশ্যই সমৃদ্ধির উচ্চ শিখরে পৌঁছাবে এবং আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হব।'
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নয়জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে আদর্শের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিলে তা ১৯৭৫ এর পর হারিয়ে যেতে বসেছিলে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
তিনি বলেন, 'আমরা সেই আদর্শ আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে, আমরা অব্যশই মুক্তিযোদ্ধারা যা করেছেন সেটাকে স্বীকৃতি দিব।’
আরও পড়ুন: প্রত্যেক জেলায় পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে স্মরণ করে সেজন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশের জন্য কিছু করতে উদ্বুদ্ধ হবে এবং তারা নিশ্চয় তাদের মেধা ও সৃজনশীলতা ব্যবহার করবে।
হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীন জনগণ সব সময় বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।
তিনি বলেন, 'যেটা আমরা চেয়েছি, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমরা কারো কাছে করুণা ভিক্ষা করব না।'
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী বললেন, সংগ্রামের মাধ্যমে এই সম্মান এসেছে
এর আগে তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মাঝে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক প্রদান করেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা একেএম বজলুর রহমান, শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং আখতারুজ্জামান বাবুকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। তাদের পরিবারের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসামান্য অবদানের জন্য ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, সাহিত্যে কবি মহাদেব সাহা, সংস্কৃতিতে আতাউর রহমান এবং গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন এবছর স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং পদকপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে আতাউর রহমান বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় সরকার।