কাতার
ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রত্যাখান ইরানের
ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রাখলে কোনো যুদ্ধবিরতির কথা বিবেচনা করবে না বলে আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী কাতার ও ওমানকে স্পষ্ট জানিয়েছে ইরান। চলামান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের এ অবস্থানে বড় সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ জুন) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যস্থতার আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কাতার ও ওমানকে ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ‘তারা কেবল তখনই বাস্তবিক অর্থে আলোচনায় বসবে, যখন ইসরায়েলের চালানো হামলার জবাব সম্পূর্ণ হবে।’
সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ইরান বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে ইসরায়েল একটি আকস্মিক হামলা শুরু করে। ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় এবং দেশটির পারমাণবিক অবকাঠামোরও কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে অভিযান আরও কঠিন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এর জবাবে ইরানও কঠোর প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তেহরান বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা ‘নরকের দরজা খুলে দেবে’। এই পরিস্থিতিতে চলমান সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে, কিছু গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য কাতার ও ওমানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত করতে বলেছে ইরান। এই সংবাদ সঠিক নয় বলে জানান নাম প্রকাশ না করা ওই কর্মকর্তা।
তবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরান, কাতার ও ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি গোয়েন্দা প্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে ওমান। যদিও ইসরায়েলের সর্বশেষ বিমান হামলার পর সর্বশেষ রাউন্ডের আলোচনা বাতিল হয়েছে। তাছাড়া, কাতারও উভয় পক্ষের মধ্যে সংলাপ সহজ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে, এর মধ্যে ২০২৩ সালে একটি বন্দি বিনিময়ের মধ্যস্থতাও ছিল।
কাতার ও ওমান উভয়ই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এরপর ইসরায়েলের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগে যুক্ত হয় এই দেশ দুটি।
১৭২ দিন আগে
সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাপ্রধান
সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (৩ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সফরকালে কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন সেনাপ্রধান। সেইসঙ্গে সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যে মতবিনিময়ও করবেন তিনি।
সফর শেষে আগামী ৫ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল সরকারি সফরে রাশিয়া এবং পরবর্তীতে গত ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া সফর করেছিলেন ওয়াকার-উজ-জামান।
সফরকালে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান, উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এছাড়া ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছিল তার।
২১৬ দিন আগে
পোপের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ভ্যাটিকানের উদ্দেশে কাতার ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এবং তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ (শুক্রবার) ভ্যাটিকানের উদ্দেশে কাতার ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট) ভ্যাটিকান শহরের উদ্দেশে তিনি কাতার ত্যাগ করেন। কাতারের চিফ অব প্রটোকল ইব্রাহিম বিন ইউসিফ আবদুল্লাহ ফাখরু দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে বিদায় জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা দুপুর ২টা ১৫মিনিটে (ইতালি সময়) রোমে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ভ্যাটিকান সিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাকে স্বাগত জানাবেন।
ইতালিতে পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পর প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে যাবেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
ভ্যাটিকান সিটির ভিকার জেনারেল, পরম শ্রদ্ধেয় কার্ডিনাল মাউরো গাম্বেত্তি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানাবেন।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) তিনি রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন এবং সোমবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২২৩ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা নেবে কাতার: শফিকুল আলম
বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা নেওয়ার কথা জানিয়েছে উপসাগরীয় দেশ কাতার। এমন এক সময় দেশটি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যখন তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বৈচিত্র্যকরণে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।
কাতারের দোহায় ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের’ ফাঁকে বার্তা সংস্থা ইউএনবির সঙ্গে আলাপে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আগামী দুমাসের মধ্যে কাতারে এই সেনা পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন: স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বর্তমানে দোহা সফরে রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘কাতারের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা আরও বাড়াতে চাচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি যাদের গ্যাস দরকার পড়বে, এমন বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বাড়াতে চাচ্ছে বাংলাদশে।’
কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি একটি চুক্তি আছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘জ্বালানি খাতে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করতে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঠিক রাখতে কাজ করছে সরকার: শফিকুল আলম
কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি জায়ান্ট কাতার এনার্জি এলএনজির পাওনা তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শোধ করা হবে বলেও জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আসছে দিনগুলোতে উপসগারীয় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এবারের আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান।’ চার দিনের এ সফর চলাকালে অধ্যাপক ইউনূস কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২২৭ দিন আগে
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
চারদিনের সরকারি সফরে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সোমবার চারদিনের সফরে কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
দোহায় ২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান।’
এ সফর চলাকালে তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২২৭ দিন আগে
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে রবিবার: কাতার
আগামী রবিবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা একটি চুক্তি অনুমোদন করায় গাজায় যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত হয়। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি সহজ করা। একইসঙ্গে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে দুপক্ষের মধ্যে চলা প্রাঘাতী ও বিধ্বংসী এ যুদ্ধের অবসান।
ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক করে সরকার যুদ্ধবিরতির সময় নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী
সাধারণত জরুরি অবস্থা দেখা না দিলে সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় ইসরায়েলি সরকারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর গত বুধবার প্রাথমিকভাবে তা ঘোষণা করা হয়।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শেষ মুহূর্তের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে হামাসের জটিলতাকে দায়ী করে এটি চূড়ান্ত করতে আরও নেন। এরপর শুক্রবার ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা চুক্তিটি অনুমোদনের সুপারিশ করে এটি এগিয়ে নেয়।
চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গাজায় আটক তিন ইসরায়েলি নারী ও ৯৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ররিবার মুক্তি দেওয়া হবে।
চ্যানেল১২ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন যে, তার দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরাইলে ফের অস্ত্র সরবরাহ শুরু হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা যদি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে না পারি, তবে যুদ্ধের জন্য আমাদের কাছে অতিরিক্ত সরঞ্জাম থাকবে না।’
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুথি
এদিকে চুক্তি লঙ্ঘন না করতে ট্রাম্প ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিলেও দেশটির দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ এই চুক্তির বিরোধিতা এবং চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দাবি করেছেন।
চুক্তি অনুযায়ী এ সময়ে হামাস প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। চুক্তির পূর্ণ শর্তাবলীর প্রতি তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করার একদিন পর শুক্রবার হামাস এ কথা জানায়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৮৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মানুষ বিভিন্ন মৌলিক সহায়তা পেতে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়াদের মধ্যে ৯৪ জন এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যুদ্ধের আগে অপহৃত চার ইসরায়েলি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: জিম্মিদের মুক্ত করতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের
৩২১ দিন আগে
খালেদার চিকিৎসায় সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিল বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য বিনা ভাড়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছে। আর লন্ডনে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় ব্রিটিশ সরকারকেও ধন্যবাদ জানাই।’
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা মামলায় আদালতে দেওয়া বিবরণ সম্বলিত 'রাজবন্দীর জবানবন্দি' নামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মুক্তি পাওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লন্ডনে যান এবং হাজার হাজার মানুষ তাকে বিদায় জানায়। লন্ডন যাওয়ার পথে তিনি কোনো বাধার সম্মুখীন হননি বলেও জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৭ বছর পর মা-ছেলের আবেগঘন পুনর্মিলন
হিথ্রো বিমানবন্দরে বড় ছেলে তারেক রহমান তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান নিয়ে মাকে অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ হযরত আলী খান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছার এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের শেষ দিকে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকেই তার চিকিৎসকরা বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
তার অবস্থার তীব্রতা সত্ত্বেও, দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আইনি বাধার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের একদিন পর ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের আদেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং তার কিডনি, ফুসফুস, হার্ট এবং চোখের জটিলতাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল
৩২৯ দিন আগে
কাতারের সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত ও জোরদার করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল (জেবিসি) প্রতিষ্ঠায় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়। দুই দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কিউসিসিআই)।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং কিউসিসিআই চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। মূলত বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে বাণিজ্য জোরদার করতে এই চুক্তি সই হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে জেবিসি প্রতিষ্ঠা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। এ চুক্তির আওতায় কাতারের ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষেও কাতারের রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করা আরও সহজতর হবে। এছাড়া কাতার থেকে জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিও সহজ হবে। একইসঙ্গে জেবিসির মাধ্যমে কাতারের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআই ও কিউবিসিসিআইয়ের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও কাতারের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সেবা ও অন্যান্য শিল্প খাতে বাণিজ্য কার্যক্রম জোরদারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল।
এফবিসিসিআই ও কিউসিসিআই উভয়ই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও পরিষেবা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উপকৃত হবে। পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসায়িক তথ্যের আদান-প্রদান, সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেওয়া, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করাসহ অন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে জেবিসি।
এছাড়া উভয় পক্ষই বাণিজ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ বৈঠক আয়োজন করতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রয়োজনে এফবিসিসিআই ও কিউসিসিআই সাব-কমিটি ও টাস্কফোর্স গঠন করতে পারবে।
৫৯০ দিন আগে
দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বোঝাপড়া জোরদারের লক্ষ্যে কাতারের আমিরের সদ্য সফর: ঢাকা
২৪ ঘণ্টার রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মঙ্গলবার বিকালে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
এই সফর বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে 'উল্লেখযোগ্য অবদান' রাখবে বলে আশা ঢাকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বন্ধুত্বপূর্ণ আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত কাতারের আমিরের এই সফর দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও বোঝাপড়া সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণে কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করেন।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান, কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির সদস্য।
সোমবার বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আমিরকে স্বাগত জানান। এ সময় আরও ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, পররাষ্ট্র এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রায় ১৯ বছর পর এই শীর্ষ পর্যায়ের সফর অনুষ্ঠিত হয়।
সফরকালে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও কাতারের আমিরের নেতৃত্বে দুটি দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে। এছাড়াও সফর বিনিময় ও সব পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানো এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, জনশক্তি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও মতবিনিময় করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে একটি উন্নত জ্ঞানভিত্তিক বহুমুখী সংস্কৃতির সমাজ হিসেবে কাতারের অবিশ্বাস্য অগ্রগতি ও রূপান্তর এবং আমিরের নেতৃত্বে মধ্যস্থতা ও বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে কাতারের ভূমিকার গভীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের প্রশংসা করেন কাতারের আমির। বাংলাদেশকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে প্রশংসা করে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
উভয় দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখায় কাতারের প্রবাসী কমিউনিটির প্রশংসা করেন তিনি।
জ্বালানি খাতে সমঝোতা ও সহযোগিতার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে উভয় নেতা জানান, অদূর ভবিষ্যতে অংশীদারিত্ব পর্যায়ে এই সহযোগিতা জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করছে উভয় পক্ষ।
ওই দিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাতারের আমির। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফরকালে আমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং তার নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন।
সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
পরে আমির তার সম্মানে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও ছিলেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৫৯০ দিন আগে
কাতার আমিরের সফরে ৬ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা। সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ সফরে আসবেন তিনি। এ সফরে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ১১টি সহযোগিতার বিষয়ে ৬টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। চলতি বছর নতুন সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে এটিই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।’
এ সফরে ৬টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক নিয়ে যে ১১টি দ্বিপক্ষীয় দলিল সই হওয়ার কথা রয়েছে-
১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি
২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি
৩. সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি
৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি
৫. দুই দেশের মধ্যকার দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি সংক্রান্ত চুক্তি
৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি
৭. শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
৮. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
৯. উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
১০. যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
১১. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র ছাড়াও ফিলিস্তিন-ইসরায়েলসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে, যেখানে বাংলাদেশ তার অবস্থান তুলে ধরবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই এই আলোচনা উঠতে পারে। গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। সবাই এটা চায়। আমরাও চাই।’
গত মাসে তুরস্কে আন্তালিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশ নেওয়ার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নির্মূলের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহির আওতায় আনার উপরও জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে, যুদ্ধের পক্ষে নয়।’
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসবেন কাতারের আমির।
এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমিরের দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে তাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
সফর উপলক্ষে ঢাকার কয়েকটি রাস্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতার থেকে ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী এমন উচ্চ পর্যায়ের সফর হচ্ছে।
এর আগে ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি বাংলাদেশ সফর করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এই সফর দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে গান স্যালুট ও আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন অভ্যর্থনা জানাবেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুজনের মধ্যে বৈঠকের পর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
সহযোগিতাবিষয়ক নথি সই হওয়ার পর দুই নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
পরিদর্শন বইয়ে সই শেষে মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে যাবেন আমির। সেখানে রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বঙ্গভবনের দরবার হলে আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে।
এদিন বিকাল ৩টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করবেন তিনি।
আমির যেখানে অবস্থান করছেন সেখানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।
এদিনই সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বাংলাদেশ সফরের পর বাংলাদেশ ও কাতার জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) ফাঁকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কাতারের কূটনৈতিক মিশন চালু হয়।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ, অভিন্ন ধর্মীয় ভিত্তি, অভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ। কাতারে ৪ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কাজ করেন এবং তারা নিবেদিত ও কঠোর পরিশ্রমী হিসেবে প্রশংসিত।
বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ এবং কাতারের রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও কাতার একে অপরকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে।
৫৯২ দিন আগে