ভূমিহীন
বাগেরহাটে ঘর পেয়ে আনন্দিত ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার
বাগেরহাটে আবারও জমিসহ ঘর পেলেন হতদরিদ্র ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার। বুধবার সকালে (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালি এই ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
পরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্থান্তর করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হতদরিদ্রদের মাঝে এই ঘরগুলো দেয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখানে ভাল থাকবেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১২৫ টি ও চতুর্থধাপে ৫৭১ টি মোট ৬৯৬ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৪, মোংলায় ২২০, মোরেলগঞ্জে ১৩৭, কচুয়ায় ১০, ফকিরহাটে ৭৫, মোল্লাহাটে ৮৩, রামপালে ২০, চিতলমারী ৩২টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭৫টি ঘর রয়েছে। চতুর্থ ধাপে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লক্ষ ৮৪ হাজার, ৫’শ টাকা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মান করা প্রতিটি ঘরে বাড়িতে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা রয়েছে।
এসময়, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বুলবুল কবির, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ৫ দিনব্যাপী খান জাহানের বসতভিটায় পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রদর্শনী
বাগেরহাটে চুরি হওয়া শিশু খুলনা থেকে উদ্ধার
১ বছর আগে
খাগড়াছড়ির ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নতুন করে খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন এক হাজার ৪৬৬ পরিবার। এরমধ্যে জেলার সবচেয়ে বেশি ঘর দেয়া হচ্ছে দীঘিনালা উপজেলায়। সেখানে ৩৫০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় ১৩৬টি, দীঘিনালায় ৩৫০টি, মহালছড়িতে ৮০টি, রামগড়ে ১৩৩টি, পানছড়িতে ১২৭টি, গুইমারায় ৭৫টি, মাটিরাঙ্গায় ১৫০টি, মানিকছড়িতে ২২৫টি ও লক্ষীছড়িতে ১৯০টি হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালী উদ্বোধনের পর বুধবার সকালে দীঘিনালা উপজেলা অডিটরিয়ামে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরের চাবি ও জমির কাগজ হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি হিসেবে শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. নাইমূল হক, দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মো. কাশেম, জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার আধা পাকা ঘর পেয়ে খুশি সুবিধাভোগীরা।
আরও পড়ুন: দেশের ৯ জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশের ৯ জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমির মালিকানাসহ আরও ৩০ হাজার ৩৬৫টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থেকে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চতুর্থ পর্যায়ে ৩০ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশের ৯টি জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখুন, বিদেশের আইনকে সম্মান করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৮৩১টি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর ফলে সারাদেশে উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখে পৌঁছেছে।
এছাড়া সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭।
এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৬৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। এতে করে চিহ্নিত ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭টি পরিবারের মধ্যে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর সম্পন্ন হচ্ছে।
অবশিষ্ট ৪৩ হাজার ৪১০টি পরিবারের মধ্যে ২২ হাজার ১০টি পরিবার চিহ্নিত করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই শতাংশ জমিসহ একক গৃহ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২১ হাজার ৪০৪টি পরিবার চিহ্নিত করে তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে ‘দেশের কোনও মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না’ বলে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এই প্রোগ্রামে সুবিধাভোগীর সংখ্যা হল ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন। প্রতি পরিবারে পাঁচ জন সদস্যের ওপর ভিত্তি করে গণনা।
এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭ পরিবারকে সরাসরি পুনর্বাসন করা হয়েছে।
অবশিষ্ট দুই লাখ ১৬ হাজার ৭০৪ পরিবারকে ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুরূপ কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এদিকে বরিশালের বানারীপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গৃহহীনদের বাড়ি-ঘর ও ঠিকানা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে বাড়ি দেয়া তার অঙ্গীকার ও উদ্যোগ।
তিনি উল্লেখ করেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৪২টি ঘর বিতরণ করবেন এবং আগামী দিনে আরও ১৬৩টি বাড়ি বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে ভালোবাসেন এবং সর্বদা জনগণ ও তাদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন।
শাহে আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়ার পদক্ষেপটি অনন্য।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বানারীপাড়া উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
ইউএনও ফাতিমা আজরিন তন্বী বলেন, প্রকৃত গৃহহীনদের খুঁজে বের করতে প্রশাসন অনেক কঠোর ও সতর্ক ছিল।
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি গৃহহীন নাগরিক বাংলাদেশে একটি করে ঘর পাবে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমি ‘প্রত্যেক নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী’।
তিনি বলেন, ‘দেশটি আমাদের সকলের। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার মানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দেখাশোনা করা আমার দায়িত্ব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে মতামত বা আদর্শের পার্থক্য থাকতে পারে তবে ‘আমি প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাই প্রতিটি নাগরিকের একটি সুন্দর জীবন হোক। এটাই আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা।’
তিনি দলমত নির্বিশেষে অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সকলকে ভূমিহীন ও গৃহহীন আছে কি না সরকারকে জানানোর অনুরোধ করেন যাতে তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সমস্ত সরকারি কর্মচারী এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যে কোনও ভূমিহীন এবং গৃহহীন লোকদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমরা তাদের একটি বাড়ি এবং ঠিকানা দিতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের জন্য ঘর তৈরি করব, তাদের একটি ঠিকানা দেব এবং তাদের জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করব।’
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে মোট ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক যুগান্তকারী অর্জনে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন সকলের আশ্রয় নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় ও মাগুরার নয়টি উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলার মোট ৫২টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের দেয়া ঘরগুলো সংরক্ষণ করা সুবিধাভোগীদের দায়িত্ব।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দেয়া ঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা নিছক ঘর নয়, এটা আপনার পরিবার ও আপনার পরবর্তী প্রজন্মের আশ্রয়, ঠিকানা ও ভবিষ্যৎ।’
পড়ুন: পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে সরকার সার ও খাদ্য সংগ্রহে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে, সারা বিশ্বে খাদ্যের অভাব চলছে, এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ বেশ ভালোভাবে চালাচ্ছি, তবে আমাদের এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি সাশ্রয় এবং খাদ্য উৎপাদনের জন্য তাদের জমির প্রতিটি ইঞ্চি ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান প্রকল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন।
প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চগড়, মাগুরা, বাগেরহাট, লক্ষ্মীপুর ও ময়মনসিংহের বেশ কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলেন।
পড়ুন: আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক যুগান্তকারী অর্জনে বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তরের সময় এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা খুব আনন্দিত যে দুই জেলার সব উপজেলায়ই এখন সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষমুক্ত হয়েছে। ‘আমাদের উদ্যোগের ফলে আজ এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে’।
এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৪৩টি উপজেলাও একই মর্যাদা পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা একটা বড় অর্জন। আমি আশা করি বাংলাদেশের সব জেলা ও উপজেলা একদিন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত হবে। ‘দেশের প্রতিটি মানুষের একটি বাড়ি এবং ঠিকানা থাকবে।’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে ৪ হাজার ৮৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন লোক খুঁজে পেয়েছে সরকার এবং তাদের সবার জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা জেলায় ৬৭৮টি পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন সকলের জন্য আশ্রয় নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই ৫২টি উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৭৮০টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, দুই জেলা ও ৫২টি উপজেলায় কাউকে ভূমিহীন পাওয়া গেলে দ্রুত তাদের জমিসহ ঘর দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভূমিহীন ৫২ উপজেলা হলো ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোণার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর ও ফুলবাড়িয়া, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ, ফেনীতে ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেতুলিয়া ও বোদা, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রানীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া, নাটোরের বাগাতিপাড়া, পাবনার ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরায় মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর ও শালিখা, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া ও পটুয়াখালীর দশমিনা।
পড়ুন: আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, আশ্রয়ণ-২-এর তৃতীয় প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে, ২১ জুলাই হস্তান্তর করা হয়েছে ২৬ হাজার ২২৯টি এবং বাকি ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি এবং ২০ জুন প্রথম দুই দফায় দেশে গৃহহীনদের মধ্যে ভূমিসহ এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি আধা-পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আশ্রয়ণ ঘরের জন্য প্রায় ৪ হাজার ২৯কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সরকার সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ৫ হাজার ৫১২ একর খাস জমি উদ্ধার করে। এই জমির আনুমানিক বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।
এছাড়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য সরকার ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯১ দশমিক ৭৯ একর জমি ক্রয় করেছে। আর এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৬২টি ভূমিহীন পরিবারকে সংগৃহীত জমিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এই আবাসন প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত করতে অবদান রাখবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও সরকার আশ্রয়-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন চালিয়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা
জনবল সংকটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা বন্ধ
২ বছর আগে
আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
দীর্ঘ ৪০ বছরের সংসার জীবনে শেফালী দাসের বসতঘর কমপক্ষে ২০ বার গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অথবা ভাঙা পড়েছে। রাস্তার পাশে আবার কখনো বা নদীর চরে বা অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর বেঁধে বসতি গড়ে ওই নারী। স্বামী আর তিন মেয়েকে নিয়ে এইভাবে সংসার চলছিল ৬০ বছর বয়সী ভূমিহীন শেফালী দাসের।
নিজেরা স্থায়ীভাবে একটি ঘর তৈরি করে বসবাস করবে এমন স্বপ্ন দেখেছিল ওই পরিবারটি। বাগেরহাটের রামপালের গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্পে শেফালী দাসকে জমিসহ ঘর দিয়ে তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পুরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন ঘরের খুঁশিতে আত্মহারা শেফালী দাস আনন্দ অশ্রু ঝড়ালেন। এখন তিনি স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৫টি পরিবার জমিসহ গৃহ পাচ্ছেন।
শুধু শেফালী দাস নয়, গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকেল্পর বাসিন্দা বিউটি সরকার, তাসলিমা বেগম, সাবেরা বেগম, ফুলজান বেগম, আফরোজা বেগম, ইব্রাহিম হাওলাদার এবং ইউনুছ তালুকদারসহ সবার জীবনের গল্প প্রায় একই রকম। ভূমিহীন ওই সব পরিবারগুলোর নদীর চরে, কখনো অন্যের জমিতে ঝুঁপড়ি ঘরে তাদের জীবন চলছিল। সবার স্বপ্ন ছিল একখন্ড জমিতে তাদের নিজেদের ঘর হবে। কিন্তু ভূমিহীন ওই সব পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ছিল না। মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমি ও গৃহ পেয়ে এসব ভূমিহীনদের স্বপ্ন পুরণ হচ্ছে।
পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা
২ বছর আগে
মুজিববর্ষ: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি-নতুন ঘর পাচ্ছেন ২৬১২ ভূমিহীন
মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আরও ২ হাজার ৬১২ জন ভূমিহীন জমি ও নতুন ঘর পাচ্ছেন। এ বিষয়ে রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, জেলায় তৃতীয় পর্যায়ে মোট দুই হাজার ৬১২ জন ভূমিহীন প্রত্যেকে ২ শতক করে জমি ও একটি করে দুই রুম বিশিষ্ট আধাপাকা গৃহ পাবেন। উদ্বোধনযোগ্য গৃহের সংখ্যা এক হাজার ৪৬৬টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫৫টির মধ্যে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত গৃহের সংখ্যা ৩৪০টি, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৬৪৮ টির মধ্যে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত ৪৪৮টি, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৭৭৬টির মধ্যে প্রস্তুত ৩৫১টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৫৩টির মধ্যে প্রস্তুত ৪৮টি ও হরিপুর উপজেলায় ৩৮০টির মধ্যে ২৭৯টি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আগামী ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে যুবলীগের ঈদ উপহার
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় আরও বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামরুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রুবাইয়েত, মজিবর রহমান খান, শাহ্ মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
২ বছর আগে
পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন সেই আসপিয়া
অবশেষে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন বরিশালের হিজলার ‘ভূমিহীন’ কলেজছাত্রী আসপিয়া ইসলাম কাজল। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন তিনি। রবিবার বিকালে ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসপিয়া।
স্বপ্নের চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ায় উৎফুল্ল আসপিয়া ও তার পরিবার। তার মা ঝরনা বেগম প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র আসপিয়ার হাতে তুলে দিয়েছেন হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজান। নিয়োগপত্রে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে তাকেসহ চূড়ান্ত নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে জেলা পুলিশ লাইনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহিলা টিআরসিদের ৬ মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেই আসপিয়া এবার জমিসহ ঘর পাচ্ছেন, চাকরি পাওয়ার গুজব
জানা গেছে, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে বরিশাল জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ সদর দপ্তর। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল জেলা থেকে টিআরসি পদে সাত জন নারী ও ৪১ জন পুরুষ নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হিজলা থেকে অনলাইনে আবেদন করেন আসপিয়া ইসলাম।
এরপর, ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন আসপিয়া। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও কৃতকার্য হন। ২৪ নভেম্বর পুলিশ লাইন্সে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হন আসপিয়া।
২৬ নভেম্বর পুলিশ লাইন্সে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে কৃতকার্য হন আসপিয়া। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিয়োগ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। কারণ তিনি বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এই নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
পরে গত ৮ ডিসেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামানের কাছে গিয়েছিলেন আসপিয়া। ডিআইজি আসপিয়ার প্রতি সমবেদনা জানালেও তাকে চাকরি দেয়ার বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার জানান, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে তার কার্যালয় আসপিয়াকে জমিসহ ঘর এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
পড়ুন: অবশেষে পুলিশ ট্রেনিংয়ের জন্য ডাকা হলো মিমকে
২ বছর আগে
জনগণের জীবন-জীবিকা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, সীমিত সম্পদ দিয়েই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ থেকে শুরু করে সকলের জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা করছে সরকার।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩,৩৪০টি আধা-পাকা বাড়ি ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য হার কমাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চায় সরকার
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে সাধারণ এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে। এটাই আমাদের লক্ষ্য’
আরও পড়ুন: দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় রংপুর বিভাগে ১২,৪৩৬ টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০,৫৪৭টি, ঢাকা বিভাগে ৭,৬৩০ টি, রাজশাহী বিভাগে ৭,১৭২টি, বরিশাল বিভাগে ৭,১৫৩ টি, খুলনা বিভাগে ৯১১ টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২,৫১২ টি এবং সিলেট বিভাগে ১,৯৭৯ টি আধা-পাকা ঘর জমির মালিকানাসহ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ শ্রদ্ধায় নারী কর্মকর্তায় আপত্তি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আহ্বান
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই সমাজের অতি দরিদ্র শেণির মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে এবং বর্তমানে এর ফলাফল চোখে পড়ছে। ‘অতি দরিদ্ররা এখন স্বনির্ভর হতে শিখছে...তারা সমাজের সামনের দিকে এগিয়ে আসছে...আমরা এমনটা ই চাই,’ বলেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ: ডেভিড ব্রুস্টার
দেশের গ্রামাঞ্চলগুলোতে শিক্ষা ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তোলাই সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘গ্রামকে উন্নত করাই আওয়ামী লীগের নীতি, আর এটাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদে শিখিয়েছেন।’
৩ বছর আগে
মুজিববর্ষ উপলক্ষে খুলনায় ২য় দফায় ১৩৫১ ভূমিহীন ঘর পাচ্ছেন
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় খুলনার ৯ উপজেলার ১ হাজার ৩৫১ পরিবার ঘর পাচ্ছে। এবারে ঘরের সাথে সাথে দলিলও পাচ্ছে ভূমিহীনরা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ১ টি উপজেলায় উপস্থিত থেকে ঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক।
উদ্বোধন উপলক্ষে ৯ উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় সাজসজ্জা করা হচ্ছে। প্রথম দফায় জেলার ৯২২ গৃহহীন ঘর পায়।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর
জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফায় ফুলতলা উপজেলার ৬ পরিবার, কয়রা, বটিয়াঘাটা ও দিঘলীয়া উপজেলার ৩০ পরিবার করে, তেরখাদা উপজেলায় ৪০ পরিবার, দাকোপ উপজেলায় ২০০ পরিবার, রূপসা উপজেলায় ২১৫ পরিবার, পাইকগাছা উপজেলায় ৩০০ পরিবার এবং ডুমুরিয়া উপজেলায় ৫০০ পরিবার ঘর পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে খুলনায় ঘর পাচ্ছেন আরও ১৩৫১ গৃহহীন
প্রথম দফায় প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় দফায় প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনামূলক ফোল্ডার পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি পরিবার ২ শতক করে জমি পাবেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, উপজেলার বাহাদুরপুর, বরাতিয়া, মালতিয়া, থুকড়া, সাজিয়াড়া, বাদুরগাছা ও ভান্ডারপাড়ায় গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর বিরল দৃষ্টান্ত
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, টিএস বাহিরদিয়া, নৈহাটি, ঘাটভোগ, শ্রীফলতলা ও আইচগাতী ইউনিয়নের ১০ টি মৌজায় ২১৫ টি ঘর স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তালিকা অনুযায়ী গৃহহীনদের ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। প্রথম দফায় দেয়া গৃহহীনদের আশ্রয়স্থলে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে খুলনা জেলায় ৫ হাজার গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা অফিসাররা এ ব্যাপারে তদারকি করছেন।
৩ বছর আগে