আপিল বিভাগ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সাক্ষাৎ
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নবনিযুক্ত বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এই দুই বিচারপতি। এ সময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের এই দুই বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশে প্রধান বিচারপতির পরামর্শে তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
নিয়োগের পরদিন (২৫ মার্চ) প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে দুই বিচারপতির নিয়োগ
১৩ দিন আগে
আপিল বিভাগে দুই বিচারপতির নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারপতি। সোমবার (২৪ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন— বিচারপতি এ, কে, এম, আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের শপথ পড়ানো হবে।
সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এই শপথ পাঠ করাবেন। এর মধ্য দিয়ে তাদের নিয়োগ কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি এ, কে, এম, আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ
বিচারপতি আসাদুজ্জামান ২০০১ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট আসাদুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ করা হয়। ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন। তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়সহ বেশ কিছু আলোচিত মামলায় রায় দিয়েছেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৯৪ সালের ৯ এপ্রিল এবং ২০০২ সালের ১৫ মে যথাক্রমে হাইকোর্ট বিভাগ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী নিযুক্ত হন। বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট একই বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি।
তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আনা কয়েকটি বিষয়কে অবৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদানসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিয়েছেন।
২৩ দিন আগে
সাবেক বিচারপতি মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
গুলশান থানার একটি হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৫ মার্চ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত সাবেক বিচারপতি মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে, এ সময় আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের বিচার চাইলেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি মুরাদ
শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘এই আসামি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ তাকে আটকে দেয়। তিনি কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, যারা টাকার বিনিময়ে তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করবে বলেছিল, তারা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে হাফপ্যান্ট পড়া ও কলাপাতার ওপর শুয়ে থাকা অবস্থায় জঙ্গলে পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন সময়ে টকশোতে গিয়ে মারামারি করতেন। ফ্যাসিস্টের পক্ষে সাফাই গাইতেন। আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’ শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন প্রগতি স্বরণী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী মো. আবু যর শেখ।
পরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুলাই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে গত বছরের ১৬ নভেম্বর গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালানোর সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে একাধিক হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
৪৩ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৩ মার্চ
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিলের শুনানির জন্য সোমবার (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
দুদকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২ মার্চ) বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হোসাইন। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, আইনজীবী জাকির হোসেন, আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এদিন আপিলের শুনানির জন্য ২ মার্চ ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
এর আগে, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর সোমবার শুনানি হবে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এরপর কারান্তরীণ অবস্থায়ই ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর ও ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন জানায়। পরে কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রাখে সরকার।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় মামলা: রিমান্ডে ফারুক খান, ইনু ও মেনন
গত ৩ নভেম্বর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই।
৪৬ দিন আগে
চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে আসতে বাধা নেই: আপিল বিভাগ
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানের সম্প্রচার বন্ধে ১৬ বছর আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে চ্যানেল ওয়ানের সম্প্রচার শুরু করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে (আপিলের অনুমতি দিয়ে) সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে চ্যানেল ওয়ানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, পলাশ চন্দ্র রায়, কাজী আখতার হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, ব্যারিস্টার মারুফ ইব্রাহিম আকাশ এবং মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
চ্যানেল ওয়ানের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপিল বিভাগ চ্যানেল ওয়ান বন্ধে বিটিআরসির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশে দিয়েছেন। এই আদেশের ফলে বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে আসতে বাধা নেই।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা স্বীকার আইন উপদেষ্টার
২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর চ্যানেল ওয়ান এর ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক এবং প্রতিহিংসাবশত শেখ হাসিনা বিটিআরসিকে বাধ্য করে জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমটির সম্প্রচারে হস্তক্ষেপ করেন। পরে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করেন চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরাসরি তৎকালীন সরকারের অন্যায় নির্দেশে মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
চ্যানেল ওয়ানের আইন কর্মকর্তা মিজান-উল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও মামলা নিয়ে আদালতে গেলে চেম্বার জজ আপিল করার অনুমতি দেন।
তিনি বলেন, চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ সরকার চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে। পরবর্তী সম্প্রচার বন্ধের বিষয়টি হাইকোর্ট হয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।
৫২ দিন আগে
২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ
১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গতকার বুধবার এ-সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা তিনটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের এদিন ধার্য করেন।
আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। পিএসসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: এক বছরেই বিসিএস পরীক্ষা সম্পন্নের সুপারিশ সংস্কার কমিশনের
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন জানান, এর আগে এক-এগারোর সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১ হাজার ১৩৭ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে প্রবেশ করবেন—এ পর্যায়ে ওই সিদ্ধান্ত হয়।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। এ ক্ষেত্রে ২০৫ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালের ১১ জুলাই রায় দেন। এ রায়ে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া সঠিক বলা হয়।
ওই রায় নিয়ে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লিভ টু আপিল মঞ্জুরের পর নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে করা পৃথক আপিলের ওপর আজ রায় হলো। রায়ে নিয়োগ বঞ্চতদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ হন। পরে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৫৬ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
২৫২ দিন আগে
আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ
আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্তটিকে স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে আফতাবনগরে হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে বাগেরহাট উপকূলবাসী
সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী এস এম শামীম হোসাইন। হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আফতাবনগর পরিকল্পিত আবাসিক নগরী। সেই বিবেচনায় আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন।
পরে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৮ মে আফতাবনগরে হাট বসানোর ইজারা আহ্বানের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলাম। যে আবেদনের উপর সোমবার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ভেজাল বিরোধী অভিযান: ৩ বেকারিকে জরিমানা
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
৩১৮ দিন আগে
আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার(২৪ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।
এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিনজন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
নতুন নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো আটজন।
আগামী বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) এই তিন বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
৩৫৮ দিন আগে
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
রাজধানীর গুলশানে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা বাড়ির দখল ও অবস্থানের ওপর আট সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে বাড়িটি নিয়ে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্ট ওই সম্পত্তি ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ উল্লেখ করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করতে সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সম্পত্তির দখল ও অবস্থান বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন (অ্যাফিডেভিট ইন কমপ্লায়েন্স) দিতেও বলা হয়।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর সেই বাড়ির মূল নকশা ৭ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদী আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যা রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। চেম্বার বিচারপতির আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
পরে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, গুলশানের ওই সম্পত্তির দখল ও অবস্থানের ওপর দুই পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বার বিচারপতির আদালত। গুলশানের বাড়িটি আপাতত সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকছে।
এর আগে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গুলশানের এই বাড়িটি সালাম মুর্শেদীর দখলের রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিট আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭ এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন।
রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়েছে।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় ফের ২০২২ সালের ৪ জুলাই চিঠি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেওয়া হলো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন।
রিটের পর ২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত রুল জারি করে আদেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আর বাড়ি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। পরে পাশাপাশি আদেশ ও কোর্টের কার্যক্রম ছাড়া এ মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা না করতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আদালতকে জানান, আদালতের নির্দেশের পর বাড়িটি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে বাড়িটির বিষয়ে জাল–জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
আরও পড়ুন: এমপি সালাম মুর্শেদীর বাড়ি ৩ মাসের মধ্যে হস্তান্তরের নির্দেশ
মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষীর ভিত্তিতে দুদক সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করে। পরে গত ৩ মার্চ এ সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। ১৯ মার্চ বাড়িটির দখল সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হাইকোর্ট আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা বাড়ির নথি ও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ
৩৮৯ দিন আগে