কোষাধ্যক্ষ
বিএসএমএমইউ ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ ৪ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ চার বছর বাড়ানোর লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন এবং পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
খসড়া আইনটি ১৯৯৮ সালের বিদ্যমান আইনে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।
এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ তিন বছর, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চার বছর বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে আশপাশে জমায়েত ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি
বিএসএমএমইউ কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদ পেতে জালিয়াতির অভিযোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান চাকরির মেয়াদ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে জালিয়াতি ও অসঙ্গতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে দাখিলকৃত নথি অনুযায়ী, ডা. আতিকুর বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী এবং পরে পূর্ণ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
বিএসএমএমইউতে চাকরি স্থায়ী করতে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম হাসপাতালে বিল জালিয়াতির চেষ্টা, ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
ডক্টর মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মঙ্গলবার ইউএনবিকে ফোনে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদনে তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে কোনো অনিয়ম নেই।
রেসপিরেটরি মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. আতিকুরকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য বিএসএমএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছিল।
তিনি ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য পুনরায় নিযুক্ত হন।
১৯৬৯ সালে জন্ম নেওয়া আতিকুর ১৯৯৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিসিন ও সার্জারিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ডাক্তারের মেডিসিন ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর ২০১৪ সালে আমেরিকান কলেজ অব চেস্ট ফিজিশিয়ান থেকে তার এফসিসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি: ৭ কনটেইনার পণ্য জব্দ
শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেলেন সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আমিনা পারভীন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৮৭ এর ১৪ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে চার বছরের জন্য এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, কোষাধ্যক্ষ পদটি আমার জন্য একটি বড় দায়িত্ব। আমাকে এ দায়িত্ব অর্পণের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণের জন্য আমি সম্ভাব্য সবকিছু করতে সচেষ্ট থাকবো।
এছাড়া এই দায়িত্ব সফলভাবে পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চাই।
উল্লেখ্য, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় জন্ম ও বেড়ে উঠা অধ্যাপক আমিনা পারভীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
এছাড়াও ২০০৭ সালে সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স অব সাইন্স ইন সোশাল ওয়ার্ক(আইএমএসএসডব্লিও) এ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
তিনি ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
অধ্যাপক আমিনা পারভীন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি, একাধিকবার কার্যকরী সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষ, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা, সমাজকর্ম বিভাগের প্রধানসহ প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও বর্তমানে তিনি শাবিপ্রবির প্রথম নারী ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ডি-নথি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
গবেষণা দক্ষতায় ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ শিক্ষক
উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই এক মাস ধরে চলছে ইবি
উপাচার্য (ভিসি) ও কোষাধ্যক্ষের দুটি পদ এক মাস ধরে শূন্য থাকায় কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।