প্রসূতি
২ অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রসূতির মৃত্যু, বেঁচে গেল নবজাতক
বগুড়ার নন্দীগ্রামে দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে যুথি খাতুন নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় আহত হয়েছেন যুথীর মা ও তার ভাই। তবে এ ঘটনায় যুথীর তিন দিনের সন্তান অক্ষত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাথম-কালিগঞ্জ সড়কের দলগাছা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুথী ভাট শিমলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে যুথী তার মা জেসমিন (৪৫) ও ছোট ভাই জিহাদের (১৭) সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে নন্দীগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথে দলগাছা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়।
এতে দুইটি অটোরিকশাই উল্টে একই পরিবারের তিনজন আহত হন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক যুথি খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নন্দীগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বলেন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। যুথি খাতুন মারা গেলেও তিন দিনের সন্তান অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় গোসলে নেমে স্ত্রীর সামনে ডুবে গেলেন স্বামী
রাতারগুলে গোসলে নেমে কিশোর নিখোঁজ
৪ মাস আগে
বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালে তালা
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলায় সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতি মোসা. মেঘলা আক্তার এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ কিশোরের মৃত্যু
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বামনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান এবং বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান এবং ইউপি সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির মালিক।
ডৌয়াতলা কলেজ রোডের এই হাসপাতালে সোমবার বিকালে উত্তর বামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের (তারেক) প্রসূতি স্ত্রী মেঘলা আক্তারকে ভর্তি করানো হয়।
আরও পড়ুন: বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সবুজ কুমার দাস, পরিচালক মো. রেজাউল ইসলামসহ ৫/৬ জনে মিলে প্রসূতি মেঘলা আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করেন।
রাত পৌনে ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটরে মেঘলা আক্তার এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়। এরপর সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই মালিক, ডাক্তার, নার্সসহ সব স্টাফ পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল মেঘলা আক্তার ও তার নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে বরগুনা মর্গে পাঠান।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।
তিনি আরও জানান, এই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মেঘলা আক্তার ও তার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা হাসপাতালটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।
এছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বামনা থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে মালিক পক্ষ, ডাক্তার, নার্সসহ কোনো স্টাফকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
৯ মাস আগে
বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
বরিশালে অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটে গজ কাপড় রেখে সেলাই করার অভিযোগ পাওয় গেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ১৭ দিন পরে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করে ওই প্রসূতির পেট থেকে তা বের করা হয়।
বরিশালের বানারীপাড়ার হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। ভুল চিকিৎসার শিকার ওই নারী বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বরিশালে আরও ৩ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩৯
ঘটনার শিকার নারীর স্বজনরা জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সন্তান সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসার শিকার নারী শঙ্কামুক্ত হননি।
রোগীর বোন ইসরাত জাহান বলেন, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে উপজেলা সদরের হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে কনসালটেন্ট ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ান অপারেশন করলে তার কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ইসরাত জাহান বলেন, অপারেশনের পর থেকে চার দিন রোগীর প্রস্রাব ও পায়খানা বন্ধ থাকে। আমরা টেনশন করছিলাম। বিষয়টি জটিল দেখে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওখানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাই। কিন্তু আমাদের কিছুই জানাননি। অথচ আমার বোন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই। এখানে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান- আমার বোনের পেটের মধ্যে গজ রেখে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ছাড়পত্র দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করান।
তিনি বলেন, ঝুঁকি বুঝে আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালেই অপারেশন করাই। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অপারেশন করে বোনের পেটের মধ্য থেকে দুই হাত লম্বা গজ বের করা হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আর দুই তিন দিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন। আমি চাই হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুল চিকিৎসা যিনি দিয়েছেন সেই ডাক্তারের শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের অপচিকিৎসায় আমার বোন আজ মৃত্যুপথযাত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক অর্পন বলেন, আমি বানারীপাড়াতে নেই। তবে এমন একটি ঘটনা শুনেছি আমার হাসপাতালে ঘটেছে। বিস্তারিত কিছুই জানি না। বিস্তারিত জেনে বলতে পারব আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
বরিশালে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, আটক ২
নরসিংদীতে মেরি স্টোপস ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে শহরের বাসাইল মেরি স্টোপস ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সালেহা বেগম শহরের শালিধা এলাকার হান্নান মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বজনেরা জানায়, শুক্রবার সালেহা বেগমকে আলটাসোনোগ্রাম করার জন্য স্বজনেরা মেরিস্টোপস ক্লিনিকে নিয়ে যান। এ সময় কর্মরত চিকিৎসক হেলেনা হালিম সিজার করার পরামর্শ দেন। সালেহা সিজারে রাজি না হলে তাকে বাচ্চার অবস্থা ভালো না বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপারেশনের জন্য ওটিতে নিয়ে যান। অপারেশনের টেবিলেই রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছালে মা ও নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতাল ভাংচুর চালায়।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলন, ঘটনার খবর পেয়ে মোবাইল কোর্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রসূতির মৃত্যু: সালিশে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় সমঝোতা!
নওগাঁর সাপাহারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যু!
২ বছর আগে
প্রসূতির মৃত্যু: সালিশে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় সমঝোতা!
নড়াইলের কালিয়ায় ‘ভুল চিকিৎসা’য় এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা সাড়ে তিন লাখ টাকায় সমঝোতা করার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত শিউলি বেগম (২৫) গোপালগঞ্জ সদর থানার বড়ফা গ্রামের জিন্নাত শেখের স্ত্রী ও খাশিয়াল ইউনিয়নের পেচী ডুমুরিয়া গ্রামের আকবর মোল্যার মেয়ে।
শুক্রবার উপজেলার নড়াগাতি থানার বড়দিয়া বাজারে হাজী খান রওশন আলী হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে অনুমোদনহীন বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনি ঝামেলা এড়াতে সাড়ে তিন লাখ টাকায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে সমঝোতা করার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই শুক্রবার রাতেই লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁর সাপাহারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যু!
এ ঘটনা তদন্তে শনিবার দুপুরে নড়াইল সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার কালিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিককে প্রধান করে দুই চিকিৎসকসহ মোট তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম ও মালিকপক্ষ পলাতক রয়েছেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সিজারিয়ানের জন্য পূর্ব নির্ধারিত দিনে ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন শিউলি বেগম। গোপালগঞ্জ থেকে আসা সার্জন শরিফুল ইসলাম শিউলি বেগমকে অস্ত্রপচার করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নিয়ে যায়।
অস্ত্রপচারের আগে চিকিৎসক প্রসূতিকে অচেতন করার জন্য একটি ইনজেকশন পুশ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছটফট করতে থাকেন। এসময় তার স্বজনেরা রোগীর কাছে যাইতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেতে দেয়নি। এরপরই শিউলি বেগমের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ‘চিকিৎসকের অবহেলায়’ প্রসূতির মৃত্যু
অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে বড়দিয়া বাজার সংলগ্ন মুন্সী মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এমনকি পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সন্ধ্যায় সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী পরিবার ও সালিশদাররা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সমঝোতা হওয়ার আগে শুক্রবার দুপুরে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত জনতা হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে নাড়ি কেটে ফেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
এবিষয়ে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকান্ত কুমার সাহা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক মীমাংসার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
হাজী খান রওশন আলী হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার অনুপ দাস বলেন,‘বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। তবে এর বাইরে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।’
২ বছর আগে
প্রসূতি হাসপাতালে রুশ হামলায় গর্ভবতী নারী ও শিশুর মৃত্যু
ইউক্রেনের মারিউপল শহরে প্রসূতি হাসপাতালে রাশিয়ার বোমা হামলায় এক গর্ভবতী নারী ও তার শিশু মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
বুধবার এপি সাংবাদিকদের তোলা ভিডিও ও ছবিতে হাসপাতালে হামলার পর ওই নারীর রক্তাক্ত তলপেটের আঘাত দেখা গেছে। উদ্ধারকারীরা তাকে মারিউপোলের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ১৯তম দিনে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জেলেনস্কি
চিকিৎসকরা মা ও সন্তান দুজনকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করলেও শিশুর মৃত্যু হয়। সংবাদটি শোনার পর সন্তান হারানো মা চিৎকার করে বলছিলেন ‘এখন আমাকে মেরে ফেল।’
সার্জন তৈমুর মারিন জানান, পেলভিস ক্ষতিগ্রস্ত ও নিতম্ব বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলে। চিকিৎসকরা সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে তার ডেলিভারি করেছিলেন। তবে তখন শিশুটির বেঁচে থাকার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
মারিন জানান, জ্ঞান ফেরার ৩০ মিনিটের মধ্যে ওই নারীরও মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ হামলায় মার্কিন সাংবাদিক নিহত
২ বছর আগে
এসএমএস ছাড়াই টিকা নিতে পারবেন প্রসূতিরা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রসূতি মায়েদের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো এসএমএস লাগবে না। নিবন্ধনের পর সুবিধাজনক যেকোনো সময়ই টিকাকেন্দ্রে গিয়ে তারা টিকা নিতে পারবেন।
রবিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘গর্ভবতী মায়েদের টিকাগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের যে আগের নিয়ম ছিল সিটি কিছুটা পরিবর্তন করে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন থেকে টিকার নিবন্ধনের পরই একজন গর্ভবতী নারী এসএমএস না পেলেও সে তার পছন্দমতো সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।’
শামসুল হক বলেন, গর্ভবতী মায়েরা টিকা গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ কার্ড নিয়ে যেতে হবে। এমনকি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে সম্মতি পত্রের স্বাক্ষর করে তিনি টিকা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এক্ষেত্রে যে যেই কেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, তাকে সেই কেন্দ্র গিয়েই দ্বিতীয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সকলকে টিকা কার্ড নিয়ে আসতে হবে। ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা আশা করি আজ-কালকের মধ্যেই সকল জায়গায় আমাদের টিকা পৌঁছে যাবে।'
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গ: বরিশালে দুই হাসপাতালে ৪ মৃত্যু
শামসুল হক বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা ক্যাম্পেইনেরসময়ে আমাদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচীও চলবে। নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকা আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দেবেন।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, ‘বিগত সময়ে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনে একদিনে আমরা ৩০ লক্ষাধিক মানুষকে টিকা দিয়েছি। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। পূর্বের তুলনায় দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবো। তবে এক্ষেত্রে যারা টিকা নিতে আসবেন, তারা সবাই যদি সুশৃঙ্খলভাবে টিকা নিতে আসে, তাহলে কোন ধরণের সমস্যা হবে না।’
তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত টিকার বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আঠার ঊর্ধ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্রছাত্রী আছে, তাদেরকে টিকার আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে রামেকে ১০ মৃত্যু
করোনা: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ কোটি ছাড়াল
১৮ বছরের নিচে টিকা কার্যক্রম সম্পর্কে শামসুল হক বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের এটি জানা নেই। তবে এটা নিয়ে সরকার যেহেতু চিন্তা করছে, ভবিষ্যতে যদি কোন পরিকল্পনা আসে সেটা আপনাদেরকে জানাতে পারবো। ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেয়ার বিষয়টি জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, এর আগে ইউজিসির মাধ্যমে তালিকা নিয়ে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম, তাদের অনেকেই তখন টিকা নিয়েছেন। তারপরও যারা বাকি রয়েছেন, সেসব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যাদের এনআইডি নেই তাদেরকে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে যেন তারা টিকা নিতে পারেন, সেলক্ষ্যে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নতুন আরেকটি উইন্ডো খোলার চেষ্টা চলছে। সেক্ষেত্রেও প্রত্যেকের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধীনস্থ কলেজ গুলো থেকে একটি তালিকা আমাদের কাছে আসতে হবে। এরপর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে সুরক্ষা সার্ভারে যুক্ত করা হবে।
৩ বছর আগে
সন্তানের মুখ দেখা হলো না মায়ের, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা সদরের নিরাময় নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজার ডেলিভারির পর শুক্রবার বিকালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মৃত স্মৃতি আকতার (২৪) বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের ভক্তেরবাড়ি গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী।
জানা গেছে, আনিসুর রহমান ঢাকায় থাকেন। গর্ভাবস্থায় স্মৃতি বেগম তার বাবার ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বড় বালিয়া বগুড়াপাড়ার বাসায় ছিলেন।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে নাড়ি কেটে ফেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
শুক্রবার বিকালে স্মৃতি আকতার তার মাকে নিয়ে নিরাময় নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে সিজার করার কথা বলেন। বিকালে সিজারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে স্মৃতি আকতারের পেটে ব্যথা, বমি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায় গেলে প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্মৃতি আকতারকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘নিরাময় ক্লিনিকে সিজার করার পর এক প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে চিকিৎসক-নার্সের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
এদিকে, নিরাময় নার্সিং হোমের মালিক উজ্জল সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন বলে জানা যায়। এমন কি স্মৃতি আকতারের মেজ চাচা আব্দুর রাজ্জাককে এক লাখ টাকার বিনিময়ে মধ্যস্ততা করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে ক্লিনিকের মালিক উজ্জল সরকার ও গাইনি চিকিৎসক ডা. এম আর রেজার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
৩ বছর আগে
কেরানীগঞ্জে নাড়ি কেটে ফেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় এনজিও মেরী স্টোপস ক্লিনিকে এক প্রসূতি মায়ের নাড়ি কেটে ফেলায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ বছর আগে