অপহৃত
৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি চবির অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহরণের পাঁচ দিন পরও উদ্ধার হয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থী। তাদেরকে উদ্ধারে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে যৌথবাহিনী।
এদিকে ৫ শিক্ষাথীর নিঃশর্ত মুক্তি ও রাঙ্গামাটির কাউখালীতে পাহাড়ী ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র ছাত্রীরা।
‘খাগড়াছড়ি আদিবাসী ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে জেলা শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের শাপলা চত্বর, আদালত সড়ক হয়ে কোর্ট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
তুষন চাকমার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুজন চাকমা ঝিমিত, বাংলাদেশ মারমা ষ্টুডেন্ট কাউন্সিলের উক্যনু মারমা, ত্রি পুরা ষ্টুডেন্টস ফোরামের সদর শাখার সভাপতি আকাশ ত্রিপুরা, চবির সাবেক শিক্ষাথী রহেল চাকমা, শিক্ষাথী মায়া চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবিতে বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ
এ সময় বক্তারা অবিলম্বে অপহৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ধর্ষকের বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ইউপিডিএফ শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির উসকানি দিয়ে ও অপহরণ বাণিজ্য শুরু করেছে।’
তারা এ ঘৃণ্য তৎপরতা থেকে ইউপিডিএফকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান।
১৪ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবি শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে
খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী।
বৃহষ্পতিবার (১৭ এপ্রিল) নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানায়, অপহৃত চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে উদ্ধারে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
‘অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চলছে। আমরা অপহৃতদদের উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা করছি।’
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার সময় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য চবি শাখার নেতা রিশান চাকমাসহ ৫ শিক্ষার্থীসহ মোট ৬ জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। রিশান চাকমা চবির আন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের শিক্ষার্থী।
অপহরণের শিকার অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন— চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভিগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি থেকে চবির ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমার সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা বলেন, ‘রিশান চাকমা আমাদের ছাত্র সংগঠনের চবি শাখার সদস্য। তারা মঙ্গলবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সৈবাবি উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাসের টিকেট না পাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে তারা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রিযাপন করে। সকালে গাড়িতে করে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের জোরপূর্বক টমটম (ত্রিচক্র যান) থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটমের চালককেও অপহরণ করা হয়।’
এই ঘটনার জন্য প্রসীত গ্রুপকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে তিনি বলেন, ‘তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।’
১৬ দিন আগে
নিখোঁজের একদিন পর অপহৃত মাদরাসা ছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
নিখোঁজের একদিন পর নেত্রকোণার মদন উপজেলা থেকে অপহৃত সপ্তম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই ওই ছাত্রীর চাচা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে কেন্দুয়া উপজেলার গোগ বাজার এলাকা থেকে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আনোয়ার (২০) মদন উপজেলার বাঁশরী জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের বরাতে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ‘মাদরাসা যাওয়ার পথে ছাত্রীকে প্রায় সময় বিরক্ত করতেন আনোয়ার। সোমবার রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী ঘর থেকে বের হলে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আনোয়ার জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, ‘মাদরাসা ছাত্রীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর আনোয়ারকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি।
৪৬ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়ি থেকে অপহৃত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (প্রসীত গ্রুপ) ৩ সদস্যকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের উদ্ধার করে পানছড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়।
সোমবার রাতে পানছড়ি উপজেলার পুজগাংয়ের প্রত্যন্ত অনিলপাড়ায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যা করে এবং ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন- ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নিতী দত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও মিলন ত্রিপুরা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল এ অভিযান চালায়।
এক পর্যায়ে অপহৃতদের হাত বাঁধা ও মুখ ঢেকে থাকা অবস্থায় দেখতে পান তারা। উদ্ধার অভিযান শেষে অপহৃত ৩ জনকে পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপহরণকারীরা উদ্ধারকারী দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
৫০৬ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৪ জনকে উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্যদের হাতে অপহৃত’ দুটি কাভার্ড ভ্যানের চালকসহ চারজনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের যৌথ বাহিনীর একটি দল তাদের উদ্ধার করে। এর আগে রবিবার রাতে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের ইউপিডিএফ অপরহরণ করেছিল বলে জানায় যৌথ বাহিনী।
যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- দুটি কাভার্ড ভ্যানের চালক আনোয়ার হোসেন ও মনির মিয়া এবং তাদের সহকারী হান্নান মিয়া ও জায়েদ খান।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, রাত ৯টার দিকে রামগড় উপজেলা থেকে ইউপিডিএফ সদস্যরা বেলায়েতের মালিকানাধীন ‘জয়েন্টফার্ম’থেকে দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ চারজনকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি যৌথ দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে অপহৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
৬০১ দিন আগে
ঢাকা থেকে অপহৃত কিশোরের লাশ চট্টগ্রামে উদ্ধার
যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে অপহৃত ১৩ বছরের এক কিশোরের লাশ চট্টগ্রাম নগরী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর সড়ক থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নুরুন নবী ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে।
পরিবারের সূত্রমতে, গত সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে বাড়ির সামনে থেকে নুরুন নবী অপহৃত হয়। পরে তার বাবা গোলাম রসুলের মোবাইলে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাতে গোলাম রসুল যাত্রাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেন। এরপর অপহরণকারীদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস ধাক্কায় গৃহবধূ নিহত
নিহতের বাবা গোলাম রসুলের অভিযোগ, থানায় জিডি করার পরেও পুলিশ তার সন্তানকে উদ্ধারের ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করেনি। মুক্তিপণ নিয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথোপকথন হয়েছিল। হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ আদান-প্রদান হয়েছিল। সেসব তথ্য পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি বিকাশে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার তথ্যও পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ বিকাশের ওই নম্বর কোনো যাচাই-বাছাই করেনি।
এদিকে শুক্রবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর সড়ক থেকে অজ্ঞাত কিশোরে একটি লাশটি উদ্ধার করা হয়। সড়কের পাশে একটি বন্ধ গ্যারেজের সামনে লাশটি পড়ে ছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের কয়েক গজ দূরে রক্তমাখা ছুরি পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে নুরুন নবীর স্বজনরা সে কিশোরের লাশকে নুরুন নবী লাশ বলে শনাক্ত করেন।
সিএমপির পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান বলেন, অপহরণকারীদের সঙ্গে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে কিশোরের পরিবারের বনিবনা না হওয়ায় তাকে চট্টগ্রামে এনে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই চট্টগ্রাম এসে লাশ শনাক্ত করলে তার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম বলেন, অপহৃত নুরুন নবীর লাশ চট্টগ্রামে উদ্ধার হয়েছে। তবে নিখোঁজের পর জিডি হওয়ায় পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছিল। কিন্তু এর আগেই শিশুটিকে অপহরণকারীরা হত্যা করেছে।
ধারণা করছি, অপহরণকারীরা ওই শিশুর বাড়ির আশেপাশের কেউ হবে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। এ সময় পুলিশের গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করেন ওসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
৬১৭ দিন আগে
ইয়েমেনে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত বাংলাদেশি জাতিসংঘ কর্মকর্তা উদ্ধার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে উদ্ধার করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।
বুধবার তাকে দেশে আনা হতে পারে এবং তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে কর্মরত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে ইয়েমেনের মুদিয়াহ প্রদেশ থেকে অপহরণ করে আল-কায়েদার সদস্যরা এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩ মিলিয়ন ডলার দাবি করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি জাতিসংঘ কর্মকর্তা অপহৃত: সরকার-জাতিসংঘের কাছে মুক্তির আর্জি স্বজনদের
সুফিউল আনাম তাকে উদ্ধার করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি ভালো আছি। আমি সব মেডিকেল টেস্ট করিয়েছি। আমি আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি এনএসআই-এর কাছে কৃতজ্ঞ। সরকার ও এনএসআই উদ্ধার করার জন্য অনেক কিছু করেছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
অপহৃত ভারতীয় তরুণীকে উদ্ধার করল এপিবিএন, গ্রেপ্তার ১
৬৩৪ দিন আগে
দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
দক্ষিণ সুদানে মঙ্গলবার অপহৃত এক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক মো. আশেকুর রহমান, দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশনে (ইউএনএমআইএসএস) ব্যক্তিগত পুলিশ কর্মকর্তা (আইপিও) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক(মিডিয়া) মো. মঞ্জুর রহমানের সই করা একটি পুলিশ মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আশেকুরকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিয়ে টহল দেওয়ার সময় একটি স্থানীয় অপহরণকারী দল তাকে অপহরণ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং এখন অন্যান্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মালিতে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় মার্কিন দূতাবাসের দুঃখ প্রকাশ
মালিতে আইইডি বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
৬৯৬ দিন আগে
মুক্তিপণ দিয়ে দুইদিন পর ফিরল অপহৃত ৪ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফের আলীখালী পাহাড় থেকে অপহৃতের দুইদিন পর ৪ রোহিঙ্গা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।
সোমবার (০৫জুন) সন্ধ্যায় মুক্তিপণ দেয়ার পর তাদের ক্যাম্পের পাশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ফেরত আসা অপহৃতরা হলেন,হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী ক্যাম্প-২৫ ব্লক ডি/২২ এর বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস (৩২) একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোহাম্মদ সুলতান (২৪),আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ(১৬) ও মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (১৮)।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয় রোহিঙ্গারা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা (মাঝি)জানান,সোমবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ নিয়ে ৪ রোহিঙ্গাকে ছেড়ে দেয়। তাদের এনজিও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে এপিবিএন পুলিশ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।
এরআগে রবিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পের পাশে অপহৃত জাহাঙ্গীর আলমকে হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ক্যাম্পের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সন্ত্রাসীরা তাদের ছেড়ে দেয়ার পর ফিরে আসার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)পুলিশ সুপার মো.জামাল পাশা। তবে তিনি মুক্তিপণের টাকা দেয়ার বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১০৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত, ব্যবস্থাপনা কঠিন বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) উপ অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো.জামাল পাশা বলেন,আলীখালী ক্যাম্প এলাকা থেকে তারা অপহরণের শিকার হয়। তবে মুক্তিপণ দাবির বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তাদের কিছুই জানায়নি। এরমধ্যে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশ দিন-রাত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। হয়তো অভিযানের কারণে সন্ত্রাসীরা তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অপহৃতদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
৬৯৮ দিন আগে
মিরসরাই থেকে অপহৃত ব্যক্তি ভারতীয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার, আটক ১
চট্টগ্রামের মিরসরাই ইকোনমিক জোন থেকে অপহরণ হওয়া এক ব্যক্তিকে জেলার ফটিকছড়ির ভুজপুর ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অপহরণ চক্রের মূলহোতাকে আটক করেছে র্যাব-৭। মঙ্গলবার (২ মে) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
ভুক্তভোগী নূর হাশেম চট্টগ্রামের কর্ণফুলির উপজেলা এলাকার বাসিন্দা।
আটক মো. মামুন (৩৭) মিরসরাই করেরহাট এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, গতকাল সোমবার (১ মে) ভোরে ভুজপুরের রহমতপুর এলাকায় রাবার বাগানে অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নুরুল আবছার বলেন, অপহৃত ভিকটিম নূর হাশেম মিরসইয়ের জোরারগঞ্জ থানার অর্থনৈতিক অঞ্চলের মর্ডান সিনটেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সে সুবাধে আসামি মো. মামুন ও মো. জসিমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে জসিম তাকে ফোন করে করেরহাট এলাকায় যাওয়ার জন্য বলে। দেখা করতে ভিকটিম করেরহাট গেলে এক সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার তাকে ভুজপুরের কৈলারছড়া এলাকায় জসিমের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মামুন এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জন মিলে ভিকটিমকে অপহরণ করে ভুজপুরের ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি অজ্ঞাত এলাকায় নিয়ে যায় এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, অপহরণকারীরা ভিকটিমের পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়া অপহরণকারীরা ভিকটিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তার পরিবারের লোকদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে তা শুনাতো। ভিকটিমের পরিবার তাকে উদ্ধারে র্যাব-৭ এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে র্যাব। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভুজপুরের রাবার বাগানে অভিযানে চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণের মূলহোতা মামুনকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
মিরসরাইয়ে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ১৩
৭৩২ দিন আগে