ট্রেন দুর্ঘটনা
রাজধানীতে মোবাইলে কথা বলার সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
রাজধানীর কাওরানবাজারে সোমবার বিকালে দুই ট্রেনের মাঝে পড়ে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত কাশেম মিয়া (৬০) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পরিবার নিয়ে ফার্মগেটের মনিপুরী পাড়ায় থাকতেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, কাওরানবাজার মাছপট্টি এলাকায় রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কাশেম মিয়া মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎ দুটি ট্রেনের মাঝখানে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নিহতের স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ তার স্ত্রী রেহেনা বেগম ও ছেলে জাকির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
দিনাজপুরে ট্রাক ও ট্রেনের ধাক্কায় ২ জনের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা
কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশনে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বিল্লাল হোসেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ভৈরব রেলওয়ে থানায় বাদী হয়ে মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন ভৈরব শহরের আমলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি বেলাবো উপজেলার সল্লাবাদ।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ১৮, হস্তান্তর ১৭
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি আর তাচ্ছিল্য ছিল বলেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দুর্ঘটনা ঘটতো না, এত মানুষের ক্ষতিও হতো না।’
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
তদন্ত কমিটি ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল সিগনাল সিস্টেম থাকায় একটি ট্রেনের সিগনাল দেওয়া হলে পরবর্তীতে লাইন ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত সফটওয়ারের মাধ্যমে অন্য কোনো লাইনে সিগনাল দেওয়া যায় না। সকল লাইনে লাল বাতি জ্বলে থাকবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ ট্রেন দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
কিন্তু ঘটনার দিন কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি সিগনাল মানেনি। যার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ জন্য কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ৩ জনকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানান তদন্ত কমিটির সদস্য আবুল কালাম।
উল্লেখ, সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ ভৈরব রেলওয়ে জংশনে এগারো সিন্ধুর গোধূলি ট্রেনকে একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন ১ জন ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বলেন, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ১৮, হস্তান্তর ১৭
কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাত একজনসহ নিহত ১৭ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন একজন মারা গেছেন। ফলে, এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ বিকালে একটি লাশের কাপড় দেখে তার স্বজনরা শনাক্ত করেন। তবে, লাশটির বিকৃতির কারণে স্বজন নিশ্চিত করতে অধিকতর যাচাইয়ে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষা রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে তা হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, চিকিৎসাধীন একজনসহ রেল দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ১৭ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে অন্য লাশটি হস্তান্তর করা হবে।
নিহতদের মধ্যে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের একই পরিবারের ৪ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভৈরব দুর্ঘটনা: ৭ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু, মালবাহী ট্রেনের চালকসহ ৩ জন বরখাস্ত
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার (দাদন কমিশনারের বাড়ির পাশে) মো. কাশেমের ছেলে গোলাপ (২৩), মিঠামইন উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া (২২) ও ভরা গোলহাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া (২৬), করিমগঞ্জ উপজেলার সাকুয়া গ্রামের (নদীর পশ্চিম পাড়) জোনায়েদ হোসেনের স্ত্রী হোসনা খাতুন (২৩), ভৈরব উপজেলার রাণীবাজার এলাকার প্রবোধ চন্দ্র শীলের ছেলে সবুজ চন্দ্র শীল (৫০), আগানগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আফজাল হোসাইন (২৪), শ্রীনগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বী (৩০), আমলাপাড়া এলাকার (স্থায়ী ঠিকানা নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ গ্রাম) দর্শন মিয়ার ছেলে নজরুল (৪০)।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ ট্রেন দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
বাকিরা হলেন- কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর ঘাটিপাড়া গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির (৫৭), বাজিতপুর উপজেলার ডুয়াইগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আছির উদ্দিন (৩৪), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের মহিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৩৪), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫) ও তাদের দুই ছেলে যথাক্রমে সজীব (১১) ও ইসমাঈল (৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বরইচারা গ্রামের মৃত সদর আলী সরকারের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৬৫), ঢাকার দক্ষিণ খান থানার ৭৮ নর্দা পাড়া এলাকার (ইয়াকুব আলী রোড, বায়তুস সুজুত জামে মসজিদের পাশে) মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে একেএম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ (৩৭) ও অজ্ঞাত পুরুষ (৩৩)।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতদের তালিকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৩ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক মহিলা লীগ নেত্রী তসলিমার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শোকবার্তায় জানানো হয়েছে, ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আহতদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলের ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
কুমিল্লার হাসানপুরে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ে তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
তারা হলেন- গার্ড (চট্টগ্রাম বিভাগ) আব্দুল কাদের, লোকোমোটিভ মাস্টার (ঢাকা সদর) জসিম উদ্দিন এবং সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার (ঢাকা সদর দপ্তর) মো. মহসিন।
এছাড়াও, হাসানপুর স্টেশন সিগন্যাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওয়াহিদকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত একজন চট্টগ্রামের ইদ্রিস
অন্যদিকে, চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ট্রেনের পরীক্ষক এসএম আখতার হোসেন ও হাসানপুর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মং মারমা জানান, দুইটি উদ্ধারকারী ট্রেন মেইন লাইন থেকে বগি সরিয়ে নেওয়ার পর রবিবার রাত ৯টার পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
অন্য বগিগুলো সরানোর কাজ চলছে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, রবিবার সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছয়টি বগি ও লোকোমোটিভ লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ৩৫ জন যাত্রী আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনটি হাসানপুর স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ভুলভাবে একই লাইনে ঢুকে মালবাহী ট্রেনের পেছনের দিকে ধাক্কা মারে।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত আরও একজনের মৃত্যু
গ্রিসে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭
গ্রিসের মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবার রাতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গ্রিক পুলিশের মুখপাত্র কনস্টানটিয়া দিমোগ্লিডু সাংবাদিকদের বলেন, ৪৮ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন।
গ্রিক ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র ভাসিলিওস ভাথ্রাকোজিয়ানিস জানিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে ২ ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ২৯, আহত ৮৫
কীভাবে এবং কেন যাত্রীবাহী ট্রেনটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তা নির্ধারণের জন্য একটি তদন্ত চলছে।
একজন স্টেশন মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অবহেলার কারণে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সরকার শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের ট্র্যাজেডি এড়াতে রেলপথ পরিচালনায় সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো বিমানটি বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে আসছিল: সার্বিয়ান মন্ত্রী
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: গেটম্যান সাময়িক বরখাস্ত, মামলা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জনের নিহতের ঘটনায় আটক রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
এর আগে শুক্রবার দুর্ঘটনার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরসরাই বড়তকিয়া এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী জানান, গেটম্যানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যদি দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়,তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ১১
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরণা এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হন।
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জন চিরনিদ্রায় শায়িত
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ১১ তরুণ পর্যটকের নামাজে জানাযা শেষে নিজ নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে সাড়ে ১০টায় হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার খন্দকিয়া ছমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ জনের জানাযা সম্পন্ন হয়। এছাড়া আরও চার জনের জানাযা নিজ নিজ এলাকায় পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে দু’জনের জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজা শেষে দুর্ঘটনায় নিহত ১১ তরুণ শিক্ষার্থীকে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীদুল আলম জানান, শুক্রবার রাতে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১১ জনের জানাজা শেষে তাদের নিজ নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত ১১ জন হলেন-উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজী মো. ইউসুফের ছেলে মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬), চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), একই ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব (২২), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭), ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খান বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯)।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে এলাকার পরিবেশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের বড় তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরণা এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হন।
পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৯ জনের পরিচয় মিলেছে
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ১১
গাজীপুরে শ্রমিকবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কা: নারীসহ নিহত ২
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক বহনকারী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীসহ দুজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাইঝপাড়া রেলক্রসিংয়ে সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাহিমা খাতুন প্রিয়া (২২) উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের জুলহাস মিয়ার স্ত্রী এবং শ্রীপুরের জামান ফ্যাশন ওয়ারস লিমিটেডে অপারেটর পদের কর্মরত ছিলেন। নিহত অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় স্ত্রী মৃত্যু
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হারুন উর রশিদ বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বলাকা ট্রেনটি শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সোয়া ৭টার দিকে অতিক্রম করে। এরপর বরমী ইউনিয়নের মাইঝপাড়া রেলক্রসিংয়ের গিয়ে ওই বাসের সঙ্গে ধাক্কার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জগিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল করিম জানান জানান, শ্রমিক বহনকারী বাসটি শ্রীপুর উপজেলার মাইজপাড়া এলাকায় রেললাইন অতিক্রম করার সময় নেত্রকোনাগামী বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক আহত হন। আহতদের হাসপাতাল নেয়ার পথে আরও একজন মারা যান।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
গোপালগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহত
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনের ধাক্কায় ভটভটিতে থাকা পাঁচ শ্রমিক নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৪ জন শ্রমিক তাদের কর্মস্থল থেকে একটি ভটভটি করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে ভটভটিটি উপজেলার কাটমদারাস্তোতে রেললাইনের লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভটভটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই পাঁচ শ্রমিক নিহত ও পাঁচজন আহত হন।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।