তাকসিম এ খান
তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ির সংবাদ ভিত্তিহীন: ঢাকা ওয়াসা
ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি রয়েছে বলে প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে নিন্দা করেছে।
ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা ওয়াসা সংবাদটি প্রত্যাখ্যান করেছে। সংবাদটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এমডি তাকসিম ওই সংবাদ প্রতিবেদনে বর্ণিত কোনো বাসভবনের মালিক নন। যাইহোক, তার স্ত্রী, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করছেন, তার একটি মাত্র বাড়ি রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’
ঢাকা ওয়াসা এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানিয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকসিমকে শহরের পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের একজন দূরদর্শী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, তার দূরদর্শিতার কারণেই ঢাকা ওয়াসা দৈনিক প্রায় ২৭০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৭৫ কোটি লিটার পর্যন্ত পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত
১ বছর আগে
তাকসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদককে পদক্ষেপ জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের যে অভিযোগ দুদকের কাছে রয়েছে, সে ব্যাপারে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) যে দুটি অভিযোগ করা হয়েছে, তা সংস্থাটি যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিতর্কিত তাকসিম এ খানের পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
এছাড়া প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, ঠিকাদার নিয়োগে সিন্ডিকেট, ঘুষ লেনদেন, পদ সৃষ্টি করে পছন্দের লোককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, অপছন্দের লোককে ওএসডি করাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে।
প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ১৩২ কোটি চার লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে-এমন অভিযোগে তাকসিম এ খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়।
ওই মামলার তদন্তভার দুদকের হাতে ন্যস্ত হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এরই মধ্যে সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
একটি-দুটি নয়, ১৪ বাড়ি! দেশে নয়, সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে কিনেছেন এসব বাড়ি। সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য তালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসাবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির বিষয়ে সম্প্রতি দুদকে অভিযোগ জমা দেয়া দুই ব্যক্তির একজন হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মো. সোহেল রানা।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
তিনি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান।
দুদকে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, বিদেশি ঋণে করা ওয়াসার বড় বড় প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে তা হুন্ডিসহ বিভিন্ন উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন তাকসিম।
পাচারের অর্থে দেশটির লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরের অভিজাত এলাকায় নগদ ডলারে ১৪টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তাকসিম যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় তিনি ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে যোগ দেন। তাঁর পরিবারের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। তাকসিমও প্রতিবছরে প্রায় তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করেন। একসময়ের ভাড়াটিয়া তাকসিম লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো অভিজাত শহরে বিলাসবহুল বাড়ি কেনেন।
এ খবর ওই শহরের বাঙালিপাড়ার মানুষের মুখে মুখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পাওয়া এক প্রবাসী বাঙালি জানান, প্রবাসী বাঙালিদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তাকসিমের কিছু বাড়ি দেখেছেন। বাড়িগুলো কোন শহরের কোন সড়কে, হোল্ডিং নম্বর কত-সব তথ্য তাদের জানা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ১৪ বাড়ির মধ্যে পাঁচটির তথ্য মিলেছে। ওই সব বাড়ির ঠিকানা ও ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এক বাঙালি তাকসিমের ওই পাঁচ বাড়ির ঠিকানা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাকসিম যে বাড়িতে থাকেন, সেটার ঠিকানা- ৫৩১, N Louise St. Unit ৩০২, Glendale, CA ৯১২০৬১।
এই বাড়ি তিনি কত টাকায় কিনেছেন, তা জানা যায়নি।
এ ছাড়া ৪১৯, E Cypress Avenue Burbank, CA ৯১৫০১-এ ঠিকানায় ২০১৭ সালে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮৮৯ ডলারে (সে সময়ের দরে আনুমানিক ১৭ কোটি টাকা) কেনা বাড়িটিতে রয়েছে ১৪টি বেডরুম ও ১৪টি বাথরুম।
৫১৮, Salem Street Glendale, CA ৯১২০৩- এই ঠিকানায় ২০১৮ সালের আগস্টে ৪৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৪ ডলারে (আনুমানিক ৩৭ কোটি টাকা) কেনা বাড়িটিতে রয়েছে ছয়টি বেডরুম ও ছয়টি বাথরুম।
৩৫০ E 30th Street New York, NY ১০১৬৬-৮৩৮৬-এই ঠিকানায় ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ছয় কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৬১৪ ডলারে (আনুমানিক ৫৩৫ কোটি টাকা) কেনা বাড়িটিতে রয়েছে ১০২টি বেডরুম ও ১০২টি বাথরুম।
৩৫৫৫ Kystone Avenue Los Angels, CA ৯০০৩৪- এই ঠিকানায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে ৮২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮০ ডলারে (আনুমানিক ৭০ কোটি টাকা) কেনা বাড়িটিতে রয়েছে ১২টি বেডরুম ও ১২টি বাথরুম।
বাড়িগুলো তাকসিম ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।
১ বছর আগে
পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়াতে চায় ঢাকা ওয়াসা
রাজধানীতে পানির দাম শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ঢাকা ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
ওয়াসার বোর্ড সভায় পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়ানোর সাম্প্রতিক প্রস্তাবের বিষয়ে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘উৎপাদন খরচের সঙ্গে পানির দামের সমন্বয় করতে আমরা এ প্রস্তাব দিয়েছি।’
গত সোমবার অনুষ্ঠিত ওয়াসা বোর্ড সভায় দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, আবাসিক এলাকার গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২১ টাকা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য দাম বর্তমান ৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করা হবে।
এ প্রস্তাব ওয়াসা বোর্ড অনুমোদন করলে চলতি বছরের এক জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।
পানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার প্রধান বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিকভাবে সক্ষম ও স্বাবলম্বী করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
তাকসিম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থার কাছ থেকে নেয়া ঋণ ফেরত দিতে নিয়মিত ঋণ সেবা নিতে হয়।’
তিনি বলেন, এসব ঋণের নিশ্চয়ক সরকার।
ঢাকা ওয়াসার প্রধান বলেন, রাজধানীর পানির দাম কম রাখতে এবং প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সচল রাখতে সরকার এখনও বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতি এক হাজার লিটার পানিতে সরকারি ভর্তুকি হিসাবে ১০ টাকা পাচ্ছি। কিন্তু ঢাকা ওয়াসার মতো একটি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে টিকতে পারে না।’
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার এমডি নিয়োগের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করে রিট
ধীরে ধীরে পানির দাম বাড়াতে সরকারের কাছ থেকে পরামর্শ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে।
২ বছর আগে
ঢাকা ওয়াসার এমডি নিয়োগের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করে রিট
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে নিয়োগের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
৪ বছর আগে