অভিযোগপত্র
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পিনাকীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।
এদিকে অভিযোগপত্র পিনাকী ভট্টাচার্য পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইতে হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
তবে তদন্তে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে।
২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মামলার মফিজুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিটিটিসি। তিনি এখন জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
দুর্নীতি-লুটপাট আড়াল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: বিএনপি
৭ মাস আগে
বার্নিকাটের ওপর হামলা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা: ৯ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল
অভিযোগপত্রভূক্ত আসামিরা হলেন- সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেল, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদ।
এ সময় পলাতক থাকায় মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি পুলিশ।
বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুর রউফ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র কোনো দলকে সমর্থন করে না: বার্নিকাট
বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বজায় থাকবে: প্রধানমন্ত্রীকে বার্নিকাট
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) সকালে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর ১৪ জন এখনো পলাতক।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া ডি ব্লকে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার পান উখিয়া থানার ওসি তদন্ত সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে সোমবার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা-অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, ফলে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।
পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ফতোয়াদাতা জকোরিয়া গ্রেপ্তার
মুহিবুল্লাহ হত্যা: ৩ আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
মুহিবুল্লাহ হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
২ বছর আগে
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ, ৩১ মার্চ শুনানি
অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত সম্রাটের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। আগামী ৩১ মার্চ চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানি এবং জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করে দেন আদালত।
গত ৭ মার্চ সম্রাটের আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং ইতোপূর্বে দাখিল করা জামিন শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
আদালত এদিন সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। সেখানে ৩১ মার্চ চার্জ শুনানি এবং জামিন শুনানির দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে এদিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা সম্রাটকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারি করেন আদালত।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২ বছর আগে
সাহিনুদ্দিন হত্যা : সাবেক এমপি আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
রাজধানীর পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলের সামনে বাবা ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি জানান। ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
অভিযোগ পত্রে অপর আসামিরা হলেন-সুমন বেপারী, মোহাম্মদ তাহের, মো. গোলাম কিবরিয়া খান, মোহাম্মদ মুরাদ, টিটু শেখ ওরফে টিটু, মোহাম্মদ রকি তালুকদার, নূর মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, ইকবাল হোসেন, মো. তরিকুল ইসলাম ইমন, তুহিন মিয়া, মো. হারুনুর রশিদ, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ও ইব্রাহিম সুমন।
এদের মধ্যে শফিক ও ইব্রাহিম পলাতক। আওয়ালসহ ১৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে।
হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় ১৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া আরও দুই অভিযুক্ত মনির ও মানিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
আরও পড়ুন: বন্দি নির্যাতন: চট্টগ্রামে জেল সুপারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
গত বছর ১৬ মে পল্লবীতে ছয় বছরের ছেলে মাশরাফির সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিকাল সাড়ে চারটায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। সাহিনুদ্দিন পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে সিরামিক রোডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২ বছর আগে
রাজশাহীতে হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন
রাজশাহীর বাঘায় নাজমুল হোসেন হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও দোষ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার অপর ১৫ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মিন্টু আলী (৩৫), মো. রানা (২১), মো. পানা (২৫), আরিফ হোসেন (২৫) ও শরিফ হোসেন (২২) এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আরজেদ আলী ওরফে ভোলা (৪৭)।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনতাজুল হক বাবু বলেন, এ মামলার আসামি ২৫ জন। তবে তাদের মধ্যে চারজন শিশু। সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে ওই চারজনকে শিশু আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। যা বিচারাধীন রয়েছে। বাকি ২১ জনের বিচার হয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। যাদের মধ্যে ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও ১৫ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
তিনি বলেন, ভাগ্নিকে উক্তক্তের প্রতিবাদের জের ধরে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি বিকেলে বাঘার সুলতানপুর গ্রামে নাজমুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা আজিজুর রহমান বাদি হয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে চারজনের বয়স কম হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলছে।
আরও পড়ুন: ২২ বছর পলাতক থাকা যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
‘শিশুবক্তা’ মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
রাজধানীর মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরেক আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।
বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিন রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জা এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
এদিকে মাদানীর পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আর মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন চান তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত মাদানীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
গত ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মো. আদনান শান্তু নামে একজন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
এর আগের দিন ৭ এপ্রিল ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব।
এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য’ দেয়ার অভিযোগে নেত্রকোণায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক
রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত বছরের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব।
ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
এরপর ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়ময়সিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
২ বছর আগে
কালাম-সাহেদসহ ৬ জনের অভিযোগপত্র গ্রহণ ২২ ফেব্রুয়ারি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
রবিবার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এজন্য আসামি আবুল কালাম আজাদসহ জামিনে থাকা ৫ আসামি আদালতে হাজিরা দেন। তবে অন্য আসামি মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গ্রহণ শুনানি পিছিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
অপরদিকে এই মামলার আসামি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
আরও পড়ুন: প্রতারণার মামলা: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
এর আগে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে অন্য আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
২০২০ সালের ২৩ বছরের সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এই মামলাটি করেন।
হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনার নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা করা হয়। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টাকা আত্মসাত মামলায় সাহেদের ৪ দিনের রিমান্ড
২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করেন। এসময় দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগী প্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে অপহরণ করে মুক্তিপণ, ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
চট্টগ্রামে আনোয়ারা আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর তারিখ আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
রবিবার চট্টগ্রাম জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাজমুন নাহার পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ওই ছয় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন।অভিযুক্তরা হলেন- সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের দেহরক্ষী কনস্টেবল মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের উপকমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদের দেহরক্ষী কনস্টেবল মো. মাসুদ, নগরের দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) কর্মরত কনস্টেবল আবদুল নবী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। ওইদিনই তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর বিষয়ে শুনানি হবে।’আদালতে মামলার নথি থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে চারটি মোটরসাইকেল যোগে আটজন তরুণ আনোয়ারা থানাধীন পূর্ব বৈরাগ গ্রাম থেকে আবদুল মান্নান নামে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তারা নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়। এমনকি একজনের গায়ে ডিবি লেখা জ্যাকেটও ছিল। পরে ওই তরুণরা আবদুল মান্নানকে পটিয়ায় ভেল্লা পাড়া এলাকায় নিয়ে আটকে রাখে। তরুণদের দাবি, আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে তাদের এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়া হলে তারা তাকে ছেড়ে দেয়। তরুণদের কথপোকথনে মোর্শেদ নামে একজনের নাম জানতে পারে আবদুল মান্নান। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারা থানায় একটি মামলা করেন আবদুল মান্নান। মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে ছয় পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততা পায়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রায় ৭ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার
চট্টগ্রাম থেকে পাচার হওয়া কিশোরী ঢাকায় উদ্ধার, আটক ৩
২ বছর আগে
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা: পরীমণির আবেদন নাকচ, অভিযোগপত্র গ্রহণ
ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে ঢাকার একটি আদালত। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন পরীমণির অনাস্থা আবেদন নাকচ করে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
মামলার পলাতক আসামি শাহ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এদিকে, আদালত আগামী ৩ মার্চ ২০২২ তারিখ এ মামলার বিচার শুরুর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর পরীমণি এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চেয়ে একটি অনাস্থা আবেদন করেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরপরীমণি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন ৯ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ছয়জন তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত
এর ভিত্তিতে ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় নাসির ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন পরীমণি।
পরে গোয়েন্দাদের একটি দল উত্তরা থেকে নাসিরসহ চারজনকে আটক করে।
পরে গ্রেপ্তারের সময় মদ ও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় নাসির ও অমির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় গত ২৩ জুন নাসির ও অমিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেন ঢাকার আদালত।
পরবর্তীতে গত ২৯ জুন ওই মামলায় নাসির ও অমিকে জামিন দেন আদালত।
আরও পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
পরীমণির মাদক মামলার অভিযোগ শুনানি ১৫ নভেম্বর
৩ বছর আগে