তথ্য উপদেষ্টা
ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন না করতে গণমাধ্যমের প্রতি তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান
জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কোনো হত্যাকাণ্ড তুলনীয় নয় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘গত বছরের ১৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, এত স্বল্প সময়ে ফিলিস্তিনেও এই পরিমাণ মানুষ হত্যা করা হয়নি।’
সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে 'ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন' শীর্ষক সেমিনারে উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গুম, অপহরণ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্মের সম্মতি উৎপাদনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেছে।’
‘এসব অসৎ উদ্দেশ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যম তৈরি করেছে। বিগত সরকারের আমলে যেসব গণমাধ্যমকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়া তদন্ত করা হবে।’
সম্প্রতি চাকরিচ্যুত তিনজন সাংবাদিক প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার চায় না বিনা নোটিশে কোনো সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হোক। কোনো সাংবাদিক অপরাধ করলে তাকে প্রক্রিয়া মেনেই চাকরিচ্যুত করতে হবে। বিনা নোটিশে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতিকে সরকার সমর্থন করে না।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করছে, পাশাপাশি বর্তমান সরকারকে পটপরিবর্তনের পরবর্তী সরকার বলা হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু বলা হয়নি। আমরা মনে করি, জনগণ বিষয়টি মূল্যায়ন করবে। আমরা চাই না গণমাধ্যম সরকারের পক্ষে লিখুক। সরকারকে প্রশ্ন করুন। সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।’
পতিত সরকারের দুঃশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের সম্মতি উৎপাদনের যন্ত্র ছিল গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের রাজনীতিকীকরণের ফলে সাংবাদিকরা তাদের অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের বোঝা উচিত। যেসব সাংবাদিক হত্যার শিকার ও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন, সরকার তাদের পরিবারকে সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ৪৪ ধাপ অবনতি হয়েছে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শাসনামলে গণমাধ্যমের চিত্র উপলব্ধি করা যায়।’
বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশেই তাদের ওপর হামলা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে অন্য কোনো শাসনামলের তুলনা চলে না। এ বিষয়ে কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়। ফ্যাসিবাদ ও স্বাধীন গণমাধ্যম একসঙ্গে চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি।’
সেমিনারে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক হাসান মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ববি, শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা সামসি আরা জামান, নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান ও সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম। সেমিনারে হত্যা-নিপীড়নের শিকার সাংবাদিক-পরিবারের সদস্য এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
২১৩ দিন আগে
সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে: তথ্য উপদেষ্টা
সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশের প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। কোনো কোনো ধারা সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এরপর প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।
রবিবার (৪ মে) ধানমন্ডির এমআইডিএএস সেন্টারে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে 'ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ: রিফর্ম রোডম্যাড ফর প্রেস ফ্রিডম'-শীর্ষক সেমিনারে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, সুইডিশ দূতাবাস ও ইউনেস্কো যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সমন্বয়ে একটি জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা করার পক্ষে মত দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এই তিন প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করলে নবগঠিত প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও এ ধরনের উদাহরণ আছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির স্বায়ত্তশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে স্বায়ত্তশাসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, বিজ্ঞাপন হার বৃদ্ধি ও প্রচারসংখ্যা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই টাস্কফোর্স বিজ্ঞাপন হার বৃদ্ধি ও প্রচারসংখ্যা পুনর্নির্ধারণসহ সংবাদপত্রের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে।
গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময়ে গণমাধ্যমের কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। গণমাধ্যমে কীভাবে রাজনীতিকীকরণ হয়েছে, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান কীভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আচরণ করেছে, সাংবাদিকরা কতটুকু চাপে ছিলেন, কোন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান কী নীতিমালা অবলম্বন করেছে—এসব বিষয় জানতে চায় দেশের জনগণ।
উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য সরকার বেশ বিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কোনো স্বাধীনতা শর্তহীন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে জনগণের নিকট জবাবদিহি করা উচিত।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: গুজব-অপতথ্য মোকাবিলায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার
সেমিনারে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেও ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়নি। গণমাধ্যমে সব ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়া গণমাধ্যমের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন স্কেলের সুপারিশ করেছে, যা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মূল বেতনের সমান হবে। তিনি স্থায়ী গণমাধ্যম কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা একীভূতকরণের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কারণে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ উন্নতি করেছে। গণমাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত না হলে ভবিষ্যতে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের হয়তো অবনতি হবে। তিনি সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা জোরদারকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভায়েসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী মতামত দেন।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
২১৪ দিন আগে
গুজব-অপতথ্য মোকাবিলায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার
গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় তথ্য কর্মকর্তাদের দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
রবিবার (৪ মে) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতাবিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি মহল পরিকল্পিতভাবে গুজব ও অপতথ্য প্রচার করছে। গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলা করা বর্তমান সময়ের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
তথ্য বিশ্লেষণে দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘তথ্যের উৎস অনুসন্ধান ও সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তথ্য কর্মকর্তাদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আইসিটি বিভাগের দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ ফ্যাক্ট চেকিং, ডিজিটাল ভেরিফিকেশন ও নিউজ মিডিয়া সাক্ষরতা বিষয়ে তথ্য কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য তথ্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
২১৪ দিন আগে
সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতাবিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা আইনের পাশাপাশি সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতাবিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন। কোনো সাংবাদিক দায়িত্বশীল ও পেশাদার না হলে তিনি আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন না।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা'-শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময় অনেক সাংবাদিক ভয়ে নয়, বরং লোভে পড়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তারা সাংবাদিকতার চেয়ে শেখ পরিবারের ভাবমূর্তি রক্ষায় অনেক বেশি তৎপর ছিলেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের দালালি করে অনেক সাংবাদিক বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
সাংবাদিকদের আদর্শিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদের মধ্যে থাকার ফলে অনেক সাংবাদিকের মাঝে এক ধরনের সেলফ-সেন্সরশিপ কাজ করছে। এই অবস্থা দ্রুত পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
সমাজে গণমাধ্যমের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অনেক সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অসত্য সংবাদ প্রকাশের ফলে অনেকের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যমে বিদ্যমান সংকট সমাধানে সরকার কাজ করছে। রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া গণমাধ্যমের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি গণমাধ্যমে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সরকার দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ করেনি: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আল মামুন। মূল প্রবন্ধে তিনি বিগত সরকারের আমলে গণমাধ্যমের অপেশাদার আচরণের চিত্র তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেন। তারা গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২১৯ দিন আগে
ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে অনেক মন্ত্রী-এমপি গণমাধ্যমের মালিক হয়েছেন: তথ্য উপদেষ্টা
বিগত সরকারের সমালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে অনেক মন্ত্রী-এমপি বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের মালিক হয়েছেন। এসব গণমাধ্যমের সার্বিক অবস্থা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের গুণগত মানোন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার। এই টাস্কফোর্স স্বচ্ছতার সঙ্গে সংবাদপত্রের প্রকৃত প্রচারসংখ্যা নির্ধারণ, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণসহ সংবাদপত্রের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে।’
সোমবার (২১ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) অংশীজনের সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সরকারের নীতিমালা মেনে সংবাদপত্র প্রকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যেসব সংবাদপত্র সরকারি নীতিমালা মেনে প্রকাশিত হবে, সেসব সংবাদপত্র বিজ্ঞাপনসহ সরকারি সুবিধা পাবে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানসমূহ ট্যাক্স দেয় কিনা, সে বিষয়টিও যাচাই করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সরকার কোনো সংবাদপত্র বন্ধ করতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদপত্র প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের মধ্যে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আরও পড়ুন: কেউ দেশ অস্থিতিশীল করতে চাইলে সরকার হার্ডলাইনে যাবে: তথ্য উপদেষ্টা
এতে আরও বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম।
এছাড়া সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শিমুল বিশ্বাস, দৈনিক নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলীসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২২৭ দিন আগে
গুমে জড়িতদের বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই হবে: তথ্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর উদ্যোগে গুমের শিকার মানুষের স্বজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
‘পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তিনি গুম-খুন করে তার বাবা-মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মানুষ যখন ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন, তখনই সবচেয়ে বেশি গুম করা হয়েছিল। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘সরকার এরইমধ্যে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গুমের সঙ্গে জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।’
বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যারা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করেছেন, তাদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে গুম করা হয়েছে এবং তাদের স্বজনদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। গুমের কাজে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও ব্যবহার করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলার অভিযোগ
উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখনো ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। যা খুবই দুঃখজনক।’
২৪৭ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমানের (বাচ্চু) ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নারায়নপুরের মোল্লার বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে রামগঞ্জ থানার সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার বিকালে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মঞ্জু উপজেলার ইছাপুর ইউপির নারায়ানপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে আসেন। সে হাসিনার পতনের পর থেকে পলাতক ছিল। সন্ধ্যার পর মেহেদী হাসান মঞ্জুকে এলাকায় দেখতে পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাগর হোসেন শুক্কুরের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করার চেষ্টা চালায়। এ খবর শুনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাগর হোসেন শুক্কুরসহ কয়েকজন তথ্য উপদেষ্টার বাবাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে তিনি হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় আ.লীগ নেতা নিহত
পরে তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এঘটনার জের ধরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে অভিযুক্ত সাগর হোসেনের সঙ্গে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বলেন, ‘যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।’
২৪৮ দিন আগে
সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকার তথ্য ভবনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাপকতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সত্য প্রচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
গণমাধ্যমের সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
মাহফুজ আলম বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যমে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোও প্রচার হওয়া উচিত।
গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
এ সময় তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৫৯ দিন আগে
আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ তথ্য উপদেষ্টার
আইন-বিধি মেনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের অধীন পাঁচ দপ্তর-সংস্থা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই তাগিদ দেন।
এদিন শুরুতে মাহফুজ আলম তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে (ডিএফপি) যান এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নির্ধারণে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া ডিএফপির প্রকাশনার মান বৃদ্ধি, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও ডিএফপির সার্বিক উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ডিএফপির শুটিং ফ্লোর, সাউন্ড থিয়েটার ও ফিল্ম ল্যাব পরিদর্শনকালে প্রয়োজনীয় সংস্কারের তাগিদ দেন উপদেষ্টা।
এরপর গণযোগাযোগ অধিদপ্তর পরিদর্শন করেন মাহফুজ আলম এবং সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি মাঠপর্যায়ে প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অধিদপ্তরের সার্বিক উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও তথ্য অধিদপ্তর পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময়কালে তিনি বিদ্যমান আইন-বিধি মেনে সেবা সহজীকরণ ও কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। দপ্তর-সংস্থার উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।
২৬১ দিন আগে
বেতারের অনুষ্ঠানকে যুগোপযোগী করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, শ্রোতার চাহিদা অনুযায়ী বেতারের অনুষ্ঠানগুলোকে যুগোপযোগী করতে হবে।
বুধবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
বেতারের শ্রোতাজরিপের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘বেতার এখনও জনগণের তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘বেতারের পুরাতন অনুষ্ঠানসমূহ অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্যাটালগ আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। এর পাশাপাশি শ্রোতা চাহিদা বিবেচনা করে পুরাতন অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাসসকে দ. এশিয়ার অন্যতম সংবাদ উৎসে পরিণত হতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
বেতারের অনুষ্ঠানের মানোন্নয়নে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। বেতারকে তরুণ প্রজন্মের নিকট প্রাসঙ্গিক করে তুলতে বেতারের কর্মকর্তা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মৃধা, প্রধান প্রকৌশলী মুনীর আহমদসহ বেতারের কর্মকর্তারা।
মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা বেতারের অনুষ্ঠান ও বার্তা বিভাগের স্টুডিও ও মাস্টার কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করেন।
২৬৭ দিন আগে