দুই গ্রুপ
রাজশাহীতে আ. লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৩০
রাজশাহীর বাঘায় পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই দলের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এসময় হাত বোমার বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৫০ রাউন্ডের বেশি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।
শনিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ ১, আটক ৩
সংঘর্ষে আহতদের বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, বাঘা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আক্কাছ আলী, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু, আড়ানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিউর রহমান শফি। এদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম বাবলুসহ দুইজনকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও সমাবেশকে কেন্দ্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান লাভলু গ্রুপের সমর্থকরা দাবি করেছেন মানববন্ধন থেকে তাদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রিন্টু বলেন, মেয়র আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে তাদের মানববন্ধনে হামলা চালানো হয়েছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলুসহ তাদের পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বাবলুসহ দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে মানববন্ধন থেকে হামলা করা হয়েছে। এতে আমিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছি। আহতদের বাঘা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, দুইটি কর্মসূচিতে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য ও স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।
অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত
৪ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ ১, আটক ৩
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আবারও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অলিদ নামে একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় বেশকয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ও ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় রেজাউল, জিল্লুর রহমান ও আসলাম নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৪
শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লা থানা সীমান্তের বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত অলিদ আকবরনগর এলাকার মৃত. দুদু মিয়ার ছেলে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুপুরে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে টেঁটা, রাম দা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অলিদ মিয়ার হাতে-পায়ে ও মাথায় টেঁটাবিদ্ধ হন।
এ বিষয়ে বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজ উদ্দিন বলেন, ২০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আকবরনগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আকবরনগর এলাকাকে সন্ত্রাস মুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীর চরাঞ্চলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩
৫ মাস আগে
নরসিংদীর চরাঞ্চলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটা ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোরে আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিল্লায় বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয়রা জানায়।
আহতরা হলেন- ফিরুল মিয়ার ছেলে তৈয়ব, ছাত্তার মুন্সির ছেলে কুতুবউদ্দিন, হক মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ, কামাল মিয়ার ছেলে রমজান, জামাল মিয়ার ছেলে মামুন, শাফিন আয়েছের ছেলে রাসেল, গণি মিয়ার ছেলে কাজল, সেলিম মিয়ার ছেলে ইমন।
আহতদের মধ্যে কুতুবউদ্দিনকে আশঙ্ককজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত বাকি ২ জনের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। খবর পেয়ে ভোর থেকে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। খোদাদিলা গ্রামটি অনেক বড়। এক দিকে ধাওয়া করলে অন্য দিক দিয়ে পালাচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
৫ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌরমুক্ত মঞ্চের সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মী সভা চলাকালে সমাবেশ স্থলের পাশে সমবায় মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত
আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- শহরের কাজীপাড়া মহল্লার সাদাফ, একই এলাকার নীরব ও খন্দকার নূর। তারা সবাই জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) মহসিন মোল্লার সমর্থক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌরমুক্ত মঞ্চে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মী সভা চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) মো. মহসীন মোল্লার সমর্থকেরা সমাবেশ স্থলের পাশে সমবায় মার্কেটের সামনে জড়ো হয়।
এ সময় অপর সাংগঠনিক সম্পাদক-(২) রহুল আমীন আফ্রিদির সমর্থকেরা হঠাৎ করেই মহসিন মোল্লার সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। এ সময় মহসিন মোল্লার তিন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করেন আফ্রিদির সমর্থকেরা। পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা আহত অবস্থায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১- মো. মহসীন মোল্লা বলেন, তার অনুসারিদের উপর হামলার ঘটনায় তিনি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে অপর সাংগঠনিক সম্পাদক-২- রুহুল আমীন আফ্রিদী বলেন, তিনি তার কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, আহতরা সবাই শংঙ্কামুক্ত। আহতের প্রত্যেকের মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেন। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে দেয়াল ধসে ২ নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু
জাবি ক্যাম্পাসে মিলল যুবকের ঝুলন্ত লাশ
৫ মাস আগে
মাগুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৪
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে উপজেলায় গয়েশপুর ইউনিয়নের ছাবিনগর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- জাহিদ, এরশাদ, জানু, আবেদ আলী, নাছির, জিল্লু, মাহাবুল, আনোয়ার, অনিক, ঠান্ডু, রোকনুজ্জামান, আশরাফ, জাহাঙ্গীর, দেলবার মন্ডল ও সিরাজসহ অন্তত ২০ জন গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক-ভটভটি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু
আটকরা হলেন- সোহাগ মন্ডল, আতর আলী, মোমিন, আবেদ আলী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ছাবিনগর মাঠে স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীরের সঙ্গে আরেক বাসিন্দা হারুনের স্যালোমেশিন কেন্দ্রিক বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর আলমগীরের ছেলে রিফাত লোকজন নিয়ে হারুন বিশ্বাসের বাড়ি-ঘরে হামলা করে। এরপরই হান্নান মেম্বারের নেতৃত্বে লোকবল নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের বাড়িঘরে ভাঙচুর করে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসমীম আলম বলেন, সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন গ্রামবাসী মারাত্মক আহত হয় এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা থাকায় এবং ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের সম্ভাবনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিএনজিতে যাত্রী ওঠানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত
৫ মাস আগে
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত
চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মহসীন কলেজ ও চকবাজার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে অন্তত ১৩ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালনকালে মহসিন কলেজের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের ১০ জন ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের ৩ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবি করছে।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে দেয়াল ধসে ২ নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু
আহতরা হলেন- মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম, ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস চতুর্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (দ্বিতীয় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস তৃতীয় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস দ্বিতীয় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষ), রিমনও অন্তর (এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ)।
অন্য পক্ষের ৩ জন হলেন- চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম সহ ইমরান খান ইমন ও আশিকুল ইসলাম রবিন।
মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম বলেন, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের পদযাত্রা ও পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি ছিল৷ পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়াতেই চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে একদল ছেলে আমাদের উপর হামলা চালালে আমাদের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব।
চকবাজার থানা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, টেম্পো ভাড়া করাকে কেন্দ্র করে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। ছাত্রলীগ ঘোষিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে আমরা সিআরবিতে যাওয়ার জন্য টেম্পো ভাড়া করছিলাম। দুটি টেম্পো ভাড়া করেছি, সেগুলোতে আমাদের কর্মীরা বসা ছিল। পরে আরেকটা টেম্পো ভাড়া করলে আমাদের ছেলেরা ওইটাতে ওঠে বসে। এ সময় মহসিন কলেজের মাঠের পাশ দিয়ে তারাও টেম্পো ভাড়া করতে আসে। আমরা তাদের বলেছি এ টেম্পো আমরা ভাড়া করেছি। তোমরা অন্য একটি ভাড়া করো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে এই টেম্পো তারা নিয়ে যাবে। এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের উপর হামলা করা হয়।
চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সারোয়ার বলেন, তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। হতাহতের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: সিলেটে ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার
জাবি ক্যাম্পাসে মিলল যুবকের ঝুলন্ত লাশ
৫ মাস আগে
কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অর্ণব নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা লেগুনা স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে সংঘর্ষে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ!
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও ময়নামতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত অর্নব (৩০) স্থানীয় মো. আজহারের ছেলে।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, লেগুনা স্ট্যান্ড নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গোলাগুলি শুরু করলে অর্ণব নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
নিহত ব্যক্তি কোনো গ্রুপের সদস্য ছিলেন কি না তা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের পাশে গুলিবিদ্ধ ২ জন
৭ মাস আগে
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
বছরের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং হল থেকে ২১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
রবিবার গভীর রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতরা হচ্ছেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, সিভিল ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ম্যাকাট্রোনিক ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার।
আরও পড়ুন: ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এদিকে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার ২১ জন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার গভীর রাতে লালন শাহ হলে উঠতে চাইলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ জন ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অন্তত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
নগরীর খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে কুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় তিনি মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার
৯ মাস আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের ৮/১০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ৩টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে।
স্থানীয়রা জানায়, খাবারের দোকানে বিজয় গ্রুপের অনুসারী মাহির চৌধুরীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সিক্সটি নাইনের অনুসারী আজমিরের। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
এ ঘটনার পর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ৩টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সিক্সটি নাইনের অনুসারী আকিব জাবেদ বলেন, নজরুল ভাইয়ের হোটেলে খেতে গিয়ে আমাদের একজনের সঙ্গে বেয়াদবি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিজেদের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করছি৷
বিজয়ের অনুসারী সিয়াম বলেন, আমাদের এক কর্মী নজরুল ভাইয়ের দোকানে খেতে এলে আজমির নামে তাদের এক কর্মী ডাল ফেলে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। আমরা ঘটনা সমাধানের চেষ্টা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, খাবার হোটেল থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামিয়েছে। এখনো পর্যন্ত আহত হওয়ার কোনো খবর পাইনি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, সংঘর্ষে আহত ১০ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। সবাই পাথরের আঘাতে আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা সেগুন বাগান এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারির সময় ছুরিকাঘাতে এক কিশোর নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক আব্দুর রহমান সুজন (২০) নোয়াখালীর সেনবাগ থানার সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকার মোহাম্মদ রিপনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাটিবাহী ট্রাক্টরচাপায় যুবক নিহত
খুলশী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) রুবেল হাওলাদার জানান, একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখনো বিস্তারিত পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত হচ্ছে।
এদিকে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, গুরুত্বর আহত সুজনসহ ২ জনকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিল ও যুবলীগ নেতা মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, একটা ছেলে খুন হয়েছে শুনেছি। আমরা আরও খবর পরে বিস্তারিত জানাবো।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
১ বছর আগে