যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
পালাউয়ের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
পালাউয়ের প্রেসিডেন্ট সুরাঙ্গেল এস হুইপস জুনিয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) পালাউয়ের করর শহরে অনুষ্ঠিতব্য ‘৭ম আমাদের মহাসাগর সম্মেলন’এর সাইডলাইনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হয়।
এব সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত জন এফ কেরির আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এখন পালাউ সফর করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উভয়েই বাংলাদেশ ও পালাউয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় ড. মোমেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অর্জন ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের সাফল্য সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট সুরাঙ্গেলকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে পর্যটন, ঔষধ সামগ্রী, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বানিজ্যিক সম্পর্কের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি দু'দেশের মধ্যে নতুন প্রতিষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গতিশীল করতে উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিতভাবে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পড়ুন: মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে তথ্য বিভ্রাট হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রেসিডেন্ট সুরাঙ্গেল হুইপস দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তাঁর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে তিনি বাংলাদেশ থেকে ঔষধ আমদানি এবং চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পালাউয়ের প্রেসিডেন্ট সেদেশের উন্নয়নে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির অবদানের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বৈঠকে তারা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু এবং বাংলাদেশ ও পালাউ এর মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন।
ড. মোমেন সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পালাউয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি সুরাঙ্গেলের প্রতি অনুরোধ জানান।
এছাড়া, অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুতে বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে একযোগে কাজ করার বিষয়ে উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে পালাউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুস্তাভ আইতারো, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এফেয়ারস ইউনিট প্রধান মো. খুরশিদ আলম এবং পালাউয়ে সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান মোদি-বাইডেনের
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত সম্পর্ক রয়েছে।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের ক্ষমতার ব্যবহার এবং কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়াই তার পূর্বসূরীর অভিবাসন নীতি বাতিল করার আদেশে দ্বিতীয় দফায় সই করেছেন।
বাইডেন-পুতিনের প্রথম ফোনালাপ: কী কথা হলো তাদের মধ্যে?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু বিশ্বের সবেচেয়ে ক্ষমতাধর দুটি রাষ্ট্রের কর্ত ব্যক্তির ফোনালাপে কী কথা হয়েছে, তা সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
যা করতে এসেছিলাম, করেছি: বিদায়ী বার্তায় ট্রাম্প
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই চার বছরের মেয়াদ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন।
ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশর সম্পর্ক দৃঢ় হবে: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে না টিকটক
যুক্তরাষ্ট্রে এখনই বন্ধ হচ্ছে না চীনের শর্ট-ভিডিও ভিত্তিক অ্যাপ টিকটক।
দুই বছরে মাত্র ৭৫০ ডলার আয়কর দিয়েছেন ট্রাম্প!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বছর ২০১৬ এবং হোয়াইট হাউসে যাওয়ার প্রথম বছর ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল ইনকাম ট্যাক্স (আয়কর) বাবদ মাত্র ৭৫০ ডলার প্রদান করেছেন বলে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।