ব্র্যাক ব্যাংক
কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে টাকা উত্তোলন বন্ধ করল ব্র্যাক ব্যাংক, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
কোনো প্রকার আগাম ঘোষণা ছাড়াই বিদেশে কার্ডধারীদের বৈদেশিক মুদ্রায় নগদ উত্তোলন স্থগিত করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ফলে ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডের ওপর নির্ভর করে বিদেশ ভ্রমণকারী অনেক গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ব্র্যাক ব্যাংকের অন্তত পাঁচ জন গ্রাহক গত দুই দিনে ইউএনবির কাছে তাদের ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর এক বার্তায় বলা হয়, 'প্রিয় গ্রাহক, আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দেশের বাইরে সব ধরনের নগদ উত্তোলন স্থগিত করা হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ভ্রমণ কোটার মধ্যে পিওএস ও ই-কমার্সের মাধ্যমে যেকোনো বৈধ কেনাকাটা করা যাবে।আরও পড়ুন: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আশরাফ আহমেদ
ব্র্যাক ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং ইউনিটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় ডিজিটাল লেনদেন ও ইলেকট্রনিক পেমেন্টকে উৎসাহিত করছে।
এছাড়া নগদ টাকা উত্তোলনের কোনো রেকর্ড না থাকায় ব্যাংকের নিরাপত্তা ও গ্রাহক সুরক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ক্লায়েন্ট ইলেকট্রনিক লেনদেন এবং কেনাকাটা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
১০ মাস আগে
ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্পের ২২ নারী পেলেন ব্র্যাক ব্যাংকের 'জীবিকা লোন'
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ সেবা ‘জীবিকা লোন’র আওতায় ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্প-২ (এনজেপি-২) এর মাধ্যমে হতদরিদ্র থেকে উত্তীর্ণ ২২ জন নারীকে ৩০ হাজার টাকা করে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের (ডব্লিউভিবি) বাস্তবায়নাধীন ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্প-২ (এনজেপি-২) আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৈখালী মহিলা উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের ১৪ জন এবং ধরনী মহিলা উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের ৮ জন নারীর হাতে ঋণ হস্তান্তর করে ব্র্যাক ব্যাংক ডিজিটাল।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প-২ এর চিফ অব পার্টি লিমা হান্না দারিং বলেন, ‘ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্প-২ প্রায় ৩০ হাজার হতদরিদ্র গ্রামীণ নারীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করছে। এই নারীরা এখন ১ হাজার ৬০০ টিরও বেশি গ্রামীণ সঞ্চয় ও ঋণ সমিতি (ভিএসএলএ) পরিচালনা করছে। প্রকল্পের সহায়তায় এই ক্ষুদ্র দলগুলো স্থানীয় সরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছে।’
আরও পড়ুন: করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
তিনি আরও বলেন, ‘হতদরিদ্র পিছিয়ে পড়া এই নারীরা এখন আগের অবস্থায় নেই। তারা আজ একত্রিত, সাবলম্বী ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩৩টি সমবায় সমিতির নিবন্ধন পেয়েছে সমবায় অধিদপ্তর থেকে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড এমএফআই ফাইন্যান্স তাপস কুমার রায় বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রান্তিক গ্রামীণ নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ পরিষেবা 'জীবিকা লোন' আমাদের একটি নতুন প্রোডাক্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্প-২ (এনজেপি-২) এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আজকে আমরা ২২ জন নারীকে ঋণ দিচ্ছি। এই লোন বিতরণ প্রক্রিয়ার পুরোটাই হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। গ্রাহকেরা স্থানীয় ব্যাংকিং আউটলেটগুলো থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তারা চাইলে বিকাশ নম্বরেও টাকা নিতে পারবেন।’
তাপস কুমার রায় আরও বলেন ‘নবযাত্রার মতো দেশের অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গেও আমরা অংশীদার হিসেবে কাজ করবে।’
ঋণ গ্রহীতা ও ধরনী মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি স্বপ্না পারভীন বলেন, ‘আমি আমার মাছের খামারে এই টাকা বিনিয়োগ করব। 'জীবিকা লোন'-এর মাসিক কিস্তি দেওয়ার পদ্ধতিটা আমার কাছে সহজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও বেসরকারি খাত এনগেজমেন্টের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার প্রদীপ কুমার মণ্ডল, কৃষি, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজার ব্যবস্থা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সমন্বয়কারী আজনবী সুলতানা ও অপারেশনস ম্যানেজার কুহু হাগিদকসহ অন্যরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ব্র্যাক স্কুল পরিদর্শনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার
১১ মাস আগে
ব্র্যাক ব্যাংককে বাণিজ্য অর্থায়ন, চাকরি সংরক্ষণে সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন ডলার দিল আইএফসি
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডকে কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগকে (এসএমই) সহায়তার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করছে।
এই বিনিয়োগটি চাকরি সংরক্ষণে অবদান রাখতে এবং ব্যাংকের এসএমই আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রাহকদের কার্যকরী মূলধন এবং বাণিজ্য অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তাকে সহযোগিতার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য আনবে।
আইএফসি বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে প্রাইম ব্যাংকের অনুরূপ ঋণের সঙ্গে এই বিনিয়োগটি বাজারে একটি ইতিবাচক সংকেত পাঠাবে এবং স্থানীয় ব্যাংক ও এসএমইগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার অর্থায়নের চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইএফসি’র ৩২.৫ মিলিয়ন ডলার
অর্থায়ন প্যাকেজটি চলমান জনস্বাস্থ্য সংকটের সময় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য আইএফসি’র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈশ্বিক কোভিড-১৯ প্রথম অগ্রাধিকার অর্থায়ন সুবিধার অংশ। এই নতুন বিনিয়োগটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সলিউশনস (ডব্লিউসিএস) প্রোগ্রামের অধীনে আসে, যা উদীয়মান-বাজারের ব্যাংকগুলোকে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করছে, তাদের সংগ্রামী সংস্থাগুলোকে সমর্থন করতে সক্ষম করে।
এই প্রকল্পটি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাইভেট সেক্টর উইন্ডো ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি দ্বারাও সমর্থিত হবে, যা আইএফসি’র ডব্লিউসিএস প্রোগ্রামে সহায়তা প্রদান করছে।
ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক এবং দেশের একমাত্র এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সেলিম আরএফ হুসেন বলেছেন, ‘আমাদের এসএমই এবং কর্পোরেট গ্রাহকরা কোভিড-১৯ এর বিঘ্নিত প্রভাব থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার অপর্যাপ্ত প্রাপ্যতা তাদের নিয়মিত ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে’।
আরও পড়ুন: খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় আইএফসি’র ৬০০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার
কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, যা ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাসহ একাধিক কারণেও প্রভাবিত হয়েছে।
আইএফসি-এর দক্ষিণ এশিয়ার পোর্টফোলিও ম্যানেজার জুন ইয়ং পার্ক বলেছেন, ‘আইএফসি বাংলাদেশের মতো রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিতে ব্যাংকিং খাতকে সহায়তা করছে, যেগুলো বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে’।
‘আইএফসি বাংলাদেশের প্রধান ব্যাংকিং অংশীদারদের অবিচল সহযোগিতা প্রদান চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে যাদের উল্লেখযোগ্য এসএমই পোর্টফোলিও রয়েছে, যেমন ব্র্যাক, যাদের সঙ্গে আইএফসি গত ১৯ বছরে ইক্যুইটি এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
আইএফসি ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে।, যার ফলে দেশের নাগরিকদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এবং কোভিড-১৯ সংকটের শুরু থেকে আইএফসি বাংলাদেশের ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সলিউশন এবং তারল্য সহায়তায় ৩৬০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের জন্য আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান বলেন, ‘মহামারির প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করার দীর্ঘ তিন বছর পর, বাংলাদেশে ব্যবসাগুলো চ্যালেঞ্জিং বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। ‘বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার প্রচেষ্টা এবং একটি স্থিতিস্থাপক মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: আইএফসি’র সঙ্গে পিপিপি’র চুক্তি স্বাক্ষর
১ বছর আগে
আইএফসি ও ব্র্যাক ব্যাংকের অংশীদারিত্বে দেশে প্রথম হাউজিং বন্ড
ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও ব্র্যাক ব্যাংকের অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের প্রথম হাউজিং বন্ড চালু হচ্ছে।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদশেরে হাজার হাজার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের শহর ও গ্রামীণ পবিবার প্রায়ই বাণিজ্যিক ব্যাংকের সেবা পায় না, তারা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) বিনিয়োগে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের ইস্যুতব্য সাশ্রয়ী গৃহায়ন ঋণ বা হাউজিং লোন নিতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্ড, ঋণ মার্কেট বিকাশে আইএফসিকে সহযোগিতার আহ্বান
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আইএফসি ব্রাক ব্যাংকের দ্বারা ৫০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মূল্যমানের টাকা ডিনোমিনেটেড পাঁচ বছরের সিনিয়র বন্ডের সাবস্ক্রিপশন করবে এবং সংস্থাটির সাশ্রয়ী হাউজিং ফাইন্যান্স কর্মসূচির সম্প্রসারণ ঘটাবে। এই উদ্যোগের ফলে নির্মাণ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা যায়।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ২০০১ সালে আমাদের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন কৌশলগত অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করছে। যেখানে আমাদের লক্ষ্য বঞ্চিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন প্রাপ্তি সহজ করা। আমরা আইএফসি’র সঙ্গে মিলে উপলব্ধি করেছি যে স্বল্প এবং মধ্যম আয়ের অনেক উর্পাজনকারী আবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল পান না। এখন আধা-শহরে বা সেমি-আরবান এলাকার মানুষেরাও আমাদের সাশ্রয়ী মূল্যের হোম মর্টগেজ সুবিধার মাধ্যমে একটি বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে স্থাপিত হাউজিং বন্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী হিসেবে আইএফসি দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ড বাজারে গভীরতা আনতে সহায়তা করবে, যা এখনও অনুন্নত রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি উদ্যোগ ‘জয়েন্ট ক্যাপিটাল মার্কেটস প্রোগ্রাম (জে-ক্যাপ)’ ঋণ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রকল্পটিতে সমর্থন দিয়েছে। জে-ক্যাপের প্রচেষ্টায় সংযুক্ত হয়ে আইএফসির এ উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রথম হাউজিং ফাইন্যান্স বন্ডের গঠন ও ভিত্তি স্থাপনে ব্র্যাক ব্যাংককে সহায়তা দেয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। এই বিনিয়োগ ইউএস ডলার/ টাকা ক্রস-কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ সুবিধা দিতে ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) প্রাইভেট সেক্টর উইন্ডোর (আইএফসি) স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ দেয়ার সুবিধা দ্বারা সমর্থিত।
আইএফসির আঞ্চলিক পরিচালক (ফাইন্যান্সিয়াল ইনষ্টিটিউশনস গ্রুপ, এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক) আলেন ফরলেমু বলেন, এই উদ্ভাবনী সমঝোতা অভ্যন্তরীণ র্দীঘমেয়াদী বন্ড বাজারের উন্নয়নে একটি গুরুত্বর্পূণ মাইলফলক এবং স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের সাশ্রয়ী মূল্যের গৃহায়ন অর্থায়ন পাওয়ার তীব্র সঙ্কট মেটানোর প্রথম ও একমাত্র এই উদ্যোগ যা বাংলাদেশের জন্য বহুবিধ সুবিধা বয়ে আনবে। এছাড়া এটি গৃহায়ন অর্থায়নের জন্য স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি বিনিয়োগকারীর অনশোর স্থানীয় মুদ্রায় বিনিয়োগ পরিকল্পনা। এ উদ্যোগ নতুন বিদেশি ও স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য স্থানীয় করপোরেট বন্ড বাজারে এ ধরনের বিষয়ভিত্তিক বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
প্রসঙ্গত, দেশের শহরগুলোতে আনুমানিক ৮০ শতাংশ মানুষ সারাজীবন ভাড়া বাসায় বসবাস করেন, যার কারণ প্রধানত মর্টগেজ ফাইন্যান্স বা বন্ধকী অর্থায়নের অভাব। বাংলাদেশের ঋণ বাজারের মাত্র তিন শতাংশ গৃহ বন্ধক ঋণ, যা দক্ষিণ এশিয়ার গড় চার দশমিক ৯ শতাংশ এবং উদীয়মান বাজারের গড় আট দশমিক ৯ শতাংশের নিচে। বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান উচ্চ আয়ের লোকদের গৃহায়ন ঋণ প্রদানের ওপর গুরুত্ব দেয়, যেখানে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য আনুষ্ঠানিক গৃহায়ন ঋণের সুযোগ খুবই সীমিত। এ কারণে একদিকে প্রিমিয়াম বা উচ্চ আয়ের মানুষের জন্য হাউজিং উদ্বৃত্ত, অন্যদিকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য গৃহায়ন অর্থায়ন এবং আবাসন ইউনিটের স্বল্পতা রয়ে যাচ্ছে।
২ বছর আগে
পেওনিয়ার থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা বিকাশে আনার পদ্ধতি
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে চাহিদা বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা বাংলাদেশে আনার সহজ মাধ্যমের। সেই দিক থেকে ফ্রিল্যান্সারদের যাবতীয় ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে যুগান্তকারী সুযোগ সৃষ্টি করেছে ব্র্যাক ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে বিকাশ। অনলাইন লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার-এর যে কোন মুদ্রার অর্থ এখন বিকাশে বাংলাদেশি টাকায় আনা যাবে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বিকাশ শুরু করে এই পরিষেবাটি। দেশ জুড়ে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এই মাধ্যমটি থেকে এখন ফ্রিল্যান্সাররাও উপকৃত হবেন। চলুন, জেনে নেয়া যাক পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার পদ্ধতি।
পেওনিয়ার কি
এটি একটি আমেরিকান আর্থিক লেনদেনের পরিষেবা সংস্থা যা অনলাইনে অর্থ স্থানান্তরের সেবা দিয়ে থাকে।
অ্যাকাউন্টধারীরা ই-ওয়ালেট, বিভিন্ন মুদ্রায় ভার্চুয়াল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং প্রিপেইড মাস্টার ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতে পারেন। প্রাপ্ত অর্থ যে কোন দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়। এছাড়া পেওনিয়ার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়। এটি বাংলাদেশ সহ ২০০টি দেশে ১৫০ টিরও বেশি স্থানীয় মুদ্রায় ওয়্যার ট্রান্সফার, অনলাইন পেমেন্ট এবং রিফিলযোগ্য ডেবিট কার্ড পরিষেবা প্রদান করছে।
গুগল, অ্যামাজন, এয়ারবিএনবি-এর মতো কোম্পানিগুলো বিশ্বজুড়ে শত শত অর্থ প্রদানে পেওনিয়ার ব্যবহার করে। এটি র্যাকুটেন ও ওয়ালমার্ট-এর মত ইকমার্স মার্কেটপ্লেস এবং ফাইভার ও ইনভাটো-এর মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যবহৃত হয়।
পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
পেওনিয়ার থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা বিকাশ
ধাপে ধাপে পেওনিয়ার থেকে বিকাশ করার পদ্ধতি
১ - প্রথমেই যথারীতি ফোন নাম্বার ও পাঁচ অঙ্কের পিন সংখ্যা দিয়ে বিকাশ অ্যাপ-এ লগইন করতে হবে।
২ - বিকাশের হোম স্ক্রিণ থেকে ‘আরো’ অপশনে যেয়ে সেখান থেকে রেমিটেন্স-এ ক্লিক করতে হবে।
৩ - সাথে সাথে চলে আসবে পেওনিয়ার-এ যাওয়ার অপশনটি। পেওনিয়ারে ক্লিক করলে নতুন স্ক্রিণে পেওনিয়ারের তথ্য চাওয়া হবে।
৪ - এ অংশে যদি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা না থাকে, তবে এখান থেকেই পেওনিয়ারের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। আর অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে নিচে আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করুন সিলেক্ট করতে হবে।
পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৫ - অতঃপর নতুন স্ক্রিণে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পেওনিয়ারে প্রবেশ করলেই পেওনিয়ারের সাথে বিকাশ সংযুক্ত হয়ে যাবে।
৬ - সফলভাবে সংযুক্ত হওয়ার বার্তা দিয়ে নিচেই গ্রাহকের পেওনিয়ারের আইডি ও ইমেইল নাম্বার দেয়া থাকবে। তার পরেই টাকা আনতে নির্বাচন করুন টাইটেলের নিচে বিভিন্ন মুদ্রায় পেওনিয়ারে জমাকৃত অর্থগুলো উল্লেখ থাকবে। সেখান থেকে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনটি সিলেক্ট করা যাবে।
৭ - এরপর চূড়ান্তভাবে কত টাকা আনা হবে তার পরিমাণ উল্লেখ করে এগিয়ে যান-এ ক্লিক করলেই বিকাশে টাকা চলে আসবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখা আবশ্যক যে, লেনদেনের জন্য পেওনিয়ারে অবশ্যই নূন্যতম ১০০০ টাকার সমমানের অর্থ থাকতে হবে। আলাদা করে কোন ফর্ম পূরণের ঝামেলা তো থাকছেই না, বরং যে কোন স্থান থেকে ২৪ ঘন্টা এই সেবাটি পাওয়া যাবে একদম বিনামূল্যে।
পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
শেষাংশ
পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার পদ্ধতির প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং জগতে ও রেমিটেন্স খাতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। এর ফলে পেশাদার ফ্রিল্যান্সারদের তহবিল ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা দেশে আনার সংশয় কেটে যাওয়ায় ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার সামগ্রিক বাধা দূর হয়ে যাবে। সেই সূত্রে ফ্রিল্যান্সিং-এ আগ্রহ বাড়বে নতুন প্রজন্মের।
পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
২ বছর আগে
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং গবেষক ও সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) এডিটর এট লার্জ আফসান চৌধুরীসহ ছয়জনকে ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০১৯ ও ২০২০ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।
২০২০ সালে প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ বিভাগে আফসান চৌধুরী ‘১৯৭১ গণনির্যাতন – গণহত্যা, কাঠামো, বিবরণ ও পরিসর’ শিরোনামের বইটির জন্য পুরস্কার জিতেছেন। কবিতা ও উপন্যাস বিভাগে ‘পথিক পরাণ’ শিরোনামের বইয়ের জন্য কবি মোহাম্মদ রফিক এবং ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ লেখক’ বিভাগে ‘বাংলাদেশের লোকধর্ম’ শিরোনামের বইটির জন্য রঞ্জনা বিশ্বাস পুরস্কার জিতেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদা হোসেন: বাংলা সাহিত্যের এক স্বপ্ন শিল্পী
২০১৯ সালে প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ বিভাগে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার ‘দীক্ষাগুরুর তৎপরতা’ শিরোনামের বইয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছেন। কবি হেলাল হাফিজ কবিতা ও উপন্যাস বিভাগে তার ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ শিরোনামের বইয়ের জন্য, মোজাফফর হোসেন তার ‘পাঠে বিশ্লেষণে বিশ্বগল্প: ছোটোগল্পের শিল্প ও রূপান্তর’ শিরোনামের বইটির জন্য ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ লেখক’ বিভাগে পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এই দুই বছরে তিন ক্যাটাগরির পুরস্কারের জন্য এক হাজারের বেশি বই জমা পড়েছে। তার মধ্য থেকে সেলিনা হোসেন, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং আবিদ আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত জুরি প্যানেল প্রতি বছর তিনটি সেরা বই নির্বাচিত করেন।
পুরস্কার বিজয়ী লেখক ও কলামিস্ট আফসান চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের দেশে সবার বদলে গুটিকয়েক মানুষের ইতিহাস লিখেছি আমরা। বিদ্রোহী কৃষক সমাজের নেতৃত্বে ২০০ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭১ সেই মুহূর্ত যখন এই সংগ্রাম সফল হয়েছিল। এটি কেবল একটি রাষ্ট্র বা সমাজের নয়, সকলের। তাই আমাদের গুটিকয়েক বা গোষ্ঠীর বদলে সবার ইতিহাস লিখতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা’
টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের এমডি এ কে আজাদ বলেন, ‘সমকালের জন্য এটা আনন্দের এবং গর্বের বিষয় যে আমরা লেখক ও সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বদের অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত করতে পেরেছি।’
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি ও সিইও সেলিম আর এফ হুসেন বলেন,‘এই পুরস্কারটি বাংলা সাহিত্য জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে এবং আমরা এটির অংশ হতে পেরে সম্মানিত।’
২ বছর আগে
জাহালমের ক্ষতিপূরণের রায় স্থগিত চায় ব্র্যাক ব্যাংক
বিনা দোষে তিন বছর জেল খাটা টাঙ্গাইলের পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি যে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে ব্যাংকটি।
৪ বছর আগে
জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ
নিরপরাধ হয়েও তিন বছর জেল খাটার ঘটনায় টাঙ্গাইলের পাটকলকর্মী জাহালমকে এক মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে