যৌন হয়রানি
যৌন হয়রানির অভিযোগে নাদির জুনাইদকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি
যৌন হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিভাগের করিডোরে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহমেদ।
আরও পড়ুন: ঢাবির নতুন প্রো-ভিসি শিক্ষা অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার
কর্তৃপক্ষের লিখিত সিদ্ধান্তে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে পাঠদানসংক্রান্ত সব দায়িত্ব ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে আপনাকে তিন মাসের ছুটি নিতে হবে।’
‘এছাড়া আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিষয়টি পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় দিনের মতো বিভাগের করিডোরে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ১০টা থেকে বিভাগের করিডোরে জড়ো হতে শুরু করেন।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিতে যান।
ওই সময় উপাচার্য কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তারা মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনে যান। সেখানে বিভাগের চেয়ারপারসন আবুল মনসুর আহমেদ তাদের বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, উপাচার্য বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে আছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
আবুল মনসুর আহমদ বলেন, 'বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, উপাচার্য স্যার নিশ্চিত করেছেন, আপনাদের দাবির বিষয়ে লিখিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।’
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা অধ্যাপকের অফিস ও বিভাগের শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এর আগে শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন এক শিক্ষার্থী।
প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমানের কাছে দাখিল করা অভিযোগে প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তাকে পর্যবেক্ষণ করা, অসময়ে অনবরত ফোন করা, যৌন ইঙ্গিত দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনা হয়।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
রবিবার সকালে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদের কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা তিনটি মূল বিষয় উত্থাপন করেন: অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন, যৌন শিকারীদের জন্য দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তদন্ত চলাকালীন ওই শিক্ষককে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
১০ মাস আগে
চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের ছাত্রী।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উপাচার্যের কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এরপরই চবি প্রশাসন যৌন হয়রানি বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. জারিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘একটি মেয়ে আমাদের কাছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চবিতে একাডেমিক জট নিরসনের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা
এদিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিভাগটির একদল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান অনুষদের সামনে বুধবার মানববন্ধন করেন।
লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘থিসিস চলাকালীন সময়ে আমার সুপারভাইজার কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরুর পর থেকে তিনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক; যেমন-জোর করে হাত চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে অতর্কিত ও জোরপূর্বক স্পর্শ করা, অসংগত ও অনুপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় তিনি আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে এভাবে কেন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে আমি জানি না।’
আরও পড়ুন: ‘অবরোধ’ লিখে চবি প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা!
চবি’র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
১০ মাস আগে
সুপ্রিমকোর্টে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসংক্রান্ত কমিটি পুনর্গঠন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানিসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে’
পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে।
এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাতেমা নজীব, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফওজিয়া করিম ও আইনজীবী ফারজানা রহমানকে।
জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী সালমা আলী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে রিট করেন।
শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন।
এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি কমিটি গঠনের আদেশ দেন। রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশও দিয়েছিল।
কিন্তু তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই যৌন নির্যাতন বন্ধে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রের কঠোর নির্দেশ প্রয়োজন।
হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য থাকবে। এ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্য নিতে হবে। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান করতে হবে একজন নারীকে। এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েনটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রায়ে আরও বলা হয়, সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গ সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিক নির্দেশনাটি প্রকাশ করতে হবে বই আকারে। এ নির্দেশনা আইনে রূপান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তা আইন হিসেবে কাজ করবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স বাস্তবায়নে চুক্তি সই
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আবারও পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
১ বছর আগে
যৌন হয়রানি: ঢাবির ক্রিমিনোলজির শিক্ষার্থী সাময়িক বরখাস্ত
ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত সাকিন তানভীর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে কেন তাকে বহিষ্কার করা হবে না সাতদিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্তের সময়, তিনি বিভাগের জুনিয়র ছাত্রীদের যৌন হয়রানির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
ঢাবি জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আটক
কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
১ বছর আগে
কুমিল্লায় ছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আটক
কুমিল্লার দেবিদ্বারে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়।
বুধবার বিকাল থেকে দেবিদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেন ও তার জামাতার ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষের কিছু দরজা ভাঙচুর করা হয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ঘটনাস্থলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ আটক
রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে এবং ১০-১২ জন গুরুতর আহত হন।
আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে বলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বিকালে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুনসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ
প্রধান শিক্ষকের পক্ষে কিছু লোক এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থী নাঈম খন্দকার, মো. নাঈম ও জাহিদুল ইসলাম জানান, হামলায় অন্তত ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা সবাই ওই স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে তারা জানায়।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা জানায়, মোক্তল বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোক্তল বলেন, 'এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এএসপি ও দেবিদ্বার থানার ওসিকে মন্তব্যের জন্য বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে খুবির আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
১ বছর আগে
কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
পটুয়াখলীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে নৌকা মার্কার প্রচারণার নামে বাড়ি ঢুকে ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দেলোয়ার তালুকদার (৫৫) নামে একজনের বিরুদ্ধে।
শিশুটির মা মহিপুর থানায় অভিযুক্তের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে 'ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ' করায় সংঘর্ষ, আহত ১০
শনিবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দেলোয়ার তালুকদার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নৌকা মার্কার প্রচারণা চালাতে অভিযুক্ত দেলোয়ার তালুকদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী বরকুতিয়া গ্রামে যান। সঙ্গে থাকা অন্য কর্মীরা একটি চায়ের দোকানে চা খেতে বসলে অভিযুক্ত দেলোয়ার প্রচারণার নামে ওই শিশুটির বাড়িতে যায়। বাসায় কেউ নেই জেনে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে শিশুটির ওপর যৌন নিপীড়নের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে শিশুটি মা আসছে বলে চিৎকার দিলে অভিযুক্ত দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর মাস্টার বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন।
শিশুটির মা বলেন, আমি কাজের জন্য কৃষি খেতে যাই। এই ফাঁকে বাসা খালি পেয়ে প্রচারণার নামে ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে যৌন নিপীড়ন করে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
শিশুটির দাদি বলেন, আমরা খেতে কাজ করছিলাম। আমার নাতনি এখনো কান্না করছে। আমরা এর বিচার চাই।
মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, শিশুটির মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এছাড়া পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কলাগাড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ইভটিজিংয়ের শিকার চবি ছাত্রী, ৩ বহিরাগত আটক
১ বছর আগে
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইয়ের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২ সালে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী ফিলিপ ডিবভিগের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। তবে, অভিযুক্ত অর্থনীতিবিদ ডিবভিগ বিষয়টিকে ‘পেশাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ বলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ডিবভিগ আরেক মার্কিন অর্থনীতিবিদ ডগলাস ডায়মন্ডের সঙ্গে ব্যাংক থেকে আকস্মিক টাকা তোলার হিড়িক (ব্যাংক রান) ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে পরিচিতি লাভ করেন। ‘ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সংকটগুলোর ওপরে গবেষণা’র জন্য তিনি ২০২২ সালের অক্টোবরে যৌথভাবে ডায়মন্ড ও বেন বারন্যাংকির সঙ্গে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
তার আইনজীবী অ্যান্ড্রু মিলটেনবার্গ দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, সেন্ট লুইয়ের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ অফিসে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ডিবভিগ দীর্ঘদিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্কিং ও ফিনান্সের অধ্যাপক।
মিল্টেনবার্গ বলেছেন যে অভিযোগগুলো ‘প্রকৃতপক্ষে ভুল।’
তার মন্তব্যের জন্য ইমেইলে তার সঙ্গে এপি থেকে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন: 'আমি তোমাদের সবাইকে মেরে ফেলব': রোমে কফি শপে ঢুকে ৩ জনকে হত্যা
ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে যে তারা এই ইমেলগুলো পর্যালোচনা করেছে। যে ইমেইলগুলোতে ডিবভিগের বিরুদ্ধে চতুর্থ অফিস ক্যাম্পাসের যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো পরিচালনা করছে।
ব্লুমবার্গ অক্টোবর থেকে অন্তত তিনজন সাবেক ছাত্রকে ডিবভিগ-এর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, তাদের সাতজন সাবেক শিক্ষার্থীর একটি দল ডিবিভিগের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাত্কারে বেশিরভাগ নারীই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন।
নোবেল ইকোনমিক সায়েন্সেস প্রাইজ কমিটির চেয়ারম্যান টোরে এলিংসেন ব্লুমবার্গকে বলেছেন যে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস যারা পুরস্কারের তত্ত্বাবধান করে। এ ধরনের অভিযোগগুলো তদন্ত পরিচালনা করার জন্য তারা একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে, তা নিশ্চিত করার জন্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
এলিংসেন ব্লুমবার্গকে বলেছেন, ‘যতক্ষণ না ইউনিভার্সিটি প্রমাণ করতে পারবে না যে ডিবভিগ কোনো অপরাধ করেছে, আমি মনে করি আমরা ততক্ষণ তাকে তার মহান বৈজ্ঞানিক কৃতিত্বের একই রকম সম্মান করবো।
নোবেল শান্তি পুরস্কার ও ফাউন্ডেশনও এপি থেকে পাঠানো ইমেল বার্তাগুলোর প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
শুক্রবার এপি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেইল ও ফোনে পাঠানো বার্তারও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জুলি ফ্লোরি ব্লুমবার্গকে বলেছেন যে তারা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মন্তব্য করে না, তবে যৌন অসদাচরণকে গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং যে কোনও অভিযোগ তদন্ত করবে।
মিল্টেনবার্গ বলেছেন যে তিনি অভিযোগের সময় সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেন।
উল্লেখ্য যে ডিবভিগের নামে পুরস্কার ঘোষণার পরে কিন্তু নির্ধারিত পুরস্কার অনুষ্ঠানের আগে অভিযোগগুলো করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এটি পেশাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ চলার সময় মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যু
ইউক্রেনে পদক্ষেপের সমালোচনাকারী রাশিয়ানের ৮২ বছরের কারাদণ্ড
২ বছর আগে
রাজধানীতে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে পোশাক শ্রমিকদের মানববন্ধন
নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানির প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে সাভারের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে মানববন্ধন করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সাভারের আশুলিয়ায় চীনা মালিকানাধীন রাইজিংটেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার প্রায়ই কারখানার নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি করেন।
শ্রমিকরা ওই কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না নেয়ায় ওই কর্মকর্তাই ১৩ নভেম্বর আবারও নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি করেন।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
পরে শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৩২ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করে বলে জানান শ্রমিকরা।
আর তাই কারখানায় বিচার এবং চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে শ্রমিকরা মানববন্ধন করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
২ বছর আগে
ফেনীতে ছাত্রকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক আটক
ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় আট বছর বয়সী এক ছাত্রকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বৃহস্পতিবার এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মাওলানা আব্দুল জলিল (২১) উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কওমী ও হাফেজিয়া মাদরাসার আবাসিক শিক্ষক।
আরও পড়ুন: বেনাপোল চেকপোস্টে ইউএস ডলার উদ্ধার, নারী আটক
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। সম্প্রতি ছুটি শেষে শিশুটি মাদরাসায় আসতে না চাওয়ায়, তার মা-বাবা তাকে কারণ জিজ্ঞেস করলে শিশুটি বলাৎকারের বিষয়টি তাদের জানায়।
দাগনভূঁইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাসান ইমাম জানান, ছাত্রের বাবা থানায় মামলা করার পর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক
ওসি জানান, শিশুটি ধর্মীয় কসম ও শ্রেণিকক্ষে মারধরের ভয় দেখাতো অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠনো হয়।
২ বছর আগে
যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কাজী জিনাত হক, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট তামান্না ফেরদৌস।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ৫৯১৬/২০০৮-এ ১৪/০৫/২০০৯ খ্রিস্টাব্দে প্রদত্ত রায়ের নির্দেশনা প্রতিপালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের নিমিত্তে কমিটি গঠন করা হলো।
আরও পড়ুন: মে মাসে ১০৪ শিশু, ১৩৬ নারী নির্যাতনের শিকার: মহিলা পরিষদ
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল ও শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের আদেশ দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, ‘কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচ জন সদস্য থাকবেন। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্য নিতে হবে। সম্ভব হলে একজন নারীকে কমিটির প্রধান করতে হবে।’ এ বিষয়ে সচেতনতা ও জনমত তৈরির জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গ সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা বই আকারে প্রকাশ করতে হবে।’
হাইকোর্টের রায়ে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় বলা হয়, শারীরিক ও মানসিক যে কোনো ধরনের নির্যাতনই যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে। প্রায় এক যুগ আগে দেয়া হাইকোর্টের ওই রায় বাস্তবায়ন করলো সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে’
৩ বছর আগে