ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
একইসঙ্গে ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ডও অবমুক্ত করেছেন তিনি।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এগুলো অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
১ সপ্তাহ আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে দেশের কৃতি সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আগামীকাল
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে যায়।
বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ ও শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যায় তারা। পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে নিয়ে গণহারে হত্যা করে তাদের।
এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১ সপ্তাহ আগে
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি প্রবর্তিত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি দিবস আজ।
ড. ইউনূস তার বাণীতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ: অধ্যাপক ইউনূস
গাজায় নিরীহ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের রক্ষায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
যেহেতু আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামতে ইসরায়েলের দখলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জবাবদিহির আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনুস।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য ন্যায্য সংগ্রামকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পের সঙ্গে অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন অধ্যাপক ইউনূস’
৩ সপ্তাহ আগে
সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে প্রাণ হারানো সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস একথা বলেন।
ভাষণের শুরুতেই এদিন মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহিদ, গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহিদ এবং অভ্যুত্থানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অভ্যুত্থানে হতাহতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। একজনও বাদ যাবে না। পাশাপাশি সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে সরকার।’
আরও পড়ুন: সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত
আহতদের দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রতিটি শহিদ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেয়া হচ্ছে। যারা বুলেটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য নেপাল থেকে কর্নিয়া আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের প্রয়োজন তাদের সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে।’
‘জুলাই অভ্যুত্থানের কোনো শহিদ এবং আহত ছাত্র ও শ্রমিক চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা থেকে বাদ যাবে না। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকার।’
তিনি জানান, অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে গঠিত ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ বেশ পাকাপোক্তভাবে তাদের কাজ শুরু করেছে। এই ফাউন্ডেশনে সরকার ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি বরাদ্দ প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে
১ মাস আগে
অনলাইনে আয়কর পরিশোধের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
অনলাইনে ই-রিটার্ন ও আয়কর প্রদানে উৎসাহিত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনগণের দেওয়া করই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আপনার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার অভিজ্ঞতা এখন থেকে মসৃণ ও ঝামেলা মুক্ত হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা অনলাইনে কীভাবে আয়কর জমা দিতে পারেন তা তাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবদের দেখানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
কর প্রদানে জনগণকে নানা ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয় স্বীকার করে তিনি সবাইকে ই-রিটার্ন দাখিল ও অনলাইনে আয়কর প্রদানের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, 'আমি তরুণদের অনুরোধ করছি, করদাতাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করুন। ভবিষ্যতের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি এখান থেকেই শুরু করা যেতে পারে। আমরা পর্যায়ক্রমে অনলাইনে সব কর আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে আয়কর দিতে ব্যাংকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না বা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে কর অফিসে যেতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে আয়কর রিটার্ন জমা দিন। এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এখন থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর মহানগরীর সব সরকারি কর্মকর্তা এবং সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর ও বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস দেশের অন্যদের অনলাইনে ই-রিটার্ন জমা এবং আয়কর প্রদানের আহ্বান জানান।
তিনি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের জন্য জেলা ও শহর পর্যায়ে কর্মকর্তাদের ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার বিষয়ে উৎসাহ দেন।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নিহন হিদানকিওতে অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
১ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার জন্য মেডিকেল টিম গঠন ‘রুটিন বিষয়’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বাস্থ্যের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং এ নিয়ে কোনো ধরনের গুজব না ছড়াতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মেডিকেল টিম গঠন করা হলে অধ্যাপক ইউনূসের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়াতে শুরু হলে মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
বার্তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূসের চিকিৎসার জন্য আজ (২২ অক্টোবর) একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এটি একটি নৈমিত্তিক বিষয়। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের চিকিৎসার জন্য এ ধরনের মেডিকেল টিম নিয়মিত গঠন করা হয়ে থাকে। এ নিয়ে কোনো ধরনের গুজব না ছড়ানোর জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এর আগে ত্বকের ক্ষত সারাতে গত সপ্তাহে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৮৪ বছর বয়সী ড. ইউনূস।
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রাজধানীর রমনা পার্ক এলাকায় পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষোভকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সোমবার সকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে জড়ো হওয়া কয়েকশ বিক্ষোভকারী দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ঠেলে এগুতে থাকলে সংঘর্ষ চরমে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দিকে সরে যেতে থাকলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে চলছে তীব্র আন্দোলন, দুই সদস্যের কমিটি গঠন
একাধিক বিক্ষোভকারী অভিযোগ করেন, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ছাড়াও পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বারবার এলাকা ছাড়ার অনুরোধ করা হলেও বিক্ষোভকারীরা তা উপেক্ষা করায় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হন তারা।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকার শাহবাগে সমাবেত হয় বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থী এবং সাম্প্রতিক স্নাতকসহ বিক্ষোভকারীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট বিঘ্ন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দীর্ঘায়িত একাডেমিক সেশনকে অনেকের বর্তমান বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চাকরির বয়সসীমা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান 'নিরাপদ সড়ক চাই'র প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রমনা পার্ক এলাকায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারি বাসভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। সেসময় পুলিশ বাধা দেওয়ায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব: জনপ্রশাসন সচিব
২ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাতে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ইউনূস। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন তিনি।
এর আগে অধ্যাপক ইউনূস তার অধীনে থাকা মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সারা দেশে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনও।
বিকালে প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যসহ সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
৪ মাস আগে
মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তরুণদের কাজে লাগিয়ে স্বচ্ছতা ও সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা তার আওতাধীন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সিনিয়র সচিব ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন সচিবরা।
এসময় জরুরি সরবরাহ নিশ্চিত করার কথাও বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
একই সঙ্গে বন্দর ও রেলপথ দ্রুত চালুর নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়াও কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এবং সার, জ্বালানি ও বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।
৪ মাস আগে
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দল গোছাতে পারে কিন্তু বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এসময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে আমরা আরও বিস্তারিত কথা শুনব। এছাড়া আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষতিগ্রস্তদের কতটুকু সাহায্য করতে পারি সেই বিষয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলাকারীরা সবাই দুর্বৃত্ত। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সবসময় আছে। আগেও ছিল এখনও আছে আগামীতেও থাকবে। আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় ও যাদের বাড়িঘর বা অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করছি।’
তিনি বলেন, ‘মাঝখানে পুলিশের অনুপস্থিতির কারণে আক্রমণটা একটু বেশি হয়েছে। পুলিশ যেহেতু যোগদান করেছে আমরা আশাবাদী এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটবে না। এছাড়া সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে তথ্য জানানোর জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি দাবি প্রাসঙ্গিক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
৪ মাস আগে