ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে প্রাণ হারানো সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস একথা বলেন।
ভাষণের শুরুতেই এদিন মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহিদ, গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহিদ এবং অভ্যুত্থানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অভ্যুত্থানে হতাহতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। একজনও বাদ যাবে না। পাশাপাশি সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে সরকার।’
আরও পড়ুন: সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত
আহতদের দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রতিটি শহিদ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেয়া হচ্ছে। যারা বুলেটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য নেপাল থেকে কর্নিয়া আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের প্রয়োজন তাদের সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে।’
‘জুলাই অভ্যুত্থানের কোনো শহিদ এবং আহত ছাত্র ও শ্রমিক চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা থেকে বাদ যাবে না। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকার।’
তিনি জানান, অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে গঠিত ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ বেশ পাকাপোক্তভাবে তাদের কাজ শুরু করেছে। এই ফাউন্ডেশনে সরকার ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি বরাদ্দ প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে
৪ দিন আগে
অনলাইনে আয়কর পরিশোধের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
অনলাইনে ই-রিটার্ন ও আয়কর প্রদানে উৎসাহিত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনগণের দেওয়া করই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আপনার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার অভিজ্ঞতা এখন থেকে মসৃণ ও ঝামেলা মুক্ত হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা অনলাইনে কীভাবে আয়কর জমা দিতে পারেন তা তাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবদের দেখানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
কর প্রদানে জনগণকে নানা ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয় স্বীকার করে তিনি সবাইকে ই-রিটার্ন দাখিল ও অনলাইনে আয়কর প্রদানের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, 'আমি তরুণদের অনুরোধ করছি, করদাতাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করুন। ভবিষ্যতের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি এখান থেকেই শুরু করা যেতে পারে। আমরা পর্যায়ক্রমে অনলাইনে সব কর আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে আয়কর দিতে ব্যাংকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না বা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে কর অফিসে যেতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে আয়কর রিটার্ন জমা দিন। এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এখন থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর মহানগরীর সব সরকারি কর্মকর্তা এবং সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর ও বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস দেশের অন্যদের অনলাইনে ই-রিটার্ন জমা এবং আয়কর প্রদানের আহ্বান জানান।
তিনি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের জন্য জেলা ও শহর পর্যায়ে কর্মকর্তাদের ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার বিষয়ে উৎসাহ দেন।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নিহন হিদানকিওতে অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
৩ সপ্তাহ আগে
প্রধান উপদেষ্টার জন্য মেডিকেল টিম গঠন ‘রুটিন বিষয়’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বাস্থ্যের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং এ নিয়ে কোনো ধরনের গুজব না ছড়াতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মেডিকেল টিম গঠন করা হলে অধ্যাপক ইউনূসের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়াতে শুরু হলে মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
বার্তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূসের চিকিৎসার জন্য আজ (২২ অক্টোবর) একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এটি একটি নৈমিত্তিক বিষয়। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের চিকিৎসার জন্য এ ধরনের মেডিকেল টিম নিয়মিত গঠন করা হয়ে থাকে। এ নিয়ে কোনো ধরনের গুজব না ছড়ানোর জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এর আগে ত্বকের ক্ষত সারাতে গত সপ্তাহে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৮৪ বছর বয়সী ড. ইউনূস।
৪ সপ্তাহ আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রাজধানীর রমনা পার্ক এলাকায় পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষোভকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সোমবার সকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে জড়ো হওয়া কয়েকশ বিক্ষোভকারী দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ঠেলে এগুতে থাকলে সংঘর্ষ চরমে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দিকে সরে যেতে থাকলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে চলছে তীব্র আন্দোলন, দুই সদস্যের কমিটি গঠন
একাধিক বিক্ষোভকারী অভিযোগ করেন, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ছাড়াও পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বারবার এলাকা ছাড়ার অনুরোধ করা হলেও বিক্ষোভকারীরা তা উপেক্ষা করায় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হন তারা।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকার শাহবাগে সমাবেত হয় বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থী এবং সাম্প্রতিক স্নাতকসহ বিক্ষোভকারীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট বিঘ্ন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দীর্ঘায়িত একাডেমিক সেশনকে অনেকের বর্তমান বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চাকরির বয়সসীমা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান 'নিরাপদ সড়ক চাই'র প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রমনা পার্ক এলাকায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারি বাসভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। সেসময় পুলিশ বাধা দেওয়ায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব: জনপ্রশাসন সচিব
১ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাতে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ইউনূস। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন তিনি।
এর আগে অধ্যাপক ইউনূস তার অধীনে থাকা মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সারা দেশে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনও।
বিকালে প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যসহ সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
৩ মাস আগে
মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তরুণদের কাজে লাগিয়ে স্বচ্ছতা ও সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা তার আওতাধীন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সিনিয়র সচিব ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন সচিবরা।
এসময় জরুরি সরবরাহ নিশ্চিত করার কথাও বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
একই সঙ্গে বন্দর ও রেলপথ দ্রুত চালুর নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়াও কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এবং সার, জ্বালানি ও বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।
৩ মাস আগে
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দল গোছাতে পারে কিন্তু বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এসময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে আমরা আরও বিস্তারিত কথা শুনব। এছাড়া আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষতিগ্রস্তদের কতটুকু সাহায্য করতে পারি সেই বিষয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলাকারীরা সবাই দুর্বৃত্ত। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সবসময় আছে। আগেও ছিল এখনও আছে আগামীতেও থাকবে। আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় ও যাদের বাড়িঘর বা অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করছি।’
তিনি বলেন, ‘মাঝখানে পুলিশের অনুপস্থিতির কারণে আক্রমণটা একটু বেশি হয়েছে। পুলিশ যেহেতু যোগদান করেছে আমরা আশাবাদী এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটবে না। এছাড়া সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে তথ্য জানানোর জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি দাবি প্রাসঙ্গিক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
৩ মাস আগে
ড. ইউনূসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: এইউবি ও ডিইউটিএ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৭০ জনেরও বেশি বৈশ্বিক নেতার খোলা চিঠিকে অবৈধ ও অযৌক্তিক দাবি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ (এইউবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ডিইউটিএ)।
তারা বলেন, চিঠিটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আইনের শাসনের জন্য হুমকি, কারণ শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্ব নেতারা আদালতের কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উভয় সংগঠন বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে বিশ্ব নেতাদের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে এইউবি বলেছে, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। দেশের বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর এ ধরনের অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং এটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে ওই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এইউবি।
অপর এক বিবৃতিতে ডিইউটিএ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের বিচার বিভাগ দেশের বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এতে বলা হয়, ‘সুতরাং, চিঠির লেখকরা অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছেন।’
ডিইউটিএ বলেছে, তাছাড়া এ ধরনের বক্তব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিধান এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সম্পর্কিত বিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বিচার বিভাগ ও শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিইউটিএ।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে সরকার হয়রানি করছে না, বিবৃতিদাতাদের প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে: অর্থমন্ত্রী
ইউনূসকে ব্যবহার করে বিএনপির ‘নতুন খেলা’ শুরু: কাদের
১ বছর আগে
এবার ড.ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ১৬০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি
১০০জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০জন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুরক্ষা ও সুস্থতার বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি সম্বোধন করা চিঠিতে সই করাদের মধ্যে রয়েছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিক, কূটনৈতিক, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন- বারাক ওবামা, হোসে রামোস-হোর্তা, মেরি রবিনসন, মারেড করিগান-ম্যাগুয়াইয়ার, শিরিন এবাদি, ডেনিস মুকওয়েগে, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, অস্কার আরিয়াস সানচেজ, জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, বান কি-মুন, লরা বোলড্রিনি, পল ডেভিড হিউসন (বোনো) এবং স্যার রিচার্ড ব্রানসন প্রমুখ।
এই চিঠিতে সইকারীরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তারা লিখেছেন, ‘তবে, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল।’
ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াকে ‘বিচারিক হয়রানি’ বলে অভিহিত করে সইকারীরা তার বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বারাক ওবামার চিঠি
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তা হলো―নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন, সম্প্রতি তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা সসম্মানে অনুরোধ করছি আপনি অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন, তারপরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণসহ আপনার দেশের মধ্যে থেকে নিরপেক্ষ বিচারকদের একটি প্যানেল দ্বারা অভিযোগ পর্যালোচনা করা হবে। আমরা নিশ্চিত, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ও শ্রম আইনের মামলাগুলোর যে কোনও পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করা হলে তিনি খালাস পাবেন।’
এই সর্বশেষ চিঠিটি মার্চ মাসে পাঠানো আগের চিঠির অনুসরণ ছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আপনি জানেন, ‘কীভাবে সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ আন্তর্জাতিক অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হতে পারে’- এ নিয়ে প্রফেসর ইউনূসের কাজ আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণামূলক।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিরা কীভাবে বৈশ্বিক অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন তিনি তার একটি প্রধান উদাহরণ। আমরা আন্তরিকভাবে কামনা করি তিনি যেন নিপীড়ন বা হয়রানিমুক্ত হয়ে তার উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
চিঠির সমাপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, আপনি এই আইনি সমস্যাগুলোর সমাধান একটি সমীচীন, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত পদ্ধতিতে নিশ্চিত করবেন। এর পাশাপাশি আসছে দিনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন এবং সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান (প্রদর্শন) নিশ্চিত করবেন। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে এই বিষয়গুলোর সমাধান করা হয় তা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখার জন্য আমরা বিশ্বের লাখ লাখ উদ্বিগ্ন নাগরিকদের শিবিরে যোগ দেব’।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ডে. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
পাবলিক ডোমেনে থাকা মামলার নথি অনুসারে, কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) কর্মকর্তা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান।
২০২১ সালে ডিআইএফই-এর করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১০১ জন কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি, কর্মচারী অংশীদারিত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।
ড. ইউনুস গ্রামীণ টেলিকমের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতিত্ব করেন, যা একটি ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার সহযোগী আশরাফুল হাসান, মো. শাহজাহান ও নূর জাহান বেগম।
গত শনিবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ড. ইউনূসকে আলাদাভাবে চিঠি লিখেছিলেন।
তার সই করা চিঠিতে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে 'ব্যাঙ্কার টু দ্য পুওর' তার 'গুরুত্বপূর্ণ কাজ' চালিয়ে যেতে পারবেন।
অন্যদিকে, রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশের ৩৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সব ধরনের হয়রানি বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে তার আইনজীবীদের যুক্তি উল্লেখ করে তারা জানান, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা মামলার অভিযোগগুলো দেওয়ানি প্রকৃতির, তবুও সরকার একটি ফৌজদারি মামলা করেছে।
ড. ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার, ইউএস কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল ও ইউএস প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পাওয়া মাত্র সাতজনের একজন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বিচার চলবে
১ বছর আগে
ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মামলা বাতিল চেয়ে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (২৩ জুলাই) এই রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
অন্য যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় তারা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা নিয়ে ও মামলার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত মাসে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। এই আবেদনের ওপর ১৭ জুলাই হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সময়ের আরজি জানালে আদালত রবিবার শুনানির দিন ঠিক করেন। শুনানি নিয়ে আজ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আজ আদালতে ড. ইউনূসসহ আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় হাইকোর্টের ৩ নির্দেশনা
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
১ বছর আগে