ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ড. ইউনূসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: এইউবি ও ডিইউটিএ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৭০ জনেরও বেশি বৈশ্বিক নেতার খোলা চিঠিকে অবৈধ ও অযৌক্তিক দাবি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ (এইউবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ডিইউটিএ)।
তারা বলেন, চিঠিটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আইনের শাসনের জন্য হুমকি, কারণ শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্ব নেতারা আদালতের কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উভয় সংগঠন বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে বিশ্ব নেতাদের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে এইউবি বলেছে, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। দেশের বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর এ ধরনের অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং এটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে ওই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এইউবি।
অপর এক বিবৃতিতে ডিইউটিএ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের বিচার বিভাগ দেশের বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এতে বলা হয়, ‘সুতরাং, চিঠির লেখকরা অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছেন।’
ডিইউটিএ বলেছে, তাছাড়া এ ধরনের বক্তব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিধান এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সম্পর্কিত বিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বিচার বিভাগ ও শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিইউটিএ।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে সরকার হয়রানি করছে না, বিবৃতিদাতাদের প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে: অর্থমন্ত্রী
ইউনূসকে ব্যবহার করে বিএনপির ‘নতুন খেলা’ শুরু: কাদের
এবার ড.ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ১৬০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি
১০০জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০জন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুরক্ষা ও সুস্থতার বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি সম্বোধন করা চিঠিতে সই করাদের মধ্যে রয়েছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিক, কূটনৈতিক, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন- বারাক ওবামা, হোসে রামোস-হোর্তা, মেরি রবিনসন, মারেড করিগান-ম্যাগুয়াইয়ার, শিরিন এবাদি, ডেনিস মুকওয়েগে, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, অস্কার আরিয়াস সানচেজ, জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, বান কি-মুন, লরা বোলড্রিনি, পল ডেভিড হিউসন (বোনো) এবং স্যার রিচার্ড ব্রানসন প্রমুখ।
এই চিঠিতে সইকারীরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তারা লিখেছেন, ‘তবে, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল।’
ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াকে ‘বিচারিক হয়রানি’ বলে অভিহিত করে সইকারীরা তার বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বারাক ওবামার চিঠি
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তা হলো―নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন, সম্প্রতি তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা সসম্মানে অনুরোধ করছি আপনি অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন, তারপরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণসহ আপনার দেশের মধ্যে থেকে নিরপেক্ষ বিচারকদের একটি প্যানেল দ্বারা অভিযোগ পর্যালোচনা করা হবে। আমরা নিশ্চিত, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ও শ্রম আইনের মামলাগুলোর যে কোনও পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করা হলে তিনি খালাস পাবেন।’
এই সর্বশেষ চিঠিটি মার্চ মাসে পাঠানো আগের চিঠির অনুসরণ ছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আপনি জানেন, ‘কীভাবে সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ আন্তর্জাতিক অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হতে পারে’- এ নিয়ে প্রফেসর ইউনূসের কাজ আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণামূলক।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিরা কীভাবে বৈশ্বিক অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন তিনি তার একটি প্রধান উদাহরণ। আমরা আন্তরিকভাবে কামনা করি তিনি যেন নিপীড়ন বা হয়রানিমুক্ত হয়ে তার উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
চিঠির সমাপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, আপনি এই আইনি সমস্যাগুলোর সমাধান একটি সমীচীন, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত পদ্ধতিতে নিশ্চিত করবেন। এর পাশাপাশি আসছে দিনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন এবং সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান (প্রদর্শন) নিশ্চিত করবেন। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে এই বিষয়গুলোর সমাধান করা হয় তা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখার জন্য আমরা বিশ্বের লাখ লাখ উদ্বিগ্ন নাগরিকদের শিবিরে যোগ দেব’।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ডে. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
পাবলিক ডোমেনে থাকা মামলার নথি অনুসারে, কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) কর্মকর্তা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান।
২০২১ সালে ডিআইএফই-এর করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১০১ জন কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি, কর্মচারী অংশীদারিত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।
ড. ইউনুস গ্রামীণ টেলিকমের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতিত্ব করেন, যা একটি ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার সহযোগী আশরাফুল হাসান, মো. শাহজাহান ও নূর জাহান বেগম।
গত শনিবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ড. ইউনূসকে আলাদাভাবে চিঠি লিখেছিলেন।
তার সই করা চিঠিতে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে 'ব্যাঙ্কার টু দ্য পুওর' তার 'গুরুত্বপূর্ণ কাজ' চালিয়ে যেতে পারবেন।
অন্যদিকে, রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশের ৩৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সব ধরনের হয়রানি বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে তার আইনজীবীদের যুক্তি উল্লেখ করে তারা জানান, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা মামলার অভিযোগগুলো দেওয়ানি প্রকৃতির, তবুও সরকার একটি ফৌজদারি মামলা করেছে।
ড. ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার, ইউএস কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল ও ইউএস প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পাওয়া মাত্র সাতজনের একজন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বিচার চলবে
ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মামলা বাতিল চেয়ে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (২৩ জুলাই) এই রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
অন্য যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় তারা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা নিয়ে ও মামলার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত মাসে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। এই আবেদনের ওপর ১৭ জুলাই হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সময়ের আরজি জানালে আদালত রবিবার শুনানির দিন ঠিক করেন। শুনানি নিয়ে আজ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আজ আদালতে ড. ইউনূসসহ আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় হাইকোর্টের ৩ নির্দেশনা
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বিচার কার্যক্রম বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগের (ডিআইএফই) কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বলেছেন, এখন শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো আইনি বাধা নেই।
ইউনূসের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও শাহজাহান।
আরও পড়ুন: প্রফেসর ইউনূসকে ‘জিরো ওয়েস্ট অ্যাডভাইজরি বোর্ড’-এর সদস্য নিযুক্ত জাতিসংঘের মহাসচিবের
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম অধিদপ্তরের পরিদর্শকদের পরিদর্শনে দেখা গেছে, যে ১০১ জন কর্মী-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, তাদের তা করা হয়নি।
তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির লাভের পাঁচ শতাংশও আইন মেনে শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি।
অভিযোগের ভিত্তিতে, শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর শ্রম আদালত চার আসামিকে জামিন দেন।
পরে ৭ ডিসেম্বর মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস।
১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি মামলার প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।
গত বছরের ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট (এইচসি) মামলাটি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয়।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন অধ্যাপক ইউনূস।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের পক্ষে ৪০টি নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন কেন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
ড. ইউনূস শাক দিয়ে মাছ ঢাকছেন: তথ্যমন্ত্রী
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (২৯ জুন) যে বিবৃতি দিয়েছেন সেটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে পদ্মা সেতু নিয়ে যারা বিরোধিতা করেছেন তারা সারা দেশের মানুষের উল্লাস দেখে লজ্জিত।
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও সেতুর বিরোধিতা করেছেন সেটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে কস লাভ নেই। প্রয়োজনে আরও প্রমাণ দেয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন্তব্য করেন।
পদ্মা সেতু অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জড়িত নন বলে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন এটি সত্যের অপলাপ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি যে বিরোধিতা করেছেন সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। ড. ইউনূস আগে কখনও এ কথা বলেনি যে আমি এ অপচেষ্টা চালাইনি। বরং বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হলো তখন দম্ভ করে নানা জায়গায় কথা বলেছেন। যেগুলো এখনও বাতাসে ভেসে বেড়ায়।
তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি হচ্ছেন, তার প্রতি যথাযথ সম্মান-শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারী বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিরোধিতাকারী অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে যারা কুশীলব হিসেবে কাজ করেছিল তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
হাছান মাহমুদ বলেন, ড. ইউনূসের সাথে হিলারি ক্লিনটনের বিশেষ সখ্যতা থাকার সুবাদে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের যে চেষ্টা চালিয়েছেন, বন্ধ করার ক্ষেত্রে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট, সেটি দেশ-বিদেশের সবাই জানে।
বিবৃতিতে পদ্মা সেতু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এটা কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল সারা দেশ যখন উল্লাসিত, তখন তারা প্রচণ্ড লজ্জিত। যারা বিরোধিতা করেছিল তারা লজ্জা ঢাকতে এই বিবৃতি দিয়ে অপচেষ্টা করেছেন।
পড়ুন: আ’লীগের হাত ধরে বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
মানবিক রাষ্ট্র গড়তে এগিয়ে আসুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
গ্রামীণ টেলিকম অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন, আদেশ ৩ এপ্রিল
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান ফিরোজ এ আবেদন করেন। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আবেদনের শুনানি নিয়ে আগামী ৩ এপ্রিল আদেশের দিন ধার্য করেছেন। আবেদনের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা। গ্রামীণ টেলিকমের কাছে শ্রমিকদের পাওনা আড়াইশ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু এই পাওনা টাকা না দেয়ার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সেজন্য কোম্পানিটির অবসায়ন চাওয়া হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য অন্তবর্তীকালীন অবসায়ক নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলে আসছে। শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়েছে। এরপর সেই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন ২৮ জন কর্মী। এই ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে ড. ইউনূসকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ০৪ এপ্রিল দিয়েছিলেন শ্রমিকদের পুনর্বহালের নির্দেশ।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ ফোনের কল ড্রপ সবচেয়ে বেশি: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
এছাড়া গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূর জাহান বেগম ও শাহজাহান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
ড. ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। তাঁর সব ধরনের অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের তথ্য চেয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
সংস্থাটি মঙ্গলবারের মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের এই প্রতিষ্ঠাতার সব লেনদেনের রেকর্ড পাঠাতে বলেছে।
বিএফআইইউ’র একটি সূত্র জানায়, বিভিন্ন সংস্থাকে ড. ইউনূসের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে। অন্য কোনো সংগঠন ইউনূসের এসব তথ্য চায়নি। নিজস্ব প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য চেয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ইউনূস ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ইউনুস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সূচনা থেকেই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ২০১১ সালে সরকার তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করে। সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়ে হেরে যান ইউনূস। সে সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতারা, সেইসঙ্গে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ইউনূসের পক্ষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য সরকারকে চাপ দেন।
আরও পড়ুন: 'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে আমি অভিভূত: ড. ইউনূস
জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার পেলেন ড.ইউনূস
বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিতের আহবান ড. ইউনূসের
শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ আহবান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, মানুষকে নিরাপদে রাখতে টিকা কেন্দ্রিক মুনাফা চক্র ভেঙে ফেলতে হবে। আমরা পেটেন্ট ফ্রি টিকা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। কারণ টিকা নিয়ে বাণিজ্য চলছে, যা মানুষের টিকা প্রাপ্তি কঠিন করে তুলছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে কী প্রত্যাশা করছেন তা জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিত করতে তাঁরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: 'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে সম্মানিত ও অভিভূত: ড. ইউনূস
এদিকে শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় অধ্যাপক ইউনূস ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে ‘অলিম্পিক লরেল’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর ড. ইউনূস বলেন, 'অলিম্পিক লরেল’ গ্রহণ করে আমি সম্মানিত ও অভিভূত। এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রতিটি বাংলাদেশি গর্বিত, কারণ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে কোন মেডেল পায়নি। এখন সারাবিশ্বের মানুষ দেখবে যে একজন বাংলাদেশি কোন অলিম্পিক সম্মাননা পাচ্ছে। অনুষ্ঠানে সশরীরে থাকতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তাকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন এবং শান্তিতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি(আইওসি)।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৬৬, শনাক্ত ৯,৬৩২
শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে ড. ইউনূস বলেন, আইওসি খেলাধুলার সামাজিক দিকটিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। খেলাধুলার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও শান্তিময় করে তোলার জন্য আইওসির প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তিনি। এছাড়াও তিনি ক্রিড়াবিদদের জন্য শুভকামনা জানান।
এর আগে রিও ডি জেনেরিওতে ২০১৬ সালে অলিম্পিক লরেল পদকটি দেয়া হয়েছিল কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান ও সমাজ পরিবর্তনকারী কিপ কেইনোকে। ঐ বছরই এই অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৮ হলেই টিকা নেয়া যাবে, শিগগিরই বাস্তবায়ন
'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে আমি অভিভূত: ড. ইউনূস
'অলিম্পিক লরেল’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, 'অলিম্পিক লরেল পেয়ে আমি সম্মানিত ও অভিভূত এবং আমি দুঃখিত কারণ আমি এই অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি।'
শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ড. ইউনূস এই অ্যাওয়ার্ড পেলেন। তিনি ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমদের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী আজ
শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন এবং শান্তিতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি(আইওসি)।
শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে ড. ইউনূস বলেন, আইওসি খেলাধুলার সামাজিক দিকটিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। খেলাধুলার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও শান্তিময় করে তোলার জন্য আইওসির প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তিনি। এছাড়াও তিনি ক্রিড়াবিদদের জন্য শুভকামনা জানান।
গ্রামীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস সম্মাননা গ্রহণ বক্তব্যে বলেন, 'আমি এই আয়োজনের জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি, এই সম্মাননার জন্য ধন্যবাদ। এটা আমার জন্য খুবই বিশেষ কিছু, ধন্যবাদ।'
আরও পড়ুন: লকডাউনেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
এর আগে রিও ডি জেনেরিওতে ২০১৬ সালে অলিম্পিক লরেল পদকটি দেয়া হয়েছিল কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান ও সমাজ পরিবর্তনকারী কিপ কেইনোকে। এ বছরই এই অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ
ড. ইউনূসের ৫ মামলা স্থগিতের আদেশ বহাল
শ্রম আদালতে করা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাঁচ মামলায় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।