ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে শনিবার (১২ এপ্রিল) এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা এমন তথ্য দিয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ এবং সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রফেসর আলী রীয়াজ ও ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল
তারা জানান, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা অব্যাহত আছে। শনিবার পর্যন্ত মোট ৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে।
তারা আরও জানান, সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন।
৫ দিন আগে
মোদি-ইউনূসের বৈঠক হতে পারে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হতে পারে। বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছি। এ ক্ষেত্রে আশাবাদী থাকতে আমাদের কাছে সঙ্গত কারণ আছে। বৈঠকটি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম মজুমদার এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
যদি তা-ই হয়, তাহলে এটি হবে মোদি-ইউনূসের প্রথম সরাসরি কোনো বৈঠক। বৈঠকে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন ড. ইউনূস।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর গেল বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরআগে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদি-ইউনূসের বৈঠকের আয়োজনে কূটনৈতিকভাবে ভারতের কাছে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।
আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ঢাকায় বিমসটেকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ২৬তম সম্মেলনের আয়োজন করবে।আরও পড়ুন: বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন বলন, ‘মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হলে দুই দেশের সম্পর্ক ঘিরে যে টানাপোড়েন চলছে, তা কেটে যাবে।’
এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি। এতে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাওয়া হয়েছে। মোদি বলেন, ‘দুদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখার প্রকাশিত বার্তায় এমন তথ্য জানা গেছে। পবিত্র রমজান মাস যখন শেষ হয়ে আসছিল, তখন সেই সময়টিকে ড. ইউনূসকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে কাজে লাগান মোদি।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) একটি আঞ্চলিক জোট। ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকে এই জোট গঠন করা হয়।
বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্য সম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরও অনেকগুলো ক্ষেত্র বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে জড়িত।
খলিলুর রহমান বলেন, ‘এবারের সম্মেলনের শেষের দিন বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যানের পদ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গ্রহণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে বিমসটেকের পরিচালনার একটা প্রধান ভূমিকা পালন করবে।’
১৫ দিন আগে
স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম
ভবিষ্যতে সরকারগুলো যাতে কোনো অজুহাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই স্টারলিংককে বাংলাদেশে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন কথা বলেন। স্যাটেলাইনভিত্তিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের মালিক মার্কিন ধনকুবের ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগ ডিওজিই’রও প্রধান তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সরকারি খরচ কমাতে এই বিভাগটি চালু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।আরও পড়ুন: দেশে স্টারলিংক আনতে মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ড. ইউনূস
শফিকুল আলম বলেন, ‘গেল ১৬ বছরের শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্র। বড় ধরনের প্রতিবাদ কিংবা বিরোধী দলীয় বিক্ষোভকারীদের ওপর ধরপাকড় চালাতে স্বৈরাচার ও একনায়কদের পছন্দের হাতিয়ার হচ্ছে ইন্টারনেট শাটডাউন।’
‘এতে দেশের হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সারকে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। তাদের কেউ কেউ চিরতরে কাজ হারিয়ে ফেলেন,’ বলেন এই প্রেস সচিব।
তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশে স্টারলিংকের আসার অর্থ হচ্ছে, ভবিষ্যতে কোনো সরকার ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারবে না। অন্তত নতুন কোনো ইন্টারনেট বন্ধের চেষ্টার আঘাত বিপিও ফার্ম, কল সেন্টার ও ফ্রিল্যান্সারদের ওপর আসবে না।’
এরআগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্বেষণের পাশাপাশি বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করা হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু করতে ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূস।আরও পড়ুন: স্টারলিংকের ২৩ ইন্টারনেট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন এই ধনকুবেরকে চিঠি দেন তিনি। এতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের যৌথ ভিশন বাস্তবায়নে চলুন আমরা একসাথে কাজ করি। বাংলাদেশে স্টারলিংকের সংযোগ দেওয়া হলে তরুণ উদ্যোক্তা, গ্রামীণ অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ নারী এবং প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ওপর যুগান্তকারী প্রভাব পড়বে।’
প্রযুক্তি খাতের ব্যক্তিরা বলছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে। ফলে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে যাবে। গ্রামে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংসহ ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ করতে পারবেন তরুণেরা। দুর্যোগের পর দ্রুত যোগাযোগ প্রতিস্থাপনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে স্টারলিংক।
৫১ দিন আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শনিবার
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে কথা বক্তব্য রাখবেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।আরও পড়ুন:দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
কমিশনের সদস্য সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বৈঠকে অংশ নেবেন।
এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে।
এই কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
৬২ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য এই কমিশন গঠন করে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ শুরু করবে। কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে।
এই কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
৬৩ দিন আগে
হত্যাকাণ্ডের সুবিচার হতে হবে, অবিচার যেন না হয়: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ড ও গুম-খুনের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জুলাইয়ে শহীদ পরিবার ও আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে। আমরা যদি অবিচারে নামি তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাতটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামবো না।’
আরও পড়ুন: সম্পত্তিতে হামলা চালালে ফ্যাসিবাদীরা আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের সুযোগ পাবে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, যারা অপরাধী তাদের আমরা পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেসকল মানুষ অপরাধী নয়, তাদের মানুষ বানাবো। তাদের বলব, ‘ভাই, এ দেশটি আমরা একসঙ্গে গড়ি, এই দেশ আমরা একসঙ্গে গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তোমরাও সে স্বপ্ন দেখ। এদেশ আমার একার না, তোমারও এ দেশ। তুমি এদেশের সন্তান। আমিও এ দেশের সন্তান। তুমি আমাকে বহু কষ্ট দিয়েছে। আমি তোমারে কষ্ট দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’
৬৬ দিন আগে
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে ৪ সংস্কার কমিশন
সংস্কারের জন্য গঠিত চারটি কমিশন আগামীকাল (বুধবার) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, বুধবার রাজধানীর তেজগাঁয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন চারটি কমিশনের সদস্যরা। হস্তান্তরের পর রিপোর্ট নিয়ে একটু আলাপ হবে, পুরো জিনিসটি তারা বলবেন কী কী পাওয়া গেছে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আশা করছি এই মিটিং হবে।
তিনি বলেন, ‘এরপর দুপুর ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানাবেন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা; তারা পুরো জিনিসটি ব্রিফ করবেন। তবে আমরা এখনও জানি না কারা (ব্রিফিংয়ে) আসবেন।’
এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বর্ধিত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছয় সংস্কার কমিশনের মধ্যে পাঁচটি কমিশন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কল্যাণেই ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও স্বাস্থ্যকর জায়াগায় নিতে হবে: প্রেস সচিব
এই ছয়টি কমিশন হলো— ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগী সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
৯৩ দিন আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
একইসঙ্গে ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ডও অবমুক্ত করেছেন তিনি।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এগুলো অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
১২৩ দিন আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে দেশের কৃতি সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আগামীকাল
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে যায়।
বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ ও শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যায় তারা। পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে নিয়ে গণহারে হত্যা করে তাদের।
এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১২৪ দিন আগে
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি প্রবর্তিত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি দিবস আজ।
ড. ইউনূস তার বাণীতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ: অধ্যাপক ইউনূস
গাজায় নিরীহ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের রক্ষায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
যেহেতু আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামতে ইসরায়েলের দখলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জবাবদিহির আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনুস।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য ন্যায্য সংগ্রামকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পের সঙ্গে অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন অধ্যাপক ইউনূস’
১৪২ দিন আগে