বিবিএস
অক্টোবরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে
বাংলাদেশে সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার চলতি বছরের অক্টোবরে বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে অক্টোবরে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ: সালেহউদ্দিন
২ সপ্তাহ আগে
আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে ১.১৭ শতাংশ: বিবিএস
গত জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আগস্টে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
এছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ে এই খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা আগস্টে কিছুটা বেড়ে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্ক অতিক্রম করে। ওই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা জুনে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
একইভাবে জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এরপর থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ অতিক্রম করেনি।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
১ মাস আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রকাশিত এই প্রান্তিক(ত্রৈমাসিক) জিডিপির হালনাগাদটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়ার শর্তের অংশ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে(জানুয়ারি-মার্চ) একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ছিল ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং একই অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোর পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশ ব্যাংককে আইএমএফের পরামর্শ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের সঙ্গে গত বছরের একই সময়ের তুলনা করলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাওয়া যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ২ দশমিক ৩০ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে, শিল্প, পরিষেবা এবং কৃষি- সমস্ত প্রধান খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ হয়েছে । জানুয়ারি-মার্চের সময়ে স্থির মূল্যে জিডিপিতে যোগ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস, জিডিপি ৬.৭৫% ও মুদ্রাস্ফীতি ৬% নির্ধারণ
৪ মাস আগে
মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার: বিবিএস
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।
সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিদ্যমান প্রবণতা থেকে এই তথ্য প্রস্তুত করেছে বিবিএস।
আরও পড়ুন: বিবিএস জরিপ: মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ বছরে
বিবিএস বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে অস্থায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশে, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বর্তমানে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে স্থানীয় মুদ্রায় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.০৭%: বিবিএস
৬ মাস আগে
বিবিএস কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেজ (এনএইচডি) প্রকল্পের নামে করা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে করা আবেদন ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়ন জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এ বিষয়ে রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী আবু জাফর শেখ মানিক বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল হাউজ হোল্ড ডাটাবেজ (এনএইচডি) প্রকল্পে পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে দুদকে দায়ের করা আবেদন আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুদকের চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এনএইচডি বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো একটি প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের জন্য ৫৪৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগকৃত জনবলকে দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে উপজেলা ও জেলা পরিসংখ্যান অফিসগুলোতে সংযুক্ত করা হয়
২০২২ সালের জুন মাসে জেরক্স ইন্ডিয়া কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয় তাদের। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান ১৪টি জেলার তথ্য আংশিক সংশোধন ও ৫০টি জেলার ডাটা অসমাপ্ত রেখে প্রকল্পের ১১২ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৬২২ টাকা উত্তোলন করে নেয়।
এ প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৭২৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ বাবদ ছিল ৬৮৬ কোটি ৮০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। আর সরকারের পক্ষ থেকে ছিল ৪০ কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ৫৪৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে মাসিক বেতন-ভাতাদি উপরোক্ত কর্মকর্তারা প্রদান না করে এবং প্রজেক্টের টিপিপির সুপারিশ অনুযায়ী তাদের রেভিনিউ খাতে নিয়োগ না দিয়ে সরকারি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ভুক্তভোগী ৭৩ জন প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন।
এছাড়া, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা চেয়ে দুদকের কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনে দুদকের সাড়া না পেয়ে ১৩ মে হাইকোর্টের রিট করেন ৭৩ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারদের বেতন-সুবিধা সংক্রান্ত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়: প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বিবিএস জরিপ: মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ বছরে
এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে গড় আয়ু ও জন্মহার কমে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
রবিবার বিবিএসের 'বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩' শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছরে, যা ২০২২ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৪ বছর।
এ ছাড়া এক বছরের ব্যবধানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও কমেছে। ২০২৩ সালে জনসংখ্যার সাধারণ বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ছিল। এর আগে ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বিবিএসের জরিপে জানা গেছে, মৃত্যুর শীর্ষ ১০টি কারণের মধ্যে মৃত্যুর প্রথম কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১.০২৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু ০.৬৪ শতাংশ।
পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪.২ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৮.৪ বছর।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.০৭%: বিবিএস
অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ক্ষেত্রে, গ্রামীণ আগমনের হার প্রতি হাজারে ২০.৪ জন এবং শহুরে আগমনের হার ৪৩.৪ জন।
এছাড়া শিক্ষা, কাজ বা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালে ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
২০২৩ সালে ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশে। তবে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ২০২২ সালের ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় এ হার কিছুটা বেড়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৫০.১ শতাংশ।
২০২৩ সালে লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা কমে ৯৬.৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩.৭৩ শতাংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১৭৯ জন। ২০২৩ সালে প্রতি হাজার জনসংখ্যায় মোট জন্মহার ছিল ১৯.৪, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯.৮।
আরও পড়ুন: বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
২০২৩ সালে প্রতি হাজারে স্থূলতায় মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ১, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩৩ জন এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখে জীবিত শিশু জন্মদানে ১৩৬, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন।
২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিছুটা কমে ২০২৩ সালে ৬২.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২২ সালে ছিল ৬৩.৩ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালে ছিল ১৬.৬২ শতাংশ।
২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও পরিবারের আকার অপরিবর্তিত ছিল ৪.২ শতাংশে। তবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী পরিবারের প্রধানের হার বেড়েছে। ২০২২ সালে ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশে। অন্যদিকে ২০২২ সালে পুরুষ পরিবারের প্রধান ছিল ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২৩ সালে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
৭ মাস আগে
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারেরে উদ্যোগ সত্ত্বেও চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আর আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ী- গত দুই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় মূল্যস্ফীতি আগস্টে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্টে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাইয়ে তা ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তবে জুলাই মাসে সামগ্রিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ হলেও আগস্টে তা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ ছাড়াও গ্রামীণ অঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ মানে- একজন ব্যক্তি যিনি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ১০০ টাকায় পণ্য ও পরিষেবা কিনতেন। যা চলতি বছরের আগস্টে একই পণ্য কিনতে খরচ হয়েছে ১০৯ দশমিক ৯২ টাকা।
বিশ্লেষকরা বলেন, এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ টাকা। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি একটি করের মতো যা ধনী-গরিব সবার কাছেই সমান বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি আগস্টে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
১ বছর আগে
জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
জুন মাসে মাসিক মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মে মাসে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে বেড়েছে, যেখানে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতি জুনে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিল। গ্রামীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯.৩২ শতাংশ থেকে জুনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৫ শতাংশে।
শহরে সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে জুনে ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি (মে) ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে জুনে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) ওপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতির হার একটি নির্দিষ্ট সেটের চূড়ান্ত পণ্য এবং পরিষেবার মূল্যের গড় পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে, যা গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বাজারের ঝুড়িকে প্রতিনিধিত্ব করে।
সিপিআই রিলিজ জনসংখ্যার তিনটি গোষ্ঠীকে জাতীয়, শহুরে ও গ্রামীণ হিসেবে উপস্থাপন করে। এপ্রিল ২০২৩ থেকে বিবিএস দ্বারা সিপিআই সংকলনের আধুনিকীকরণ মূলত আইএমএফ-এর সর্বশেষ ২০২০ সিপিআই ম্যানুয়াল অনুসরণ করে বাংলাদেশে সিপিআই সংকলনের একটি দৃষ্টান্ত পরিবর্তন।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা: বিবিএস জরিপ
ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
১ বছর আগে
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) দেওয়া শর্তাবলী বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস কার্যালয়ে বিবিএসের সঙ্গে এক বৈঠকে আইএমএফ দল এ সন্তোষ প্রকাশ করে।
বৈঠকে আইএমএফ গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতি (ভোক্তা মূল্য সূচক), জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) এবং ত্রৈমাসিক জিডিপি সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য জানতে চায়।
বৈঠকে এসব বিষয়ে আইএমএফকে অবহিত করেছে বিবিএস।
সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিক তথ্যও চেয়েছে।
বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ মুদ্রাস্ফীতির নতুন পদ্ধতিতে যাওয়ার অগ্রগতি জানতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি গণনা করি তা আর এভাবে করা হয় না, এটি পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ দেশ আইএমএফের মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহার করে মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপ করে, বাংলাদেশ নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করবে।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
নতুন মূল্যস্ফীতিতে খাদ্যপণ্যের দাম হবে ১৫৩টির পরিবর্তে ২৬৩টি। পণ্য ৭২০টি। তারা (আইএমএফ দল) বিষয়টির অগ্রগতি জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান বিবিএস মহাপরিচালক ।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই তাদের জিডিপি পরিসংখ্যান ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বছরে একবার করে। নিম্নমুখী হলে প্রকৃত জিডিপি প্রকাশ করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় নেওয়ার উদাহরণও রয়েছে দেশে। আবার বিবিএসের যে কাজগুলো করার কথা তা অনেক সময় অর্থ মন্ত্রণালয় করে থাকে।
ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রসঙ্গে মতিয়ার বলেন, সরকার বছরে চারবার জিডিপির তথ্য প্রকাশ করবে। তবে এটি ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছর থেকে শুরু হবে। তথ্য-উপাত্তের কাজ এগিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ: আইএমএফের এমডিকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত শ্রমশক্তির ওপর করা এক জরিপে বলা হয়েছে, চলতি বছরের (২০২৩) প্রথম প্রান্তিকে বেকার মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়ে মোট ২৫ লাখ ৯০ হাজার হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিবিএস।
বিবিএসের মতে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার লোক বেকার ছিল, যেখানে আগের বছরের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেষ প্রান্তিকে এই সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, শীতকালে বিশেষ করে কৃষি খাতে চাকরির সুযোগ কম থাকে। এখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় কাজের সুযোগ বেড়েছে।
ফলে আবারও বেকারের সংখ্যা কমবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা: বিবিএস জরিপ
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ অনুসারে, দেশে মোট বেকার লোকের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার।
জরিপের তথ্যে জানা গেছে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মহিলাদের মধ্যে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
শ্রম বাহিনী সমীক্ষা ২০২৩ অনুসারে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে নিযুক্ত মোট জনসংখ্যা ৭ কোটি ৩৬ লাখ এবং কর্মরত জনসংখ্যা বর্তমানে ৭ কোটি ১১ লাখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রমশক্তির বাইরে জনসংখ্যা ৪ কোটি ৬২ লাখ এবং শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার ৬১ দশমিক ৩৭।
এতে বলা হয়েছে, কৃষি খাতে ৩ কোটি ১৯ লাখ মানুষ, শিল্প খাতে ১ কোটি ২২ লাখ এবং সেবা খাতে ২ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ নিয়োজিত রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের যুব শ্রমশক্তি খাতে রয়েছে ২ কোটি ৭৩ লাখ।
মোট কর্মসংস্থান জনসংখ্যা ৭ কোটি ৩৬ লাখ, যা দেশের মোট শ্রমশক্তির ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বিবিএস-এর মতে, বেকার জনসংখ্যা বলতে মূলত যারা গত সাত দিনে অন্তত এক ঘণ্টা কাজ করেননি, কিন্তু গত সাত দিনে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং মজুরির জন্য কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.৪৮ শতাংশ: বিবিএস
১ বছর আগে