উদ্বোধন
আগামী ১ ডিসেম্বর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন
ঢাকা-বুড়িমারী রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বলে সোমবার (২০ নভেম্বর) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পর্যটক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজনের চলাচল সহজ করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন সার্ভিস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতোমধ্যে দুই দফায় ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের পাঁচটি বগি রবিবার ও সোমবার লালমনিরহাটে পৌঁছেছে।
লালমনিরহাটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর পাটগ্রাম জসিম উদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালুর অঙ্গীকার করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, লালমনিরহাট থেকে একটি ট্রেন ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ জেলায় চলাচল করলেও তা বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
জেলার চার উপজেলার বাসিন্দা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াতকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন সেবা থেকে বঞ্চিত। ফলে তাদের যোগাযোগের জন্য বাসের ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার চট্টগ্রামে উম্মোচন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
বুড়িমারী চিলার বাজারের বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু হলে মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে।
নিয়মিত ভারতে যাতায়াতকারী সুমন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অনেক পাসপোর্টধারী ও ব্যবসায়ী এই রুটটি ব্যবহার করেন এবং ট্রেন সার্ভিস দুই দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
লালমনিরহাট রেলওয়ের সহকারী কমার্শিয়াল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইতোমধ্যে ট্রেনের পাঁচটি বগি লালমনিরহাট স্টেশনে পৌঁছেছে এবং বাকিগুলো শিগগিরই চলে আসবে।
বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসে ককটেল হামলা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বিআরটিসির বাস
মঙ্গলবার ২০২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সারাদেশে ২ হাজার ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে এগুলো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নির্মাণ সম্পন্ন করা ২ হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়, কক্সবাজারস্থ ১০ তলা বিশিষ্ট লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার এবং ৪টি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) নবনির্মিত মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আমরা যা গড়ি বিএনপি ও তাদের মিত্ররা তা ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী
নবনির্মিত স্থাপনাগুলোর তথ্যাদি ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা হলো-
২ হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কিত তথ্য:
প্রায় ১ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিদ্যালয়গুলোতে ৬ লাখ শিক্ষার্থী নতুন ও আকর্ষণীয় শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের সুবিধা পাবে।
এছাড়া, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজন নবনির্মিত এ বিদ্যালয়সমূহের সুবিধা পাবেন।
নবনির্মিত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য জেন্ডারের ভিত্তিতে পৃথক ওয়াশ ব্লক ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় ভবন সম্পর্কিত তথ্য-
প্রায় ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট ভবন নির্মিত হয়েছে; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে ৪ লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সেবা দেওয়া সম্ভব হবে; বেইজমেন্ট ও ক্যাম্পাসে ৪৪টি গাড়ি রাখার সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
কক্সবাজারস্থ লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার ভবন সম্পর্কিত তথ্য:
প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলা আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মিত হয়েছে। নবনির্মিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চাহিদাভিত্তিক, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে; প্রতি ভবনে ১৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীর (৮০ জন পুরুষ ও ৮০ জন নারী) আবাসনের সুব্যবস্থাসহ প্রশিক্ষণের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
৪টি পিটিআই এ মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম নির্মাণ (সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও যশোর) সম্পর্কিত তথ্য-
প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি পিটিআই এ আধুনিক মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৫০ আসনবিশিষ্ট প্রতিটি অডিটোরিয়ামে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণসহ শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদি আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক পিটিআই এ প্রতি বছর ২ শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। এ ছাড়াও, সেখানে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্নিসংযোগ সহিংসতা কাটিয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
নরসিংদীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার(১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এটির উদ্বোধন করবেন তিনি।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
২০২০ সালের ১০ মার্চ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করছে চীনা কোম্পানি সিসি৭ সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই শেষ হয়েছে। ১১০ একর জমির ওপর নির্মিত এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এই প্ল্যান্টের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১ মিলিয়ন টন। যা গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতে, এই প্ল্যান্টটি আমদানি করা সারের উপর দেশের নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন সবার কাছে দৃশ্যমান: শেখ হাসিনা
সার কারখানাটি চালু হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে উদ্বোধনস্থল ও আশপাশের এলাকায় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানস্থল ও নরসিংদী শহরে জনসমাগমের পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। এই ইভেন্টটি এই অঞ্চলের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করে এবং সার উৎপাদনে দেশের স্বনির্ভরতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: অসম্পূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: শেখ হাসিনা
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্কে আরেকটি মাইলফলক বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথ (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার) উন্মোচনের করায় দক্ষিণাঞ্চল উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী পতাকা উড়িয়ে ট্রেনেরে যাত্রা শুরু করেন এবং কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কক্সবাজার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। আমি রেললাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটি এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেই দাবি আজ পূরণ হয়েছে। আজ গর্ব অনুভবের দিন।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান এবং স্থানীয় শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মেগা রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
নতুন রেললাইনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আগামী মাসে শুরু হবে।
ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে (টিএআর) নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে এটি মিয়ানমার এবং এর বাইরেও যোগাযোগ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
রেললাইনটি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু ও উখিয়া উপজেলাসহ ৮টি উপজেলা অতিক্রম করবে।
লাইনটি দোহাজারী গ্রাম থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলবে। প্রথম ২৯ কিলোমিটার অংশ চট্টগ্রাম জেলার সমতল, উন্মুক্ত ভূমিজুড়ে এবং পরবর্তী ৩৩ কিলোমিটার কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কৃষিজমি ও বনভূমির মধ্য দিয়ে যাবে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে রেললাইনটি মিয়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি মাতারবাড়ী দ্বীপে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। সম্প্রসারিত অংশে দু’টি স্টেশন থাকবে- উখিয়া ও ঘুমধুম।
এতে থাকবে ৯টি কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম ও ৯টি ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম।
সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট, সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় একটি ফ্লাইওভার, ১৪৪ টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দু’টি মহাসড়ক ক্রসিং।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথের (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত) উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি ট্রেনেরও উদ্বোধন করবেন।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও গুমদুমে নয়টি স্টেশন রয়েছে।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত হওয়ায় এটি একটি আইকনিক স্টেশন। এতে পাওয়া যাবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রয়েছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
রাজধানীতে 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরে রাজধানীর বিজয় সরণিতে নির্মিত 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন।
'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' এর মাঝখানে বঙ্গবন্ধুর একটি বিশাল ভাস্কর্য ৭ দেওয়ালের ম্যুরালসহ স্থাপন করা হয়েছে।
ম্যুরালে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে 'মৃত্যুঞ্জয়' নামে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি প্রদর্শিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার এই ভাস্কর্যটি নিছক একটি ভাস্কর্য নয়, এটি একটি ইতিহাস। আমাদের দেশকে জানার জন্য এটি একটি ইতিহাস।’
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে জাতির পিতার নেতৃত্ব ও অবদান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত এই প্রাঙ্গণের দেয়ালে চিত্রিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' ঘুরে দেখেন এবং পরে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন ১১ নভেম্বর
আগামী ১১ নভেম্বর (শনিবার) মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য তারা প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিভিত্তিক অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট (৬০০ মেগাওয়াট) চলতি বছরের ২৯ জুলাই জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'এখন প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটটি সংযুক্ত করা হচ্ছে।’
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১ হাজার ৪১৪ একর জমির ওপর রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) দুটি ইউনিট বিশিষ্ট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করেছে।
জাইকা এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের সুবিধার্থে একটি গভীর সমুদ্র বন্দরও নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে কয়লা খালাসের জন্য জেটির কাজ প্রায় শেষ। জেটিতে জাহাজও চলাচল শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি গভীর সমুদ্র বন্দরও উদ্বোধন করবেন।
পূর্ণ সক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন ১৩ হাজার ১০৪ টন কয়লার প্রয়োজন হবে। এর জন্য কয়লা সরবরাহ জেটি এবং সাইলো (বিশাল সিলিন্ডার) নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ি চ্যানেলে টাগশীপ ডুবি, চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার
৬০ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা বিশাল সাইলোতে রাখা হয়েছে। ৮০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বৃহৎ জাহাজ সরাসরি কয়লা জেটিতে প্রবেশ করতে পারে। আর বৃহৎ জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই দিন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫ বছর আজীবন ছাই সংরক্ষণের জন্য দুটি পৃথক অ্যাশপন্ড রাখা হয়। একটির আয়তন ৯০ একর, অন্যটির আয়তন ৬০০ একর। কয়লা সংরক্ষণের জন্য ৮০ একর জমিতে কয়লা ইয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে এ প্রকল্পের জন্য একটি ঋণ চুক্তি সই হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার সহায়তা রয়েছে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে জেটি নির্মাণ ও ভৌত অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে।
সিপিজিসিএলের কর্মকর্তারা জানান, পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৬৪ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ প্রথম আসে চলতি বছরের ২৩ জুন।
আরও পড়ুন: খরচ বেড়েছে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের
ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানার উদ্বোধন ১২ নভেম্বর
আগামী ১২ নভেম্বর নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে কারখানা প্রাঙ্গণে শনিবার (৪ নভেম্বর) সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার আমদানির উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে। কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাড়বে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আলম।
২০১৮ সালের অক্টোবরে নরসিংদী জেলায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গত ২১ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
এর বার্ষিক সার উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ লাখ টন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দেশের অভ্যন্তরীণ ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটাতে এবং সুলভমূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এটি ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন হলে দৈনিক ২৮০০ টন (বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার টন) গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম এই সার কারখানা দেশে ইউরিয়া সারের স্বল্পতা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরু্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের বিভিন্ন প্ল্যান্টের কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট, ইউরিয়া প্ল্যান্ট ও ইউটিলিটি দৃশ্যমান।
এছাড়া, পিডিবি থেকে পাওয়ার রিসিভিং, ইমাজেন্সি ডিজেল জেনারেটরের লোড টেন্ট সম্পন্ন হয়েছে, কুলিং ওয়াটার সিস্টেমে ওয়াটার ফ্ল্যাশিং ও কেমিক্যাল ক্লিনিং, নাইট্রোজেন ইউনিটের ইন্সট্রুমেন্ট এয়ার কম্প্রেসারের প্রি-কমিশনিং এবং কমিশনিং কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল সেবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এই অংশের কার্যক্রম উপলক্ষে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এর ফলে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সেবা চালু হবে।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আজ মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক আজ প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ৩টি স্টেশন- ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিলে মেট্রোরেল ৪ ঘণ্টা চলবে। বাকি স্টেশনগুলো পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তিনি এমআরটি নর্দার্ন রুটের নির্মাণ কাজও উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকার আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন যাত্রীরা।
ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৭টি স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীরা মাত্র ৩৮ মিনিটে যাতায়াত করতে পারবেন।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্পটিকে সহায়তা করার জন্য ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার অবশিষ্ট অর্থ প্রদান করেছে।
প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।
আরও পড়ুন: ফের পেছাল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী আজ মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন
আজ (শনিবার) মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন এবং মেট্রোরেলে মতিঝিল যাবেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক আজ প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ৩টি স্টেশন- ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিলে মেট্রোরেল ৪ ঘণ্টা চলবে। বাকি স্টেশনগুলো পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তিনি এমআরটি নর্দার্ন রুটের নির্মাণ কাজও উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন ৪ নভেম্বর, বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল
৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকার আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন যাত্রীরা।
ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৭টি স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীরা মাত্র ৩৮ মিনিটে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার