উদ্বোধন
একুশের টান প্রজন্মের ঊর্ধ্বে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা
একুশের টান বয়স, প্রজন্মের ঊর্ধ্বে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘একুশের টান প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিস্তৃত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই টান গভীরতর হয়েছে, আমাদের দুঃসাহসী করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ।’
তিনি বলেছেন, ‘দুঃস্বপ্নের বাংলাদেশকে ছাত্র-জনতা নতুন বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তারা অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। আমাদের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী রাস্তার দেওয়ালে দেওয়ালে তাদের স্বপ্ন, আকাঙক্ষা ও দাবিগুলো অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় এঁকে দিয়েছে। আমাদের রাস্তার দেওয়াল এখন ঐতিহাসিক দলিলে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। এগুলোর স্থান এখন আমাদের বুকের মধ্যে ও জাদুঘরে হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আমার শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতির ঘাড়ে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চেপে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। আমাদের সাহসী তরুণদের এই অভূতপূর্ব আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এই বিজয়ের মাধ্যমে এসেছে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার ইস্পাত-কঠোর প্রতিজ্ঞা।’
এ সময় জুলাইয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে যে সকল দুঃসাহসী ছাত্র-জনতা-শ্রমিক প্ৰাণ দিয়েছেন ও আহত হয়েছেন তাদের সবাইকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। বলেন, ‘মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত অভ্যুত্থান এবারের বইমেলা নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং তার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘বরাবরই একুশে মানে জেগে উঠা। একুশে মানে আত্মপরিচয়ের মুখোমুখি হওয়া। একুশে মানে অবিরাম সংগ্রাম। নিজের পরিধিকে আরও অনেক বাড়িয়ে নেওয়া। এবারের একুশের পরিপ্রেক্ষিত আমাদের নতুন দিগন্তে প্রতিস্থাপন করেছে।’
‘বরকত, সালাম, রফিক, জাব্বারের বুকের রক্তে যে অঙ্গীকার মাখা ছিল তাতে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানকে নিশ্চিত করার মহাবিস্ফোরক শক্তি। অর্ধশতাব্দী পর এই মহবিস্ফোরণ গণঅভ্যুত্থান হয়ে দেশ পাল্টে দিল। এই বিস্ফোরণ আমাদের মধ্যে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় গ্রোথিত করে দিয়ে গেল। ১৭ কোটি মানুষের প্রতিজনের সত্তায় এই প্রত্যয় গভীরভাবে গ্রোথিত। অমর একুশের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা এই প্রত্যয়ে শপথ নিতে এসেছি।’
আরও পড়ুন: বইমেলা উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে যান চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল
তিনি বলেন, ‘একুশ আমাদের মূল সত্তার পরিচয়। একুশ আমাদের ঐক্যের দৃঢ় বন্ধন। এই বন্ধন ছোট-বড়, যৌক্তিক-অযৌক্তিক, ক্ষণস্থায়ী-দীর্ঘস্থায়ী সকল দূরত্বের ঊর্ধ্বে। এজন্য সকল প্রকার জাতীয় উৎসবে, সংকটে, দুর্যোগে আমরা শহিদ মিনারে ছুটে যাই। সেখানে আমরা স্বস্তি পাই; শান্তি পাই, সমাধান পাই; সাময়িকভাবে অদৃশ্য ঐক্যকে আবার খুঁজে পাই।’
‘২১ আমাদের মানসকে এভাবে তৈরি করে দিয়েছে। একুশ আমাদের পথ দেখায়। একুশ আমাদের জাগিয়ে তোলে। মাত্র ছয় মাস আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান জাতিকে এক ঐতিহাসিক গভীরতায় ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছে, যার কারণে আমরা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও মানবিক দিক থেকে বিধ্বস্ত এক দেশকে দ্রুততম গতিতে আবার উদ্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহস খুঁজে পেয়েছি।’
৪৩ দিন আগে
ঢাকা টাউন অফিস উদ্বোধন করল থাই এয়ারওয়েজ
বাংলাদেশে গ্রাহক পরিষেবা বাড়াতে ঢাকা টাউন অফিস উদ্বোধন করেছে থাই এয়ারওয়েজ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গুলশানে নিজেদের কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিত্র।
সুমিত্র বলেন, ‘থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার হিসেবে থাই এয়ারওয়েজ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
উইট কিচাথর্ন বাংলাদেশি বাজারের প্রতি থাই এয়ারওয়েজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ও থাই এয়ারওয়েজ বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য বিশ্বমানের পরিষেবা এবং বর্ধিত সংযোগ প্রদানের জন্য নিবেদিত রয়েছে, যা এই অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে তার অবস্থানকে দৃঢ় করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন থাই এয়ারওয়েজের সেলস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইট কিচাথর্ন ও ওয়েস্টার্ন, মিডল ইস্ট ও বাংলাদেশের টিম লিড নারিনটর্ন সুক্কাসেম, থাই এয়ারওয়েজের প্যাসেঞ্জার জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) এয়ার গ্যালাক্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ।
এয়ার গ্যালাক্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ‘নতুন অফিসের লক্ষ্য গ্রাহক পরিষেবা বাড়ানো।’
থাই এয়ারওয়েজ ঢাকায় এই নতুন টাউন অফিস ছাড়াও চট্টগ্রাম ও সিলেটে শাখা অফিসে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এয়ারলাইন্সটি ঢাকা-ব্যাংকক রুটে দুটি দৈনিক ফ্লাইট পরিচালনা করে-টিজি ৩২২, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে এবং আরেকটি টিজি ৩২২ দুপুর ২টায় ছেড়ে যায়।
বর্তমানে থাই এয়ারওয়েজ ব্যাংকক, ফুকেট, চিয়াং মাই, ক্রাবি, সিডনি, সিওল, কুয়ালালামপুর, তাইপেই, টোকিও (হানেদা এবং নারিতা) ওসাকা, ম্যানিলা এবং হংকংসহ আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলির বিস্তৃত বিন্যাসে বিরামবিহীন সংযোগ সরবরাহ করে। প্রিমিয়াম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে, দিনের বেলার ফ্লাইটটি এয়ারবাস এ ৩৩০-৩০০ ব্যবহার করে, যার মধ্যে ৩১টি বিজনেস ক্লাস ও ২৬৩ ইকোনমি ক্লাস আসন রয়েছে।
ভোরের ফ্লাইটটি একটি এয়ারবাস এ ৩২০ দ্বারা পরিচালিত হয় যা একটি সর্ব-সাশ্রয়ী আসন বিন্যাসসহ।
৪৮ দিন আগে
বাণিজ্য মেলা শুরু কাল, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫’ শুরু হচ্ছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ১০টায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বাণিজ্য উপদেষ্টার উপস্থিতিতে বাণিজ্য মেলায় যাত্রী পরিবহনে বিশেষ ছাড় দিতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অ্যাপ-ভিত্তিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উবারের মধ্যে এমওইউ সই হয়। পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় প্রবেশের ই-টিকিটিং অ্যাপের উদ্বোধন করেন।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল/প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস। মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘ছত্রিশ চত্বর’। দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।
মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর/পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার।
এছাড়া শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্কও।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
চতুর্থবারের মতো বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পূর্বাচল বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে। মেলার লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন/স্টল/রেস্টুরেন্ট দেশীয় উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শতভাগ স্বচ্ছতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশিয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিকেল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল, টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শণ ও বিক্রয় হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও ৭টি দেশের মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্থান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া।
এক্সিবিশন সেন্টারের দক্ষিণ-পূর্ব পার্শ্বে জুলাই চত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে কালচারাল সেন্টার, টেকনোলজি কর্নার, রিক্রিয়েশন কর্নার এবং সেন্টারের উত্তর-পূর্ব (৬ একর) পার্শ্বে শিশু পার্ক ও উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে ছত্রিশ চত্বর ও নামাজ ঘর স্থাপন করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রাঙ্গণের বাইরে ও নিয়মিত টহল দল থাকবে। নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বিবেচনায় মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশ গেইট, পার্কিং এরিয়া এবং সংশ্লিষ্ট সকল এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এবারের মেলায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে।
এক্সিবিশন হলে পুরুষ ও নারীদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আলাদা টয়লেটের পাশাপাশি এক্সিবিশন হলের বাইরেও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় খাদ্য দ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গঠিত টিম মেলা চলাকালীন প্রতিদিন ভেজাল বিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও পেশেন্ট কেয়ার এটেনডেন্ট উপস্থিত থেকে ফ্রি প্রাথমিক চিকিৎসা ও চিকিৎসা পরামর্শ দেবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
মেলার থাকবে পর্যাপ্ত কার পার্কিংয়ের সুবিধা। ৫ শতাধিক গাড়ি পার্কিং সুবিধা সংবলিত দ্বিতল কার পার্কিং বিল্ডিং ছাড়াও এক্সিবিশন হলের বাইরে ৬ একর জমিতে পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মেলায় স্থাপন করা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম ও দর্শনার্থীদের সকল প্রকার তথ্য প্রদানের জন্য একটি তথ্য কেন্দ্র। ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য মেলায় থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক ব্যাংক বুথ। মা ও শিশুদের জন্য মেলায় থাকবে মা ও শিশু কেন্দ্র। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক ও শোভন চেয়ার/বেঞ্চ, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে (সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা)।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, রপ্তাণি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
৭৫ দিন আগে
দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন আজ
দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মৌসুমের আজ উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর বয়লারে স্লো-ফায়ারিং শেষ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলে ২০২৪-২০২৫ আখ মাড়াই মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাশে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাব্বিক হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধের পরিকল্পনার প্রতিবাদে কেরু চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানান, চিনিকলের লোকসান কমাতে এবং লাভজনক করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আখ রোপণ ও কৃষকদের সুযোগ-সুবিধার দিকে বেশী নজর দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের আখচাষে উদ্বুদ্ধ করতে সভা-সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আখ কাটার ক্ষেত্রে দা বা হাসুয়া ব্যবহার না করে কোদালের মাধ্যমে করলে বেশী ফলন ও মুনাফা অর্জন সম্ভব। তাই সকল কৃষককে কোদালের সাহায্যে গোড়া থেকে আখ কাটার পরামর্শ দেন।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, বাংলাশে চিনি ও খাদ্য করপোরেশন ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মওসুমের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৬৫ মাড়াই দিবসে ৭০ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ২০০ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার গড় মাড়াই হার ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ মেট্রিকটন। চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। চলতি মাড়াই মৌসুমে ৫ হাজার ১০০ একর জমিতে আখচাষ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কৃষকের জমিতে ৩ হাজার ৪৫৫ একর এবং কেরুর নিজস্ব জমিতে ১ হাজার ৬৪৫ একর আখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, অর্থ সাশ্রয় ও চিনিকলের লোকসান কমাতে এবার সাশ্রয় নীতিতে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন সাদা-মাটাভাবে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরুর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অনিয়মে জর্জরিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানি
৮৭ দিন আগে
উদ্বোধনের এক বছরেও চালু হয়নি আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ
উদ্বোধনের এক বছর পার হলেও ট্রেন চলাচল চালু হয়নি আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ।
২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রেলপথে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ। কিন্তু ট্রেন চলাচল শুরু না হওয়ায় অলস পড়ে আছে।
এছাড়া দেশে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে শিগগিরই শুরু হচ্ছে না আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যও।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। আন্তঃদেশীয় এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। ২৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অংশের নির্মাণ কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে দেড় বছরের এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে ৬ বছরেরও বেশি।
রেলপথ পুরোপুরি প্রস্তুত থাকায় কয়েক দফার ট্রায়াল রান শেষে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে সেই সময় ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন, প্ল্যাটফরম এবং সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ ছিল। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে অর্ধশতাধিক পণ্য আমদানি এবং সব ধরনের পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পুরোপুরি শেষ হয়েছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ। চলতি মাসেই প্রকল্পটি সরকারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি জানান, বিভিন্ন সংকটে প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়েছে। তবে কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। ফলে এখন প্রকল্পটি সরকারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
তবে, উদ্বোধনের এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও ট্রেন চলছে না আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দিয়ে। ফলে বাণিজ্যও শুরু করা যাচ্ছে না। কবে নাগাদ ট্রেন চলবে- সে সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য নেই প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রূহি বলেন, কখন রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলবে সেটি সরকারি সিদ্ধান্ত। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাণিজ্য শুরুর বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি হস্তান্তর করলে তখন বাণিজ্য শুরুর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে এবং সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসবে।
আরও পড়ুন: আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল
১১২ দিন আগে
সুনামগঞ্জে তিন দিনব্যাপী পথনাটক উৎসব শুরু
সুনামগঞ্জে তিন দিনব্যাপী পথনাটক উৎসব-২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় সুনামগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
‘হাল ছেড় না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড় জোরে’ প্রতিপাদ্যে নিয়ে এ উৎসব চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পথনাটক উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবে গুলিবিদ্ধ থাই মিস্ত্রি রিপন মিয়া।
সাংস্কৃতিক পর্বে ‘গণজাগরণের গান’ পরিবেশন করে সিলেটের ‘রংধনু ব্যান্ড’। ‘সব মনে রাখা হবে’ (আবৃত্তি) পরিবেশনায় ‘সত্য শব্দ সংগঠন’, নাটক ‘বাউলের কথা’ পরিবেশনায় ছিল ‘বন্ধন থিয়েটার’ এবং নাটক ‘শিক্ষা’ পরিবেশন করে ‘একতা নাট্য সংস্থা’।
২২ নভেম্বরের পরিবেশনা
নাটক ‘কাউয়া সমাচার’ পরিবেশন করবে ‘কথাকলি থিয়েটার’; ‘জাগো’ নাটক পরিবেশনায় থাকবে ‘থিয়েটার একুশ’ এবং ‘কথাকলি থিয়েটার’ সংগীত পরিবেশন করবে।
২৩ নভেম্বরের পরিবেশনা
আবৃত্তি (নিমন্ত্রণ) পরিবেশন করবে আবৃত্তি দল ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি, সুনামগঞ্জ’; সংগীত পরিবেশনায় থাকবে ‘নগরনাট সিলেট’; নাটক ‘খেলাঘর’ পরিবেশন করবে ‘থিয়েটার মুরারিচাঁদ’ সিলেট এবং নগরনাট সিলেটের পরিবেশনায় দ্বি-দলীয় পালা অথবা পিঁয়াজ ও জুতার বাড়ি খাওয়ার গল্প পরিবেশিত হবে।
১১৫ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে উদ্বোধন হলো ‘কৃষকের বাজার’
কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ‘কৃষকের বাজার’ নামে একটি বাজার বসতে শুরু করেছে। এই বাজারে কোনো প্রকার ট্যাক্স ছাড়াই যে কেউ তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির সুযোগ পাবেন। এতে কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবেন।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে এই বাজার। শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে এ বাজার বসবে।
কৃষকের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সরাসরি পৌঁছে দিতে কালিবাড়ি বাজার সংলগ্ন ঠাকুরগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এই কৃষকের বাজার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে: ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক
কৃষকের বাজারে ‘মানবতার সওদাপাতি’ নামে একটি কাউন্টার রয়েছে।
বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা তাদের কেনা/মজুদ পণ্যসামগ্রী থেকে ইচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু পণ্য এই কাউন্টারে দান করতে পারবেন। এই বাজারে দুস্থ বা দরিদ্রদের বিনামূল্যে পণ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার কৃষকের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কম দামে কেনা বেচা চলছে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি। কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫ টাকা, ফুলকপি, মূলা, করলা, লাউ, পটল, বিভিন্ন প্রকার শাক বিক্রি হচ্ছে কালিবাড়ি বাজার থেকে কিছুটা কম দামে।
আরও পড়ুন: পলিথিন ব্যাগমুক্ত বাজারকে পুরস্কার দেওয়া হবে: উপদেষ্টা
১২১ দিন আগে
বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উদ্বোধন
বেনাপোল স্থলবন্দরে 'কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল'র উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় টার্মিনালের উদ্বোধন শেষে বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলো কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে রাখা হবে। একইসঙ্গে ভারতে রপ্তানিমুখি বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্র্যাকগুলো এখানে ইয়ার্ডে অবস্থান করবে। তবে ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাকের চেয়ে ভারতে রপ্তানির জন্য পণ্যবোঝাই বাংলাদেশি ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখানে অবস্থান করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোলে আটক ৬
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বন্দরের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান (অতিরিক্ত সচিব), যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেনাপোল পৌর প্রশাসক, ড. রাজীব হাসান, শার্শা উপজেলা এসিল্যান্ড (ভূমি) নুসরাত জাহান, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান প্রমুখ।
পরে বন্দর অডিটোরিয়ামে স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ গাড়ি আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আর বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য নিয়ে ১৫০ থেকে ২০০ গাড়ি প্রতিদিন ভারতের প্রবেশ করে। পণ্যবোঝাই গাড়িগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর রাখার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত বেনাপোল বন্দরে যানজটের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালটি চালু হওয়ার ফলে একসঙ্গে এই টার্মিনালে ১৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক রাখা যাবে। এর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে আসবে এবং সীমান্ত বাণিজ্য ও রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করি।
প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলি জানান, ৪১ একর জমির ওপর এই কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাললের নির্মাণ কাজটি ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতে যাত্রী চলাচল কমেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে
১২২ দিন আগে
অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনের দিনে ফ্রান্সে অগ্নিসংযোগ, দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল ব্যাহত
অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনীর দিনে অগ্নিসংযোগের কারণে ফ্রান্সের আটলান্টিক, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় রুটে টিজিভি হাইস্পিড ট্রেন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে দেশটির জাতীয় রেল কোম্পানি এসএনসিএফ এই তথ্য জানিয়েছে।
এসএনসিএফ জানায়, এই হামলায় অন্তত ৮ লাখ যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। কিছু ট্রেনের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বিপুল সংখ্যক ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেপ্তারের আবেদনে ফ্রান্স-বেলজিয়ামের সমর্থন
দেশটির ক্রীড়া এবং অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমস মন্ত্রী অ্যামেলি ওডিয়া-কাস্তেরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বিএফএমটিভিকে জানান, এর কারণে প্যারিস অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী দিনে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং ছুটির দিনেও এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশটির পরিবহনমন্ত্রী প্যাট্রিস ভারগ্রিয়েট বিএফএমটিভিকে বলেন, 'আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে, তাতে দেখা যাচ্ছে হামলার ঘটনাগুলো পরিকল্পিত।’
এসএনসিএফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেছে, এসএনসিএফ কারিগরি দল সমস্যাটি শনাক্ত ও মেরামত শুরু করার জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব রুটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের শীতকালীন ও প্যারা অলিম্পিক আয়োজন করবে ফ্রান্স
২৩৩ দিন আগে
মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার -২০২৩ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সুলেমান খান বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও সমপর্যায়ের ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ১৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২১ জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার-২০২৩ দেওয়া হয়।
১৫ শিক্ষার্থীকে একটি করে সনদ ও ২ লাখ করে টাকা এবং স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এর জন্য নির্বাচিত ২১ শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে একটি সনদ ও ৩ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ প্রাপ্তদের পক্ষে হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান মালিহা, দিনাজপুরের আমেনা-বাকি রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী আতিফা রহমান এবং খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পিনাক মুগ্ধা দাস তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার-২০২৩ প্রাপ্তদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম রাইসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী আল ফয়সাল বিন কাশেম কানন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
২৬৫ দিন আগে