স্বল্পোন্নত দেশ
এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য দীর্ঘ মেয়াদী প্রণোদনা প্যাকেজ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে সদ্য বের হওয়া এবং বের হওয়ার সুপারিশ প্রাপ্ত দেশগুলো করোনার কারণে আবারও পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ এবং কানাডার স্থায়ী মিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান বক্তার হিসেবে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন এই দাবি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোই বিভিন্ন কারণে এলডিসি থেকে উত্তরণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং পিছিয়ে পড়ছে। উপযুক্ত অর্থায়ন ও সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারার ফলে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশ
ড. মোমেন আলোচনায় জানান, এলডিসি উত্তরণে আরও বেশি অর্থায়নের মাধ্যমে সার্বিক বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
উক্ত আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী কমিশনের প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’র ফরাসি সংস্করণ
এছাড়া ওই আলোচনায় বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানর উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতির সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপী ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্টদূত রেন্সজে তেরিংক মঙ্গলবার বিজিএমইএ অফিসে সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতকালে তারা বিভিন্ন বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়াবলী বিশেষ করে, পোশাক শিল্পে স্থিতিশীলতা, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রেক্ষিতে ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব আরও জোরদারকরন নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ইউরোপিয়ান বাজার বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন হবে ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস এর আওতায় পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাওয়া।
তিনি এ বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
বিজিএমইএ সভাপতি কোভিডকালীন সময়ে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের জন্য ইইউ যে তহবিল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে তার অগ্রগতিও জানতে চান। তিনি দক্ষতা ও শিল্পের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএ’র নতুন উদ্যোগ, বিজিএমইএ ইনোভেশন সেন্টার ও এলডিসি উত্তরণ বিষয়ে গবেষণার জন্য ইইউ’কে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
ইইউ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে অব্যাহতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করে আসার জন্যও বিজিএমইএ সভাপতি ইইউ রাষ্টদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ সময় বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরেমি ওপ্রিটেসকো উপস্থিত ছিলেন।
এলডিসি উত্তরণের ফলে বাণিজ্যে নতুন সুবিধা পাবে বাংলাদেশ: এফবিসিসিআই
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সুবিধা পাবে বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
দেশের মধ্যমেয়াদী অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় কোভিডের প্রভাব
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এরই মধ্যে বড় প্রভাব ফেলেছে কোভিড-১৯। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এক সরকারি নথিতে বলা হয়েছে ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদায় উত্তোরণ প্রত্যাশার মধ্যমেয়াদী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়নে এ মহামারি ব্যাপক প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।