কমিউনিটি ক্লিনিক
‘কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ’
ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ-এ ‘কমিউনিটি বেসড হেলথকেয়ার: রোড টু অ্যাচিভ ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি বহুমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সুস্বাস্থ্যের সামাজিক মানদণ্ডের উন্নতির সঙ্গে এই উদ্যোগগুলোর সম্মিলিত প্রভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, যা প্রতিবেশী অনেক দেশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও রোগনির্ণয়, নিয়মিত টিকাদান, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং প্রয়োজনে উন্নত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগণের ব্যাপক উপকার করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা প্রবর্তনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাটি চালু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন
রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন, যিনি সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ধারণা দিয়েছিলেন।
৪ মাস আগে
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
এসময় নেপাল রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন- নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ইয়োজানা বামজান।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
সাক্ষাৎকালে নেপাল সরকারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে কীভাবে নেপালেও কাজে লাগানো যায়, এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
এ প্রসঙ্গে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্ক নিঃসৃত বিষয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ধারণাকে গ্রহণ করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বর্তমানে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধির আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনাও চলছে আমাদের। আর নেপাল সরকার এ কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আলাপকালে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের এক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান থেকে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে ভর্তি আছেন। ভুটানে ওই রোগীর যে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি, তা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোনো গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশে এলে আমরা তাদেরও চিকিৎসা সেবা দিতে সচেষ্ট হব।
নেপালের রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে নেপালের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে নেপাল-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পর্যটন খাত তৈরি করা বিষয়েও তারা আলাপ করেন।
সাক্ষাৎকালে, দুই দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো, চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা হয়।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
৯ মাস আগে
বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দিবে কমিউনিটি ক্লিনিক: সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা
সম্প্রতি সরকার কর্তৃক গৃহীত কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজনে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এ তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত খাবার ও জীবন ধারণ পদ্ধতি
কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২২জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সিদ্ধান্তটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।
এতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ এর তথ্য অনুযায়ী- বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার মাত্র ৩৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে; যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ।
কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জাকির হোসেন জানান, ‘আগামী অর্থবছরে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের বলেন, ‘কেবল লবণ গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।’
উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনে ৪ জনই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায়না।
এক্ষেত্রে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে।
সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ওবায়দুল কবির এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
আরও পড়ুন: সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
১ বছর আগে
উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রচার করুন: উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি-কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বহুপক্ষীয় অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসহ উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে, বাংলাদেশ আগ্রহীদের সঙ্গে আমাদের অন্তর্দৃষ্টি ও দক্ষতা ভাগ করে নিতে প্রস্তুত। সকল সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চারিদিকে সুখ ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে 'শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিকস: ইনোভেশন অ্যাপ্রোচ টু অ্যাচিভিং ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডায়াবেটিস' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সাইড-ইভেন্টের প্লেনারি সেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বাংলাদেশ, ভুটান, চীন এবং মালয়েশিয়া যৌথভাবে এই উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন করে।
তিনি উল্লেখ করেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ অর্জনের মূল চাবিকাঠি হলো কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ অর্থবহ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে এই ইস্যুটিকে সমর্থন করবে।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ৫টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
সেগুলো হলো:
প্রথম: কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে দ্বাররক্ষী হিসেবে কাজ করা, যাতে স্বাস্থ্যসেবার জন্য পকেটের বাইরে বিপুল অর্থ প্রদান রোধ করা যায়;
দ্বিতীয়: কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে উন্নত ডিজিটাল স্বাস্থ্য এবং ডায়াগনস্টিক পরিষেবা প্রদানে সক্ষম করা, বিশেষত এনসিডিগুলোর জন্য;
তৃতীয়: ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মতো ক্রমবর্ধমান জলবায়ু জনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সক্ষমতা আরও উন্নত করা;
চতুর্থ: মানসিক স্বাস্থ্য ও স্নায়বিক ব্যাধিগুলোর জন্য স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সুবিধাগুলো উন্নত করা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারগুলোকে প্রবেশযোগ্য পরিষেবা সরবরাহ করা যায়
পঞ্চম: কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে একটি শক্তিশালী ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচির জন্য প্রাথমিক বিল্ডিং ব্লক হিসেবে ব্যবহার করা
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। যেগুলোকে স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোর জন্য একটি ওয়ান-স্টপ সেন্টার হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নবজাতক, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় ৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দক্ষ জন্মদানের জন্য সুবিধা প্রদান করে থাকে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৯ থেকে ১০ লাখ মানুষ সেবা নিতে আসেন। সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সার্বজনীন টিকাদানের স্থানীয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এগুলোতে কোভিড-১৯ টিকা কভারেজ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকা হালনাগাদ কমিটি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার প্রজ্ঞার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি ১৪ মে এক বৈঠকে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের জন্য "অ্যামালোডিপাইন ৫মিলি.’ এবং ডায়াবেটিসের জন্য ‘মেটফরমিন ৫০০ মিলি.’ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপকতা মোকাবিলায় একটি বড় পদক্ষেপ।
এটি বলছে, বাংলাদেশে উচ্চরক্তচাপ ও উচ্চরক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ও মৃত্যু ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক স্তরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ উপলব্ধ করার সিদ্ধান্ত উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এই বিষয়ে একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
উল্লেখ্য, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং এর অংশীদার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রগ্রেস) বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে যাতে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধক ওষুধের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়। কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যমান ওষুধের তালিকা; উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে বহু মাস (২ থেকে ৩ মাস) হাইপারটেনসিভ ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমান করেছে যে বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মানুষ (৩০-৭০ বছর বয়সী) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুই তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে।
উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা জাতিসংঘে ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’- শিরোনামে প্রস্তাব হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় আজকে জাতিসংঘ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবং তার সরকার পরিচালনার ধরন এবং জনগণের জন্য তার যে কাজ এটিকে জাতিসংঘও স্বীকৃতি দেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে ১৬ তারিখে যখন ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’- প্রস্তাবটি পাস হয়েছে, তখন আমাদের এখানে ১৭ তারিখ অর্থাৎ কাকতালীয়ভাবে তার (প্রধানমন্ত্রীর) স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বিশ্বের ৭১টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাব কো-স্পন্সর করেছে যা জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘মোখা’র মতো রাজনৈতিক অঙ্গণে একটা ঝড় আসছে -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয়, একটি প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানার পূর্বক্ষণে মানুষ যখন আতংকিত-শংকিত, মানুষ যখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, সেসময় কোথায় ‘মোখা’ যাতে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেটি না করে বরং সেটিকে নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো এবং উপহাস করা একজন রাজনীতিবিদের সাজে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর এখন তো মোখা পাশ কাটিয়ে চলে গেছে, মোখার মতোই বিএনপির আন্দোলনও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবায়ুঝুঁকি নিরসনে ব্রতী বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি হাঁটা শুরু করছে, হাঁটুক। উনারা কিছুদিন আগে হেঁটেছেন এখন আবার সমাবেশ করবেন বলছেন, আবার পদযাত্রা কর্মসূচিও না-কি দেবেন। উনারা হাঁটাহাঁটি করলে ভালো।’
বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘সকল কূটনীতিককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনীতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিলো। আমাদের সরকার অত্যন্ত সফলভাবে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনে সক্ষমতায় আমরা অনেক উন্নত, বড় দেশের চেয়েও বেশি সক্ষমতা দেখাতে পেরেছি। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ রকম বাড়তি নিরাপত্তা কূটনীতিকদের দেওয়া হতো না। কয়েকজন কূটনীতিককে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিলো। সেটি এখন যেহেতু প্রয়োজন নাই সেজন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা অব্যাহত আছে।’
হাছান বলেন, ‘এরপরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও সুস্পষ্ট করেছেন, কেউ যদি সরকারের কাছে বাড়তি নিরাপত্তা চায় এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করে, তাদের সেটি দেওয়া যেতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো বিষয় নাই, এটি রুটিন ওয়ার্ক।’
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ইনসুলিন পাবেন ডায়াবেটিস রোগীরা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন সরবরাহ করবে।
বুধবার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে ওষুধের তালিকায় ইনসুলিন অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমরা বিনামূল্যে ইনসুলিন দেব, যাতে ডায়াবেটিস রোগীরা স্বস্তি পান।’
বর্তমানে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
এই স্নাতক অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে ছিলেন কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদের সভাপতি নরহাইজাম বিনতি মোহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌফিক বিন ইসমাইল এবং স্নাতকদের মধ্যে এনামুল হক তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ সেশনে অসামান্য ফলাফলের জন্য ২১০ জন নার্সের মাঝে সনদপত্র এবং ছয়জন স্নাতক নার্সের হাতে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে কলেজটির ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের ওয়েবসাইট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ও মেডিকেল জার্নালেরও উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মো নূরুল হক প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেপিজে ঢাকা জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্সের একটি সংখ্যা হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: এই সংকটময় সময়ে অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
তৃণমূলের উন্নয়নই সরকারের অগ্রাধিকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার তৃণমূল থেকে পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষকে পেছনে ফেলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেই আওয়ামী লীগ দেশের গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে সেন্টার অন ইনটিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া এ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (সিরডাপ) মহাপরিচালক ড. চেরদসাক ভিরাপার কাছ থেকে ‘আজিজুল হক পল্লী উন্নয়ন পদক-২০২১’ গ্রহণকালে একথা বলেন।
গ্রামীণ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে সিরডাপ।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এশিয়াকে শক্তি একত্রিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ উন্নয়ন নিশ্চিত হলেই দেশ কাঙ্খিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায়ও প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এবং সে কারণেই ক্ষমতায় আসার পর সে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রকল্পটি বেকার দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং সেখানে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।
তিনি গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতি দুই কিলোমিটার দুরত্বে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করছে যাতে শিশুরা পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার সরকার বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করেছে এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও এর পাশাপাশি অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,সরকার গ্রামীণ জনগণের জন্য নিরাপদ পানি এবং মানসম্মত স্যানিটেশন সুবিধার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আবাসন সহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলোও নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে এবং দরিদ্র দুস্থ মানুষদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন ভাতা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সিরডাপ এবং এর পরিচালনা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান এবং পুরস্কারটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় জলবায়ু সংকট থেকে মনোযোগ সরানো উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কেননা সরকার তৃণমূল পর্যায়ে টিকাদান অভিযান সহজলভ্য করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে গ্রামীণ জনগণ শিগগিরই টিকা নিতে পারে।
অনেকে এখনও ভ্যাকসিন গ্রহণে অনীহা দেখান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো টিকা ছাড়া থাকা উচিত নয়। সকলকে অবশ্যই এটি নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিন যুদ্ধবিমান তৈরি হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং এর সমমানের পরীক্ষা-২০২১-এর ফলাফল প্রকাশ করেন এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু করোনা টিকা কমিউনিটি ক্লিনিক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে দেয়া হবে, তাই যারা এখনও ভ্যাকসিন পাননি তাদের সবাইকে তা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সরকার ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের টিকা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সকল শিক্ষার্থী যাতে টিকা পান সেজন্য আন্তরিক হওয়ার নির্দেশ দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু অভিভাবকদের নয়, তাদের সন্তানদেরও টিকা নিতে হবে।
২ বছর আগে
কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠিত
তৃণমূল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে সভাপতি রেখে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করেছে সরকার।
কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮ এর ৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পরবর্তী তিন বছরের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি তাঁর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে চেয়ারম্যান ও ডা. মাখদুমা নার্গিসকে ভাইস চেয়ারপার্সন করে নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
শেখ হাসিনার সরকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীসহ তৃণমূলের মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে যা স্বাস্থ্য খাতের রোল মডেল হয়ে উঠেছে।
২০১৮ সালে সরকার সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ পরিষেবায় গ্রামীণ প্রান্তিক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮ প্রণয়ন করে। এ আইনের অধীনে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত তিন বছরের মেয়াদী ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী আগের ট্রাস্টি বোর্ডেও চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়ছে শার্শার ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক
যে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী ব্যস্ত বিজ্ঞাপন সংগ্রহে
২ বছর আগে