ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
মোবাইল ডাটা ৩ দিনের প্যাকেজ আর নয়, সর্বনিম্ন মেয়াদ ৭ দিন: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মোবাইলের ডাটার ক্ষেত্রে তিন দিনের মেয়াদ নিয়ে সম্প্রতি আমার কাছে অনেক প্রশ্ন এসেছে। অনেকে বলেছেন তারা ৩ দিনের জন্য কেনা ডাটা শেষ করতে পারেন না।
তিনি বলেন, মেয়াদ হিসেবে ৩ দিন খুব কম হয়। সেজন্য এখন আমরা সেটি তুলে দিচ্ছি।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত ‘মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা-সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা-২০২৩ বাস্তবায়নবিষয়ক উপস্থাপনা’শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে যে- ৩ দিনের প্যাকেজ তুলে দিয়ে গ্রাহকের সুবিধার্থে তা এখন সর্বনিম্ন মেয়াদ ৭ দিনের করা হয়েছে এবং ১৫ দিনের প্যাকেজ বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
মন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্টারনেটের মেয়াদভিত্তিক প্যাকেজ সংখ্যা কমিয়েছি। কারণ, মেয়াদের সংখ্যা বেশি থাকলে গ্রাহক কনফিউজড হয়। আমরা ডাটা প্যাকের সর্বনিম্ন মেয়াদ করেছি ৭ দিনের। এর চেয়ে কম মেয়াদের যেকোনো ডাটা প্যাকেজ বিক্রি করা যাবে না। এতে গ্রাহক পুরো ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমানে মোবাইল ডাটার দাম ও গুণগত মান গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় তা বিলাসী পণ্য ছিল, এখন তা প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।
নতুন নির্দেশিকা উপস্থাপন করেন- বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
প্যাকেজ সংখ্যা ও মেয়াদ-
একটি অপারেটরের নিয়মিত (রেগুলার প্যাকেজ), বিশেষ প্যাকেজ (সিসিএসটি), রিসার্চ ও ডেভেলমেন্ট (আরএন্ডডি), সব ধরনের ব্র্যান্ড মিলিয়ে (ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান অনুযায়ী) প্যাকেজের সংখ্যা হবে ৪০টি, যা আগে ছিল ৮৫টি।
এ ছাড়া, সব প্যাকেজের সময়সীমা হবে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড, যা আগে ছিল ৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন ও ৩০ দিন।
আনলিমিটেড প্যাকেজের সংখ্যা ও ডাটা ভলিউম-
প্রতিটি অপারেটর তিনটি ভিন্ন ভলিউমে আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ অফার করতে পারবে আর তা হবে ২৫ জিবি, ৫০ জিবি ও ৭৫ জিবি। অর্থাৎ উক্ত তিনটি ভলিউমের যেকোনো একটি আনলিমিটেড প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে পরবর্তীতে ভলিউম পরিবর্তন করা যাবে।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান প্যাকেজ ডিজাইন-
যেসব গ্রাহক (মাই জিপি, মাই রবি, মাই বিএল, মাই টেলিটক) ব্যবহার করে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী টকটাইম, ডাটা ভলিউম, সোশ্যাল প্যাক, এসএমএস ইত্যাদি নির্বাচন করে নিজের প্যাকেজ নিজেই ডিজাইন করতে পারবেন। প্রদর্শিত মূল্য গ্রাহকের পছন্দ হলে নিজেই তার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্যাকেজটি গ্রহণ করতে পারবে এবং এটি একটি রেগুলার প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে।
বোনাসসহ অব্যবহৃত ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড (অব্যবহৃত ডাটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত হওয়া)-
নতুন নির্দেশিকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। একই ভলিউমের ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক উক্ত প্যাকেজ আবার কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যাবে সর্বোচ্চ ৫০ জিবি ডাটা পর্যন্ত।
এ ছাড়া গ্রাহককে অপারেটররা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩টি প্রমোশনাল এসএমএস দিতে পারবে, যা পূর্বে ছিল চারটি। সামাজিক প্যাকেজের ক্ষেত্রেও মেয়াদের মধ্যে একই প্যাক পুনরায় গ্রহণ করলে অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে এবং বোনাস হিসেবে প্রদান করা ডাটাও ক্যারি ফরওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে।
ডাটা শেষ হওয়ার পূর্বে গ্রাহককে অবহিতকরণ-
একজন গ্রাহককে প্যাকেজের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে নতুন প্যাকেজ অফার প্রদান করলে অফারটি অবশ্যই একই প্যাকেজ হতে হবে এবং অন্য দুটি প্যাকেজ তার ব্যবহারের প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে ডাটার মেয়াদ শেষ হওয়ার নোটিফিকেশন পাঠাতে হবে। অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চলতি প্যাক পুনরায় কেনার নিদের্শনা উক্ত এসএমএস এ থাকবে।
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, বর্তমানে মোবাইল ডাটার দাম ও গুণগত মান গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় তা বিলাসী পণ্য ছিল, এখন তা প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, নতুন প্যাকেজের নীতিমালাটি আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। আর এটা এমন নয় যে পরিবর্তন করা যাবে না। গ্রাহকের কল্যাণে যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে তা করা হবে। শুধু ব্যবসায়ী মোটিভে বিটিআরসি কাজ করে না। বিটিআরসি জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থেই কাজ করে।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
মন্ত্রী বলেন, আমরা ভয়েস কলের জন্য সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রেট ফিক্স করে দিয়েছিলাম। যার ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে। অপারেটররা তো ব্যবসা করতেই এসেছে। তবে তার একটা সীমা আছে। ব্যবসা করতে গিয়ে প্রতারণা করলে সেটা টেকসই হয় না। ফলে ক্ষুদ্র মেয়াদ ও অসংখ্য প্যাকেজ দেওয়ার ফলে গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হয়েছেন। প্যাকেজের সংখ্যা বর্তমানে অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে।
১ বছর আগে
আসামে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে
ভারতের আসাম রাজ্যের রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করার কথা নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ভারতের একটি প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নীতিগতভাবে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
বৈঠকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরসহ রপ্তানির বিষয়টি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে এ বিষয়ে ঢাকায় কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।মেঘালয় রাজ্য সরকারের যুগ্মসচিব (আইটি) কুমবামুট লাং ননগরি আজকের বৈঠকে অসমীয়া প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়ে কোনও সমস্যা নেই, আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পরও হাতে যথেষ্ট পরিমান ব্যান্ডউদথ আছে ও থাকবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
মন্ত্রী বলেন, দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব ও ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের কাজ শুরু করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত আরও প্রায় ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে আরও ৩৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হচ্ছে অর্থাৎ বর্তমানে বিদ্যমান ক্যাপাসিটির চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি।
আসামে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির যথাযথ প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিলেটের তামাবিল থেকে মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে গুয়াহাটিতে আসাম নিজস্ব ব্যয়ে ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করবে। এজন্য বাংলাদেশ তামাবিল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে বিকল্প লাইন স্থাপন করবে বলে মন্ত্রী প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক আখ্যায়িত করে দেশের মানুষের ডিজিটাল জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৮০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন-আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজার শ্যামল সরকার, আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের কনসালটেন্ট সিআর ডেকা, দীপংকর চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশ থেকে ২০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করে। ১০ জিবিপিএস দিয়ে আমদানি শুরু করলেও সম্প্রতি তা বেড়ে ২০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্তর থেকে সকলকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
২ বছর আগে
মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সেবার মান ধরে রাখতে না পারলে হঠাৎ করে পরে যাবেন। সেবা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ব্যবসা করেন বা গ্রাহক বাড়ান তাতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সেবার মান ধরে রাখাই আপনাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘নেটওয়ার্ক উন্নয়নে অবকাঠামো ভাগাভাগির চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এসব কথা বলেন।
টিআরএনবির গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, এবার সফল একটি স্প্যাকটাম নিলাম হয়েছে। অনেক মোবাইল অপারেটর ক্রয় করেছেন। কোন অবস্হায় তরঙ্গ ছাড়া সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারবেন না। তাই পর্যাপ্ত তরঙ্গ সকল অপারেটরদের কাছে থাকতে হবে।
বাংলাদেশে এখন ভাত কাপড়ের মতো কানেক্টিবিটি মৌলিক অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্পিড নেট চায়। সেজন্য সকল অপারেটরকে স্পিড নেট দিতে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
টাওয়ার কোম্পানি শেয়ারিংটা ১০০% হতে হবে। টাওয়ার যেন চারটি কোম্পানি ব্যবহার করতে পারে।
একটিভ শেয়ারিং নীতিমালা খুবই জরুরি বিষয়। আমরা চেষ্টা করছি এই নীতিমালা দ্রুত করবো। যতদিন নীতিমালা চুড়ান্ত না হবে ততদিন বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে একটিভ শেয়ারিং করা যায়। বিটিআরসি’র মূল ভুমিকা হচ্ছে, জনগণের স্বার্থরক্ষা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
মোস্তফা জব্বার বলেছেন, এমএনওদের (মোবাইল ফোন অপারেটর) যে টাওয়ার আছে তা টাওয়ার কোম্পানিকে ছেড়ে দেন। এতে বড় ধরনের ইনভেস্টমেন্ট কমে যাবে। সেটা গুণগতমান উন্নত করতে ব্যবহার করতে পারে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, একটিভ শেয়ারিং জরুরি বিষয়। এটাকে প্যাসিভ শেয়ারিংয়ের ভেতরে রাখলে যে সুবিধা তা পাওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, গত ২৫ বছরে মোবাইল অপারেটর টাওয়ার শেয়ারিং মাত্র ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
টাওয়ার লাইসেন্সিং চালু পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের মে মাসে। বিটিআরসি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি (মোবাইল অপারেটর-টাওয়ার কোম্পানি- মোবাইল অপারেটর) সম্পাদনের নির্দেশ দিলেও, কিছু মোবাইল অপারেটর অন্য মোবাইল অপারেটরকে নিজস্ব টাওয়ারের শেয়ারিং করতে চাইলেও গত প্রায় চার বছরে কোন শেয়ারিং হয়নি।
টাওয়ার নির্মাণ বাড়ছে যা টাওয়ার শেয়ারিং এর পরিপন্থী। এর কারণে টাওয়ার কোম্পানিগুলোর প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন হচ্ছে।
আলোচকরা বলেন, এই অবস্থার মূল্য কারণ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে মোবাইল অপারেটররা তাদের নিজস্ব টাওয়ার শেয়ারিং এ অনাগ্রহী। মোবাইল অপারেটরদের প্রায় ২০ হাজার টাওয়ার এখনও শেয়ারিং এর বাইরে রয়েছে।
আলোচকরা বলছেন, নেটওয়ার্ক তৈরির প্রতিযোগিতায় অপরিকল্পিতভাবে বিটিএস স্থাপন করেছে সেলফোন অপারেটররা। গত দুই দশকে সারা দেশে অপারেটর নিজস্ব টাওয়ারে বিটিএস বসিয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।
বর্তমানে অপারেটরগুলোর মধ্যে রবি ৩০%, গ্রামীণফোন ১৮%, বাংলালিংক ১৭% শেয়ার করছে। অপারেটরেদের হাতে থাকা ২৪ হাজার ৪২৫ টাওয়ারের মাত্র ১৭ % টাওয়ার শেয়ার হচ্ছে।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে সাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবি’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন এবং মুল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন টিআইএম নুরুল কবীর।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন: মোস্তফা জব্বার
সিলেট হবে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল নগরী: মোস্তফা জব্বার
২ বছর আগে
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আজকে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আদালত থেকে আরও ১৪ দিন সময় নেয়া হয়েছে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া হবে।’
মোস্তফা জব্বার বলেন, কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের ডেটলাইন ছিল আজকে। সে অনুযায়ী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে যথাসময়ে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের তালিকা না পেয়ে আদালত অবমাননা থেকে রক্ষা পেতে বিটিআরসি নিজেরাই একটা তালিকা করে নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে আজকে। এতে বিএসএস, বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজসহ বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালও অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সাথে বন্ধ হয়ে যায়। পরে যেসকল নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছিল সবগুলো আবার এখন খুলে দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছ। দুই-তিন দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের তালিকা দিয়ে দেবেন। সে অনুযায়ী বিটিআরসি বন্ধের ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: ৫৯টি আইপিটিভি বন্ধ করেছে বিটিআরসি
ঝুলন্ত তারসহ সব সমস্যা ক্রমান্বয়ে নিরসন করা হবে: বিটিআরসি
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
৩ বছর আগে
শিল্প বাণিজ্যের প্রসারে ট্রেড বডির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে: মন্ত্রী জব্বার
শিল্প বাণিজ্যের প্রসারে ট্রেড বডিসমূহের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
৪ বছর আগে
ডিজিটাল সংযুক্তির ফলে জীবনযাত্রার অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে: মন্ত্রী জব্বার
ডিজিটাল সংযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
৪ বছর আগে