রাজনৈতিক
জাতীয় ঐক্য: রাজনৈতিক-ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র নেতাসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলাদাভাবে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুধবার বিকাল ৪টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কূটনৈতিক মিশনে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
এরপর বৃহস্পতিবার(৫ ডিসেম্বর) ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও এখনও সময় নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সভাগুলোতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাবেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
২ সপ্তাহ আগে
রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক কর্মশালায় ভার্চুয়াল সমাপনী বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। তাই যেকোনো মূল্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই অধিকার আদায় করতে হবে।’
বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না বা জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক মুক্তি মানে সব জনপ্রতিনিধিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি বলেন, সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল, স্থানীয় নেতা যেমন উপজেলা বা পৌরসভার চেয়ারম্যান, সদস্য বা কাউন্সিলর কাউকেই তাদের ব্যক্তিগত মর্জি অনুযায়ী কাজ করতে দেওয়া উচিত নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সবাইকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যেকোনো গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।’
তারেক বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের রাজনৈতিক, ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে লিপ্ত। ‘এটি এমন একটি সংগ্রাম ছিল, যার জন্য অনেক জীবনকে উৎসর্গ এবং গুরুতর নিপীড়ন ও দমনকে সহ্য করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকে না। আপনারা (বিএনপির নেতা-কর্মীরা) পত্রিকার সাম্প্রতিক খবর থেকে যেমন দেখেছেন, তেমনি বুঝতে পারছেন কোথাও একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' স্লোগানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি নেতা। এই স্লোগান ছিল মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মজবুত ভিত্তি স্থাপনের প্রতীক। আমি একজন সহকর্মী হিসেবে আপনাদেরকে অনুরোধ করব এবং নেতা হিসাবে আপনাদেরকে আদেশ করব: আজ থেকে কেউ আমার নামের পাশে 'দেশনায়ক' বা 'রাষ্ট্রনায়ক' ব্যবহার করবেন না।’
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপি। সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসবে যদি তাদের নেতাকর্মীরা দেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ ও আচরণ করে।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই এখন বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু যখন অন্য কেউ তা নিয়ে ভাবেনি, তখন বিএনপি বহু বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাব অপরিবর্তনীয় নয়। ‘আমরা যেকোনো ভাল প্রস্তাব বা পরামর্শ পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
৩১ দফা প্রস্তাব গ্রামীণ এলাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে অবহিত ও মতামত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে জনগণকে পরিষ্কার ধারণা দিতে গ্রামাঞ্চলসহ সারা দেশে ছোট ছোট সভা করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করেন।
তারেক রহমান দুর্নীতি রোধে প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ, শিক্ষকদের ভালো বেতন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের শিক্ষার মানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
তিনি মানসম্মত সেবা প্রাপ্তিসহ একটি সুস্থ জাতি গঠনে স্বাস্থ্য খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘ দুর্নীতি কমাতে পারলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব।’
বৈশ্বিক শ্রমবাজার মূল্যায়ন এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ ও স্বল্প-দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে দলের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
৪ সপ্তাহ আগে
রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জামায়াত সেক্রেটারির
শেখ হাসিনাকে মাস্টার মাইন্ড অভিহিত করে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ড হলো শেখ হাসিনা। তাই এমন নির্বাচন হতে হবে, যাতে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়। এজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট খানজাহান আলী আদর্শ আলিম মাদরাসা ময়দানে জেলা জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ার বলেন, ‘অত্যাচারী নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট এবং স্যাডিষ্ট, যারা মানুষ খুন করে, ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং রক্ত দেখে আনন্দ পায়- এই নিষ্ঠুর বর্বরতা রাজনীতিতে আর জায়গা পেতে পারে না। এজন্য আগামী নির্বাচনে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিশিয়ালি, কনস্টিটিউশন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার না করে নির্বাচন হলে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪- এর মতো নির্বাচন হবে।’
এছাড়া সকল দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ হটানোর আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মশিউর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
১ মাস আগে
জাতি সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট প্রত্যাশা করে না: বিএনপি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবির মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট জাতি প্রত্যাশা করে না।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে বিভিন্ন চক্রান্তের মাধ্যমে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপতির পদ সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ এবং এটি একটি প্রতিষ্ঠানও। পদত্যাগ বা অপসারণের কারণে এই পদ শূন্য হলে তা সাংবিধানিক ও জাতীয় সংকট তৈরি করবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকটের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ যদি বিলম্বিত হয় বা বাধাগ্রস্ত হয়, তবে তা জাতির আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যাবে।
ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা যাতে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাতি ঐক্যবদ্ধ এবং সম্মিলিতভাবে এসব চ্যালেঞ্জ ও চক্রান্ত মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
বিএনপি রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ চায় কিনা জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য থাকলে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে, যা জাতি আশা করে না।’
আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
'জনতার চোখ' পত্রিকায় এক নিবন্ধে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী দাবি করেছেন রাষ্ট্রপতি তাকে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার কাছ থেকে তিনি(রাষ্ট্রপতি) কোনো পদত্যাগপত্র পাননি।’মূলত এর পরই একদল ছাত্র-জনতা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র না পাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘তার বক্তব্য তার শপথ ভঙ্গের শামিল। শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি বলে রাষ্ট্রপতির দাবি মিথ্যা ও শপথের লঙ্ঘন।’
এর আগে সালাহউদ্দিনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা নস্যাতে জাতীয় ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, তারা গণতন্ত্রপন্থী সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের যেকোনো ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবেন।
সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে নজরুল ইসলাম খান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাদের কাছে কোনো মতামত চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে নজরুল বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তবে দেশে যাতে নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট তৈরি না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বানচালে ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
১ মাস আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শনিবার
অংশীজনদের সঙ্গে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবেন।
শনিবারের (১৯ অক্টোবর) সংলাপে গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিসহ (আন্দালিভ) ১৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক নেতাদেরই: সিজিএস সংলাপে বক্তারা
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
জাতীয় পার্টির (এরশাদ-জিএম কাদের) বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আজাদ বলেন, সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত হলে সে অনুযায়ী জানানো হবে।
কথিত 'মাইনাস টু' ফর্মুলার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটি সরকারের বিষয় নয় এবং এটি নিয়ে কখনও আলোচনা হয়নি।
বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে গত ৬ অক্টোবর শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহিত করা এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।আরও পড়ুন: সংলাপে সব দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে: মাহফুজ আলম
২ মাস আগে
ঢাকা-মস্কো সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী : রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় ও শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ তিনি বলেন, '২০২৪ সালটিও সমানভাবে আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে তারা দুই দেশের জনগণের স্বার্থে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যময় করতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের সব পূর্বশর্ত এবং একই প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’
অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার রাশিয়ার।
২০২৩ সালের জানুয়ারি-নভেম্বরে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া রেলপথ, সড়ক নির্মাণ, ভবন, ধাতুবিদ্যা এবং অন্যান্য শিল্প ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পশ্চিমা দেশগুলোর কৃত্রিম ও বিপরীতমুখী প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মস্কো বাংলাদেশে প্রধান কৃষি-শিল্পজাত পণ্য, প্রধানত গম ও সার রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে।’
বাংলাদেশ ২০২৩ সালে রাশিয়া থেকে ২৭ মিলিয়ন টন শস্য আমদানি করেছে।
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ভোজ্য তেল, মটরশুঁটি, ছোলা ও মসুর ডাল দিয়ে রপ্তানি পণ্যের তালিকা বৃদ্ধি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতার মেরুদণ্ড হলো জ্বালানি। ২০২৩ সালেও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে গ্যাজপ্রম।
ভোলা দ্বীপে আরও তিনটি কূপ খনন সম্পন্ন হওয়ায় মোট খননকৃত কূপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০টিতে।
গ্যাস উত্তোলন এবং নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানের জন্য কোম্পানির প্রস্তাবগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।
মানতিৎস্কি বলেছেন, ‘প্রক্রিয়াধীন আরও প্রস্তাবনা এবং প্রকল্প রয়েছে, যেমন আরও স্থানীয় পরিশোধনের জন্য রাশিয়ান এলএনজি এবং অপরিশোধিত তেল সরবরাহ, রাশিয়ান সৌর শক্তি প্রযুক্তি, স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর আপগ্রেড এবং আরও অনেক কিছু।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প শিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে।
সাম্প্রতিক মাইলফলকগুলির মধ্যে, ইউনিট-২ এ প্যাসিভ তাপ অপসারণ সিস্টেমের ইনস্টলেশন রয়েছে।
প্রথম ইউনিটটি এই বছরের শেষের দিকে পরীক্ষামূলক অপারেশন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রকল্পের সাধারণ ঠিকাদার জেএসসি 'এএসই'র নিরাপত্তা সবসময়ই অগ্রাধিকার পেয়েছে। রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে উন্নত প্রকৌশল সমাধান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।’
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপিত একই ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ইতোমধ্যে রাশিয়ায় চালু রয়েছে, যা তাদের দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে।
ভূমিকম্প থেকে শুরু করে বিমান দুর্ঘটনা পর্যন্ত প্রায় সবকিছুতেই এরা বেঁচে থাকতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
পারমাণবিক জ্বালানি পরিবেশ বান্ধব, কোনও কার্বন নিঃসরণ করে না এবং দূষণ করে না।
এটি সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং পরিষ্কার। রাশিয়া পরমাণু প্রকল্পের পুরো জীবনচক্রে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সহায়তা করবে- যার মধ্যে রয়েছে চুল্লির জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ, প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ এবং পারমাণবিক বর্জ্য পরিচালনার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতা।
তিনি বলেন, রূপপুর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়েও বেশি কিছু। কয়েক ডজন বাংলাদেশি কোম্পানি নির্মাণ কাজের জন্য তাদের সেবা ও উপকরণ সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, এনপিপি প্রকল্পটি স্থানীয়দের জন্য ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে অর্থনীতির একটি নতুন খাত তৈরি করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়ায় পরমাণু বিশ্ববিদ্যালয় এবং রূপপুরের শিক্ষা কেন্দ্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ দক্ষ প্রকৌশলী যুক্ত করতে সহায়তা করছে যা কেবল পারমাণবিক শিল্পেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও অর্থবহ অবদান রাখতে সক্ষম।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তাদের জানা গেছে যে, কিছু পশ্চিমাপন্থী মহল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কলঙ্কিত করার পরিকল্পনা করছে।
মানতিৎস্কি বলেন, অর্জনগুলোর দিকে মনোনিবেশৃ করার পরিবর্তে স্থানীয় সুযোগ-সন্ধানী সাংবাদিকরা স্বল্পস্থায়ী বিবেচনার জন্য আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতীককে ক্ষুণ্ন করতে প্রস্তুত।
তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের কোনো প্রকল্পে অনিবার্য ছোটখাটো ত্রুটিগুলোকে অতিরঞ্জিত করে এবং এর সুফলের দিকে চোখ বন্ধ করে রাখে।
ইউক্রেন ও ইউক্রেন পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি রাশিয়া-বাংলাদেশ বিষয়ের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, গত বছর পশ্চিমা দেশগুলোর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অসহিষ্ণুতা দেখা গেছে। অন্য সবার মতামতকে উপেক্ষা করে নিজেদের কায়েমী স্বার্থের উপর ভিত্তি করে যারা এখনও বিশ্বে তাদের ক্ষয়িষ্ণু আধিপত্যকে আঁকড়ে ধরে আছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমারা সৎ চুক্তি করতে উদ্বেগজনক অক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এবং একটি অনির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় মঞ্চে রাশিয়া সার্বভৌম সমতা ও অবিভাজ্য নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে সমস্ত রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ বিকাশের পক্ষে মত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্মানজনক সংলাপ ও বাস্তবসম্মত সহযোগিতার সুযোগ বজায় রেখে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার পরিকল্পনা কার্যকরভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
নভেম্বরে রুশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের একটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে শুভেচ্ছা সফর করে।
গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম রুশ নৌবাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে প্রবেশ করল।
১৯৭২-১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মাইন অপসারণ ও মুক্ত করার কাজে নিয়োজিত দুজন প্রবীণ রুশ নাবিক ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
১০ মাস আগে
রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে বা অজ্ঞতা থেকে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সংবিধানের ১২৩, ১৪৮ ও ৫৬ অনুচ্ছেদের ঊদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন এখন সংসদ সদস্য সংখ্যা ৬৪৮, তারা সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। উদ্দেশ্যমূলক কিংবা রাজনৈতিক কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য তারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। আর যদি সেটা না হয় তাহলে, তাদের সংবিধানের এইসব অনুচ্ছেদ সমন্ধে সম্যক জ্ঞান নেই।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’ আর আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা ওই তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন।আনিসুল হক জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।
১১ মাস আগে
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
১১ মাস আগে
ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যত্যয় হবে না। সবার প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার প্রার্থী এবং নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে যে- নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেওয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোনো দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেওয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ও ইউনিয়নে একটি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি থাকলে সেগুলো স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণার সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এরপর কেউ প্রচারণা চালালে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না।
আনিছুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল দিয়ে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা হবে। কাগজপত্র না থাকলে সেগুলোকে আটক করা হবে।
কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া দিতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ের সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ভুয়া নির্বাচন কমিশনার গ্রেপ্তার
১১ মাস আগে
সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার কোনো নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না। যারা সন্ত্রাসী, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং যানবাহন ও নিরীহ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে যথাযথ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ।
তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বলেন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে অন্যান্য দেশের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
তিনি গাজা এবং কিছু উন্নত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেন যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করা হয়।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও তাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না, কারণ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেক অংশীদার জড়িত।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, ‘একটা সমস্যা আছে। অনেকেই তাদের প্রত্যাবাসন চায় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।
ড. মোমেন বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের ঢেউ বইছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই জনগণের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয় এবং যেসব পরামর্শ দেশের জন্য ভালো মনে হয় বাংলাদেশ সেসব পরামর্শ গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
১ বছর আগে