সেন্টমার্টিন
সেন্টমার্টিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)—
পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ২০০ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক এতে অংশ নিয়েছেন।
চলমান এ অভিযান আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ও আগামীকাল চলবে। এছাড়াও, গত দুই মাসে সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সও দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গত দুমাসে বিপুল পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সংগ্রহ করে অপসারণ করা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রদূষণরোধে জাহাজ ঘাট থেকে ২৪১ কেজি প্লাস্টিক ও ৮৭ কেজি পলিথিন সংগ্রহ করা হয়।
প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে ১৪.৩ মেট্রিক টন এবং কক্সবাজারে ৬৭.৩ মেট্রিক টন প্লাস্টিক অপসারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল থেকে ৯ মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন
সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিক দূষণ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটকের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ে গড়ে দৈনিক ১ হাজার ৬৯৪ জন পর্যটক দ্বীপে এসেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে কয়েকটি জাহাজকে সতর্ক করা হয় এবং দুইটি জাহাজকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
পর্যটক ও স্থানীয়দের সচেতন করতে দ্বীপে তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন ও গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। সৈকতের পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তায় বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির (বিএমসি) অধীনে ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ৬ জন লাইফগার্ড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে একযোগে কাজ করবে।
৪১ দিন আগে
আগামীকাল থেকে ৯ মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন
আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি) শনিবার থেকে ৯ মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বীপটি ভ্রমণের সময় শেষ হচ্ছে আজ (৩১ জানুয়ারি)।
সাধারণত প্রত্যেক বছরের ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এ বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করেছে সরকার।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন বলেন, ‘৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলো চলাচল করতে পারবে। এরপর আর পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। সরকার যদি ভ্রমণের সময় বাড়ায়, তখন নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে সরকারের কার্যক্রম শুরু
সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি এম এ আবদুর রহিম জিহাদী বলেন, ‘অতীতে এ রকম কোনো সংকট দ্বীপে তৈরি হয়নি। এখন যদি দ্বীপে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে নানামুখী সংকটে পড়বেন এখানকার বাসিন্দারা।’
তিনি বলেন, ‘দ্বীপে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে শত শত মানুষ। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় পর্যটকদের জন্য অন্তত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপ উন্মুক্ত রাখার দাবি জানাচ্ছি।’
৫৩ দিন আগে
ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাতায়াত, খরচ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য
সমুদ্র আর বালুকাবেলায় নির্জনতার মায়াবী আহ্বান উপেক্ষা করা যেকোনো ভ্রমণপিপাসুর জন্যই কঠিন। এমন অসীম নৈস্বর্গের সঙ্গে যদি যুক্ত হয় হাজার বছরের পুরনো প্রবাল, তবে সেই হাতছানি যেন মুহুর্মুহু স্পন্দনে পরিণত হয়। বাংলাদেশের মানচিত্রের সর্বদক্ষিণের বিন্দু ছেঁড়া দ্বীপ নিয়ে এমনটা বলা হলে, তা মোটেই অতিরঞ্জিত হবে না। সমুদ্রের বুকে ভেসে থাকা এই এক টুকরো স্বর্গে ঢেউয়ের শব্দে শোনা যায় নিরবতার ঐকতান। চলুন, জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার উপায় এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ছেঁড়া দ্বীপের অবস্থান
বঙ্গোপসাগরের বুকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বিস্তৃত ছোট্ট এই দ্বীপপুঞ্জ সেন্টমার্টিন থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে এর অবস্থান চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারের অন্তর্গত টেকনাফ উপজেলায়; ইউনিয়নের নাম সেন্টমার্টিন। এখানে রয়েছে ১০০ থেকে ৫ বর্গমিটারের ছোট ছোট কয়েকটি দ্বীপ।
ছেঁড়া দ্বীপের নামকরণ ও ইতিহাস
স্থানীয়দের কাছে এর নাম ‘ছেঁড়াদিয়া’; কেউ কেউ বলেন ‘সিরাদিয়া’, যেটি এর ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মূল সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে কিছুটা ‘ছেঁড়া’ বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এমন নামকরণ।
২০০০ সালের শেষের দিকে দ্বীপটির অস্তিত্ব প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। নব্বইয়ের দশকে এখানে পাওয়া গিয়েছিল ৬৬ প্রজাতির প্রবাল ও জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব, যার মধ্যে এখন টিকে আছে মাত্র ১০টি প্রজাতি।
আরো পড়ুন: কলকাতায় কেনাকাটার জনপ্রিয় স্থান
ঢাকা থেকে ছেঁড়া দ্বীপ যাওয়ার উপায়
প্রথমেই যাত্রা করতে হবে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে। ঢাকা থেকে টেকনাফ; তারপর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন হয়ে ছেঁড়া দ্বীপ।
সরাসরি টেকনাফ পৌঁছার একমাত্র উপায় হচ্ছে বাসে যাতায়াত। রাজধানীর সায়েদাবাদ, কলাবাগান, ফকিরাপুলে টেকনাফের বাস পাওয়া যায়। ভাড়া মাথাপিছু ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং যেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।
কমলাপুর থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার পর্যন্ত যাওয়া যাবে। এ যাত্রায় খরচ হবে সর্বনিম্ন জনপ্রতি ৬৯৫ থেকে সিটের ধরণভেদে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৮০ টাকা পর্যন্ত। বিকল্প হিসেবে বিমানে করেও কক্সবাজার পর্যন্ত যাওয়া যেতে পারে। বিমান ভাড়া সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা; ধরণভেদে টিকেট সর্বোচ্চ ১১ হাজার টাকা পর্যন্তও রয়েছে।
টেকনাফে পৌঁছে প্রথম কাজ হচ্ছে সি-ট্রাক বা জাহাজের টিকেট কাটা। টেকনাফের জাহাজঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সেন্টমার্টিনের জাহাজ ছাড়ে। ফিরতি ট্রিপ রওনা হয় বিকাল ৩টা থেকে সাড়ের ৩টা নাগাদ। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই রুটিনটি অবশ্যই যথাযথভাবে মেনে চলা জরুরি। যাওয়া-আসাসহ এ যাত্রায় ভাড়া পড়ে জনপ্রতি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে।
আরো পড়ুন: বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
সেন্টমার্টিনের জেটি থেকে ছেঁড়া দ্বীপ যাওয়ার জন্য রয়েছে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও স্পিডবোট। ট্রলারে গেলে জনপ্রতি ভাড়া পড়ে ২৫০ টাকা করে। রিজার্ভ করে নিলে ট্রলারের আকার ভেদে খরচ পড়তে পারে প্রায় ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। স্পিডবোটে যেতে চাইলে ভাড়া পড়বে ৩ হাজার টাকা।
তবে ভাটার সময় পানি নেমে গেলে মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল ভাড়া নিয়েও রওনা হওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে অনন্য অভিজ্ঞতা নিতে অনেকে পায়ে হেঁটেও ছেঁড়া দ্বীপ চলে যান। এভাবে হেঁটে যেতে সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাইসাইকেল কিংবা মোটরসাইকেলগুলো ছেঁড়া দ্বীপে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে না। সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে ছেঁড়া দ্বীপ সংলগ্ন পয়েন্টে নির্ধারিত ফি দিয়ে সাইকেল রাখতে হয়। তারপর সেখান থেকে শুরু হয় পায়ে হাঁটা পথ।
ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণে কি কি দেখবেন
প্রবাল প্রাচীরে ঘেরা এই জনবসতিহীন দ্বীপের প্রধান বাসিন্দা শামুক, ঝিনুক ও কাকড়া। স্বচ্ছ পানির নিচে কদাচিৎ চোখে পড়ে রঙিন মাছ। একদিকে লোনা জলে সিক্ত প্রবালের বিস্তীর্ণ সৈকত, অন্যদিকে ঝোপঝাড় ও উঁচু পাম গাছের সমারোহ। এর সঙ্গে সারি সারি নারকেল গাছ আকাশ রঙা পানির পটভূমিতে এক মোহময় পরিবেশ তৈরি করে। সামুদ্রিক হাওয়ায় বিস্ময়কর নীলিমা আর সূর্যাস্তের রঙিন মিতালী যেকোনো ভ্রমণচারির হৃদয়কে মোহাবিষ্ট করে ফেলতে যথেষ্ট।
আরো পড়ুন:
পূর্ণিমার রাতে অনেক রোমাঞ্চ সন্ধানীরা এখানে চলে আসে ক্যাম্পিং করতে। ছোট ছোট প্রবালদ্বীপগুলো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় পায়ে হেঁটেই পুরো দ্বীপাঞ্চলটি ঘুরে দেখা যায়। এই আদিম পরিবেশকে অবিস্মরণীয় রাখতে ছবি তোলার লোভ কেউই সামলাতে পারেন না। নিদেনপক্ষে, এটি দেশের সবথেকে আকর্ষণীয় ছবি তোলার স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বিশেষ করে দ্বীপের দক্ষিণ পাশের জলরাশি অনেকটা স্বচ্ছ; আর তাই অনেক বেশি আকাশ রঙের। সমুদ্রের ঢেউ এদিকটায় বেশ শান্ত; তবে ছন্দময়।
ছেঁড়া দ্বীপসহ সেন্টমার্টিনের আশপাশের দ্বীপাঞ্চলে কেওড়া গাছের ঘনত্ব চোখে পড়ার মতো। এই গাছগুলো শুধু দ্বীপের সৌন্দর্য্যই বাড়ায় না, বরং ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় প্রাকৃতিক দূর্গে রূপ নেয়।
আরো পড়ুন: ঢাকা ও নিকটবর্তী এলাকার ১০টি ঐতিহাসিক মন্দির
৫৪ দিন আগে
সেন্টমার্টিনে আগুনে পুড়ে গেছে ৩ রিসোর্ট
আগুনে পুড়ে গেছে সেন্টমার্টিনের তিনটি ইকো রিসোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের গলাচিপা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়নি। তিনটি রিসোর্টে ২৬টি কক্ষ ছিল, সবগুলো ভস্মীভূত হয়ে গেছে। তবে এ সময় কোনো পর্যটক হতাহত হননি বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১০মিনিটে সেন্টমার্টিনের গলাচিপা এলাকার বিচ ভ্যালি, কিংশুক ও সাইরি ইকো রিসোর্টে আগুন লাগে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ঘরে আগুন, বের হতে না পেরে প্রাণ গেল সাবেক পুলিশ সদস্যের
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইকো রিসোর্টে মালিকদের বরাত দিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপায় অবস্থিত সাইরি ইকো রিসোর্টের অভ্যর্থনাকক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।’
ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। এতে সাইরির অভ্যর্থনাকক্ষ, পাশে থাকা বিচ ভ্যালির ১৮টি কক্ষ, কিংশুক ইকো রিসোর্টে ৭টি কক্ষ পুড়ে যায়। বাতাস থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পর্যটকের মালামাল পুড়ে গেছে। তারা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। কটেজগুলোয় আগুন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প কোনো ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সব কটি কক্ষ পুড়ে গেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করছেন স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকেরা।
সেন্টমার্টিনের দায়িত্বে থাকা টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন লাগার খবর শুনে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানো চেষ্টা চালানো হয়। ক্ষয়ক্ষতি এখনও নিরুপন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ের ট্রাকস্ট্যান্ডের গ্যারেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৬৯ দিন আগে
সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে সরকারের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
সরকারের গৃহীত উদ্যোগের অংশ হিসেবে অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপস থেকে ট্র্যাভেল পাস সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জাহাজে প্রবেশের সময় পর্যটকদের পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পলিথিন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে পর্যটকদের পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন সাময়িকভাবে সীমিত করবে সরকার
পর্যটকদের হোটেলে অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সময় মানতে হবে এমন বিধি-নিষেধ সম্পর্কে মৌখিকভাবে অবহিত করা হচ্ছে। এছাড়া, নুনিয়াছড়া ঘাঁটে পর্যটকদের জন্য নির্দেশনা সম্বলিত একটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও, ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল জাহাজ ও পর্যটন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি টিম জাহাজে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার মনিটর করছে।
দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) ৬৪৪ জন পর্যটক ও ৩৭ জন স্থানীয়সহ সর্বমোট ৬৮১ জন যাত্রী বার আউলিয়া জাহাজে সেন্টমার্টিন যাত্রা করেছে। এর মধ্যে মোট ট্রাভেল পাস ইস্যু হয় ৭০৪টি।
প্লাস্টিক/পলিথিন ব্যবহার রোধে গমণকৃত পর্যটকদের কাছ থেকে পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের সুবিধার্থে পরিবেশ বান্ধব কাপড়ের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
১১৩ দিন আগে
২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিন দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা, দ্বীপে রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে 'সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪' এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে করা সুপারিশ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'সেখানে যারা হোটেল ও জাহাজ চালায় তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য কোনো প্লাস্টিক ঢুকতে দেওয়াই উচিত নয়। চানাচুর, চিপস, আচার- এগুলো ওখানে ঢুকতে দেওয়াই উচিত না।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত কিন্তু সেগুলো কেন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা যদি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে সেখানে তাদের বক্তব্য কি? তারা আমাদের বলেছেন, তাদের যে বাকি সদস্যরা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন। তারা বলেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আগের সরকার একতরফাভাবে ওই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল।'
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতে থাকতে দেওয়া যাবে না, সিদ্ধান্ত ছিল নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না- এখানে তাদের বক্তব্য কী? তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যা নিয়ে তারা তাদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন।'
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পর্যটন বিভাগেরও এ বিষয়ে বক্তব্য আছে। জাহাজ যারা চালায় তাদেরও একটা বক্তব্য আছে। আমরা হোটেল মালিক ও সেখানকার জাহাজ মালিকদের মতামত আমরা পাব। সেখানে পর্যটকদের রাত্রিযাপন ও পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তাদের মতামত জানাবেন।'
সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
সেন্টমার্টিনের কুকুরের সংখ্যা বাড়ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'কুকুর নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো কাজ করে তারা যদি ওখানে গিয়ে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করলে তারা (হোটেল মালিকরা) সহযোগিতা করবেন।'
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
১৬৮ দিন আগে
সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা এবং দ্বীপে রাত্রীযাপন নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিনের পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার এবং কুয়াকাটাকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রবাল দ্বীপ আমাদের দেশে একটিই আছে, তাই একে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে আগের নির্দেশিকাগুলো মানতে হবে। এছাড়া, পর্যটন মৌসুম শুরুর আগেই হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটর ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে চাই। দ্বীপটিকে একটি কোলাহলমুক্ত এলাকা হিসেবে দেখার অভিপ্রায় ও ব্যক্ত করেন এই উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, সবুজায়নও বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা
১৬৯ দিন আগে
সেন্টমার্টিনে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ ও ৮৩ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ৭
টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ৮৩ বোতল বিদেশি মদসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপের অদূরবর্তী সাগরে একটি নৌকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেলেও তাদের নাম-পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২৮১ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন জানান, টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ছেঁড়াদ্বীপ সংলগ্ন অদূরবর্তী সাগরে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা একটি কাঠের নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় থামতে বলা হয়। কিন্তু চালক নৌকা না থামিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটি জব্দ করে। সেসময় তল্লাশি চালিয়ে ২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ ও ৮৩ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। নৌকায় থাকা সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, আটক ৪
২২২ দিন আগে
সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা ফখরুলের
সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করে এটিকে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'পত্র-পত্রিকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সংকট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এটা দুঃখজনক যে আমরা নিজেদের দ্বীপে যেতে পারছি না। এই সরকারের কী ব্যর্থতা যে, ওই দ্বীপে গেলে অন্য দেশ থেকে আমাদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।’
শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের গুরুতর বিষয়ে সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যেখানে আমরা বিবৃতি দেব বা এ বিষয়ে কিছু বলব। এই শাসকগোষ্ঠী এতটাই আজ্ঞাবহ যে, মিয়ানমারের মতো দেশ সম্পর্কে তারা কিছু বলতে পারে না। এর মনোভাব কতটা আজ্ঞাবহ হতে পারে?'
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সীমান্তে যখন বাংলাদেশিরা মারা যাচ্ছে এবং দেশের মানুষ যখন অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তখন তারা কোনো প্রতিবাদ করেনি।
তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে বিপদে পড়েছেন শত শত মানুষ। কিন্তু সরকার এ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি গঠন
সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন বাকশাল সরকার ৪টি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। যে কারণে সাংবাদিকদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন।
সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী সংগ্রামের মাধ্যমে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে জাগ্রত করতে হবে। জনগণকে ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন হবে না। রাতারাতি দু-চারটি বোমা ফাটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।’
দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি এক সংকটময় মুহূর্তে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রভাবশালীদের দুর্নীতি ও অপকর্ম উন্মোচন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
২৮৩ দিন আগে
সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের গোলা পড়া বন্ধ করতে চেষ্টা চলছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের গোলা সেন্টমার্টিনে পড়ার বিষয়টি দেশটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চেষ্টা চলছে এবং বাংলাদেশ যুদ্ধ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তবে আক্রান্ত হলে জবাব দেওয়া হবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের কিছু অভ্যন্তরীণ সংকট রয়েছে। এদের ৫৪টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ সংকটে যদি আমরা ভুক্তভোগী হই তবে তা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে সামরিক সরকার। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং যুদ্ধ এড়িয়ে তা অব্যাহত রাখব। তবে আমাদের ওপর হামলা হলে আমরা সেই হামলার জবাব দেব। আমাদের অবমূল্যায়ন করার কোনো কারণ নেই। আমরা প্রস্তুত আছি।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আমলেই বাংলাদেশের সেরা সড়ক নির্মিত হয়েছে: কাদের
বাংলাদেশকে গ্রাস করা রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছেন। এজন্য তাকে 'মাদার অব হিউম্যানিটি' বলা হয়। এখন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থাগুলো এর জন্য আমাদের প্রশংসা ও শ্রদ্ধা করে।”
মন্ত্রী বলেন, ‘তবে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ১০-১২ লাখ রোহিঙ্গার অতিরিক্ত বোঝা চাপ তৈরি করছে। বিশ্বের বড় বড় দেশ যারা এই সংকট নিয়ে কথা বলে, তাদের লিপ সার্ভিসের (মৌখিকভাবে প্রশংসা) আমাদের দরকার নেই। রোহিঙ্গাদের বোঝা আমাদের কাঁধ থেকে তুলে নিতে হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, সেখানেই রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরেন।’
সড়কে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে যানজট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কোথাও কোথাও যানজট থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার প্রয়োজন হচ্ছে না।
যেকোনো মুহূর্তে সরকারের পতন ঘটবে বলে বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'এক কথায় এটা তাদের দিবাস্বপ্ন। গণঅভ্যুত্থান বা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন হবে এমন ধারণা হাস্যকর।
‘এই দেশে একমাত্র জনপ্রিয় অভ্যুত্থান ছিল ১৯৬৯ সালে। এরপর আর কোনো অভ্যুত্থান হয়নি। ১৯৯০ সালে গণআন্দোলন হয়েছিল, অভ্যুত্থান নয়, যার ফলে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটেছিল।’
বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু'র সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা আমাদের সংবিধান অনুসরণ করেছি এবং তা অব্যাহত রাখব। ডোনাল্ড লু কী বলেছেন তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। তারা কখনো বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সমালোচনা করবে, কখনো প্রশংসা করবে; সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের নীতির ভিত্তিতে আমাদের সংবিধান অনুসরণ করে এগিয়ে যাব।’
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদেরের ঢাকা ত্যাগ
২৮৩ দিন আগে