সমুদ্রপথ
সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি সরকারের সম্মতি
সমুদ্রপথে জাহাজে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে সম্মতি প্রকাশ করেছে সৌদি সরকার।
বরিবার (৭ অক্টোবর) ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনে এবং সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী এ সম্মতির কথা জানান।
আরও পড়ুন: ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করেছে প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট
সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজযাত্রী পাঠাতে সৌদি সরকারের কোন আপত্তি নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর পরীক্ষামূলক জাহাজ করে দুই থেকে তিন হাজার হাজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে। সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী হাজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাক আশ্বস্ত করেন।
এছাড়া, রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।
সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হাজি পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়।
উপদেষ্টা ২০২৪ সালের অনুরূপ এজেন্সি প্রতি ২৫০ জন কোটা পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
১ মাস আগে
সমুদ্রপথ নিরাপদ করতে প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) নির্বাচিত 'সি' ক্যাটাগরির সদস্য। ১৭৪টি দেশ আইএমওর সদস্য। কীভাবে সমুদ্রপথ নিরাপদ করা যায় সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছে।
সোমবার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা ২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাই পৌঁছাবেন: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়াও বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন ধরনের সংকটের সময়ে সমুদ্রপথে চলাচল করতে পারে সেজন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়।
প্রস্তাবনাটি আইএমওতে পাঠানো হবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাহাজগুলো বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে ধরনের প্রস্তাবনা তৈরির জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর কাজ করছে। এটি একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি- দ্রুত প্রস্তাবনাটি তৈরির।
ঈদের দিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্ভেয়ারদের দুর্বলতা থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৫
তিনি আরও বলেন, 'অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন- প্রতিটি ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিভিন্ন ধরনের শাস্তি হয়।'
লঞ্চটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনেকে পালিয়ে গেলেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোনো মালিক থাকলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।'
আরও পড়ুন: দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ইতালিতে সমুদ্রপথে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি
ইতালিতে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সমুদ্রপথে অভিবাসীদের আগমন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইতালির দক্ষিণ উপকূলে ৮৯ হাজার ১৫৮ অভিবাসী পৌঁছেছে বলে নিবন্ধন করা হয়েছে। ২০২২ সালের এই সময় এই সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৪৩৫ জন। এতে দেখা যায়, অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম সাত মাসে যেসব দেশ থেকে ইতালিতে শরণার্থীরা এসেছেন তার মধ্যে প্রবেশের প্রধান তিউনিসিয়া। আর ২০২২ সালে একই সময়ে প্রবেশের প্রধান দেশ ছিল লিবিয়া।
আরও পড়ুন: বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সমুদ্রপথে আসা ৬৪ হাজার ৭৬৪ জন অভিবাসী এবং শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অভীবাসী ও শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৭২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১৯ হাজার ১৭১ জন। যা ছিল মোট সমুদ্র আগমনের ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
সমুদ্র থেকে উদ্ধারের পর তাদের মধ্যে ৫ দশমিক ৮ শতাংশকে এনজিওর মানবিক জাহাজ সহায়তার মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আশ্রয়ের জন্য আবেদনের সংখ্যাও ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ হাজার ৪৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আশ্রয় চাওয়ার পর নেতিবাচক ফলাফলের কারণে প্রায় ২ হাজার ৫৬১ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ০৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: গ্রিসের উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩৫০ জন পাকিস্তানি অভিবাসী ছিল: কর্মকর্তারা
১ বছর আগে
সমুদ্রপথে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় ভারত, আগ্রহী নন আমদানিকারকরা
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে এবার শর্ত জুড়ে দিয়েছে ভারত। তবে তাদের শর্ত মেনে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানি করতে মোটেও আগ্রহী নন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
৪ বছর আগে