দিনমজুর
চাঁদপুরে প্রকাশ্যে শিয়ালের মাংস বিক্রি, ক্ষমা চাইলেন দিনমজুর
চাঁদপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ২০০ টাকা কেজিতে প্রকাশ্যে শিয়ালের মাংস বিক্রি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্রেতা খলিলুর রহমান নামের এক দিনমজুরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে আর এ কাজ না করেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার গুপ্টি র্পূব ইউনিয়নের গল্লাক বাজারে এই ঘটনা ঘটে। খলিল (৪৬) উপজেলার একই ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন দরিদ্র দিনমজুর।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান পাটোয়ারি জানান, বুধবার বিকালে গল্লাক বাজারে শিয়ালের মাংসের উপকারিতা বর্ণনা করে গোশত প্রতি ভাগ ২০০টাকায় বিক্রি করছিলেন খলিল।
আরও পড়ুন: গোখাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া, চাঁদপুরে কৃষকের মাথায় হাত
খবর পেয়ে খলিল মিয়াকে ডেকে পাঠান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খলিল বলেন, ‘আমি হতদরিদ্র দিনমজুর। আমার জানা ছিল না এ বিষয়টি। পরে, নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে ও মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।’
এ বিষয়ে সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘শিয়ালসহ যেকোনো বন্যপ্রাণি হত্যা করা ও তার মাংস বিক্রি করা বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
৫৬ দিন আগে
শুধু বিত্তশালী নয়, রিকশাচালক-দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু ধনীদের ফ্ল্যাটে থাকলেই চলবে না, বরং রিকশাচালক, দিনমজুর এবং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষও থাকবে।
শনিবার (১১ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় ঝাড়ুদার, হরিজন ও দলিতদের মতো ঐতিহ্যগতভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ বস্তিবাসী এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্ল্যাট প্রদানের লক্ষ্যে চলমান সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি উল্লেখ করেন, এসব সম্প্রদায়ের লোকদের সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যকর, মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে সক্ষম করার জন্য নির্মাণ প্রকল্পগুলো ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ জেলার ৩৩৪টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের একটি পরিবারও ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী জাতি গঠনে জনগণের বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তিকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনতে উপগ্রহ ও পারমাণবিক শক্তির মতো আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন দল কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আমার চিন্তা হচ্ছে আমার দেশের মানুষ ভালো থাকছে কি না, তারা উন্নতি করছে কি না, তাদের ভাগ্য বদলাচ্ছে কি না।’
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে মাথাপিছু আয় এবং তৃণমূল জনগণের ক্রয় ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিসহ বিগত ১৫ বছরে তার প্রশাসনের উন্নয়ন অর্জনসমূহ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সব বাংলাদেশির জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের উন্নয়ন কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে তার সরকারের অব্যাহত নিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দেশ ও জনগণের কল্যাণে আসে না এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেব না: প্রধানমন্ত্রী
৩৪১ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টা শুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বশির আলী নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত বশির আলী পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের আফসার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, মদনা গ্রামের উত্তর পাড়ার ইলার উদ্দীনের বাড়ির ছাদে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছিলেন বশির আলী। ছাদের পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারে তার শরীরে স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে যান। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. সাদিয়া তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
ফরিদগঞ্জে গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
৩৯১ দিন আগে
ঝিনাইদহে দিনমজুরের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহ সদরে অজ্ঞাত (৫০) এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার রামনগর গ্রামের একটি কলা খেত থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। ঘটনাস্থলে ব্যবহৃত কিছু জামাকাপড়, একটি শাবল, কিছু বেগুন ও একটি কাঁচি পাওয়া গেছে।
মহারাজপুর ইউনিয়নের খামারাইল ওয়ার্ডের মেম্বর জাহিদুল ইসলাম জানান, সকালে রামনগর গ্রামের কলা খেতে লাশ পড়ে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার ও শনাক্ত করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিয়া খুরশিদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তি হয় তো দিনমজুরের কাজ করে। তার মাথায়, হাতের তালু ও কানের পাশে আঘাতের চিহ্ন আছে। সম্ভবত শাবল দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন, পাশের খেত থেকে বেগুন তোলার কারণে কেউ চোর সন্দেহে তাকে হত্যা করতে পারে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি জানান, আমরা লাশের পরিচয় উদ্ধারে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। হয়তো দ্রুত নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
৫১৬ দিন আগে
চাঁদপুরে গাছ থেকে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু
চাঁদপুরে সুপারি গাছ থেকে পড়ে মিজান বেপারী (৫৩) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত মিজান বেপারী ওই গ্রামের মৃত আবদুল গনি বেপারীর ছেলে এবং পেশায় একজন দিনমজুর।
বাড়ির লোকজন জানান, তিনি রাতে ঘরের পাশের গাছ থেকে সুপারি পাড়তে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে নিচে পড়ে নিহত হন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মুহসীন আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহটে নারকেল গাছ থেকে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পা পিছলে জাম গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
৫৪৯ দিন আগে
বাগেরহটে নারকেল গাছ থেকে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু
বাগেরহাটের ফকিরহাটে নারকেল গাছ থেকে পড়ে এক দিনমজুর মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মানসা সাহাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসুফ শেখ (৬৫) মধ্যবাহিরদিয়া গ্রামের মৃত কোহিল উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে বাল্কহেড ডুবে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান জানান, সকালে কল্পনা চক্রবর্তীর নারকেল গাছ পরিস্কার করার জন্য গাছে ওঠেন ইউছুস শেখ। নারকেল গাছটি বৃষ্টির পানিতে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকায় হাত ফসকে মাটিতে পড়ে যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি উপজেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জ্বরে আক্রান্ত দিনমজুরের মৃত্যু, এলাকায় করোনা ভীতি
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে ৩ দিনমজুরের মৃত্যু
৬৪৬ দিন আগে
হারিয়ে যাওয়া টাকা মালিককে ফিরিয়ে দিলেন দিনমজুর, পরিচয় প্রকাশে অনীহা
বরিশালে নগরীর এক আটা-ময়দা মিল মালিক তিনদিন পূর্বে হারিয়ে যাওয়া দুই লাখ টাকা ফিরে পেয়েছেন। তবে যিনি টাকা ফেরত দিয়েছেন দিনমজুর হওয়া সত্বেও কোনো উপহার নেয়া তো দূর নিজের পরিচয় পর্যন্ত প্রকাশ করেননি তিনি।
মঙ্গলবার রাতে নগরীর বিসিক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিসিক এলাকার সুগন্ধা ফ্লাওয়ার মিলের মালিক শংকর কুমার সাহা জানান, গত ৬ আগ বিসিক এলাকার ফ্রেশ বেকারি থেকে তাকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা দেয়া হয়। ওই টাকা একটি শপিং ব্যাগে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঝুলিয়ে নগরীর হাটখোলা কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর হাটখোলা গিয়ে দেখতে পেয়েছেন টাকা ভর্তি ব্যাগ নেই। সঙ্গে সঙ্গে টাকার সন্ধানে নেমে পড়েন কিন্তু কোনো সন্ধান পাননি। গত ৮ আগস্ট দিনভর মাইকিং করেন। টাকা ফিরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
শংকর সাহা জানান, টাকা ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। হঠাৎ করে বেলা ১১টার দিকে নগরীর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম মতুর্জা আবেদীন ফোন করে বলেন তার টাকা হারানো গিয়েছে কিনা। টাকার পরিমাণ কত জানতে চেয়ে নিশ্চিত হয়ে বিকালে তার কার্যালয়ে গিয়ে টাকা আনতে যেতে বলেন।
তিনি বলেন, রাস্তায় টাকা কুড়িয়ে পাওয়া ব্যক্তি গরীব লোক। তার পরিচয় জানাতে নিষেধ করেছেন। তাই কাউন্সিলর তার পরিচয় জানায়নি। এমনকি তাকে চোখে দেখেননি বলে জানান শংকর সাহা।
নগরীর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম মতুর্জ আবেদীন বলেন, টাকা কুড়িয়ে পাওয়া ব্যক্তি শ্রমিক। এক কথায় দিন মজুর। তিনি টাকা পেয়ে বাসায় নিয়ে যান। পরে টাকার মালিকের সন্ধান করতে থাকেন। মাইকিং শুনে স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে তার কাছে জমা দিয়েছেন বলেন জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিউকম ডটকমের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়া শুরু
মতুর্জা বলেন, লোকটি কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা। তার পরিচয় কারো কাছে জানাতে নিষেধ করেছেন। তাই কাউকে তার পরিচয় জানানো হয়নি।
৯৮১ দিন আগে
বজ্রপাতে মাগুরায় এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ মৃত্যু ২
মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ও কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে শুক্রবার বজ্রপাতেক এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ দুজন নিহত এবং চার জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- সদরের রাঘবদাইড় ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জাপুর গ্রামের দুলাল বিশ্বাসের মেয়ে ও দক্ষিণ মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী মাফুজা খাতুন এবং কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের নতুনগ্রাম এলাকার দিনমজুর রামানান্দ (৪৮)।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে দক্ষিণ মির্জাপুর গ্রামের মাফুজা খাতুন বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশে মাঠে গরু আনতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
এদিকে, একই সময় নতুনগ্রাম এলাকায় পাট খেতে কাজ করা সময়ে বজ্রপাতের রামানান্দ মারা যান। এই সময় তার সঙ্গে থাকা সহযোগী আরও চার শ্রমিক আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানানা, কৃষি কাজের জন্য গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার বাসিন্দা রামানন্দসহ অন্যান্য কয়েক দিনমজুর শ্রমিকরা কিছুদিন এলাকায় অবস্থান করছেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির হোসেন জানান, নতুনগ্রাম এলাকায় বজ্রপাতের ঘটনায় এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এঘটনায় মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশে বজ্রপাত
বজ্রপাত বাংলাদেশের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে, প্রতি বছর এই কারণে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বজ্রপাতে ৩ কৃষকের মৃত্যু
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগের চেয়ে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে অন্তত ২১৬ জন মানুষ মারা যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
৯৯৯ দিন আগে
কুড়িগ্রামে আঁখ খেত থেকে দিনমজুরের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শহিদ মিয়া (৪০) নামের এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ার চর গ্রামের আঁখ খেত তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শহিদ ওই গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার আগে আঁখ খেতে শহিদের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। দিনের কোন এক সময় কে বা কারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আঁখ খেতে রেখে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছির বিল্লাহ জানান, খবর পেয়ে একটি আঁখ খেত থেকে শহিদ নামের এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই আগামীকাল শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে হোটেল থেকে মাছ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
কচুয়ার নিখোঁজ ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি গলাকাটা লাশ দাউদকান্দিতে উদ্ধার
১১০৬ দিন আগে
শীত এলেই কিছুটা আয়ের মুখ দেখেন মমেনা
শীতের আগমনি বার্তা মমেনা বেওয়ায় ক্লান্ত শরীরে যেন একটু সুখের অনুভূতি নিয়ে আসে। বছরের ছয় মাস বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ঝি’র কাজ করেন তিনি। নভেম্বর মাস এলেই সব কাজ ফেলে নেমে পরেন পিঠা তৈরীর কাজে। ফলে শীত এলেই দু’পয়সা আয় হয় তার সংসারে। এই চার মাস পিঠা তৈরী করে এক ছেলে আর দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি।
কুড়িগ্রাম শহরের কেন্দ্রীয় বাস্টস্টান্ড সংলগ্ন সিএন্ডবি মোড় এলাকায় প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পিঠা তৈরী করেন মমেনা বেওয়া। একাই দোকান সামলান তিনি। কারণ ছেলেমেয়েরা এখন দূরে থাকে। তাদের সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ নেই তার।
মমেনা বেওয়া জানান, একমাত্র ছেলে বিয়ে করে ঢাকায় চলে গেছে। সেখানে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে সে। মায়ের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। এই ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠা বিক্রি করে টাকা জমিয়ে এক মেয়েকে সদর উপজেলার ঘোগাদহ ও অপর মেয়েকে যাত্রাপুরে বিয়ে দিয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে শহরের পৌরসভা এলাকার বাণিয়াপাড় গ্রামে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুষ্টিগুণ অটুট রেখে শীতকালীন সবজি খাওয়ার সঠিক উপায়
ব্যবসার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৭০টাকা কেজি দরে পাচঁ কেজি আতপ চাল কিনে বাড়িতে উড়–ন-গাইনের সাহায্যে নিজেই আটা বানিয়ে নেন। এরপর ভাপা পিঠা ১০ টাকা এবং চিতই পিঠা ৫ টাকায় বিক্রি করেন। এতে দিন শেষে কখনো ৪শ’ কখনো বা ৫শ’ টাকা আয় হয় তার। সেই কষ্টের টাকা জমিয়ে তিনি ভবিষ্যতের আপদ-বিপদ থেকে পরিবারকে রক্ষা করেন।
মমেনা বেওয়া অভিযোগ করেন, চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন লাভ কম হচ্ছে।
মমেনা বেওয়ার মত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রিক্সা প্যাডলার মাহিন আলম শীত এলেই মহাজনের কাছে রিক্সা জমা দিয়ে চার মাস পিঠা তৈরীর কাজ করেন। প্রতিদিন মাহিন আলমের আয় হয় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা।অপরদিকে সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলমও শীতকালে পেশা পরিবর্তন করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রি
১২৪৫ দিন আগে