লেবার পার্টি
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা, নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে স্কাই নিউজ জানায়, পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪৬৭টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে; যার মধ্যে লেবার পার্টি পেয়েছে ৩২৬টি আসন।
এদিকে কোনো সংবাদ মাধ্যমে ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
বিবিসি, আইটিভি ও স্কাই নিউজের বুথফেরত জরিপে ফল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, লেবার পার্টি ৪১০টি আসনে বিশাল জয় পাবে, অন্যদিকে কনজারভেটিভদের আসন সংখ্যা ১৩১টিতে নেমে আসবে।
সুনাক বলেন, 'লেবার পার্টি এই সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে এবং আমি স্যার কেয়ার স্টারমারকে ফোন করে তার জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিটিশ জনগণ আজ রাতে একটি রায় দিয়েছে যা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে... আর হারের দায় আমি নিচ্ছি।’
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর স্টারমারের ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পথ প্রশস্ত করতে সুনাক শিগগিরই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
লেবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হওয়ার পরে সেন্ট্রাল লন্ডনে জনতার উদ্দেশে স্টারমার বলেন, “আমরা পেরেছি। আপনারা এর জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন, এর জন্য লড়াই করেছিলেন- এবং জয় এসেছে। 'পরিবর্তন এখন শুরু।’”
তিনি আরও বলেন, 'ব্রিটিশ জনগণকে পরীক্ষা করে দেখতে হয়েছিল যে আমরা তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারি কি না এবং এটি এখনই থামবে না।’
স্টারমার বলেন, ‘আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না, যে এটি সহজ হবে। কিন্তু যখন চলা কঠিন হয়ে উঠবে, মনে রাখতে হবে আজকে রাতের কথা।’
আরও পড়ুন: পরাজয় মেনে প্রধানমন্ত্রীর শেষ ভাষণ দিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়েছেন সুনাক
৪ মাস আগে
লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিন পর ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, তারা দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মপন্থা এবং এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল নিয়েও কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
তবে বৈঠকের ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে তিনি জানান, তারা অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনার পরে তাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থা সম্পর্কে একটি ঘোষণা নিয়ে আসবে।
এ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর ইরান বলেন, দেশের এক সঙ্কটময় সময়ে তারা বিএনপির সঙ্গে বসেছেন। ‘আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার নেই... এমন সময়ে আমরা বিএনপির সংলাপকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বিএনপি সফল হবে। ‘জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আমাদের দল বিএনপিকে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে।’
মঙ্গলবার নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
২ বছর আগে
নির্বাচনে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির নেতা অ্যালবানিজকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
ফেডারেল নির্বাচনে দলের জয়ে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি নরম্যান অ্যালবানিজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই বিজয় অ্যান্থনি নরম্যান অ্যালবানিজের নেতৃত্বে দলটির প্রতি অস্ট্রেলিয়ার জনগণের আস্থা প্রকাশ করেছে, যাতে তারা (লেবার পার্টি)দেশকে অন্তর্ভুক্তি, শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় সমর্থন এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে উদার সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে এবং বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ক্লিন এনার্জি, মেরিটাইম সিকিউরিটি, ওসিয়ান গভর্নেন্স এবং ব্লু ইকোনমিতে সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, দুটি দেশ তাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পালন করেছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন অ্যালবানিজ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক স্বার্থ, পরিপূরকতা এবং পারস্পরিক নির্ভরতার নতুন ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করব, যাতে আমাদের সম্পর্কগুলো মূল অংশীদারিত্বের মতো উন্নীত হতে পারে। একসঙ্গে আমরা ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচার করতে পারি এবং নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সফরে আসা প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের পর দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ সফর করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ধরনের উচ্চ-স্তরের মিথস্ক্রিয়া আমাদের বন্ধুত্বের বিদ্যমান বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ এবং সমসাময়িক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে একটি সাধারণ বোঝাপড়া তৈরি করতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় বাজারে পণ্যের ন্যায্য মূল্য চায় বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের সমর্থনের আহ্বান জানাতে বাংলাদেশে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি
২ বছর আগে
অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ
স্কট মরিসনকে হারিয়ে লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজ (আলবো) অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে শনিবারের নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফলের আগেই পরাজয় মেনে নিয়েছেন স্কট মরিসন। একই সঙ্গে অ্যালবানিজকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।
অ্যালবানিজ এমন একজন রাজনীতিবিদ, যিনি সিডনি শহরতলিতে বসবাসকারী এক সিঙ্গেল মায়ের একমাত্র সন্তান হিসেবে তার জীবন শুরু করেন।
এছাড়াও তিনি বহুসাংস্কৃতিক অস্ট্রেলিয়ার একজন নায়কও। তিনি ১২১ বছরের ইতিহাসে প্রথম ‘অ-অ্যাংলো সেল্টিক’ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘতম রাজনীতিবিদদের একজন অ্যান্থনি আলবানিজ। তিনি ২০০৭ সাল থেকে লেবার পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ায় পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক খ্যাতি পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
জয় উদযাপনের আগে অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, তিনি দেশকে একত্রিত করতে চান। পাশাপাশি জলবায়ু সমস্যার সমাধান করতে চান।
তিনি বলেছেন, আধুনিক অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিফলিত করার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে যুগান্তকারী আবিস্কার অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের
ছয় সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারণার সময় অ্যালবানিজ বারবার উল্লেখ করেছেন, তিনি তার সুবিধাবঞ্চিত শৈশব থেকে জীবনের পাঠ শিখেছিলেন।
নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি কর্মজীবী বাবা-মায়ের জন্য সস্তায় শিশুর যত্ন কেন্দ্র এবং বয়স্কদের জন্য উন্নত নার্সিং হোমের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও তিনি এছাড়া সামাজিক পরিষেবাগুলোতে বিনিয়োগ এবং জলবায়ু যুদ্ধের অবসানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টোকিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার সময় অ্যালবেনিজ অস্ট্রেলিয়াকে পুনর্গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অ্যালবানিজ।
তিনি বলেছেন, তিনি এই অঞ্চলে চীনা কৌশলগত প্রতিযোগিতার বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে ‘সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য’ বজায় রাখবেন।
এদিকে পরাজয় মেনে নিয়ে দেয়া ভাষণে স্কট মরিসন বলেন, আজ থেকে আমি বিরোধী দলের নেতা। নির্বাচনে জয়লাভ করায় অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে কথা বলে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।
দেশটির সরকার গঠনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের ১৫১টি আসনের অন্তত ৭৬ টিতে জয়লাভ করতে হবে অ্যালবানিজের দল লেবারের। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত লেবার জিতেছে ৭২টি আসনে। অন্যদিকে মরিসনের দল লিবারেল পার্টির জোট সরকার ৫৫টি আসনে জয় লাভ করেছে। এখন পর্যন্ত ১১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর বাকি ১৩টি আসনে কারা জয়ী হচ্ছেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
তবে, নতুন প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাম নেতাদের সঙ্গে জনগণের একটা ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্কের দিকে দৃষ্টি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার
আইনি লড়াই হেরে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন জকোভিচ
২ বছর আগে
আবারও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আরডার্ন
নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
৪ বছর আগে