ডলার
ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি, তাই বিনিময় হার কমানো যৌক্তিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিবির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, গত বছর স্বল্পমেয়াদী বৈদেশিক ঋণের দায় ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে।
এছাড়া চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তাৎক্ষণিক ডলার পেমেন্ট দিয়ে এলসি খোলা হয়। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ এখন চাহিদার চেয়ে বেশি। ফলে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেডা) সিদ্ধান্ত সঠিক বলেও জানান ওই মুখপাত্র।আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
তিনি বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে মার্কিন ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়। ডলার পরিষেবা এবং পণ্য ক্রয় এবং পরিষেবা ঋণ এবং বৈদেশিক দায় পরিশোধ করতে ব্যবহৃত হয়।
এখন আমদানি মূল্য মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে ডলারের চাহিদা কমে গেছে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার এক বছরের ও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলারের বিনিময় হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ডলারের দাম ০.৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে ৩৩,২০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে বিজিবি
এছাড়া আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য ডলারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা।
বুধবার সন্ধ্যায় বাফেডা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এক বৈঠকে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী কিনতে ডলারের দাম হবে ১১০ টাকা এবং রপ্তানি আয় হবে ১১০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগে ছিল ১১১ টাকা।
তবে প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারে। এর ফলে সুবিধাভোগীরা অভ্যন্তরীণ প্রবাসী আয়ের জন্য ডলার প্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন বিবৃতি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো এখনো ডলার প্রতি ১২১ টাকা বা তার বেশি হারে প্রবাসী আয় কিনছে।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নির্ধারিত হারে ডলার কেনার বিষয়ে সতর্ক করার পর ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সংকট আরও গভীর হচ্ছে।
খোলা বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ১৫ টাকা বেশিতে অর্থাৎ, প্রতি ডলার ১২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা খোলা বাজারে ডলারের এই রেকর্ড দাম সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তারা জানিয়েছেন, উচ্চ হারে ডলারের লেনদেনের পেছনে থাকা অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের সন্ধান করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, অতিরিক্ত দামে ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, ব্যাংক রেট উপেক্ষা করে ব্যাংক ডলার কিনলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর শাস্তি দেবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
অন্যদিকে, খোলা বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম। তিন দিনের বিপরীতে খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে তিন টাকা। শনিবার খোলা বাজারে প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৭ টাকায়।
এর আগে বুধবার (৮ নভেম্বর) খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৪ টাকায়।
মানি এক্সচেঞ্জারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ১১৩ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা। তবে, এই দামে কোনো মানি এক্সচেঞ্জে ডলার লেনদেন হয় না।
মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের লেনদেন না হলেও; মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁ থেকে শনিবার ক্রেতারা প্রতি ডলার ১২৮ টাকা দরে কিনেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হেলাল সিকদার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হারে ডলার লেনদেন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহক আসে এবং ডলার না পেয়ে ফিরে যায়। তারা অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়।’
আরও পড়ুন: এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
বাংলদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা
অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়ায় বৈধ উপায়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে অক্টোবরে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময়োপযোগী উদ্যোগের কারণে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেকেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, রেমিট্যান্স প্রণোদনার দীর্ঘমেয়াদি সুফল আসবে না।
তিনি বলেন, সরকার ডলারের হারে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ দেবে। রেমিট্যান্সের ওপর মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা এ ধরনের পদক্ষেপ সাময়িকভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি করবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না।
আরও পড়ুন: আমদানি নিয়ন্ত্রণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে
ড. রায়হান বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে চাইলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখন প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। যে কোনো উপায়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায় আগ্রহীরা আরও বেশি প্রণোদনা দেবে।
‘সুতরাং যতদিন হুন্ডি থাকবে, ততদিন বৈধ পথে প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স আসবে না।’
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩৬৫ ডলার: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমানে দেশের মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৩৬৫ ডলার। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৬২ হাজার ৩১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার (অস্থায়ী), যার মধ্যে বহুপক্ষীয় উৎস থেকে ৩৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ০৩ মিলিয়ন ডলার এবং দ্বিপক্ষীয় উৎস থেকে ২৫ হাজার ৫৩১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার রয়েছে।
কামাল বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৭৯ লাখ এবং বর্তমানে মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৩৬৪ দশমিক ৮৫ ডলার।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৫৩৬ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মান অনুযায়ী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ২১ হাজার ১১৬ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ কমলেও দেশে রিজার্ভের কোনো ঘাটতি নেই।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৩) বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১ হাজার ৪০৮ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত ১ হাজার ২৭২ দশমিক ১০ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিন) সংখ্যা ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
তিনি আরও বলেন, আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী স্পট ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট বিলুপ্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত দেশে ব্যক্তিগত করদাতার সংখ্যা ৮৯ লাখ ৫৩ হাজার।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও যুদ্ধ-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাস পেয়েছে এবং মুদ্রা বিনিময় হারের উপর কিছুটা চাপ পড়েছে।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমাতে এবং রিজার্ভ পুনর্গঠনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল-২০২৩ পাস
চলতি বছরে ৯০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার(২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহসিনা ইয়াসমিন এ তথ্য জানান।
৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৮ থেকে ৯ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
তিনি বলেন, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রচার এবং দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে বিডা দীর্ঘদিন ধরে এফআইসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এফআইসিসিআইয়ের এই মেগা ইভেন্টের কৌশলগত অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘চেম্বারটির ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এই বিনিয়োগ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিনিয়োগ মেলার কারিগরি অংশীদার।
বিজয় বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে এফআইসিসিআই'র অবদান তুলে ধরা এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি কার্যকর ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে নীতিসহ আমাদের অর্থনীতির রূপান্তরমূলক যাত্রাকেও তুলে ধরা হবে।
বিডার নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে ৯০ ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। ফলস্বরূপ, ব্যবসায়ীরা হয়রানি ও ব্যয় উভয় থেকে রেহাই পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ যেকোনো দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ সবসময় এটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই আয়োজন দেশে বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।’
এফআইসিসিআই'র পরিচালনা পর্ষদ ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন, 'দুই দিনব্যাপী এই বিনিয়োগ মেলায় প্রায় ৪০টি স্টলের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সহনশীলতা, প্রতিযোগিতা ও খাতভিত্তিক বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।’
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
সেপ্টেম্বরে দেশে ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিটেন্স এসেছে
বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৭ শতাংশ (১৯৬ মিলিয়ন ডলার) কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। যা প্রায় গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ আগের মাস আগস্টের তুলনায় ২২৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
প্রবাসীরা আগস্ট মাসে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ফেব্রুয়ারি মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ আরও একধাপ কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সর্বশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছিল। এরপরে, কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা চলতি বছরের জুন মাসে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে এবং জুলাই মাসে তা ছিল ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, যখন খোলা বাজারে বিনিময় হার ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন হুন্ডিতে লেনদেন বেড়ে যায়। আর হুন্ডির চাহিদা বাড়লে রেমিটেন্স কমে যায়।
গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি।
তাই বেশি লাভের আশায় প্রবাসীরা বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: ২০২৩’ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে, এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাংলাদেশ মোট ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে।
এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
'অব্যবস্থাপনার রেসিপি'
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি ভিন্ন শিরোনামে মার্কিন ডলারের মূল্য নির্ধারণ করছে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের প্রতি ডলারের দাম দিচ্ছে ১১০ টাকা ৫ পয়সা। রপ্তানি বিল ক্যাশিং প্রতি ডলারে 109 টাকা 5 পয়সা দেওয়া হয় এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনের জন্য ১১০ টাকা ৫ পয়সা দেওয়া হয়।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেছেন, এটি অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার একটি রেসিপি।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রবাসীরা অবৈধ চ্যানেলের (হুন্ডি) মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। খোলা বাজার এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দর একই রকম না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতি নাও হতে পারে।
মনসুর বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি আস্থার অভাবে বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে কম রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, কারণ দেশ থেকে নির্বিচারে অর্থ পাচার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে রেকর্ডসংখ্যক শ্রমিক রপ্তানি করলেও, রেমিট্যান্সের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে; যা পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেলে না।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্সের গতি
২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নে ১৫০০ মিলিয়ন ডলার দিলো জাপান
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। যেখানে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ৬৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। জাপান প্রকল্পটির জন্য আরও ১৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এ লক্ষ্যে ৪৪তম জাপানি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ প্যাকেজের (২য় ব্যাচ) অধীনে মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৭ম ধাপের জন্য নোট বিনিময় ও 'ঋণ চুক্তি' সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান বাংলাদেশের পক্ষে ‘এক্সচেঞ্জ অব নোট’ এবং ‘লোন এগ্রিমেন্টে’ সই করেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ‘এক্সচেঞ্জ অব নোটস’ সই করেছেন এবং জাপানের পক্ষে ‘ঋণ চুক্তি’ সই করেছেন জাইকা বাংলাদেশ অফিস, ঢাকা-এর প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরের ইআরডি’র এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে চুক্তি সই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই জাপানি ওডিএ ঋণের অধীনে, জাপান সরকার প্রকল্পের জন্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (জেপিওয়াই) বা প্রায় ১৫০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।
এই ঋণের সুদের হার হবে নির্মাণের জন্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ, পরামর্শ পরিষেবার জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ, একটি ফ্রন্ট-এন্ড ফি (এককালীন) শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং ৩০ বছরের ঋণ পরিশোধের সময়কাল, যার মধ্যে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানের নিরাপত্তা সহায়তা প্রাপ্ত প্রথম ৪ দেশে থাকছে বাংলাদেশ
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০মেগাওয়াটx ২ ইউনিট) আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা-চালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এবং স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতির জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে জিওবি ৬ হাজার ৪০৬ হাজার ১৬ কোটি টাকা, জাইকা ৪৩ হাজার ৯২১ দশমিক ০৩ কোটি টাকা এবং সিপিজিসিবিএল ১ হাজার ৫২৭ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত সহায়তা দিয়ে আসছে।
ওডিএ প্রতিশ্রুতি এখন পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
জাপানি ঋণ ও অনুদান বিদ্যুৎ, সড়ক, সেতু, টেলিযোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবেশ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদির মতো বিস্তৃত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাপানি সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: দেশের বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ৪৪তম ওডিএ ইয়েন ঋণচুক্তি সই
ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে সরকার: পরিবেশ সচিব
সরকার ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
তিনি বলেন, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইটে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরে বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষিজমি সংরক্ষণে সরকারি নির্মাণ কাজে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ব্লক ইটে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। ব্লক ইটে রূপান্তর সহজ করার জন্য, সকল প্রকারে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের মানোন্নয়নসহ সকল প্রকার উন্নয়ন টেকসই করতে প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ সচিব বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বায়ুমানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা হবে। নাগরিকদের সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ কমানো সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে অংশীজনদের সকল সুচিন্তিত পরামর্শ স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষি জমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন নির্মাণে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্দেশ্য সফল করতে বেসরকারি নির্মাণেও ব্লকের ইটের ব্যবহার বাড়াতে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, এডিমন গিন্টিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এডিবি, বাংলাদেশ অফিস এবং মো. মিজানুর রহমান, এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, বেসরকারি সংস্থা, সমিতি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু রোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
ডলারের বিনিময় হার না বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও আবারও বেড়েছে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে মার্কিন ডলারের বিনিময় হারে বড় ধরনের পরিবর্তন না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ওই বৈঠকে গভর্নর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজার বা বৈদেশিক মুদ্রার বাজার নিয়ে কোনো নীতিগত পরিবর্তন করবে না।
এ সিদ্ধান্তের পরও সব ক্ষেত্রে ডলারের দর ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। রপ্তানি ও প্রবাসীদের আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা এবং আমদানির ক্ষেত্রে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
গতকাল রবিবার আবারও ডলারের দর বাড়ানো হয়েছিল, যা আজ সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য ডলার বুকিং নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মন্দার পর ২০২৩ সালের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতেই ডলারের দাম নির্ধারণ করে। এতে সংকট আরও বেড়েছে। পরে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ডলারের দাম নির্ধারণ থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে- অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (বাফেদা)।
এরপর থেকে দুই সংস্থা যৌথভাবে রপ্তানি, রেমিট্যান্স আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের জন্য ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: নতুন টাকা ছাপবেন না: বিবিকে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের পরামর্শ
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে
সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য ডলার বুকিং নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য উচ্চ হারে একটি মার্কিন ডলার বুকিং নীতি চালু করেছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এক বছর পর ‘স্মার্ট’ রেট দিয়ে বর্তমান ডলারের দামের চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বেশি চার্জ নিতে পারবে ব্যাংক।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
নতুন নিয়মে এক বছর পর্যন্ত বুকিং দিয়ে ডলার রাখা যাবে। এ জন্য ক্রেতাকে বাড়তি টাকা দিতে হয়। এখন যে পদ্ধতিতে ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে এটা নির্ধারণ করা হবে।
বর্তমানে আমদানির জন্য ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫ পয়সা। কেউ যদি ভবিষ্যতের জন্য একটি ডলার বুক করতে চান, তাকে এক বছর পর ডলারপ্রতি ১২৩ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে
নতুন টাকা ছাপবেন না: বিবিকে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের পরামর্শ
ডলারের বিনিময় হার না বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও আবারও বেড়েছে