ডলার
ইউক্রেনকে ৪২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৪২৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। শুক্রবার(১ নভেম্বর) পেন্টাগন এই ঘোষণা দিয়ে কারণ হিসেবে জানায়, ১০ হাজারেরও বেশি উত্তর কোরিয়ার সেনা সদস্যের বর্ধিত রুশ বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত সপ্তাহে কিয়েভ সফরের সময় বলেছিলেন যে আরও সহায়তা আসছে এবং তা শিগগিরই। এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমের জন্য এয়ার ডিফেন্স ইন্টারসেপ্টর, হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম এবং ১৫৫ মিমি আর্টিলারি, এবং সাঁজোয়া যান এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্রসহ বিদ্যমান মার্কিন মজুদের অন্যান্য অস্ত্র।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো ক্রমাগতভাবে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। এর মধ্যে খারকিভে ৫০০ কিলোগ্রাম (১১০০ পাউন্ড) ওজনের গ্লাইড বোমা হামলা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।
এছাড়াও, ইউক্রেন নতুন অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। রাশিয়ায় মোতায়েন উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদল ইউক্রেনের সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাশিয়া ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী গ্লাইড বোমা ব্যবহার করে ১ হাজার কিলোমিটার (৬০০ মাইল) দূরের ইউক্রেনের অবস্থানগুলোতে সরাসরি আঘাত করেছে। যা কয়েক কিলোমিটার (মাইল) দূরের শহরগুলোতে আঘাত হেনেছে। সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইলেরও কম) দূরত্বে অবস্থিত ১১ লাখ মানুষের শহর খারকিভ।
শুক্রবার পেন্টাগন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার মোট পরিমাণ ৬০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় স্পেনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮
২ সপ্তাহ আগে
খোলা বাজারে কমেছে ডলারের দাম
চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের খোলা বাজারে কমেছে মার্কিন ডলারের দাম।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যবসায়ী ও মানি চেঞ্জারদের মতে, বর্তমানে খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২১ থেকে ১২২ টাকায়, যা তিন সপ্তাহ আগেও ছিল ১২৫ টাকা।
গত ৫ আগস্ট দেশটিতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদেশ ভ্রমণের চাহিদা কমে যাওয়া এবং খোলাবাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ডলারের বিনিময় হার নিম্নমুখী হয়েছে।
সাধারণত ভ্রমণকারীরা খোলা বাজার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে থাকে। তাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় ডলারের দামও কমতির দিকে।
২ মাস আগে
চীনের ৫ কোম্পানি এক মাসে ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে: ইয়াও ওয়েন
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত এক মাসে চীনের পাঁচটি কোম্পানি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন সব স্বল্পোন্নত দেশের শতভাগ শুল্ক সুবিধা প্রদানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব জসিমের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
তিনি পররাষ্ট্র সচিবকে তার নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পররাষ্ট্র সচিবের অতীতের অবদানের কথা স্বীকার করে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাংলাদেশের সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ ও বন্ধুত্বের বিষয়ে চীনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবে গভীর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং 'ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব' আরও এগিয়ে নিতেবাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাণিজ্য সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, চীন আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব কাঁঠাল ও পেয়ারাসহ আরও কয়েকটি কৃষিপণ্য আমদানির জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুযোগ দিতে চীন প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার অভিযানের জন্য নৌকা, বিদ্যুৎ জেনারেটর এবং লাইফ জ্যাকেটের মতো সরঞ্জামও সরবরাহ করতে চায়। পররাষ্ট্র সচিব জসিম চীনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষ ২০২৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যথাযথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের একটি তালিকা প্রস্তুত করার বিষয়েও আলোচনা করেছে।
অভিন্ন স্বার্থের আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের প্রার্থিতার প্রতি সমর্থনও তাদের আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তৌফিক হাসানসহ ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর: ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠকে 'বহুমাত্রিক' আলোচনা
২ মাস আগে
রেমিট্যান্স ঊর্ধ্বমুখী: আগস্টে বাংলাদেশের আহরণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় আগস্টের ২৮ দিনে ২০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ।
রেমিট্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে ২০৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ২০২৩ সালের আগস্টের একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৪৩ কোটি ডলার।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি ডলার।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সে ডলার মূল্য বেড়ে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সাধারণ ছুটির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৯ থেকে ২৩ জুলাই ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং ১০ দিন মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক লেনদেন প্রায় বন্ধ ছিল।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটিয়ে উঠতে ও রিজার্ভ বাড়াতে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত কয়েক মাসে এসব পদক্ষেপের ফলে দেশে আসা প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।আরও পড়ুন: জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার
২ মাস আগে
শেভরনের কাছে পেট্রোবাংলার বকেয়া ২৬০ মিলিয়ন ডলার
গত পাঁচ মাসে বিবিয়ানা ও অন্যান্য গ্যাসক্ষেত্র থেকে কেনা গ্যাসের দাম বাবদ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার কাছে ২৬০ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে শেভরন বাংলাদেশের।
চলতি সপ্তাহে একটি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানিটির বাংলাদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রাকৃতিক গ্যাস কিনে পেট্রোবাংলা। নগদ অর্থ সংকটের কারণে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শেভরন বর্তমানে দৈনিক প্রায় ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস সরবরাহ করে; যা দেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের প্রায় ৫০ শতাংশ। দেশে ২৬১২ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন হয়।
এর মধ্যে দেশের বৃহত্তম ক্ষেত্র বিবিয়ানা থেকে ১০১৭ এমএমসিএফডি গ্যাস, জালালাবাদ ১৫৩.৪ এমএমসিএফডি এবং মৌলভীবাজারে ১৬.৪ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবনতির কারণে এই প্রথম বিদেশি তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে নিয়মিত অর্থ পরিশোধ করতে চাপের মুখে পড়েছে দেশ।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারাও একই মত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নতুন জায়গায় গ্যাসের সন্ধান
তারা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল। তবে ২০২৩ সালে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার পর পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ও এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে চাপ পড়েছে।
এর ফলে গত বছর কিছু সময়ের জন্য সরকার এলএনজি আমদানি কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে দেশি-বিদেশি সরবরাহকারীদের অর্থ পরিশোধও কমাতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন নসরুল হামিদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'এ কারণে শেভরনসহ অন্যান্য কোম্পানির পাওনা রয়েছে।’
বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে শেভরন বুধবার (২১ আগস্ট) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, 'দীর্ঘদিনের কোম্পানির নীতি হিসেবে আমরা বাণিজ্যিক কারণে আমাদের বকেয়া পাওনার হিসাব দিই না।’
এতে আরও বলা হয়, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে শেভরন বাংলাদেশ। প্রায় ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে শেভরন।
এতে আরও বলা হয়, ‘দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং এটি তার জনগণের জন্য যে সুবিধা দিতে পারে তা নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
এদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত বিদেশি কোম্পানিগুলো থেকে পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ও গ্যাস আমদানি ও ক্রয় অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়িয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, বিদেশি গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরও বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা পাচ্ছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
মঙ্গলবার জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেছেন, ‘আগে আমরা বিদেশি কোম্পানিকে গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম বিল পরিশোধ করার জন্য প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার পেতাম। এখন আমরা এর চেয়ে বেশি পাচ্ছি।’
সম্প্রতি বিদেশি গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহকারীদের কাছে সরকারের বকেয়া বিল ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সচিব এই মন্তব্য করেন।
শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি সংস্থাগুলোর বকেয়া পাওনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধে সরকারকে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।
অন্যথায় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তাদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে।
তারা বলেন, দেশের সমুদ্রসীমায় হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক অফশোর দরপত্র আহ্বানের আগে অর্থপ্রদান পরিস্থিতির উন্নতি করা প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই খাতসংশ্লিষ্ট একজন বলেন, 'পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হলে বিদেশি কোম্পানিগুলো নিলামে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: গ্যাসোলিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বছরের শেষ পর্যন্ত বাড়াল রাশিয়া
৩ মাস আগে
জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার
জুলাই মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই পরিমাণ আগের মাস জুনের তুলনায় ২৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে জুন মাসে ২৫১ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। জুনের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ২৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে ২৪ দিনে দেশে ঢুকেছে ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
গত বছরের জুলাইতে (২০২৩) ১৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এলেও ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে এসেছে মাত্র ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই প্রবাসীরা ১২০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন, যা একদিনের রেমিট্যান্স প্রবাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের (২০২৪) প্রথম ৭ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে। এ মাসে ১৯০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
তথ্যানুযায়ী গত মার্চে ১৯৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সে ডলার মূল্য বেড়ে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা
৩ মাস আগে
খুচরা বাজারে ডলারের দাম ১২৪ টাকা ছাড়াল
বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে খোলা (কার্ব) বাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৪ টাকা ছাড়িয়েছে।
মানি এক্সচেঞ্জার ও ব্যক্তি পর্যায়ের ডলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় সম্প্রতি দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকায় বিভিন্ন মানি চেঞ্জার হাউজে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে ইন্টারনেট বন্ধ এবং কারফিউয়ের কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে একদিনের ব্যবধানে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। এখন খোলা বাজারে এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের ১২৪ টাকা থেকে ১২৪ টাকা থেকে ১২৪ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
গত রবি ও সোমবার (২৮ ও ২৯ জুলাই) কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হয়েছে ১২১ থেকে ১২২ টাকায়।আরও পড়ুন: জুলাইয়ে ২৪ দিনে দেশে ঢুকেছে ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই পর্যন্ত ১৮৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে গত ৮ মে 'ক্রলিং পেগ' চালুর পর থেকে ডলারের দর বাড়ে ৭ টাকা এবং সর্বোচ্চ দর ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ফলে দুই মাসের বেশি সময় ডলারের দর ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এখন আবার ডলারের দর বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বেশি দামে রেমিট্যান্স আনার মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সে ডলার মূল্য বেড়ে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা
৩ মাস আগে
নীলফামারী ইপিজেডে ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইউইপিজেড) প্রিন্টেড ম্যাটেরিয়ালস ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন শিল্প স্থাপনে ১২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীনা কোম্পানি বাইদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। মঙ্গলবার ঢাকার বেপজা কমপ্লেক্সে এই চুক্তি সই করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৪২ শতাংশ
বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবির এবং বাইদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝাং হু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
বিদেশি মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৮ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের কার্টুন বক্স, পেপার ব্যাগ, বক্স ফাইল/স্টোরেজ বক্স, বিভিন্ন ধরনের বই ও ম্যাগাজিন, স্টিকার/লেবেল/হ্যাং ট্যাগ/বারকোড স্টিকার, ক্যালেন্ডার, ডায়েরি ও বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টেড কার্ড উৎপাদন করবে। এ কোম্পানিতে ১ হাজার ১৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে রিহ্যাব শারজাহ ফেয়ার-২০২৪
৩ মাস আগে
ইকোনোমিক জোনে ২১.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে চীনের কোম্পানির চুক্তি সই
বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্যারি ব্যাগ ও লাগেজ উৎপাদন শিল্প স্থাপনে ২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনের কোম্পানি ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেড।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকায় বেপজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবির এবং ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝেং শুয়ং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
চীনের এই কোম্পানি বছরে ১৭ লাখ ব্যাকপ্যাক, হ্যান্ডব্যাগ, মানিব্যাগ, ব্যাগ, ক্যাপ, বেল্ট ও লাগেজ উৎপাদন করবে। এতে ২ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেডকে স্বাগত জানিয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, তাদের বিনিয়োগ বাংলাদেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে।আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
৪ মাস আগে
তরুণ সাংবাদিকদের সেরা চার প্রকল্পকে ১৮,০০০ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং তরুণ সাংবাদিকদের সেরা চার প্রকল্পকে ১৮ হাজার ৪৩০ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
রবিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশে আয়োজিত প্রথম টেকক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে এই সেরা প্রকল্প নির্বাচন করা হয়।
অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘কোস্টাল ভয়েস’, ‘এম্পাওয়ারিং মিডিয়া স্টুডেন্টস টু আইডেন্টিফাই নিউজ সোর্সেস অ্যান্ড এলিমিনেটিং মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন’, ‘মিডিয়া লিটারেসি বেয়ন্ড দ্য স্ক্রিন: ব্রিজিং গ্যাপস, বিল্ডিং মাইন্ডস’ এবং ‘ভয়েস ফর ভয়েসলেস’।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিভেন ইবেলি বলেন, ‘গণমাধ্যম সাক্ষরতার অগ্রগতি এবং ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে অর্জন করা নতুন দক্ষতাগুলোকে আপনারা সমাজে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন, সত্য নিশ্চিত করতে আয়োজিত এ বছরের ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের টেকক্যাম্পের পর অনুদানের এই আয়োজনটি এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। যুগান্তকারী এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য সারা দেশ থেকে ৫০ জন সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং তরুণ সাংবাদিককে নির্বাচিন করা হয়।
৪ মাস আগে