ডলার
জুলাই-জানুয়ারিতে ২৩৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ শতাংশ। এই সময়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। এটি দেশের রপ্তানি খাতে একটি ইতিবাচক প্রবণতাকে তুলে ধরে।
তবে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যানের তুলনায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সোমবার বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, গত চার মাসে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) টানা দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে। যেখানে এক মাসে রপ্তানি মূল্য ছিল ৩৬৬ কোটি ডলার।
নিটওয়্যার খাতে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে বাংলাদেশের ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানগুলো উত্সাহজনক হলেও সেগুলো শিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষত দাম এবং ব্যয়ের চাপকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে না।
রুবেল বলেন, এই প্রবণতাকে প্রভাবিত করে এমন নির্দিষ্ট কারণগুলো যেমন বাজার-নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড, পণ্য এবং বাজারের ঘনত্ব এবং অন্যান্য পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করার জন্য আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
গত বছর বৈশ্বিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে তীব্র মূল্য প্রতিযোগিতাও দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য কিছু সুযোগ রয়েছে।
রুবেল বলেন, তবে জ্বালানি নিরাপত্তা এবং আর্থিক/ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতাসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকার মোকাবিলা করা দরকার।
৪৯ দিন আগে
জানুয়ারিতে বাংলাদেশের ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এটিও আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কোটি ডলার।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের রপ্তানি কার্যক্রমের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের স্থিতিস্থাপকতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা প্রদর্শন করে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তুলে ধরেছে।
অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অধিকাংশ খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে ১২ শতাংশ, নিটওয়্যার ১২ শতাংশ এবং বুনন পোশাক খাতে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানির ভিত্তি শক্তিশালী করুন: ড. ইউনূস
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছ এবং প্লাস্টিক পণ্যসহ অন্যান্য প্রধান রপ্তানি খাতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়।
রপ্তানি সম্পর্কে একটি আনুষ্ঠানিক মন্তব্যে ইপিবি বলেছে, এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যটি বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
৪৯ দিন আগে
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আরও ৩ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আরও তিন কোটি ডলার দেবে বিশ্ব ব্যাংক। 'এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেংদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিয়ন প্রজেক্ট' এর আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে ৩ কোটি ডলারের একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।
বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
বিশ্বব্যাংকের স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটির (এসইউএফ) আওতায় ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল ৪৫ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পের প্রাথমিক অর্থায়ন চুক্তি সই হয়। কোভিড মহামারির সময় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত প্রকল্পে পুনঃব্যবহারের জন্য মূল প্রকল্পের পরিমাণ থেকে ৫ কোটি মার্কিন ডলার বাতিল করা হয়।
৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩০ বছর।
এই ঋণ চুক্তির সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ কমিটমেন্ট চার্জ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে বিশ্বব্যাংক বোর্ড এ বছরের জন্য কমিটমেন্ট চার্জ মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক
৬০ দিন আগে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
আমদানি ব্যয় মেটানো ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ মানদণ্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। একই দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারে।
গত ১৫ জানুয়ারিতে বিপিএম-৬ স্ট্যান্ডার্ডে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। আর মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। গত ছয় দিনে বিপিএম-৬ এর মানদন্ড অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ কোটি ডলার কমেছে।
এছাড়া নেট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি গণনা রয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করে না।
সূত্র জানায়, দেশের ব্যবহারযোগ্য বা প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
দায়মুক্ত এসব রিজার্ভ ঋণ ব্যবস্থার সময় আইএমএফের মানদন্ড অনুযায়ী হিসাব করা হয়। আইএমএফ বাংলাদেশকে তার ঋণের শর্ত হিসেবে নির্দিষ্ট বিরতিতে প্রকৃত রিজার্ভের নির্দিষ্ট মাত্রা বজায় রাখতে বাধ্য করে।
আরও পড়ুন: রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থের ৮০ শতাংশ ফেরত এসেছে: গভর্নর
৬০ দিন আগে
বিশেষ বিবেচনায় রমজান, মূল্যস্ফীতি কমবে জুন-জুলাইতে: গভর্নর
২০২৫ সালের জুন-জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, বাজার স্বাভাবিক করতে এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসকে সামনে রেখে পণ্য আমদানিতে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যয় বাড়াচ্ছে ক্রমাগত। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখার ওপর জোর দেন তিনি।
এছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পেতে প্রায় ৩১ রকমের ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয়। এ কারণে অনেক সময় ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তারা। বিষয়টি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
এর বাইরে দেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা ৩ মাস থেকে আরও ৬ মাস বাড়ানোর দাবি জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
জবাবে গভর্নর বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়াই এলসি (ঋণপত্র) খুলতে ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
‘মূল্যস্ফীতি কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদের হার বাজার পর্যালোচনার ভিত্তিতে আরও হ্রাস করা সম্ভব হবে। ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা বর্তমানে ৩ মাস থেকে বাড়ানো যায় কিনা— সে ব্যাপারে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
দেশের ডলারের বাজার প্রসঙ্গে ইতিবাচক বার্তা দিয়ে গভর্নর বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাজারে ডলারের তেমন কোনো সংকট নেই এবং ডলারের মূল্যও বেশ স্থিতিশীল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ করবে না, এটা নির্ধারিত হবে ডলারের আমদানি ও চাহিদার ভিত্তিতে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল আছে। রেমিট্যান্স প্রবাহও বেশ ইতিবাচক। রপ্তানি আয় ঊর্ধ্বমুখী এবং রিজার্ভও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর সুফল শিগগিরই দেশের মানুষ ভোগ করতে পারবে।’
এছাড়া দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস খোলার বিদ্যমান শর্তাবলি আরও শিথিল করার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে বলে ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বাস দেন তিনি।
৬৭ দিন আগে
রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখার মতে, ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৮৪ কোটি মার্কিন ডলার (২৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে তা কমেছিল।
এই পতন সত্ত্বেও, রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের রিজার্ভকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসাহ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৬১ কোটি ডলার
ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি ডলার, যা অক্টোবর ও নভেম্বরে পাওয়া যথাক্রমে ১৫৭ কোটি ৫০ লাখ ও ১৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি।
রেমিট্যান্সের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ বাংলাদেশের প্রবাসীদের কাছ থেকে ব্যাপক আর্থিক সহায়তার ইঙ্গিত দেয়। যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক অবদান রাখছে।
রেমিট্যান্সের এই ইতিবাচক ধারা অন্যান্য আর্থিক কারণের পাশাপাশি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৯১ দিন আগে
ইউক্রেনকে ৪২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৪২৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। শুক্রবার(১ নভেম্বর) পেন্টাগন এই ঘোষণা দিয়ে কারণ হিসেবে জানায়, ১০ হাজারেরও বেশি উত্তর কোরিয়ার সেনা সদস্যের বর্ধিত রুশ বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত সপ্তাহে কিয়েভ সফরের সময় বলেছিলেন যে আরও সহায়তা আসছে এবং তা শিগগিরই। এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমের জন্য এয়ার ডিফেন্স ইন্টারসেপ্টর, হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম এবং ১৫৫ মিমি আর্টিলারি, এবং সাঁজোয়া যান এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্রসহ বিদ্যমান মার্কিন মজুদের অন্যান্য অস্ত্র।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো ক্রমাগতভাবে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। এর মধ্যে খারকিভে ৫০০ কিলোগ্রাম (১১০০ পাউন্ড) ওজনের গ্লাইড বোমা হামলা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।
এছাড়াও, ইউক্রেন নতুন অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। রাশিয়ায় মোতায়েন উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদল ইউক্রেনের সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাশিয়া ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী গ্লাইড বোমা ব্যবহার করে ১ হাজার কিলোমিটার (৬০০ মাইল) দূরের ইউক্রেনের অবস্থানগুলোতে সরাসরি আঘাত করেছে। যা কয়েক কিলোমিটার (মাইল) দূরের শহরগুলোতে আঘাত হেনেছে। সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইলেরও কম) দূরত্বে অবস্থিত ১১ লাখ মানুষের শহর খারকিভ।
শুক্রবার পেন্টাগন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার মোট পরিমাণ ৬০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় স্পেনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮
১৪২ দিন আগে
খোলা বাজারে কমেছে ডলারের দাম
চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের খোলা বাজারে কমেছে মার্কিন ডলারের দাম।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যবসায়ী ও মানি চেঞ্জারদের মতে, বর্তমানে খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২১ থেকে ১২২ টাকায়, যা তিন সপ্তাহ আগেও ছিল ১২৫ টাকা।
গত ৫ আগস্ট দেশটিতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদেশ ভ্রমণের চাহিদা কমে যাওয়া এবং খোলাবাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ডলারের বিনিময় হার নিম্নমুখী হয়েছে।
সাধারণত ভ্রমণকারীরা খোলা বাজার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে থাকে। তাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় ডলারের দামও কমতির দিকে।
১৮৬ দিন আগে
চীনের ৫ কোম্পানি এক মাসে ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে: ইয়াও ওয়েন
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত এক মাসে চীনের পাঁচটি কোম্পানি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন সব স্বল্পোন্নত দেশের শতভাগ শুল্ক সুবিধা প্রদানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব জসিমের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
তিনি পররাষ্ট্র সচিবকে তার নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পররাষ্ট্র সচিবের অতীতের অবদানের কথা স্বীকার করে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাংলাদেশের সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ ও বন্ধুত্বের বিষয়ে চীনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবে গভীর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং 'ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব' আরও এগিয়ে নিতেবাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাণিজ্য সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, চীন আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব কাঁঠাল ও পেয়ারাসহ আরও কয়েকটি কৃষিপণ্য আমদানির জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুযোগ দিতে চীন প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার অভিযানের জন্য নৌকা, বিদ্যুৎ জেনারেটর এবং লাইফ জ্যাকেটের মতো সরঞ্জামও সরবরাহ করতে চায়। পররাষ্ট্র সচিব জসিম চীনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষ ২০২৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যথাযথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের একটি তালিকা প্রস্তুত করার বিষয়েও আলোচনা করেছে।
অভিন্ন স্বার্থের আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের প্রার্থিতার প্রতি সমর্থনও তাদের আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তৌফিক হাসানসহ ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর: ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠকে 'বহুমাত্রিক' আলোচনা
১৯২ দিন আগে
রেমিট্যান্স ঊর্ধ্বমুখী: আগস্টে বাংলাদেশের আহরণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় আগস্টের ২৮ দিনে ২০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ।
রেমিট্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে ২০৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ২০২৩ সালের আগস্টের একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৪৩ কোটি ডলার।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি ডলার।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সে ডলার মূল্য বেড়ে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সাধারণ ছুটির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৯ থেকে ২৩ জুলাই ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং ১০ দিন মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক লেনদেন প্রায় বন্ধ ছিল।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটিয়ে উঠতে ও রিজার্ভ বাড়াতে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত কয়েক মাসে এসব পদক্ষেপের ফলে দেশে আসা প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।আরও পড়ুন: জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার
২০৭ দিন আগে