সড়ক
মার্চে সড়কে নিহত ৬০৪, আহত সহস্রাধিক
গত মার্চ মাসে দেশে সড়কে দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ৮৯ জন ও শিশু ৯৭টি। শনিবার (১২ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদেন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, মার্চে দেশে ৫৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এতে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৩৩ জন, যা মোট প্রাণহানির ৪১.২২ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৯ জন (১৮.০৪ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক ও সহকারী ৯৮ জন (১৬.২২ শতাংশ)।
এই সময়ে ৬টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৪ জন আহত হয়েছেন। ১৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৩৩ জন (৩৮.৫৭ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩২ জন (৫.২৯শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক-কার্গো ট্রাক আরোহী ৫৬ জন (৯.২৭শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ১৭ জন (২.৮১শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১১৯ জন (১৯.৭০শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭ জন (৪.৪৭শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১১ জন (১.৮২শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২২৮টি (৩৮.৮৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৫৬টি (৪৩.৬১শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১২.২৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩১টি (৫.২৮শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও ১৫৩টি (২৬.০৬ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৮টি (৪৩.৯৫ শতাংশ) গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৩টি (১৯.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়ায়, ৪৭টি (৮ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত এবং ১৬টি (২.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এদিকে প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রধান কারণ উল্লেখ করে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক সমস্যা, ট্রাফিক আইনের অজ্ঞতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং চাঁদাবাজি।
এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশ দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষ চালক তৈরি, চালকের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রেল ও নৌপথ সংস্কার।
৪ দিন আগে
ঈদযাত্রায় সড়কে নিহত ২৪৯, আহত দুই সহস্রাধিক
এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ২২ জন করে নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এতে বলা হয়, এবারের ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১১ দিনে (২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) দেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন। কিন্তু বাস্তবে আহতের সংখ্যা ২ হাজারে বেশি।
‘শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই ঈদের ২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন, যার অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত। এই বাস্তবতায় সারা দেশে আহত মানুষের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি হবে। নিহতের মধ্যে নারী ৪১, শিশু ৫৯।’
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ১১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২.৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪.৩৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৩৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৫.৬৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৩২ জন, অর্থাৎ ১২.৮৫ শতাংশ।
‘এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৫ আহত হয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন।’
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৬ জন (৪২.৫৭ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৪ জন (৫.৬২ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৯ জন (৩.৬১ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ১৮ জন (৭.২২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৪৯ জন (১৯.৬৭ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-আলগামন) ১০ জন (৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৪ জন (১.৬০ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৭টি (৩৩.৮৫ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ৯৮টি (৩৮.১৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৪৩টি (১৬.৭৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৯টি (১১.২৮ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৬৮টি (২৬.৪৫ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১১৩টি (৪৩.৯৬ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৪১টি (১৫.৯৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ২৪টি (৯.৩৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১টি (৪.২৮ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
৯ দিন আগে
সড়ক থেকে মোটরসাইকেল সরাতে বলায় পুলিশের নাকে ঘুষি, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
যশোরে সড়ক থেকে মোটরসাইকেল সরাতে বলায় ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী দাবি করা ওই পুলিশ সদস্যের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শাওন নামের ওই যুবক।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের জেলরোড সড়কের ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার শাওন যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, শরিফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রদল নেতা শাওন। রাস্তায় মোটরসাইকেল থাকায় রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে মোটরসাইকেল সরিয়ে নিতে বলেন। এ সময় শাওনের সঙ্গে শরিফুলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা ধস্তাধস্তিতে রূপ নিলে শরিফুলের পোশাকও ছিঁড়ে যায়। সে সময় শাওন তার মুখে ঘুষি মারেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের অন্য কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শাওনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন।
আরও পড়ুন: সুইসাইড নোট লিখে স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘শরিফুল শাওনকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তখন শাওন বলেন— চিনিস আমাকে, আমার মোটরসাইকেল ট্রাফিক সার্জেন্টও সরাতে পারে না, আর তুই! এ কথা বলেই তার নাকে ঘুষি মারেন শাওন।’
তিনি বলেন, ‘ঘুষিতে শরিফুলের নাক ফেটে রক্ত বের হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে করা মামলায় শাওনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
৪৫ দিন আগে
নাটোরে সড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১
নাটোরে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আনছার আলী(৪৫) নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৬ জন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার ছাতনী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনছার আলী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের কানুর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়,সকালে কুয়াশার কারণে ছাতনী এলাকায় নাটোর-তাহেপুর আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৭ জন আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আনছার আলীকে মৃত ঘোষণ করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ২১
১০০ দিন আগে
গোয়াইনঘাটের সালুটিকর-কচুয়ারপার সড়কে অন্তহীন দুর্ভোগে মানুষ
শত বছরের পুরনো সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের হাওরাঞ্চল। এই হাওরাঞ্চলে রয়েছে উপজেলার নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের ছোট বড় প্রায় ১৮টি গ্রাম। দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও এসব গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, নির্মাণ করা হয়নি পাকা সড়ক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সালুটিকর বাজার থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের কচুয়ারপার, দারিকান্দি ও দারিরপার গ্রাম। দারিকান্দি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে চৌধুরী কান্দি, বাইমারপার, চলিতাবাড়ি ও শিয়ালা হাওর গ্রাম। শিয়ালা হাওর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে জলুরমুখ গ্রাম এবং জলুরমুখ থেকে লক্ষীনগর, মেউয়ারকান্দি, চদিবদি হাওর, পূর্ব পেকেরখাল, জামলাকান্দি গ্রামগুলোর দূরত্ব আরও দুই কিলোমিটার। মাত্র ১০ কিলোমিটার পাকা সড়কের অভাবে এ যুগেও নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের এসব গ্রামের উপাধি হাওরাঞ্চল হিসেবে। এসব গ্রাম থেকে থেকে সালুটিকর বাজার, গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর কিংবা জেলা শহরে যাওয়ার রাস্তা মাত্র একটি। এই একমাত্র রাস্তায়ও দৃষ্টি পড়েনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। হাওর এলাকায় দৃষ্টি দিলে দেখা মেলে 'বর্ষায় নাও আর হেমন্তে পাও' প্রবাদের বাস্তব চিত্র।
স্থানীয়রা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়েই পড়াশোনার ইতি টানছে।
চলিতাবাড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কাশেম আলী বলেন, নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের গ্রামে জনবসতি শত বছরের পুরোনো। এখনে ১৫ হাজার মানুষের বাস। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সব রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরাই শুধু ভোটের সময় গ্রামে আসেন। নির্বাচন শেষ হলে তারা উধাও। একটি রাস্তার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ফল মেলেনি।
আরও পড়ুন: সিলেটের সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক সংস্কারে 'রাস্তার পেট কেটে' মাটি ভরাটের অভিযোগ
কৃষি, নদী, গবাদি পশু লালন পালন ও বর্ষায় মাছ ধরার মধ্যেই এ সকল গ্রামের মানুষের জীবিকা সীমাবদ্ধ। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণেই তারা এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইউনুস আলী ও একই ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা রমযান আলী বলেন, 'আমাদের গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ৬ থেকে ৭ বছর আগে বিদ্যুতের আলো পৌঁছালেও রাস্তায় মাটির কাজ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন জনপ্রতিনিধিরা করেননি।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া বলেন, '১৫ বছর যাবৎ সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ হাওরাঞ্চলে কুড়ি বার মাটির রাস্তা পরিদর্শন করে পাকাকরণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
আমাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই। অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসেবা পাই না। রাস্তাঘাট নেই। ভোটের সময় এলে অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটের পর তাদের আর দেখা যায় না। গত ১৫ বছর শুধু রাস্তা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিই শুনে গেলাম। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের আরেক বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন লেবু বলেন, রাস্তার অভাবে গ্রামের লোকজন অসুস্থ হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা মেলে না। মুমূর্ষু রোগীদের পলো অথবা গরুর গাড়িতে করে নিয়ে যেতে হয় চিকিৎসকের কাছে। এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় অনেকে। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় চলতে পারি না। এখন তো হেঁটে আমরা সালুটিকর বাজারে যেতে পাড়ি। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ মাসে সবাইকে হাঁটুর উপরে কাপড় তুলে দুই কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াত করতে হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তা থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর পর্যন্ত গাংকিনারী রাস্তা নামে এলজিইডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর থেকে গাংকিনারী রাস্তায় দুই কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই করে পাকা করা হয়েছে। অপর দিকে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের কচুয়ারপার গ্রাম পর্যন্ত পাকাকরণের লক্ষে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলীকে ডাটাবেইজ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ সিলেট সরকারি ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষকদের
১৩৪ দিন আগে
বিয়ের একদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী হারালেন নববধূ
নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় বৌভাতের দিন বাড়িতে অতিথিদের রেখে বাজারে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সাজেদুর রহমান (২৪)নামে এক যুবক।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সুটকিগাছা এলাকায় আত্রাই-বান্ধাইখাড়া সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সাজেদুর রহমান উপজেলার নন্দনালী গ্রামের আজাদুর রহমানের ছেলে। এদিকে তার মৃত্যুতে বিয়ে বাড়িতে নেমেছে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ইজিভ্যান দুর্ঘটনায় নববধূর মৃত্যু
নিহত সাজেদুরের ভগ্নিপতি রতন ইসলাম বলেন, সাজেদুরের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। সাজেদুর তার ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে উপজেলার ভবানীপুর বাজারে দই কিনতে যান। দই কিনে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার সুঁটকিগাছা এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় সাজেদুরের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মেঘনার মোহনায় নৌকাডুবি,নববধূসহ নিখোঁজ ২
২১৪ দিন আগে
সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে চাঁদপুরে গাড়িচাপায় শিক্ষার্থী আহত
চাঁদপুরের মতলবে সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে গাড়িচাপায় সালাউদ্দিন প্রধানীয়া (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) দক্ষিণ উপজেলার মতলব বাইপাস সড়কের পানির ট্যাংকি মোড় এলাকায় এই দুঘর্টনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর কারাগারে বিদ্রোহের চেষ্টা, গোলাগুলিতে ২২ বন্দি আহত
আহত শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন প্রধানীয়া উপজেলার ঢাকিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এবং মতলব সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কয়েকজন মিলে মতলব বাইপাস সড়কের পানির ট্যাংকি মোড়ে যানযাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে গাড়িচাপায় সালাউদ্দিন প্রধানীয়ার বাম পায়ের হাঁড় ভেঙে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে গোলাগুলি, আহত ৫
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
২৪৬ দিন আগে
কোটা সংস্কার দাবিতে সীতাকুণ্ডে সড়ক-রেলপথ অবরোধ, ৬০ কিলোমিটার যানজট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন আইআইইউসির শত শত শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
এসময় মহাসড়কের উভয়দিকে ৬০ কিলোমিটার যানজট লেগে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বৈঠকের পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
২৭৪ দিন আগে
শেরপুরে সড়কের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
শেরপুর শহরে সড়কের পাশ থেকে মোস্তাইন বিল্লাহ নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে জামালপুর-শেরপুর সড়কের গৌরিপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোস্তাইন বিল্লাহ (৪০) ঝিনাইগাতী উপজেলার কালীবাড়ী বানিয়া পাড়া গ্রামের মৃত শামছুলহকের ছেলে। তিনি রিকশাযোগে কালিবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে কাপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটা থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, মোস্তাইন বিল্লাহ সোমবার রাত ৯টার দিকে শেরপুর শহরের তাতালপুর মহল্লার বাসিন্দা মুরগী ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে শহরে আসেন। এরপর রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে যাননি। পরদিন সকালে খোয়ারপাড় এলাকা-সংলগ্ন গৌরিপুরের শেরপুর-জামালপুর সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে তার রিকশাভ্যানটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের ডান চোখের পাশে সামান্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১০ দিন পর পাটখেতে তরুণীর লাশ উদ্ধার
ইট ভাটার পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
২৮৮ দিন আগে
সিলেটে সড়কে মিলল অজ্ঞাতনামা যুবকের রক্তাক্ত লাশ
সিলেট মহানগরীর চামেলীবাগ এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এদিকে পুলিশ ধারণা করছে, সড়কে গাড়িচাপায় তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এসএমপি’র শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, লাশের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে চুরি যাওয়া শিশুর লাশ মিলল বিলে
৩০৬ দিন আগে