সড়ক
ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ২
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীতে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. সাহাব উদ্দিন নামে এক পিকআপচালক নিহত হয়েছেন। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের ফাজিলপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে শনিবার রাতে ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার কলঘর এলাকায় দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নুরুল আমিন নামের এক পথচারী নিহত হন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
মো. সাহাব উদ্দিন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহন এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। অরেকজন ধলিয়া ইউনিয়নের উত্তর ধলিয়া গ্রামের কলঘর এলাকার হাসান আলী ভূঞা বাড়ির বাসিন্দা নুরুল আমিন।
ফাজিলপুর (মুহুরিগঞ্জ) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফাজিলপুর অংশের ঢাকামুখী লেনে সংস্কারকাজ চলছে। সে কারণে চট্টগ্রামমুখী লেনে দুই দিক থেকে যানবাহন চলাচল করছিল। দুপুরে ঢাকামুখী একটি যাত্রীবাহী বাস ও চট্টগ্রামমুখী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মারাত্মক আহত অবস্থায় পিকআপের চালক সাহাব উদ্দিনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাহাব উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী-সোনাগাজী সড়কের অপর পাশের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের উত্তর ধলিয়া গ্রামের কলঘর এলাকার হাসান আলী ভূঞা বাড়ির বাসিন্দা নুরুল আমিন।
রাত ৯টার দিকে সড়ক পারাপারের সময় ফেনী থেকে সোনাগাজীমুখী একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, নুরুল আমিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পোশাককর্মীর মৃত্যু
বছরের প্রথম মাসে সিলেটের সড়কে প্রাণ গেল ৩৫ জনের, আহত ২৯
নতুন বছরের প্রথম মাসে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট বিভাগীয় কমিটি শনিবার (৩ জানুয়ারি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন বছরের প্রথম মাসে সিলেট বিভাগে ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
এর মধ্যে- সিলেট জেলায় ১৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলায় ৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন।
মৌলভীবাজার জেলায় ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন ও হবিগঞ্জ জেলায় ৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জানুয়ারি মাসে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ১৩ জন মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী এবং ৮ জন সিএনজিচালক ও আরোহী রয়েছেন।
এছাড়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে ৩টি দুর্ঘটনায় ৬ জন, মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫টি দুর্ঘটনায় ৮ জন, বেপরোয়া গতির কারণে ৩টি দুর্ঘটনায় ৩ জন, দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির পেছন দিক দিয়ে ধাক্কায় ২টি দুর্ঘটনায় ৩ জন ও গাছের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় ৩ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
এছাড়া জানুয়ারি মাসে নিহত ৩৫ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মিশু বিবৃতিতে জানান, পাঁচটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য, অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচা সিলেটের শাখা সংগঠনগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে নিসচা বিভাগীয় কমিটি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় রূপম হালদার আফসান নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় খুলনা-চালনা মহাসড়কের সিলিন্দামারি কারিগরি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নিহত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রূপম ৩নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম হালদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রূপম মোটরসাইকেলে তার চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং আরও তিনটি মোটরসাইকেল একযোগে খুলনা থেকে কাতিয়ানাংলার তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বাসচাপায় যুবক নিহত
তাদের চারটি গাড়ির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল তাদের মধ্য থেকে একটি গাড়ির প্রতিযোগিতার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করছিল বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার সরকার জানান, সিলিন্দামারি কারিগারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামক স্থানে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হলে গাড়িতে থাকা দুইজন আহত হন।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রূপমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, তার চাচাতো ভাই রিশাদ হালদার গুরুতর আহত অবস্থায় সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২০
কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত তিনজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের কালিহাতী উপজেলার চাটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের ভুঁঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দি শিয়ালকোল গ্রামের হিরামন বেগম (৭০) এবং কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের তারাবাড়ী এলাকার সোহেল রানার ছেলে আব্দুল্লাহ (১১)।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, টাঙ্গাইল শহর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি বাস সাগরদিঘী যাচ্ছিল। চাটিপাড়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুভর্তি একটি ট্রাক অপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ওভারটেক করার সময় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখন বালুভর্তি ট্রাকটি উল্টে ওই অটোরিকশার ওপরে পড়ে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং অটোরিকশার দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রসহ নিহত ২, আহত ৪
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা নিহত, পরিবারের দাবি হত্যা
সাজেকের সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি-ভাঙচুর
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
তবে একই স্থানে সে সময় পর্যটকবাহী একটি মাহেন্দ্র, একটি পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হক জানান, অজ্ঞাতনামা দুর্বত্তরা পর্যটকবাহী গাড়ি লক্ষ করে এক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে কেউ হতাহত হননি। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পর্যটকসহ গাড়িগুলো উদ্ধার করে বাঘাইহাট জোনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেগুলো আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রহরায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে অবরোধের কারণে আন্তঃজেলা ও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি।
শহরের ভেতরে স্বল্প সংখ্যক ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও শহরতলীতে সড়ক অবরোধ চলছে কড়াকড়িভাবে।
অবরোধের সমর্থনে ভোরে জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস, স্বনির্ভর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইউপিডিএফ সমর্থকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে।
পিকেটাররা জেলার মানিকছড়ি ও দীঘিনালাসহ কয়েকটি এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
সাজেকে ডায়রিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
যশোরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন দেওয়ার সময় আটক ২
যশোরে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকে অগ্নিসংযোগের সময় দুই যুবককে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বোতলভর্তি পেট্রোল, খালি বোতল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে যশোর সদর রাজারহাটে ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: হরতালে চট্টগ্রামে ৩ বাসে আগুন
আটকৃতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর উত্তরপাড়ার জসিম মোল্লার ছেলে মাসুম বিল্লাহ (১৮) ও একই এলাকার ইনছান আলি মোল্লার ছেলে রাজু আহম্মেদ(২৬)।
এদিকে রবিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
প্রেস বিফ্রিংএ মেজর সাকিব আরও জানান, মণিরামপুর সড়কে দুষ্কৃতিকারীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে, এমন খবরে তারা যশোর-মণিরামপুর সড়কে একাধিক স্পটে অভিযান চালান।
তাদের মধ্যে একটি টিম যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট মোড়ে গাজী হোটেলের পাশেই ছিল। আর এই হোটেলের পাশেই একটি পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিং করা ছিল।
হঠাৎ করে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ থেকে ৭ জন যুবক এসে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্যে পণ্যবাহী ট্রাকে পেট্রল ঢালতে থাকে। এ সময় র্যাব সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে তাদের মধ্যে দুইজনকে আটক করে। বাকিরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই ট্রাকের ড্রাইভার রাজিব খান জানান, তিনি ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেট্রো-ট ২০-৯৯২৮ নম্বরের ট্রাকটিতে সূতালি নিয়ে সাতক্ষীরার ভোমরা বর্ডারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে গাজী হোটেলের সামনে রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করে তিনি হোটেলে ভাত খেতে গিয়েছিলেন। এমন সময় এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব দাবি করে- হরতালকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী নাশকতা কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ট্রাকে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কেন এ কর্মকাণ্ড ও এর নেপথ্যে কারা রয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিসির বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আটক ৩
সড়ককে নিরাপদ করতে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন
সড়কে প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে হলে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এজন্য জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে নতুন করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’- উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই সেমিনার ও র্যালির আয়োজন করে।
রোডক্র্যাশে হতাহতদের স্বরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ পালন করা হয়।
এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো— ‘রিমেম্বার. সাপোর্ট. অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্র্যাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পনুর্বাসন প্রতিষ্ঠান—নিটোরের সামনে থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে নিটোরের মিলনায়তনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
আরও পড়ুন: দেশে পালন করা হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস
তিনি বলেন, আমাদের সড়কগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যে যেভাবে পারছে সড়ক ব্যবহার করছে। ফলে দেশে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং আইন মানার সদিচ্ছা থাকতে হবে।
নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। যাইহোক না কেন সড়কে প্রাণহানি ঘটছে এটা সত্য। অথচ এটা প্রতিরোধযোগ্য। তাই উন্নত দেশের মতো জাতিসংঘ স্বীকৃত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন করা প্রয়োজন।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের ইন-কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন, কোনো সমস্যার প্রকৃত সমাধান করতে হলে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে প্রথমেই সড়কে প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা উদঘাটন করে এর সমাধান করা উচিত। এ ছাড়া বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন ও বিধিমালায় সড়ককে নিরাপদ করার বিষয়কে তেমনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই সড়ককে নিরাপদ করতে আলাদা করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা জরুরি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেন ও সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম। সেমিনারে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
বরিশালে অবরোধের শেষ সময়ে বাসে আগুন
বরিশাল সদর উপজেলায় সড়কের পাশে রাখা মরিয়ম-ফাতেমা নামে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে চরকাউয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরআইচা গ্রামে রাস্তার পাশে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরআইচা গ্রামে রাস্তার পাশে বাসটি রাখা ছিল। দুর্বৃত্তরা ভোরের দিকে বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে বাসটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা বাসটিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফোন করে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়।
আরও পড়ুন: অবরোধ: চট্টগ্রামে চলছে পিকেটিং, দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
বাসের মালিক হাবিবুর রহমান সোহেল জানান, আগুনে বাসের ভেতরে সিট ও সিলিং পুড়ে গেছে। শুধু কাঠামোটি রয়েছে। এ কাঠামো দিয়ে বাসটি পুনরায় চলাচলের উপযোগী করা যাবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। এ ছাড়া বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরআইচা গ্রামে রাস্তার পাশে রাখা বাসটিতে অজ্ঞাত দুবৃর্ত্তরা ভোরে অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে বাসটি পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা
বগুড়ায় পানির ট্যাংকারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ও শ্রমিকেরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সকালে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহগামী কয়েকটি বাস এলেও পরে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব প্রকার যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রয়েছে। তবে সকালে মাসকান্দা বাস টার্মিনালটিতে ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের ভিড় হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁ থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এদিকে পরিবহন মালিকরা বলছেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিবহন ভাঙচুরের ভয়ে তারা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। তবে বিছিন্নভাবে কিছু বাস চলাচল করছে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী বাসও চলাচল করছে অনেক কম। তবে জেলার অন্য রুটেও বাস চলাচলও সীমিত রয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রী প্লাবণ বলেন, জরুরি প্রয়োজনে আমার ঢাকা যাওয়া জরুরি ছিল কিন্তু বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আমি যেতে পারছি না।
নেত্রকোনার থেকে আসা আরেক যাত্রী বলেন, আমি ঢাকায় যাওয়ার জন্য আসছি। এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ এখন উপায় না দেখে ফিরে যাচ্ছি। আমার মতো শত শত যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, বাস মালিকদের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারা বলছেন- রাস্তায় যদি ভাঙচুর হয় তাহলে এর দায় কে নেবে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বাস চলাচল বন্ধ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে বাস মালিক ও শ্রমিকরা নিজ থেকে পরিবহন বন্ধ রেখেছে। তবে বিছিন্নভাবে কিছু বাস চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন শ্রমিকদের বিরোধের জেরে নাটোর-রাজশাহী রুটে উভয় জেলার বাস চলাচল বন্ধ
রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে ঢাকা-পটুয়াখালীর ৪ উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে ঈদযাত্রীরা
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে জেলার আনোয়ারা উপজেলার পিএবি সড়ক ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার দেওয়ানহাট এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই নারীর মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি হলেন- দোহাজারী পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড চাগাচর এলাকার দিনমজুর মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী নিলুফার বেগম।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, সকালে আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কের ঝিওরী মাজার গেট এলাকা অজ্ঞাত কোনো গাড়ির ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার মাথা থেঁতলে গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ২
তিনি বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। অজ্ঞাত ২৪/২৫ বছর বয়সী এই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
অজ্ঞাত ওই নারীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশে মহাসড়ক দোহাজারী পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লেগুনা সড়কের পাশের বাড়ির টয়লেটে ঢুকে পড়ে। এসময় টয়লেটে থাকা দিলুয়ারা বেগম নামে এক নারী নিহত হন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ এরফান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক যাত্রীবাহী লেগুনা গাড়িটি জব্দ রয়েছে। চালক পলাতক।
তিনি আরও বলেন, নিহত পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ২
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত