ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ইন্দোনেশিয়াকে এশিয়ার সাগর পাড়ের স্বর্গ নাম দেওয়া হলে মোটেই বাড়িয়ে বলা হবে না। নিদেনপক্ষে রাজা আমপাত রিজেন্সি, বালি, জাভা, সুমাত্রা ঘুরে বেড়ানোর সময় এমনটাই অনুভব করেন প্রতিটি পর্যটক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পরেও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় অভিজাত এই দর্শনীয় স্থানগুলো। তবে এই অবকাশ যাপনের সঙ্গে যে একদমই আপস করা যায় না তা কিন্তু নয়। জায়গা ভেদে প্রতিটি দেশেরই বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক তারতম্য ঘটে। ইন্দোনেশিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। এমনকি জাকার্তার মতো ব্যয়বহুল শহরের কাছেই দারুণ কিছু জায়গা আছে হিসেবি পর্যটকদের জন্য। আজকের নিবন্ধে স্বল্প খরচে শীতের ছুটি কাটানোর মতো ইন্দোনেশিয়ার সেই অপূর্ব দ্বীপাঞ্চলগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে।
স্বল্প খরচে ইন্দোনেশিয়ার ১০ মনোরম স্থানে কাটাতে পারেন শীতের ছুটি
গিলি দ্বীপপুঞ্জ
গিলি ট্রাওয়াঞ্জান, গিলি মেনো এবং গিলি এয়ার- ছোট্ট এই তিন দ্বীপ মিলে গিলি দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার লম্বকে। এই তিনটিই বিশ্বমানের ডাইভিং এবং স্নরকেলিংয়ের জন্য বিখ্যাত। দ্বীপগুলোর যে কোনো স্থান থেকে পানিতে নেমেই উপভোগ করা যায় পানির নিচের মন্ত্রমুগ্ধকর জগত।
বাংলাদেশ থেকে লম্বক পর্যন্ত আকাশপথে যাত্রায় মাথাপিছু সর্বনিম্ন বাজেট রাখতে হবে ৩৩৪ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৯৭ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা)।
লম্বকে থাকার খরচ জনপ্রতি সাধারণত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৫ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া বা ১ হাজার ২৭ দশমিক ২১ টাকা (১ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া = ০ দশমিক ০০৭ বাংলাদেশি টাকা)। একদিনের খাবারের জন্য বাজেট রাখতে হবে ৪৯ হাজার ৯৯৩ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া যা ৩৪৯ দশমিক ৯৩ টাকার সমতুল্য।
সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
উবুদ
ইন্দোনেশিয়াতে বিশ্ব পরিব্রাজকদের জনপ্রিয় গন্তব্য বালিতে অবস্থিত এই উবুদ। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রয়্যাল প্যালেসে দর্শনার্থীরা বিনামূল্যেই পরিদর্শন করতে পারেন। রাস্তার ঠিক নিচেই রয়েছে মাঙ্কি ফরেস্ট। এছাড়া রয়েছে গোয়া গাজাহর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বেমো রাইড। বেদুলু গ্রামের ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হাতির গুহার মূল আকর্ষণ এর জটিল খোদাইগুলো।
উবুদে থাকার খরচ সাধারণত ২১ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া যা ১৪ হাজার ৯৯৩ দশমিক ৯৪ টাকার সমান। সাশ্রয়ী হোটেলগুলোর মধ্যে আগুং ত্রিস্না বাংলো এবং ইনাং ভিলা সেরা পছন্দ হতে পারে। উবুদে খাওয়া-দাওয়ার জন্য দৈনিক চার্জ প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫৯ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (১ হাজার ৩২৯ দশমিক ৬১ টাকা)।
ঢাকা থেকে উবুদের নিকটতম নুগুরা রাই বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সবচেয়ে কম বিমান ভাড়া ২৫২ মার্কিন ডলার (২৭ হাজার ৬৮২ দশমিক ২৫ টাকা)।
‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা ‘উত্তরের আলো’ দেখার সেরা ১০টি দেশ
ইন্দোনেশিয়ার কিরাম আর্টস ফেস্টিভালে বাংলাদেশের পূজা
আগামী ৮ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়া সরকারের আয়োজনে দেশটির কালিমন্থন প্রদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কিরাম আর্টস ফেস্টিভাল’।
বাংলাদেশ থেকে সেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন নৃত্যশিল্পী, নির্দেশক ও তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর পূজা সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: ১০ নভেম্বর আদর-সায়মা জুটির ‘যন্ত্রণা’ মুক্তি
উৎসবে পূজা সেনগুপ্ত’র একক পরিবেশনায় মঞ্চায়িত হবে তুরঙ্গমীর নতুন প্রযোজনা ‘ম্যাকবেথ’।
তুরঙ্গমীর এই প্রযোজনাটি শিল্পীর ভাবনার আজকের সময়ে শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথের প্রাসঙ্গিকতা ও রূপ নিয়ে একটি থিমেটিক পারফরমেন্স আর্ট। যার ভাবনা, নকশা, নৃত্যনির্মাণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন পূজা সেনগুপ্ত।
সোমবার (৬ নভেম্বর) উৎসবে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দেন পূজা। এই সফরের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।
৫ মিনিটের ম্যাকবেথ পরিবেশনার পাশাপাশি পূজা সেনগুপ্ত তার প্রযোজনা নির্মাণের নিজস্ব কৌশলের উপর একটি কর্মশালাও পরিচালনা করবেন, যেখানে অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন অঙ্গনের আন্তর্জাতিক শিল্পীরা।
উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণ করছেন-মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, ইতালি, ঘানা, মেক্সিকো, ভারত, তাইওয়ান, নেদারল্যান্ড, মরক্কো, যুক্তরাজ্য, কম্বোডিয়া, জার্মানি, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার মূলধারার শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
রাজনীতির মাঠে সরব মাহি
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ
পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে আধা-তরল আবরণে ভেসে থাকা ভূত্বকের বৃহৎ অংশগুলো টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এই প্লেটগুলোর নড়াচড়ার সময় প্রতি দুই প্লেটের মাঝের জায়গায় ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। এই ঘর্ষণের আশেপাশের এলাকায় চাপ সৃষ্টি করে। এর চূড়ান্ত অবস্থায় একটি সিসমিক তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, যা প্লেটগুলোর সংঘর্ষ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে। এর প্রচণ্ডতায় ঘনবসতিপূর্ণ বিশেষ করে বড় বড় স্থাপনা সম্বলিত জায়গাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজকের নিবন্ধে অধিক ঝুঁকিতে থাকা ১০টি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা পৃথিবীর শীর্ষ ১০টি দেশ
জাপান
ভূমিকম্পন এলাকা হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ একটি দেশ জাপান। ভূমিকম্প ছাড়াও আগ্নেয়গিরি এবং উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য রীতিমত প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলা যেতে পারে জাপানকে। এটি ভৌগলিক ভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয়, ফিলিপাইন, ওখটস্ক এবং ইউরেশীয় প্লেট; এই চারটি টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় অবস্থিত।
এই সীমান্তগুলোকে ঢেকে রাখা সামুদ্রিক পরিখা ও খাদের বিশাল জলাশয় ঘিরে রয়েছে জাপানী দ্বীপপুঞ্জকে। প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার হিসেবে পরিচিত প্রশস্ত এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পের শিকার হওয়া দেশটি জাপান।
১৯৯০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জাপানে মোট ৯৪টি ভূমিকম্প হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একুশ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মধ্যে রয়েছে ২০১১-এর তোহোকু ভূমিকম্প ও সুনামি। ৯ থেকে ৯.১ মাত্রার এই ভূ-কম্পনে প্রাণহানি ঘটেছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন মানুষের।
২০১৬-এর কুমামোটো ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃত্যু সংখ্যা ছিলো ২৭৩ জন।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৯,৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে ওই বাণিজ্যিক জাহাজটি। ইতোমধ্যে জাহাজের কয়লা খালাস শুরু হয়েছে।
এর আগে ১৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে জাহাজটি। পরে চট্রগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। অবশিষ্ট ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে জাহাজটি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক (খুলনা) খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, সকালে নোঙর করা জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে লাইটার জাহাজে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হবে।
এর আগে গেল ২৮ আগস্ট রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩০ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল পানামা পতাকাবাহী আরেক বাণিজ্যিক জাহাজ।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ীতে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ীতে
ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে পানামা’র পতাকাবাহী ‘এমভি-নাবিওস অ্যাম্বার’ নামে একটি জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রের কৃত্রিম জেটিতে।
মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এসব কয়লা আনা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই মাসে এলো ৩ লাখ টনের বেশি কয়লা।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের শক্তিশালী টাগ কাণ্ডারি ২ ও ৪ সহ চারটি টাগের সহয়তায় বন্দরের বহির্নোঙরে থেকে ব্রেক ওয়াটার দিয়ে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হয় জাহাজটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের সিকিউরিটি অফিসার আলফাজ আহমেদ।
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই: বাণিজ্যমন্ত্রী
খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া মধ্যকার অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার (২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্টদূতও চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে অগ্রগতি সাধনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে সামান্য মুনাফা করুন, ব্যবসায়ীদেরকে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই চুক্তিকে বাস্তবে রুপ দিতে দুই দেশ ‘ট্রেড নেগোশিয়েন্স কমিটি’ গঠন করেছে এবং এখন পর্যন্ত তিনটি সভা করেছে।আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ায় চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হবে, এই রাউন্ডে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এরপরই দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই চুক্তিতে সাক্ষর করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার ওপর জোর দেন।
দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দ্বারা সম্ভাবনাময় খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ আরও সম্প্রসারণ এবং ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে টিপু মুনশি দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও ঘন ঘন যোগাযোগের পরামর্শ দেন। যাতে করে তারা সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করতে এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষ করে আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়াজাত পণ্যসহ ছাড়াও অন্যান্য বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭৮ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি করে। অন্যদিকে দেশটি থেকে আমদানি করেছে প্রায় তিন হাজার ৮২ ইউএস ডলার সমমূল্যের পণ্য।
এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিকে ভারসাম্য পর্যায়ে আনতে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্য ইন্দোনেশিয়ার বাজারে প্রবেশের সুযোগ করার ব্যবস্থা গ্রহণে দেশটির প্রতি আহ্বান জানান।
ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, উভয়ের দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, বন্ধুপ্রতীম ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। দুই দেশই পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের মাধ্যমে উভয় দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভ্রমণ করার সুযোগ পাবে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্য সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য প্রসারে এপেক্স চেম্বারের মধ্যে এমওইউ সাক্ষরের আহ্বান জানালে ইন্দোনিশিয়ার রাষ্ট্রদূত সম্মত হন এবং সহযোগিতার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছ।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বাংলাদেশে পামওয়েল রিফাইনারি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা ইচ্ছুক।
এছাড়া, সাক্ষাৎকালে তারা ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, অর্থনীতি-কূটনীতি, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, কোভিড পরবর্তী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ: পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ১৭৪
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দর্শকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এবং পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪ জনে পৌঁছেছে। রবিবার দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
পূর্ব জাভা প্রদেশের মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে দেশটির প্রিমিয়ার লিগের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পার্সেবায়া সুরাবায়া এবং আরেমা মালাং এর মধ্যকার খেলা শেষে এ ঘটনা ঘটে। আরেমা ম্যাচটি ২-৩ ব্যবধানে হেরে যায়।
পূর্ব জাভা পুলিশ প্রধান নিকো আফিন্তা বলেছেন, শনিবার গভীর রাতে খেলা শেষ হওয়ার পরপরই সমর্থকরা মাঠে নেমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে দাঙ্গা পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয়, এ সময় সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হলে পদদলিত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়ান: ফ্লোরিডায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে শত শত সমর্থক একটি বাহির হওয়ার গেটে ছুটে যায়। সেখানে বিশৃঙ্খলায় অনেকের দম বন্ধ হয়ে যায় এবং পদদলিত হয় তাত্ক্ষণিকভাবে প্রায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
আফিন্তা বলেন, ৩০০ জনেরও বেশি আহত লোককে চিকিৎসার জন্য কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু অনেকেই পথে এবং চিকিৎসাধীন মারা যান।
তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহতদের অনেকের অবস্থাই অবনতি হচ্ছে।
পড়ুন: কাবুলে শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৯: তালেবান
ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
উৎসবের মধ্য দিয়ে ঢাকায় বুধবার (১৭ আগস্ট) ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে দেশটির স্বাধীনতার ৭৭তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দেশটির রাজধানী জাকার্তার মেরদেকা প্রাসাদে জাতীয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এসময় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
ধর্মীয় সভ্যতা থেকে শুরু করে বহুজাতি সংস্কৃতি, আগ্নেয়গিরির দ্বীপাঞ্চল সহ গ্রীষ্মমন্ডলীয় স্বর্গ; এসব কিছু একসাথে পাওয়া যাবে ইন্দোনেশিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলোতে। বিশ্বের এই ৪র্থ জনবহুল দেশটি এর দিগন্ত জোড়া সৈকত ও পাহাড়ের ল্যান্ডস্কেপ বিশ্ব পরিব্রাজকদের বিশালতা ও বিচিত্রতা অন্বেষণের খোরাক জোগায়। জুলাই থেকে আগস্টের শুষ্ক মৌসুম ইন্দোনেশিয়ার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এ সময় ২৫ থেকে ২৭ সেলসিয়াস ডিগ্রি তাপমাত্রা হাল্কা বৃষ্টিপাতের সাথে আরামপ্রদ অনুভূতি দেবে। এর কোন কোন দর্শনীয় স্থান সংস্পর্শ পেয়েছে পাপুয়া নিউ গিনির, কোনটা মিশেছে মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের সাথে। ইন্দোনেশিয়ার সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় গন্তব্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবারের ফিচারে।
ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ
উবুদ, বালি
একদিকে ধান ক্ষেত্র চলে গেছে পাম-রেখাযুক্ত পাহাড়ের নিচে আর বাগান ঘেরা উপত্যকার বাতাসে বাজতে থাকে স্থানীয় গেমলান সঙ্গীত। এমনি দৃশ্য চোখে পড়বে বালির সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম উবুদে গেলে। সিমিয়ান দেখার জন্য যাওয়া যেতে পারে মাঙ্কি ফরেস্টে, অথবা স্থানীয় শিল্পের সাথে পরিচিত হতে প্রবেশ করা যেতে পারে আগুং রাই মিউজিয়ামে। অন্ধকারের নামলে স্থানীয় মন্দিরগুলোতে দর্শনার্থীদের সৌজন্যে শুরু হয় লেগং ব্যালে বা বন্য কেকাক ফায়ার নাচ।
সুলুবান সৈকত, বালি
প্রকৃতির অপার বিস্ময় এই সুলুবান সৈকতে আছে রোমাঞ্চকর গুহা, যা যে কোন দক্ষ স্কুবা ডাইভারকে নিমেষেই চমকে দিতে পারে। সুলুবান সৈকত উলুওয়াতু বালির একটি দর্শনীয় সৈকত। ব্লু পয়েন্ট বিচ এবং পান্তাই সুলুবান বালি নামে পরিচিত এই সৈকতে সার্ফিয়ের সময় ঢেউগুলোকে মনে হবে যেন সঙ্গীতের তালে তালে স্পন্দিত হচ্ছে।
পড়ুন: ঘুরে আসুন মালদ্বীপ: অপরূপ এক দ্বীপদেশ ভ্রমণ গাইড
গিলি দ্বীপ, লম্বক
লোম্বকের উপকূলে প্রবাল সহ তাদের স্ফটিক ফিরোজা রঙের পানি, সাদা-বালির সৈকত, স্বাস্থ্যকর খাবারের রেস্তোরাঁ, অভিজাত সৈকত পার্টিগুলোর জন্য গিলি দ্বীপের কোন তুলনা হয় না। গিলি ট্রাওয়ানগান (ওরফে 'গিলি টি') হল দ্বীপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উন্নত দোকান, ম্যাসেজ পার্লার এবং ক্যাফেতে ভরপুর। আর গিলি মেনো হল সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দ্বীপ।
বাটাম, রিয়াউ
রিয়াউ প্রদেশের বৃহত্তম শহর বাটাম একটি শৈল্পিক শহর। এটি ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর গ্রোথ ট্রায়াঙ্গেলের একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের অংশ। এখানে আছে বিখ্যাত বেরেলাং ব্রিজ, যার রয়েছে ছয়টি অত্যাধুনিক ফুল সুইং অংশ, যা বাটাম, রেম্পাং এবং গালাং দ্বীপ তিনটিকে সংযুক্ত করেছে।
বালি দ্বীপ, বালি
ইন্দোনেশিয়ায় সকল সৌন্দর্য যেন অল্প অল্প করে অঙ্গে ধারণ করে আছে ঈশ্বরের দ্বীপ নামে পরিচিত এই বালি দ্বীপ। যার কারণে সুন্দর মন্দির থেকে সুউচ্চ পর্বত, সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি থেকে উত্তেজনাপূর্ণ নাইটলাইফের এই মিলনকেন্দ্রটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। বালির অভিমুখে গমনকারি ভ্রমণপিপাসুরা সানুর বিচ, পুরা লুহুর উলুওয়াতু এবং তুকাদ সেপুং ঝর্ণা দেখতে ভোলেন না।
পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ১০টি প্রাকৃতিক ঝর্ণা, জলপ্রপাত কোথায়? কীভাবে যাবেন?
ইয়োগিয়াকার্তা, জাভা
ইয়োগিয়াকার্তা জাভার সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রায় ৫ লাখ মানুষের এই শহরটি বোরোবুদুর এবং প্রম্বানানের মন্দিরগুলোর জন্য বিখ্যাত। এর জাভানিজ চারুকলা থিয়েটার থেকে শুরু করে ব্যালে পারফরম্যান্স বিশ্ব দরবারে সপ্রতিভভাবে তুলে ধরে। ছোট্ট এই শহরটি পায়ে হেঁটেই পুরোটা ঘোরা যেতে পারে। মেরাপি লাভা ট্যুরে শক্ত লাভা দ্বারা আটকে থাকা আশেপাশের শান্ত গ্রামগুলো পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে।
কেলিমুতু হৃদ, সুমাত্রা
কেলিমুতু আগ্নেয়গিরি দ্বারা গঠিত তিনটি অংশে বিভক্ত হ্রদটিকে একসাথে কেলিমুতু ডাকা হয়। একই আগ্নেয়গিরির শিখরে অবস্থিত হলেও হ্রদ তিনটির রঙগুলোও ভিন্ন- লাল, নীল এবং সাদা। যথেষ্ট দুঃসাহসের পরিচয় দিতে হবে এই ক্রেটার হ্রদগুলো ঘুরতে যেতে হলে। কিন্তু দেখার পর মনে হবে যে, জীবন বোধ হয় ষোল কলা পূর্ণ হলো।
নুসা পেনিদা, বালি
শামুকের খোলসের আবরণে গুপ্ত ঝিনুকের সাথে তুলনা করা যেতে পারে এই অফবিট জায়গাটিকে। বালির জাকজমক সৌন্দর্য্যে অনেকেই এ জায়গাটির কথা ভুলে যান। কিন্তু এর চমৎকার পর্বতময় উপকূলরেখাগুলো থেকে চোখ ফেরানো যায় না। বালি থেকে এক দিনের ক্রুজ নিয়ে এই দ্বীপটিতে অনায়াসেই ঘুরে আসা যায়।
পড়ুন: সিঙ্গাপুর ভ্রমণ: সাগরের উপকন্ঠে অভিজাত উদ্যাননগরী
টোবা হৃদ, উত্তর সুমাত্রা
পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যালডেরাতে অবস্থিত টোবা হ্রদের সংস্পর্শে রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে গঠিত হওয়া আগ্নেয়গিরির উৎস। এটি হয়ত একটি ধাঁধার মত শোনাতে পারে যে, এই টোবা হ্রদটি একটি দ্বীপে অবস্থিত, যেটি আবার জেগে আছে একটি হ্রদের মধ্যে। এই ধাঁধার উত্তর পেতেই উৎসকু পর্যটকরা ছুটে যান উত্তর সুমাত্রায়।
কমোডো ন্যাশনাল পার্ক, নুসা টেঙ্গারা তৈমুর
এই জায়গাটি পশ্চিম নুসা টেঙ্গারা তৈমুর বরাবর সুম্বাওয়া এবং ফ্লোরেসের মাঝে অবস্থিত। এখানে দেখা মেলে কোমোডো ড্রাগন নামে পরিচিত জায়ান্ট মনিটর লিজার্ডের। শুষ্ক, রুক্ষ এবং অনুর্বর দ্বীপটিতে পার্কটির পাশাপাশি মেরিন রিজার্ভের একটি অংশও পড়েছে। এছাড়াও ভ্রমণ অভিলাষীদের ভিড় জমতে দেখা যায় পিঙ্ক বিচ ও লাওয়া দারাত গিলিতে।
ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণকে উপভোগের সেরা এক্টিভিটিসগুলো
স্নরকেলিং, সার্ফিং এবং ডাইভিং-এর মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য ইন্দোনেশিয়াকে স্বর্গ বলা যেতে পারে। এছাড়া নৌকায় করে দ্বীপে দ্বীপে ঘোরা, মাছ ধরা অথবা সৈকতের পাশের ক্যাফে বা খুপরিতে বসে দৃষ্টিতে দিগন্ত ধরতে ধরতে সময়টা কাটিয়ে দেয়া যায়। পাহাড় ট্র্যাকিং এবং বিস্ময়কর লেক ঘুরে দেখার রোমাঞ্চটা পরিপূর্ণতা পেতে পারে পর্বত চূড়া থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখার মাধ্যমে। সুপ্ত আগ্নেয়গিরির লেকের ঈষৎ উষ্ণ পানিতে সাঁতার কাটাটা যেমন রোমাঞ্চকর তেমনি অতুলনীয় অভিজ্ঞতার অবতারণা করবে।
পড়ুন: সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান: অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক নগরী
গলফ উৎসাহীদের জন্য বাটাম নোংসা উপকূল এবং ওয়াটারফ্রন্ট সিটি বরাবর স্পোর্টস ক্লাব এবং রিসোর্টগুলো দারুণ পছন্দ হতে পারে।
দুর্লভ প্রাণী অভয়ারণ্যতেও সুযোগ আছে কায়াকিং, ডাইভিং, ট্রেকিং বা দ্বীপ ভ্রমণের। বহু রঙের হ্রদগুলো আর পর্বত চূড়ার মন্দিরগুলো অবশ্য কোন কার্যকলাপের দাবি রাখে না। শুধু সেগুলোর পাশে বসে থেকেই কাটিয়ে দেয়া ঘন্টার পর ঘন্টা।
হাইকিং, সাইক্লিং, বালি সুইং, জেটপ্যাকিং, রিভার রাফটিং-এর স্মৃতিগুলো ফ্রেমবন্দি করে রাখার জন্য ফটোগ্রাফির সময়টাও উপভোগ করার মত। যা বহু বছর পরেও অফিসের ডেস্কে কাজের বিরতিতে নিমেষেই নিয়ে যেতে পারে ইন্দোনেশিয়ার গোধুলি আর রাতের অভূতপূর্ব জনজ্জীবনে।
পড়ুন: গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
বাংলাদেশে থেকে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ খরচ
ঢাকা থেকে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যেতে হলে মালয়শিয়া বা সিঙ্গাপুরে ট্রানজিট নিয়ে যেতে হয়। কুয়ালালামপুরের ট্রানজিট হয়ে বালি পৌছতে প্রায় ৬ ঘন্টা সময় লাগে। এয়ার টিকেট মূল্য কত আগে টিকেটটি কাটা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। কমপক্ষে দুই মাস আগে কিনলে বালির টিকেটের দাম পড়তে পারে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
এয়ারপোর্টের যাবতীয় ঝামেলা শেষে ব্লু বার্ড ট্যাক্সিগুলো মিটারে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পৌছে দিতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার ম্রুদ্রা বা রুপিয়ার দাম বাংলাদেশের টাকার থেকে কম। বালিতে ভেতরে বিভিন্ন জায়গা মিটারে ট্যাক্সিতে যেতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপিয়া লাগে। বাংলাদেশি টাকায় যা ১৮০ থেকে ২৫০ টাকার মত।
মালয়শিয়া হয়ে লম্বকের বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা লাগতে পারে। এয়ারপোর্ট থেকে বাসে ও ফেরীতে করে গিলিসে যেতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। বাটাম ঘোরার জন্য সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দর হতে বাস বা ট্যাক্সিতে করে হারবারফ্রন্ট স্টেশনে আসতে হবে। ফেরিতে যাওয়া আসার খরচ পড়তে পারে মাথাপিছু ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। তবে এজন্য সিঙ্গাপুরের ডাবল এন্ট্রি ভিসা নেয়া আবশ্যক।
পড়ুন: ফ্লাই ডাইনিং: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট
বাংলাদেশ থেকে ইয়োগিয়াকার্তা যেতে বিমান ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। সেখান থেকে বাসে করে দর্শনীয়স্থানে যেতে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা লাগতে পারে।
সুমাত্রা যাওয়ার জন্য প্রথমে যেতে হবে মেদান। মালয়শিয়া ট্রানজিট হয়ে কুয়ালানামু পর্যন্ত যেতে বিমানভাড়া ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। সেখান থেকে মেদানের ট্রেন ভাড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
কেলিমুতু আগ্নেয়গিরি লেক দেখতে হলে যেতে হবে এন্ডে শহরে। ৪৭ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে বিমান যোগে এন্ডেতে নামতে। অতঃপর ট্যাক্সি করে আশেপাশের দর্শনীয় স্থানসমূহ ঘোরা যাবে।
পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
কমোডো দ্বীপে যেতে প্রথমে নামতে হবে লাবুয়ান বাজো এয়ারপোর্টে, যেখানে বিমানভাড়া নিতে পারে ৩৭ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তারপরে লাবুয়ান বাজোতে নৌকায বা ফেরিতে করে কমোডো দ্বীপ।
পরিশিষ্ট
আজকের আলোচনায় আমরা ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো এবং ভ্রমণের আনুষঙ্গিক খরচ তুলে ধরেছি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অংশের তুলনায় বালিকে সাধারণত একটি সস্তা গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খাবার থেকে আবাসন পর্যন্ত সবকিছুই সাধারণত সাশ্রয়ী এবং বাজেট ভ্রমণের জন্য সুপারিশ করা যেতে পারে। এটি একটি অত্যন্ত বিষয়গত প্রশ্ন কিন্তু নুসা পেনিডা দ্বীপের দর্শকরা একমত হবেন যে এটিকে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। উবুদ ইন্দোনেশিয়ায় দেখার জন্য সেরা শহরগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
আজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে ১৩ হাজার টন ভোজ্যতেল
সঙ্কট মোকাবিলায় আরও ১৩ হাজার টন ভোজ্যতেল আসছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা এ তেল নিয়ে ‘এমটি সুমাত্রা পাম’ নামে একটি জাহাজ শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর ফেলবে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে পাঁচটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানী করা এক লাখ ২০ হাজার টন ভোজ্যতেল দেশে এসেছে।বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।তিনি জানান, শিল্প প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের আমদানি করা ১৩ হাজার টন ভোজ্যতেল নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ার কথা রয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রায় দুই কোটি ২৯ লাখ লিটার তেল নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
আরও পড়ুন: প্রায় ২৩ মিলিয়ন লিটার সয়াবিন তেল চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার লুবুক গেয়াং বন্দর থেকে ১৩ হাজার টন ভোজ্যতেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ‘এমটি সুমাত্রা পাম’। জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ার কথা রয়েছে। জাহাজটি আসার সাথে সাথে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থাও করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত এপ্রিল মাসে সিটি গ্রুপ, সেনা কল্যাণ ভোজ্য তেল, বাংলাদেশ ভোজ্য তেল, বসুন্ধরা গ্রুপ ও টিকে গ্রুপ মিলে মোট এক লাখ ২০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করেছে।এর আগে গত ২৬ এপ্রিল সিঙ্গাপুর থেকে দুই কোটি ২৯ লাখ লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে ‘এমভি
ওরিয়েন্টচ্যালেঞ্জ’নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। সিটি গ্রুপ, সেনা কল্যাণ ভোজ্য তেল, বাংলাদেশ ভোজ্য তেল ও বসুন্ধরা গ্রুপ এ তেল আমদানি করে। এবার ১৩ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করছে টিকে গ্রুপ।
সিঙ্গাপুর থেকে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধির অনুমোদন দিলো সরকার
সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি