বিজয় দিবস
বিজয় দিবস উপলক্ষে ইআরডিএফবির সেমিনার অনুষ্ঠিত
সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বিজয়ের ৫৩ বছর’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)'।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে বিজয় দিবস উদযাপিত
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আনোয়ারা বেগম।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘ইআরডিএফবির সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় মাত্র ৫৩ বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত বাংলাদেশ আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে, বস্ত্র শিল্পে, ওষুধ শিল্পে, তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্পে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলাসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নির্দেশ করে আমাদের প্রকৃত বিজয়। আমরা বীরের জাতি। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। সুতরাং কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় না করে শেখ হাসিনাকে আসন্ন নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে তার নেতৃত্বে বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
১০ মাস আগে
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ-মুখর পরিবেশে পাকিস্তানের ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়।
এছাড়া হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এতে অংশ নেন।
দূতাবাস প্রাঙ্গণ বিজয় দিবসের ব্যানার, পোস্টার ও রঙিন বেলুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
শনিবার সকালে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়।
৫২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও এর তাৎপর্য তুলে ধরেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে ড. জয়নুল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের সম্মান বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি গৌরবান্বিত বোধ করেন। পাকিস্তানে কর্মকালীনও তিনি বাংলাদেশি হিসেবে অনুরূপ সম্মান পাচ্ছেন।
সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার আলম সিদ্দিকী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের। বিশেষভাবে স্মরণ করছি দুই লাখ মা-বোনদের, যারা মুক্তিযুদ্ধকালে সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন বা নির্যাতিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপিত
হাইকমিশনার গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু, শহিদ পরিবারের সদস্য ও সব স্তরের জনগণকে, যারা এ বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এ দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর বুকে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বনির্ভর, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সকলকে যার যার অবস্থানে থেকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার তার বক্তব্য শেষ করেন।
পরিশেষে, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন আনন্দ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ এবং অতিথিদের মাঝে দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
১১ মাস আগে
বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
মহান বিজয় দিবসেও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দৈইখাওয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার সময় উপজেলার দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গরু পারাপারের সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: অবরোধ: রাজধানীর গুলিস্তানে বাসে আগুন
গুলিবিদ্ধরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া সীমান্ত গ্রামের আজিম বাজার এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, একই উপজেলার গেন্দিকুরি এলাকার বাসিন্দা শ্রী সুজন এবং গেন্দুকুরি বিলুপ্ত সিটমহল এলাকার আসির উদ্দিনের ছেলে হাকিম মিয়া।
দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক মো. সুবেদার বশির উল্লাহ জানান, দৈখাওয়া সীমান্তে মেইন সীমান্ত পিলার ৯০১ থেকে প্রায় ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বান্নিগড়ায় ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোর সাড়ে ৪টায় ১৪-১৫ জন বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে বাংলাদেশে গরু পারাপার করছিল।
তিনি আরও বলেন, এসময় ভারতের বড়মরিচা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৫-৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দুইজনের পায়ে ও একজনের হাতে গুলি লাগে।
এসময় অন্যান্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পায়ে গুলি লাগা আহত দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অপরজন অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসাধীন বলে তিনি জানান।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, 'সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহতের খবর শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলিস্তানে আজ সকাল থেকে ২টি বাসে আগুন
রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
১১ মাস আগে
বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ২
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার বিসিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মীর
নিহত আয়নাল নওগাঁর নেয়ামতপুর থানার বালিচার গ্রামের কছিমদ্দিনে ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে টঙ্গীর মরকুন মধ্যপাড়া আলী ড্রাইভারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত অপরজন হলেন- মো. আশরাফুল। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার কাজলা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আয়নাল নির্মাণাধীন কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী ও মো. আশরাফুল ওই কারখানার নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, টঙ্গী পূর্ব থানার বিসিক ফকির মার্কেট এলাকার কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী আয়নাল ও নির্মাণ শ্রমিক মো. আশরাফুল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় লোহার রড দিয়ে কারখানার পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে যান।
এসময় অসাবধানতাবশত জাতীয় পতাকা টানানোর লোহার রডটি পাশের বিদ্যুতের তারে স্পর্শে লেগে আয়নাল ও আশরাফুল গুরুতর আহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
টঙ্গীর পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে জাতীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে তারা নিহত হয়েছে। এবিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
শরীয়তপুরে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু, আহত-২
১১ মাস আগে
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে বিজয় দিবস উদযাপিত
মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শনিবার সকাল ৯টায় বিএসইসির চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালক অর্থ ও অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম, পরিচালক বাণিজ্যিক ও যুগ্মসচিব মো. হায়দার জাহান ফারাস, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও যুগ্মসচিব বদরুন নাহার এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিএসইসি প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস
এরপর বিএসইসির চেয়ারম্যান ও স্টাফদের সঙ্গে বিএসইসিতে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ পরিদর্শন করেন।
দুপুরে বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের অংশগ্রহণে বিএসইসির সভাকক্ষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনের শুরুতে চেয়ারম্যান শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে বলেন, খেলা-ধুলার পাশাপাশি সত্যিকারের মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।
এরপর শিশু-কিশোরদের গান, কবিতা, ছাড়া পরিবেশন বিএসইসির সভাকক্ষে এক আনন্দঘন মুহূর্তের অবতারণা করে।
আঁকিয়েদের চিত্রাংকন দেখার পর প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিরতণ করা হয়।
এরপর বিএসইসি মসজিদে বাদ যোহর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এই বাংলাদেশ এই অবস্থায় ছিল না; বড় আশ্চর্যের বিষয় উন্নয়ন অবহেলিত, আর্থিক সঙ্গতিহীন একটি দেশ শুধু ঐক্যের শক্তিতে কৃষক, ছাত্র, যুবক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে আমাদের বিজয়।
১১ মাস আগে
শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস
জাতি আজ মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে। ১৯৭১ সালের এই গৌরবোজ্জ্বল দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের নৃশংস যুদ্ধশেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ৫৩তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
তাদের অনুসরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সারা দেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং হলগুলোতে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও পোস্টার প্রদর্শন করা হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ সম্পূরক প্রকাশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।
নগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনা মূল্যে রাজধানীর শিশু পার্কে যেতে পারবে। সারা দেশের কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানায় ভালো খাবার পরিবেশন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
১১ মাস আগে
বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন শনিবার ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সেখানে দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বঙ্গভবনের লনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দ, ৩ বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, শিল্পীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ বীরত্ব পদকপ্রাপ্তদের পরিবারবর্গ এবং বিশিষ্ট নাগরিকগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারাও সেখানে যোগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
১১ মাস আগে
বিজয় দিবসে জোভান-ফারিণের ‘প্রেম ৭১’
বর্তমানে বড়পর্দা ও ওটিটি নিয়ে বেশ ব্যস্ত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তবে এরমধ্যে বিজয় দিবসের জন্য একটি নাটকে অভিনয় করলেন তিনি। জুটি বেঁধেছেন জোভানের সঙ্গে।
গল্পের সময়টা ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। গ্রামের মানুষ দলে দলে বসত ভিটা ছেড়ে পালাচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাণভয়ে পাড়ি জমাচ্ছে সীমান্তের ওপারে।
আরও পড়ুন: রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
ফারিণও তার বাবার সঙ্গে দেশ ছাড়ার জন্য বেরিয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্তেও পাকবাহিনীর হাত থেকে রক্ষার জন্য ফারিণের বাবা মাথায় টুপি পরেছেন। যাওয়ার পথে জোভানের সামনে পড়ে তারা।
জোভান পীর বংশের ছেলে। সব সময় পাঞ্জাবি টুপি পরে থাকে। ফারিণকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সে। জোভানের মা খুব কট্টর ধার্মিক। ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের এলাকায় আসা পাকবাহিনীর সেবায় তিনি নিবেদিত। ছেলে জোভানকেও তিনি তার মতো করে চলতে কড়াকড়ি আরোপ করেন।
কিন্তু ছেলে তার সবকিছু মেনে নিতে নারাজ।
এদিকে, পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে রাতে এক ভাঙা বাড়িতে আশ্রয় নেয় ফারিণ ও তার বাবা। প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে মন চায় না ফারিণের। সকালে কলপাড়ে পানি আনতে গেলে আবার জোভানের মুখোমুখি হয় সে। জোভান তার প্রেমে পড়ে যায়। ফারিণও একটা আকর্ষণবোধ করে। কিন্তু সে জানে ধর্মীয় কারণে তাদের সম্পর্ক সম্ভব নয়। তাই জোভানকে ফিরিয়ে দিতে চায়।
জোভান তাকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বিষয়টা বুঝতে পেরে তার মা এক রাতে পাকবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ফারিণদের বাড়িতে যায়।
এরপর কী হয় তাদের পরিণতি-দেখা যাবে টেলিফিল্ম ‘প্রেম ৭১’-এ।
শাহজাহান সৌরভের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন সকাল আহমেদ।
এতে আরও অভিনয় করেন- এস এম মহসীন, সাবেরী আলম প্রমুখ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হবে টেলিফিল্মটি।
আরও পড়ুন: মোবারক হয়ে পর্দায় আসছেন মোশাররফ করিম
নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন মাহি
১১ মাস আগে
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা বিএনপির
বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দলটির সিনিয়র নেতারা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিএনপি নেতারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের এই বিজয়ের দিনে আমরা আশা করি, প্রত্যাশা করি- বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদী সরকারের অবসান হবে, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস বিকৃত করেছে। তারা তাদের সুবিধা মতো কথা বলে। জনগণ কিন্তু সচেতন। জনগণই বিচার করবে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) সঠিক, না জনগণ সঠিক।’
দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বিএনপি। বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনও সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে। এর আগে সকালে তারা বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার জাতি পালন করেছে বিজয় দিবস।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত
১ বছর আগে
বগুড়ায় বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মহান বিজয় দিবসে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় পতাকাসহ দলীয় সব পতাকা উত্তোলনের পরে এ ঘটনা ঘটে৷
এ সময় দলীয় কার্যালয়সহ সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: সিলেটে আ'লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও নিরব দর্শক ছিলেন তারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপরেই জেলা ছাত্রলীগের কাঙিক্ষত পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করেন।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ও ধাওয়া দেন।
এ সময় দলীয় কার্যালয় ও সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনায় ছাত্রলীগের দু'পক্ষের কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে।
এসময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা কোন অ্যাকশনে যাননি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোন পক্ষ কথা বলেননি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত
কুষ্টিয়ায় শোক সভায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
১ বছর আগে