বিজয় দিবস
বিজয় দিবস উপলক্ষে লালমনিরহাটে বউ-জামাই মেলা
লালমনিরহাটে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে এদিন জেলার বড়বাড়ি আবুল কাশেম ডিগ্রি কলেজে স্থানীয়দের উদ্যোগে ১৫ দিনব্যাপী বৌ-জামাই মেলা উদ্বোধন করা হয়।
মেলার উদ্বোধন করেন সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু।
১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এবার এ মেলায় মাছ, পিঠা ও অন্যান্য প্রসাধনী পণ্যের স্টল স্থান পেয়েছে। প্রথম দিনই মেলা প্রাঙ্গণে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মেলায় যোগ দিয়েছেন। গলায় মালা ও শাড়ি পড়ে মেয়ে-জামাই মেলায় এসে তারা আনন্দ উপভোগ করেন।
মেলায় হরেক রকমের পিঠা ও নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
মেলা উপলক্ষে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এসেছেন মেয়ে ও জামাই। নতুন রূপে সেজেগুজে মেয়ে-জামাই এসেছেন মেলায়। তারা শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য কিনছেন মাছ ও নানা রকমের পিঠা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বসছে না পাথরকালি মেলা
নতুন জামাই বাড়িতে আসবে বলে শ্বশুররাও বড় বড় মাছ কিনে বাড়ি ফিরেছেন।
দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অনেক আশা নিয়ে মাছ, পিঠা কিনতে এসেছি। কিন্তু বিক্রেতারা অনেক দাম হাঁকাচ্ছেন।
তবে দাম যাই হোক, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য মেলায় আসা বউ-জামাইরা পছন্দমতো সামগ্রী কিনে শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, আড়তেই দাম চড়া। এরপর পরিবহন খরচ মিলিয়ে এই মাছগুলো বিক্রি করতে হয়। মেলায় বিক্রি বেশি, তাই লাভ কম।
সব জিনিসেরই দাম বেশি হওয়ায় এ বছর পিঠা দাম একটু বাড়াতে হয়েছে বলে জানান পিঠা বিক্রেতারা।
মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ফারুক সিদ্দিকী জানান, গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এই মেলার আয়োজন। মেলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিশুরা বিলুপ্তপ্রায় অনেক প্রজাতির মাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
সব মিলিয়ে গ্রামবাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেই মূলত এ ব্যতিক্রমী মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান ফারুক সিদ্দিকী।
তিনি আরও জানান, এই মেলাটির তাৎপর্য হলো এ অঞ্চলের জামাইরা বৌ নিয়ে সকাল বেলায় এই মাছের মেলায় আসেন। এখান থেকে বড় বড় মাছ নিয়ে শশুড় বাড়িতে যাবেন; শাশুড়ি দুপুরের রান্না করবেন এবং শশুড়-শাশুড়ি ও তার অন্যান্য আত্নীয়-স্বজন নিয়ে মাছের তরকারি দিয়ে দুপুরের খাবার খাবেন তারা।
এরপর তারা আবার বিকালে পিঠে মেলায় আসবেন। মেলায় রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামীণ নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ফারুক সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: এবার বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজের বদলে বিজয় মেলা হবে
৫ দিন আগে
বিজয় দিবসের র্যালি করল ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত
৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের আজমপুরে র্যালিটি করে দলটির নেতাকর্মীরা।
দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি এ এইচ এম আতিকুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী উত্তরা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, মাজহারুল ইসলাম, আবু সাঈদ, মতিউর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ডিএনসিসির শিশুপার্কে বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ
৬ দিন আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুর রহমান জানান, সোমবার সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, মহান বিজয় দিবসে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দর উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, মহান বিজয় দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা থাকায় দু-দেশের মধ্যে সোমবার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে কাস্টমস ও বন্দরের সব কার্যক্রম। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
৬ দিন আগে
এবার বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজের বদলে বিজয় মেলা হবে
এবার বিজয় দিবসকে উৎসব মুখর করতে সারা দেশে বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
ইউএনবিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ইউএনবিকে বলেন, ‘বিজয় দিবস আমাদের জাতির জন্য অনন্য দিন। ৯ মাস যুদ্ধ করে জাতি এই বিজয় অর্জন করেছে। সারা দেশের মানুষ যুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিল।একসময় গ্রামে ও সারা দেশেই এই বিজয় উৎসব হতো। ধীরে এই উৎসব নিস্ক্রিয় ছিল। এবার সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে চারু, কারু মেলার সঙ্গে কৃষি পণ্যের মেলা হবে। তার সঙ্গে দেশীয় পণ্য পরিবেশন করা হবে। মেলায়, শিশু, নারী, পুরুষ সবার অংশগ্রহণ থাকবে। এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সবাই আনন্দ উপভোগ করবে। পাশাপাশি স্কুলগুলোতে অনুষ্ঠান হবে।’
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সঙ্গে জাতিসংঘের গোয়েন লুইসের সাক্ষাৎ
উপদেষ্টা বলেন, আগে যে প্রচলিত কুচকাওয়াজ হতো, এতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকত না, সেখানে স্কাউট ও সেচ্ছাসেবকরা থাকত। তার সঙ্গে অন্যান্য বাহীনি থাকত। এতে সরাসরি জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না।এবার শিশু, নারী, পুরুষ সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এবার কুচকাওয়াজ হচ্চে না। কারণ সেনাবাহিনী এখন সারাদেশে ব্যস্ত। এটার জন্য একটা প্রস্তুতির বিষয় আছে। তাই এবার প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। এটার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন।’
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে প্রধানমন্ত্রী পোগ্রামে যেতেন। এবার প্রধান উপদেষ্টা যাবেন কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, না উপদেষ্টা যাবেন না। এরকম প্রোগ্রাম হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় প্রোগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তেমনি ঢাকায় এখানকার জেলা প্রশাসন করবে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে প্রশাসন করত কুচকাওয়াজ, এখন প্রশাসন মেলার আয়োজন করবে। সেখানে স্ব স্ব এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় সব পর্যায়ের জনগণ অংশ নেবেন।
তিনি আরও বলেন, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতি জাতীয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে যাবেন। সেখানে অনুষ্ঠান আছে। তারপর রায়ের বাজার যাবেন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় কাজ করছে সরকার: ফারুক ই আজম
১ সপ্তাহ আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে ইআরডিএফবির সেমিনার অনুষ্ঠিত
সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বিজয়ের ৫৩ বছর’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)'।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে বিজয় দিবস উদযাপিত
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আনোয়ারা বেগম।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘ইআরডিএফবির সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় মাত্র ৫৩ বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত বাংলাদেশ আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে, বস্ত্র শিল্পে, ওষুধ শিল্পে, তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্পে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলাসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নির্দেশ করে আমাদের প্রকৃত বিজয়। আমরা বীরের জাতি। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। সুতরাং কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় না করে শেখ হাসিনাকে আসন্ন নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে তার নেতৃত্বে বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
১১ মাস আগে
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ-মুখর পরিবেশে পাকিস্তানের ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়।
এছাড়া হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এতে অংশ নেন।
দূতাবাস প্রাঙ্গণ বিজয় দিবসের ব্যানার, পোস্টার ও রঙিন বেলুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
শনিবার সকালে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়।
৫২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও এর তাৎপর্য তুলে ধরেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে ড. জয়নুল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের সম্মান বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি গৌরবান্বিত বোধ করেন। পাকিস্তানে কর্মকালীনও তিনি বাংলাদেশি হিসেবে অনুরূপ সম্মান পাচ্ছেন।
সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার আলম সিদ্দিকী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের। বিশেষভাবে স্মরণ করছি দুই লাখ মা-বোনদের, যারা মুক্তিযুদ্ধকালে সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন বা নির্যাতিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপিত
হাইকমিশনার গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু, শহিদ পরিবারের সদস্য ও সব স্তরের জনগণকে, যারা এ বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এ দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর বুকে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বনির্ভর, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সকলকে যার যার অবস্থানে থেকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার তার বক্তব্য শেষ করেন।
পরিশেষে, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন আনন্দ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ এবং অতিথিদের মাঝে দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
১ বছর আগে
বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
মহান বিজয় দিবসেও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দৈইখাওয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার সময় উপজেলার দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গরু পারাপারের সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: অবরোধ: রাজধানীর গুলিস্তানে বাসে আগুন
গুলিবিদ্ধরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া সীমান্ত গ্রামের আজিম বাজার এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, একই উপজেলার গেন্দিকুরি এলাকার বাসিন্দা শ্রী সুজন এবং গেন্দুকুরি বিলুপ্ত সিটমহল এলাকার আসির উদ্দিনের ছেলে হাকিম মিয়া।
দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক মো. সুবেদার বশির উল্লাহ জানান, দৈখাওয়া সীমান্তে মেইন সীমান্ত পিলার ৯০১ থেকে প্রায় ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বান্নিগড়ায় ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোর সাড়ে ৪টায় ১৪-১৫ জন বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে বাংলাদেশে গরু পারাপার করছিল।
তিনি আরও বলেন, এসময় ভারতের বড়মরিচা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৫-৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দুইজনের পায়ে ও একজনের হাতে গুলি লাগে।
এসময় অন্যান্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পায়ে গুলি লাগা আহত দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অপরজন অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসাধীন বলে তিনি জানান।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, 'সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহতের খবর শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলিস্তানে আজ সকাল থেকে ২টি বাসে আগুন
রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
১ বছর আগে
বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ২
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার বিসিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মীর
নিহত আয়নাল নওগাঁর নেয়ামতপুর থানার বালিচার গ্রামের কছিমদ্দিনে ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে টঙ্গীর মরকুন মধ্যপাড়া আলী ড্রাইভারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত অপরজন হলেন- মো. আশরাফুল। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার কাজলা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আয়নাল নির্মাণাধীন কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী ও মো. আশরাফুল ওই কারখানার নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, টঙ্গী পূর্ব থানার বিসিক ফকির মার্কেট এলাকার কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী আয়নাল ও নির্মাণ শ্রমিক মো. আশরাফুল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় লোহার রড দিয়ে কারখানার পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে যান।
এসময় অসাবধানতাবশত জাতীয় পতাকা টানানোর লোহার রডটি পাশের বিদ্যুতের তারে স্পর্শে লেগে আয়নাল ও আশরাফুল গুরুতর আহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
টঙ্গীর পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে জাতীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে তারা নিহত হয়েছে। এবিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
শরীয়তপুরে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু, আহত-২
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে বিজয় দিবস উদযাপিত
মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শনিবার সকাল ৯টায় বিএসইসির চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালক অর্থ ও অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম, পরিচালক বাণিজ্যিক ও যুগ্মসচিব মো. হায়দার জাহান ফারাস, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও যুগ্মসচিব বদরুন নাহার এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিএসইসি প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস
এরপর বিএসইসির চেয়ারম্যান ও স্টাফদের সঙ্গে বিএসইসিতে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ পরিদর্শন করেন।
দুপুরে বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের অংশগ্রহণে বিএসইসির সভাকক্ষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনের শুরুতে চেয়ারম্যান শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে বলেন, খেলা-ধুলার পাশাপাশি সত্যিকারের মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।
এরপর শিশু-কিশোরদের গান, কবিতা, ছাড়া পরিবেশন বিএসইসির সভাকক্ষে এক আনন্দঘন মুহূর্তের অবতারণা করে।
আঁকিয়েদের চিত্রাংকন দেখার পর প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিরতণ করা হয়।
এরপর বিএসইসি মসজিদে বাদ যোহর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এই বাংলাদেশ এই অবস্থায় ছিল না; বড় আশ্চর্যের বিষয় উন্নয়ন অবহেলিত, আর্থিক সঙ্গতিহীন একটি দেশ শুধু ঐক্যের শক্তিতে কৃষক, ছাত্র, যুবক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে আমাদের বিজয়।
১ বছর আগে
শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস
জাতি আজ মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে। ১৯৭১ সালের এই গৌরবোজ্জ্বল দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের নৃশংস যুদ্ধশেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ৫৩তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
তাদের অনুসরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সারা দেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং হলগুলোতে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও পোস্টার প্রদর্শন করা হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ সম্পূরক প্রকাশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।
নগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনা মূল্যে রাজধানীর শিশু পার্কে যেতে পারবে। সারা দেশের কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানায় ভালো খাবার পরিবেশন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
১ বছর আগে