মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
এই মূহুর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার (২৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম ইস্যুতে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
এদিনও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
‘এই মহূর্তে সেই পরিস্থিতি তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন- কয়েকজন নেমেছে। কয়জন নেমেছে বা কী হয়েছে- সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।’
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। মন্ত্রিসভায় কী আলোচনা হয়েছে, সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়। কিন্তু সে বৈঠকে সমাধান না আসায় আন্দোলন চালু রাখেন তারা।
আরও পড়ুন: পেনশন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষকরা
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৩ মাস আগে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বুধাবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবার সমস্যা সৃষ্টি করা ঠিক হবে না। আগে পরিবেশ তৈরি করা হবে। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে।’
বারবার আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে নওফেল বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছেন এবং রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।’
তিনি বলেন, 'বর্তমানে মূল দুশ্চিন্তার বিষয় এইচএসসি পরীক্ষা। ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।’
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত সব শিক্ষা বোর্ডের ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ জুলাই থেকে অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৩ মাস আগে
সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সিলেটের যেসব অঞ্চলে বন্যা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে, সেসব অঞ্চলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে।
বুধবার (৫ জুন) সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করতে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব স্থাপনা তৈরি করতে শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে অঞ্চলগুলোতে বন্যা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরবর্তী সময়ে সেই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের যথাযথ প্রস্তুতি আছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব কেন্দ্র ও অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা এরই মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এছাড়া আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস আছে, সেখানে আমাদের বিভিন্ন নদীর পানি ঊর্ধ্বমুখী ও বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। সেটা এরই মধ্যে আমরা জানি।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বন্যা পরিস্থিতি এখনো পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি আমাদের পক্ষে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে। আমরা চাই না পরীক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক।’
আরও পড়ুন: ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
৪ মাস আগে
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুরুতেই স্নাতক কোর্স পরিচালনা না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের যাত্রার শুরুতে কেন স্নাতক পর্যায়ের কোর্স পরিচালনা করছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
তিনি বলেন, জেলাগুলোয় (যেসব জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছে) ইতোমধ্যে যেসব সরকারি কলেজ আছে তাদের তারা স্নাতক কোর্সগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে করাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শুরুটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যেতো একটা চ্যালেজিং টাইম। একটি ফুল সেটআপ নিয়ে সেখান থেকে রিসার্স ডেভেলাপম্যান্ট করুক।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন আসবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সমস্ত কলেজ বা শতবর্ষী কলেজগলোকে রেস্পেক্টিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত করে অ্যাকাডেমিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পরামর্শ দেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ওপেন ইউনিভার্সিটি সারা দেশের নন-ফরমাল এডুকেশনের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করছে, তাহলে কেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কলেজর অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবে না। এক সময়তো করত। পূর্বে যদি করার ক্যাপাসিটি থেকে থাকে তাহলে এখনতো সিস্টেম আরও বাড়ার কথা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানেও হয়ত চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা নড়িনি।’
৭ কলেজের মানে উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড মনিটরিংয়ে কাজ করতে পারে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেনো করতে পারবে না, প্রশ্ন করেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করতে হলে মন্ত্রণালয় তা করবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে শিক্ষান্ত্রী বলেন, সে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় জেলা পর্যায়ে আছে, সে সমস্ত জেলাগুলোয় যে সরকারি কলেজগুলো আছে, তাদের অ্যাক্যাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করবে।
আরও পড়ুন: ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু করছেন শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
৯ মাস আগে
পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ ও উপমন্ত্রী মহিবুল
ফরহাদ হোসেন ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আগের মন্ত্রিসভায় ফরহাদ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এবং নওফেল শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিতে ২৫ জন সংসদ সদস্যকে মন্ত্রী ও ১১ জনকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ৩ নারী সংসদ সদস্য
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা
৯ মাস আগে
২০২৬ সালে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ২০২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং এর সমমানের পরীক্ষায় নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে উপস্থিত হবে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। আর ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সোমবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিউট মিলনায়তনে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল-২০২৩’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম এবং প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। আর ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে। এরপর ২০২৬ সালের প্রথম এসএসসি ও সসমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যায়ন এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে। নানান দিক বুঝে উঠতে আমাদের সময় লাগবে। শিক্ষকদেরও অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। অভিভাবকদেরও সময় লাগবে। আমরা সৌভাগ্যবান শিক্ষোক্ষার্থীদের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, তাদের সময় লাগছে সবচেয়ে কম। শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, হয়ে যাবে। আমরা এই স্মার্ট শিক্ষা, তার বিভিন্ন অংশ নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবো। যাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি সে জন্য স্মার্ট শিক্ষার নীতি নির্ধারণ কৌশল রপ্ত করবার জন্য আমাদের এই আয়োজন।’
আরও পড়ুন: মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের সূচনা উপলক্ষ্যে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল' আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এই ফেস্টিভ্যালে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১০টি সেমিনারে সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে।
একটি কেন্দ্রীয় ‘স্মার্ট শিক্ষা’ ফ্রেমওয়ার্ক রচনার লক্ষ্যে কিছু মতামত নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন করার জন্য এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ভ্যাস্টিভ্যাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, অনেকগুলো সেমিনার করবো, সেখান থেকে অনেক উপায় বের হবে। স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের শুরু হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত রক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়া স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। এরপর বিকালে সেমিনারে অংশ নেন নির্ধারিত অতিথিরা।
আরও পড়ুন: আমরা উচ্চশিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
লিখিত পরীক্ষার পরে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা মামলা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে আরও একটি পাল্টা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১ নভেম্বর) রাতে নগরীর চকবাজার থানায় এ পাল্টা মামলা করেন কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান। তিনি চমেক ক্যাম্পাসে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ নিয়ে সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে।
সোমবার দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- জাকির হোসেন সায়াল, মঈনুল ইসলাম, জুলফিকার মোহাম্মদ শোয়েব, মাহিন আহমেদ, ইমাম হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, সৌরভ দেবনাথ, সাজু দাস, আহমেদ সিয়াম, ইমতিয়াজ আলম, মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব, সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, মো. সাইফুল্লাহ, অভিজিৎ দাস, মো. ফাহাদুল ইসলাম, মো. তৌফিকুর রহমান ইয়ন। আসামিরা শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে চমেক ক্যাম্পাসে পরিচিত।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের সবাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা এবং মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে চমেক ছাত্র আকিবের
এর আগে গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) দিনগত রাতে চমেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। তৌফিক চমেক ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওই মামলার আসামিরা হলেন- সাদ মোহাম্মদ গালিব (২১), আহসানুল কবির রুমন (২১), জাহিদুল ইসলাম জিসান (২১), মাহাদি বিন হাশিম (২৪), আসিফ বিন তাকি (২৫), ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (২১), মাহতাব উদ্দিন রাফি (২১), জাহিদুল আলম জিসান (২১), সৌরভ বেপারী (২১), মো. আনিস (২১), রক্তিম দে (২১), এইচ এম আসহাব উদ্দিন (২১), তানভীর ইসলাম (২১), নাজমুস সাদাত আসিফ (২১), এনামুল হাসান সীমান্ত (২১) ও রিজওয়ান আহমেদ (২১)। আসামিরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চমেকে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের গ্রুপটি। নাছির চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। গত বছরের ২০ আগস্ট এ পদে আসেন ব্যারিস্টার নওফেল। সে থেকে ধাপে ধাপে চমেক ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে নওফেল গ্রুপ।
আরও পড়ুন: চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ছোটখাটো সংঘর্ষের পর গত ২৭ এপ্রিল সিএমসি ক্যান্টিনে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কটুক্তির ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে বড় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। এ ঘটনার পর পাঁচলাইশ থানায় উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। একই সঙ্গে চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট ডাকেন। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সর্বশেষ গত শুক্রবার দিনগত রাত ও শনিবার উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনার পর শনিবার জরুরি বৈঠকে বসে প্রশাসন। বৈঠক শেষে মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
৩ বছর আগে
অটোপাসের কোনো বিষয় নেই, শিক্ষার্থীরা মূল্যায়নের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হচ্ছে: উপমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের কারণে পরীক্ষাগুলো স্থগিত হলেও, পরীক্ষার্থীদের অটোপাস দেয়া হচ্ছে না, মূল্যয়নের মাধ্যমেই তারা উত্তীর্ণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
৪ বছর আগে