লেবানন
লেবাননে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল জাতিসংঘ
আগামী বছরের শেষ নাগাদ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। বাহিনীটি মোতায়নের প্রায় পাঁচ দশক পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের চাপে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সিএনএন জানিয়েছে, প্রথমে ছয় মাসের মধ্যে লেবানন থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে এক বছরের চূড়ান্ত সময়সীমার প্রস্তাব দেয় ওয়াশিংটন। সবশেষ ১৬ মাস মেয়াদি একটি চূড়ান্ত প্রস্তাবে সম্মতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাবে শান্তিরক্ষী বাহিনী।
১৯৭৮ সালে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের হামলার পর সেখানে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) মোতায়ন করে। এরপর ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের এই বাহিনীর মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। ফলে দশক ধরে ইউএনআইএফআইএল দক্ষিণ লেবাননের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ যুদ্ধাপরাধের শামিল: জাতিসংঘ
গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে এক বছরের মধ্যে ইউএনআইএফআইএল তাদের ১০ হাজার ৮০০ সামরিক ও বেসামরিক সদস্য এবং সব জাতিসংঘ সরঞ্জাম প্রত্যাহার করবে। এ সময়ে সীমিত কিছু কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি থাকবে বাহিনীটির।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের জাতিসংঘ-চিহ্নিত সীমান্তরেখা ‘ব্লু লাইন’-এর উত্তরে নিরাপত্তা প্রদানের একমাত্র দায়িত্ব পালন করবে লেবানন সরকার। পাশাপাশি ইসরায়েলকে ওই রেখার উত্তরের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বছর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের সময় এ বাহিনী উভয়পক্ষের সমালোচনার মুখে পড়ে। মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সদস্যও ইউএনআইএফআইএলের তীব্র সমালোচনা করেন সে সময়।
ওয়াশিংটনের দাবি, এ বাহিনী কেবল অর্থের অপচয় করছে এবং হিজবুল্লাহর প্রভাব নির্মূল ও লেবাননের সেনাবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে দীর্ঘায়িত করছে। এরই মধ্যে ইউএনআইএফআইএলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বড় ধরনের কাটছাঁট করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে লেবাননের সেনাবাহিনী এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেনি বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।
গৃহীত ওই প্রস্তাবে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীকে সরঞ্জাম, উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা জোরদার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে, ইউরোপের অনেক দেশ, বিশেষত ফ্রান্স ও ইতালি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তাদের ভাষ্যে, লেবানিজ সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আগে শান্তিরক্ষী বাহিনী চলে গেলে সেখানে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হবে। এই সুযোগ হিজবুল্লাহ সহজেই কাজে লাগাতে পারবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশগুলো।
৯৮ দিন আগে
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরাইলের হামলা
লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকাকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েল এসব হামলা চালায় বলে দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এনএনএর বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে পূর্ব লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় পর্বতমালার উচ্চতায় এবং পূর্ব লেবাননের বালবেক জেলার একটি এলাকায় একাধিক হামলা চালিয়েছে।
বিমান হামলার আগে, ইসরায়েলি বিমানগুলো পূর্ব লেবাননের হারমেল শহর এবং উত্তর বেকা শহরের উপর দিয়ে অনেক বেশি ও কম উচ্চতায় উড়ছিল। বৈরুত ও এর নিকটবর্তী শহরগুলোতেও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দেখা গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও এই হামলার ঘটনা ঘটলো। যুদ্ধবিরতি ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যকর হয়। এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধ শুরুর কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষের অবসান ঘটানো।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭
চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে ইসরায়েল ৬০ দিনের মধ্যে লেবাননের অঞ্চল থেকে সরে আসবে। একই সঙ্গে লেবানন-ইসরায়েলি সীমান্ত এবং দক্ষিণাঞ্চলে লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। এটি নিশ্চিত করে যে লিটানি নদীর দক্ষিণে কোনো অস্ত্র বা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য থাকবে না।
তবে লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২৭ জানুয়ারি ঘোষণা করেছিল যে, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ছাড়াই প্রাথমিক ৬০ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে তারা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননে মাঝেমধ্যে হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং দাবি করেছে যে তাদের লক্ষ্য হিজবুল্লাহর সৃষ্ট ‘হুমকি’ নির্মূল করা।
৩০০ দিন আগে
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৪৭ প্রবাসী।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ফেরত আসা এসবনাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএমের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ১০৫ বাংলাদেশি
আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের খোঁজ নেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ১৯ ফ্লাইটে সর্বমোট ১ হাজার ২৪৬ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮২ প্রবাসী বাংলাদেশি
৩২০ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতালের পরিচালকসহ নিহত ৬
ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর-পূর্ব লেবাননে নিজ বাড়িতে হাসপাতালের একজন পরিচালকসহ আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে শুক্রবার দেশের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে পাঁচ প্যারামেডিক নিহত হয়েছেন।
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় নয়জন চিকিৎসা কর্মী আহত হয়েছেন এবং জেনারেটর ও অক্সিজেন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক। তবে ওই এলাকায় কোনো হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর দিয়েছে জাতিসংঘ। হিজবুল্লাহর ছোড়া একটি রকেট তাদের ঘাঁটিতে আঘাত হানলে ইতালির চার শান্তিরক্ষী সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরও পড়ুন: লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৭
প্রায় এক বছর ধরে চলমান নিম্ন মাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৫০ জন। নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান ও স্থল আগ্রাসনের শিকার।
গাজা উপত্যকায় ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সংস্থাটি বেসামরিক ও যোদ্ধাদের আলাদাভাবে শনাক্ত না করে বলেছে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরেইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে নিহত হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এসময় হামাস সদস্যরা আরও ২৫০ জন ইসরায়েলিকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যায়। প্রায় ১০০ জিম্মি এখনও গাজার অভ্যন্তরে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে, যাদের অন্তত এক তৃতীয়াংশ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
৩৭৭ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১১
লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।
স্থানীয় সময় শনিবার এ হামলা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ)।
এনএনএ জানায়, নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ছয়জন। পূর্বাঞ্চলীয় বালবেক-হারমেল গভর্নরেটের খ্রাইবেহ গ্রামের একটি বাড়িতে ওই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় আরও ১১ জন আহত হন।
এছাড়া নাবাতিয়েহ পৌরসভার একটি গুদামে ইসরায়েলি অভিযানে পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ১২ জন উদ্ধারকর্মী এবং সিরিয়ায় ১৫ জন নিহত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক সূত্রগুলো জানায়, শনিবার লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের গ্রাম ও শহরগুলোতে প্রায় ৯০টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন। একই সঙ্গে প্রায় ১৬টি গ্রাম ও শহরে ৭৫টি শেলসহ বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি কামান।
এদিকে শনিবার পৃথক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, তারা দক্ষিণ লেবাননের চামা গ্রামে একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছে। এতে ক্রুরা হতাহত হয়েছেন।
গোষ্ঠীটি আরও জানায়, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইসরায়েলি সেনাদের সমাবেশ এবং দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত এলাকার শহরগুলোতে অনুপ্রবেশকারী যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের আকরে, হাইফা, সাফেদ ও কিরিয়াত শমোনা শহরসহ বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি স্থাপনায় রকেট হামলা চালানো হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়ে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অক্টোবরের শুরুতে ইসরায়েল তার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননের ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬৪ জন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬, লেবাননে ৩৩ জন নিহত
৩৮৩ দিন আগে
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ১৮৩ বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে আরও ১৮৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে ১৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশে পৌঁছান বলে জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে এর আগে রাত ১১টার দিকে আরেকটি ফ্লাইটে আরও ৩২ জন ফিরে আসেন।
এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদশি নিরাপদে দেশে ফিরলেন লেবানন থেকে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৭০ বাংলাদেশি
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, লেবাননের বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
ফিরে আসা নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা। আইওএমের পক্ষ থেকে লেবানন থেকে আসা প্রত্যেককে ৫০০০ টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে তারা যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যারা ফিরে আসতে চান, সরকার নিজ খরচে তাদের দেশে ফেরত আনবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
৩৯৩ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননে বাংলাদেশের দূতাবাস।
নিহত মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (৩১) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি বৈরুতে একটি কফি শপে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে নিজাম উদ্দিন বৈরুতের হাজমিয়ে এলাকায় নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, নিহতের স্ত্রী বর্তমানে লেবাননে অবস্থান করছেন। লেবাননে বাংলাদেশের দূতাবাস তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা বারবার প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েল: লেবাননের প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট না থাকায় মরদেহ বাংলাদেশে আনা সম্ভব হবে না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান জানান, জীবিকার তাগিদে গত ১২ বছর আগে মোহাম্মদ নিজাম লেবাননে যান। শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন বলে তার বড় ভাই আমাকে নিশ্চিত করেছেন। তার লাশ সেখানে হিমঘরে রাখা আছে।
নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৫২, আহত ৭২
৩৯৭ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২৭৯২: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯২ জনে পৌঁছেছে। একই সময় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৭২ জনে।
মঙ্গলবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শুধু সোমবারই ৮২ জন নিহত ও ১৮০ জন আহত হয়েছেন।
লেবাননের সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের প্রায় ৩০টি গ্রাম ও শহরে ৫০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সবচেয়ে তীব্র হামলা করে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সিডনের সাইদা এলাকায়; যেখানে তিনটি ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এর ফলে ছয়জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হন। তাদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি।
সূত্র জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যে সংযোগকারী সীমান্ত সড়কে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তিনটি বিমান হামলা চালিয়েছে। এটি দুই দেশের মধ্যে উভয় দিক থেকে চলাচলকারী পথচারীদের বাধা সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খিয়াম গ্রামে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে এখনও সংঘর্ষ চলছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
তারা জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গ্রামের কেন্দ্রস্থলে নিবিড় অভিযান চালাচ্ছে। এসব হামলায় ভারী মেশিনগান, আর্টিলারি শেল ও রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে। খিয়ামে ইসরায়েলি বাহিনী অগ্রসর হওয়ার পরে, লেবাননের একটি বাড়িতে বসবাসকারী ১৭ জন বেসামরিক নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সদর দপ্তর ও স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ইসরায়েলের কিব্বুতজিম, জারিত, বেইত হিলেল এবং ইসরায়েলি শহর মা'আ লট।
এতে আরও বলা হয়, লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মারজেইউন শহরের আকাশসীমায় একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৯০০ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েল তাদের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: হিজবুল্লার হামলায় দক্ষিণ লেবাননে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৪০০ দিন আগে
পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬০
পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ৬০ জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের এই হামলায় উপত্যকার ১২টি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই বালবেক অঞ্চলের।
এই হামলাকে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় চালানো 'সবচেয়ে সহিংস' হামলা বলে অভিহিত করেছেন বালবেকের গভর্নর বাছির খোদর।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননের উত্তর সীমান্তে স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৪৩ হাজার ২০ জন নিহত ও ১ লাখ ১ হাজার ১১০ জন আহত হয়েছে।
এই যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন জানিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরোধিতা শুরুর পর থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে ইসরায়েল।
৪০১ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ গণমাধ্যমকর্মী নিহত
দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে চালানো এই হামলায় নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে বৈরুতভিত্তিক প্যান-আরব আল-মায়াদিন টিভির দুই কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
আল-মায়াদিন এক প্রতিবেদনে জানায়, লেবাননে হামলায় তাদের ক্যামেরা অপারেটর ঘাসান নাজার ও ব্রডকাস্ট টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ রিদা মারা গেছেন।
এছাড়াও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্ট আল-মানার টিভি জানিয়েছে, হাসবায়া অঞ্চলে বিমান হামলায় তাদের ক্যামেরা অপারেটর উইসাম কাসিম নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় নিউজ স্টেশন আল জাদিদের প্রচারিত ওই ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখা যায়, বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভাড়া নেওয়া অনেকগুলো শ্যালেট বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। ধসে পড়েছে ভবনগুলো। প্রেস লেখা গাড়িগুলো ধ্বংসস্তূপে ঢেকে গেছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসরায়েলের হামলা
এই হামলা চালানোর আগে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ বৈরুতে আল-মায়াদিনের একটি অফিসে হামলা চালায় ইসরায়েল।
গত বছরের ৮ অক্টোবর লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
গত নভেম্বরে ড্রোন হামলায় আল-মায়াদিন টিভির দুই সাংবাদিক নিহত হন। এর এক মাস আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে রয়টার্সের ভিডিওগ্রাফার ইসাম আবদাল্লাহ নিহত হন এবং ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি ও কাতারের আল-জাজিরা টেলিভিশনের অন্যান্য সাংবাদিক আহত হন।
আরও পড়ুন: লেবাননে বাড়ছে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি
৪০৫ দিন আগে