জাপানি রাষ্ট্রদূত
নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব: জাপানি রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ উল্লেখ করে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে পছন্দ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সরকারি সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক 'কৌশলগত অংশীদারিত্বে' উন্নীত হওয়ার পর এক সাংবাদিক এ বিষয়ে জাপানের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
বুধবার টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের বিষয়ে জাপান দূতাবাসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
ইওয়ামা কিমিনোরি এই মন্তব্য করেছিলেন ব্রিফিংয়ের সময় যখন একজন সাংবাদিক গত বছরের নভেম্বরে পূর্ববর্তী জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের বিষয় উল্লেখ করেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা গত ২৬ এপ্রিল জাপানে সরকারি সফর করেন এবং একটি শীর্ষ বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও জাপান 'বিস্তৃত ও লক্ষ্যভিত্তিক' অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করছে: রাষ্ট্রদূত
বিদায়ী জাপানি রাষ্ট্রদূতের আশা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে: ডেপুটি প্রেস সচিব
১ বছর আগে
বিদায়ী জাপানি রাষ্ট্রদূতের আশা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে: ডেপুটি প্রেস সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উভয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং একমত হয়েছেন যে ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল বোঝা।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর জোর দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ভাসানচর দ্বীপের উন্নয়নের পর রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়স্থল স্থাপনে জাপানের সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি লাভজনক স্থান হওয়ায় জাপানের ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর বিনিয়োগে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং ঢাকা মেট্রোরেলের মতো বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের সহায়তার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত সবসময় দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা বিদেশিদের জন্য একটি ডেডিকেটেড ট্যুরিস্ট জোন গড়ে তুলতে জাপানের সহযোগিতাও কামনা করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত এটিকে একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তার মেয়াদ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তার ভূমিকার জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
২ বছর আগে
জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে ‘চিন্তিত নন’, তাকে সরল ও ভালো মানুষ বললেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির নির্বাচন-সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। তার সরলতার সুযোগে দুষ্ট লোকেরা সুযোগ নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জনস ফর স্লিপ অ্যাপনিয়া, বাংলাদেশ আয়োজিত আন্তর্জাতিক কর্মশালায় যোগ দেয়ার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি (নাওকি) একজন সাধারণ এবং ভালো মানুষ। তিনি বাংলাদেশের একজন ভালো বন্ধু। আমরা তার মন্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পিত জাপান সফর স্থগিত করা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপান সরকারের মধ্যে ‘অস্থিতিশীলতা’সহ বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: আপনার বাবা ছিলেন বিদেশে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর: টেড কেনেডি জুনিয়রকে মোমেন
মোমেন বলেন, জাপানের তিন প্রভাবশালী মন্ত্রিসভার সদস্য সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন এবং তারা শুনেছেন যে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে নিয়ে জাপানের সংসদে কিছু প্রস্তাব আসবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান আমাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত… তবে তিনি (জাপানি প্রধানমন্ত্রী) খুব ব্যস্ত (অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে)।’
তিনি আরও বলেন, যে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এই সিদ্ধান্তের পিছনে আরেকটি কারণ।
একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে তুলে ধরার জন্য নির্ধারিত ছিল যেখানে বাংলাদেশ মাত্র ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সফরের সুযোগ পাবে।
মোমেন বলেন, এটি ছিল দুই দিনের সফর, কিন্তু প্রতিনিধি দলের অধিকাংশ সদস্য কোয়ারেন্টাইনের কারণে হোটেলে আটকে থাকবে এর কোনও মানে হয় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুই বছরেরও বেশি সময় আগে আমন্ত্রণ পেয়েছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সফরটি বাস্তবায়িত হতে পারেনি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জাপান সফরে গেলে জাপানি পক্ষ আবারও সফর চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক আরও গভীর হবে: মোমেন
‘আমরা এবার জাপানে যেতে চেয়েছিলাম। তারা আমাদের বারবার অনুরোধ করেছে। এটি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা তা স্থগিত করেছি।’
মোমেন বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক থাকায় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই জাপানে যাবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, তারা এই সফরের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন, কারণ এটি দুই দেশের জন্য ‘লাভজনক’।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই সফর বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। ‘আমাদের উন্নয়ন, অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার জন্য আমাদের এখনও বড় জায়গা রয়েছে।’
নাওকি বলেন, সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বাংলাদেশের একটি শক্ত অর্থনীতি রয়েছে এবং অর্থনীতি সম্পর্কিত কিছু মিডিয়া প্রতিবেদনকে ‘প্রপাগান্ডা’ বলে বর্ণনা করে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ: মোমেন
২ বছর আগে
জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: পুলিশ সংগঠন
জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ) এবং বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে পুলিশের সংগঠনগুলো এই প্রতিবাদ জানায়।
অ্যাসোসিয়েশন দুটি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এটিকে ‘ভিত্তিহীন ও অযাচিত’ বলে অভিহিত করেছে।
বিপিএসএর সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার এসপি মো. আসাদুজ্জামান; বিপিএ’র সভাপতি, গুলশান থানার ওসি বিএম ফরমান আলী এবং সাধারণ সম্পাদক যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম স্ব স্ব বিবৃতিতে সাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
উভয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে রাজধানীতে গত সোমবার(১৪ নভেম্বর) ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে একাদশ জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে পুলিশের বিরুদ্ধে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির উত্থাপিত ‘ভিত্তিহীন ও অযাচিত’ অভিযোগ বিপিএসএ এবং বিপিএ’র দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য তার মন্তব্যে গভীরভাবে বিব্রত ও মর্মাহত হয়েছেন। বিপিএসএ এবং বিপিএ উভয়ই তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, ‘আমি শুনেছি যে (গত নির্বাচনে) পুলিশ কর্মকর্তারা আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিলেন… আমি অন্য কোনও দেশে এমন ঘটনা শুনিনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেয়। ভোটারদের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া বা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ভোটদানে পুলিশের কোনও ভূমিকা বা তৎপরতা নেই।
বিপিএসএ এবং বিপিএ উভয়ই পৃথকভাবে তার বক্তব্যের অংশটি প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করেছে। উভয় সংস্থাই জাতীয় ইস্যুতে মন্তব্য করার সময় জাপানি রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করেছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির ক্রমবর্ধমান মিথষ্ক্রিয়া আস্থার উত্তম প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
সংঘাতের পরিণতিতে সাড়া দেয়ার চেয়ে প্রতিরোধে বিনিয়োগ ভালো: ঢাকা
২ বছর আগে
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, বাংলাদেশের তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) মাধ্যমে জাপান তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। তবে তিনটি এসইজেডের মধ্যে আড়াইহাজার এসইজেডের সফলতার ওপর জাপানের বিনিয়োগ নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।
নাওকি বলেন, ‘আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।’ তার মতে, বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ৫ চ্যালেঞ্জ দেখছেন রাষ্ট্রদূত ইতো
জাপানিজ রাষ্ট্রদূত জানান, তিনি অনেক দিন ধরেই আড়াইহাজারকে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তিনি মনে করেন, আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল এশিয়ার ভিয়েতনাম, মিয়ানমার এবং ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকেও পিছনে ফেলতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, আড়াইহাজারে সফলতা পেলে মীরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর এবং মহেশখালী-মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বিনিয়োগের ব্যাপারে কাজ করবে জাপান।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন কর্তৃক রবিবার ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক: ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে মূলবক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজছে জাপান
ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিখ্যাত কূটনীতিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
অনলাইন আলোচনায় অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রধান কর্মকর্তা হায়াকাওয়া ইউহো, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, জাপানের স্যাক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসাকা ওহাশি, সাংবাদিক ও লেখক মনজুরুল হক, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক পলিসির ডিন অধ্যাপক তাকাহারা আকিও এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম।
আলোচনায় জাপানি রাষ্ট্রদূত জানানা, আগামী বছরের শেষ নাগাদ আড়াইহাজার এসইজেডের কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রস্তুত হবে। তবে করোনার কারণে, এখানে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, প্রাথমিকভাবে জাপানের অন্তত ১০০ টি কোম্পানি আড়াইহাজারে বিনিয়োগ করবে।
আরও পড়ুন: ইকিগাই: জাপানিদের সুস্থ জীবনের রহস্য!
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, জাইকা ইতোমধ্যেই মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করছে এবং খুব শিগগিরই মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে কাজ শুরু করবে।
আলোচনায় জাইকার বাংলাদেশ প্রধান হায়াকাওয়া ইউহো উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বড় বাজেটের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ঢাকার তিনটি মেট্রোরেল লাইন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা বিমান বন্দরের টার্মিনাল-৩, বঙ্গবন্ধু যমুনা রেল সেতু এবং আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
আলোচনায় এসইজেডগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, খুব দ্রুতই বিনিয়োগকারীরা আড়াইহাজারে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের অংশ হিসেবে মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলেও দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করে চলেছে। এখানে নিজস্ব পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বন্দর সুবিধা থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাপানে কাদার স্রোতে ২ মৃত্যু, নিখোঁজ ২০
অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সম্ভাব্য গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আড়াইহাজার খুবই ভাল জায়গা। পাশাপশি মাতাড়বাড়িকেও বেশ সম্ভাবনার চোখে দেখছেন তিনি। তবে মীরসরাইকে বেশ জনবহুল উল্লেখ করে এই প্রকল্প নিয়ে তার শঙ্কার কথা জানান এই অর্থনীতিবীদ।
পাবলিক প্রাইভেট বিনিয়োগ আলোচনা সম্পর্কে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পাশাপাশি বিদ্যমান কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তার মতে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এগুলো হল, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে দীর্ঘ সময় নষ্ট হওয়া, লেটার অফ ক্রেডিটের ধীর গতি এবং টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফারের সুযোগ না থাকা।
আরও পড়ুন: দেশে ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাইকা
তবে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশের চলমান বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি নিয়ে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তার মতে, বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।
আলোচনায় সমাপনী বক্তব্যে ড. ইফতেখার চৌধুরী বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে টোকিওর সমর্থন চাইল ঢাকা
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাপানের দৃঢ় সমর্থন চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
৪ বছর আগে