সম্পদ
উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দিতে নীতিমালা জারি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা, ২০২৪’ শিরোনামে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ
নীতিমালায় বলা হয়, সরকার অথবা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংযুক্ত ছকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, তাদের স্ত্রী বা স্বামীর পৃথক আয় থাকলে অনুরূপ আয় ও সম্পদ বিবরণীও প্রধান উপদেষ্টার কাছে একইসঙ্গে জমা দিতে হবে। এ আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রধান উপদেষ্টা তার নিজের বিবেচনায় উপযুক্ত পদ্ধতিতে প্রকাশ করবেন। আয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য একটি ফরমও তৈরি করে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জানিয়েছে, দেশের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে। তবে এ বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অটোমেটেড সরকারি আর্থিক সেবা
প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হওয়ার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
১ মাস আগে
সব কর্মচারীকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে: জনপ্রশাসন সচিব
সব কর্মচারীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। তবে আগামী বছর থেকে প্রতি বছরের সম্পদের হিসাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির হিসাব জমাদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীকে 'সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি, ১৯৭৯' এর আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। প্রতি বছরের সম্পদের হিসাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। এবার যেহেতু আমরা নতুন বছর পাইনি, ভাঙা বছর পেয়েছি, এজন্য এ বছরেরটা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন সচিব হলেন মোখলেসুর রহমান
সিনিয়র সচিব বলেন, 'সম্পদের হিসাব সিলগালা করা খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। সম্পদ বিবরণীতে ভুল তথ্য কিংবা গোপন এমন কোনো তথ্য থাকে যা মিসলিড করে, এটি হবে ১৯৭৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।'
'এই অনুশাসন মালা সব কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরকারিভাবে কর্মচারী বলা হয়।'
মোখলেস উর রহমান জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদর্শ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া সম্পদ বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ অংশ বিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়। সম্পদ বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এক্ষেত্রে 'তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯' প্রযোজ্য হবে না।
তিনি বলেন, 'সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে কী হবে- অনেকে জানতে চেয়েছিলেন? জমা না দিলে অনেক কিছু হয়।'
'নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসংগতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
'সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮' এর ৪(৫)(গ) উপবিধি অনুযায়ী 'অসদাচরণ' এর জন্য লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড আরোপের বিধান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিরস্কার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ আদায়, বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হচ্ছে লঘুদণ্ড।
অন্যদিকে গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে- নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, চাকরি থেকে অপসারণ ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা বলেও জানিয়েছেন মোখলেস উর রহমান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কোটা নিয়ে প্রয়োজনে আইন পাস করা হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
১ মাস আগে
এস আলম গ্রুপের সম্পদ কিনবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
আমানতকারীদের অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জনসাধারণকে এসব সম্পত্তি কেনার বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকে আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধে লুট হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধারকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইতোমধ্যে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব লেনদেন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রুপটি বিভিন্ন ভূসম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। এসব সম্পদ বিক্রি ঠেকাতে আইনি প্রক্রিয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ‘রাষ্ট্রের স্বার্থে’ এস আলম গ্রুপের কাছ থেকে জমি ও সম্পত্তি না কেনার পরামর্শ দেন।
ড. মনসুর আরও জানান, সুশাসন নিশ্চিত করতে ছয়টি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, শিগগিরই আরও পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে। এই নতুন বোর্ডগুলো রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসাবে ব্যাংকগুলো পরিচালনা করবে। যদি তারা প্রয়োজন মতো কাজ না করে তবে আরও পরিবর্তন আনা হবে।
মুদ্রাস্ফীতির বিষয় তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশে সাম্প্রতিক বড় বন্যার কারণে আগামী দুই থেকে তিন মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘তবে আমি আশাবাদী আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উভয় পক্ষের প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের যথাযথ নীতিগত ব্যবস্থা এবং একটি স্থিতিশীল সরবরাহ চেইন বজায় রাখা। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করবে।’
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের তিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রসঙ্গে ড. মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এক ডলারও বিক্রি হবে না। তবে আমরা বাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করে সরকারি ব্যয় মেটাতে সোনালীর ব্যাংকের মতো ব্যাংকে সরবরাহ করছি।’
তিনি আরও বলেন, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি), বিদ্যুতের ঋণ এবং সার আমদানিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা ব্যবস্থাপনার দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।
আমানতকারীদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে গভর্নর ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান এবং গণপ্রত্যাহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন। সবাই একযোগে টাকা উত্তোলন করলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংক তা পরিচালনা করতে পারবে না। শুধু যেটুকু প্রয়োজন তা তুলে নিন।’
ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের আশ্বস্ত করে ড. মনসুর বলেন, সংস্কার চলছে এবং সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আপনারা উচ্চ সুদের হার বা অন্য কোনো কারণে এসব ব্যাংকে টাকা রেখেছেন। এখন, আপনার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে টাকা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার ওপর জোর দিয়ে যতটুকু প্রয়োজন কেবল ততটুকুই তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেন গভর্নর।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের ১৩ জনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখবে বিএফআইইউ
২ মাস আগে
মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ আদালতের
দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক (তদন্ত) ও তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান, মেয়ে ফারজানা রহমান ঈশিতা ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নামে মোট ২ হাজার ৩৬৭ শতাংশ জমি এবং ঢাকার মিরপুরে প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে চারটি ফ্ল্যাট।
অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেশের ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে জমা ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের ১১৬টি ব্যাংক হিসাব ও ২৩টি বিও হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আবেদনে দুদকের উপপরিচালক উল্লেখ করেন, মতিউর রহমান তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউরকে সোনালী ব্যাংকের বোর্ড থেকে অপসারণ
অনুসন্ধানকালে জানা যায়, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর ও অর্থ পাচারের চেষ্টা করছিলেন। তাই তাদের এ ধরনের চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে একটি নির্দেশের প্রয়োজন ছিল বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২৪ জুন একই আদালত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
গত ৪ জুলাই মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতক জমি বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বেনজীর-মতিউরের সম্পদের বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ
৪ মাস আগে
রূপগঞ্জে বেনজীরের ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডুপ্লেক্স বিলাসবহুল বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলার সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম আদালতের নির্দেশে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়িটি জব্দ করে।
আরও পড়ুন: বেনজীর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
অভিযানে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শফিকুল আলম, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান মাহমুদ রাসেল, দুর্নীতি দমন কমিশনের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশানীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক কর্মকর্তা মঈনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাড়িটি ২০২২ সালে নির্মিত। সাবেক এই আইজিপি দেশে থাকাকালে এখানে রাত্রীযাপন করতেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে
তিনি জানান, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য বাংলোয় একজন তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে দুটি কুকুর রাখা হয়েছিল।
এর আগে গত ১২ জুন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক আইজিপির ডুপ্লেক্স বাড়িসহ আরও অনেক সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন আদালত।
পরবর্তীকালে আদালত বাড়িটি তদারকির জন্য জেলা প্রশাসকের ওপর দায়িত্ব দেন।
আরও পড়ুন: বেনজীর-মতিউরের সম্পদের বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ
৪ মাস আগে
বাল্যবিবাহ হলো আমাদের সম্পদের অপচয়: সিমিন হোসেন
বাল্যবিবাহ সম্পদের অপচয় বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
তিনি বলেন, একজন কিশোরীর বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া মানে সে সম্পদে পরিণত না হয়ে দায়ে পরিণত হয়।
বাল্যবিবাহ রোধে পিতা-মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করুন। আপনার এই বিনিয়োগ দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে: সিমিন হোসেন
বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইউএনএফপিএ ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত জিপিইসিএম তৃতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক সমস্যা। ইউএনএফপিএ ও ইউনিসেফের সহায়তায় বাল্যবিবাহ নিরসনে প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা অন্যান্য দেশের কার্যক্রম ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তাদের কার্যকরী উদ্যোগ ও ইনোভেশন সম্পর্কে জানতে পারছি এবং একইসঙ্গে সেটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু কার্যকর তা পরীক্ষা করার সুযোগও পাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিবাহ নির্মুল করা শুধুমাত্র সরকার বা একক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। গত ৫০ বছরে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বাল্যবিবাহের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি শুধুমাত্র একটি সাময়িক সমাধান। আমাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে কেউ বাল্যবিবাহের চিন্তা না করে।
তিনি বলেন, মানুষের চিন্তা চেতনার জায়গায় পরিবর্তন আনতে আমরা কাজ করছি। বাল্যবিবাহের যে প্রথা ও রীতিগুলো রয়েছে সেগুলোকে ভাঙতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা নিরসনে সরকারি-বেসরকারি সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন: সিমিন হোসেন
ওরাল ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান সিমিন হোসেনের
৫ মাস আগে
হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের হলফনামায় প্রকাশ করা আয়, সম্পদ, ঋণ এবং ঋণের সত্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ কথা জানায়।
টিআইবি ‘হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি’ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও ‘নো ইউর ক্যান্ডিডেট’ ড্যাশবোর্ড উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাজস্ব বিভাগ প্রার্থীদের হলফনামার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে স্বপ্রণোদিত হয়ে সেগুলো যাচাইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করবে- এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম, সহসমন্বয়ক ও ড্যাশবোর্ড প্রস্তুতকারী রিফাত রহমান এবং কে. এম. রফিকুল আলম।
প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সমন্বয়ক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর হলফনামায় দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা ও আয়ের উৎস, মামলার বিবরণী, প্রার্থীর নিজের ও তার নির্ভরশীলদের আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়-দেনা এই আট ধরনের তথ্যকে বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করেছে টিআইবি।
প্রতিবেদনের পাশাপাশি ইন্টারঅ্যাকটিভ ড্যাশবোর্ডটিও তৈরি করা হয়েছে। ড্যাশবোর্ডের লিংক: https://www.ti-bangladesh.org/kyc এর মাধ্যমে সর্বশেষ চারটি জাতীয় নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর সার্বিক, আসন ও দলভিত্তিক তুলনামূলক চিত্র দেখা যাবে। ড্যাশবোর্ডটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
এর মাধ্যমে একদিকে যেমন ভোটারগণ ঘরে বসেই নিজ এলাকার প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য ও তুলনামূলক চিত্র পাবেন, অন্যদিকে ইসি, দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ স্ব স্ব এখতিয়ার অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তথ্যের বহুমুখী বিশ্লেষণের সুযোগ নিতে পারবে।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, সর্বশেষ তিনটি ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দ্বাদশ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। কোনো দলই তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেয়নি, তবে শতভাগ আসনেই কমপক্ষে এক বা অনেক ক্ষেত্রে একাধিক প্রার্থী হয় ক্ষমতাসীন দলের সদস্য বা সমর্থনপুষ্ট।
প্রার্থীদের অর্ধেকের বেশিই প্রায় ৫৭ শতাংশই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রার্থী স্বশিক্ষিত।
সর্বশেষ তিনটি ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৫৭ শতাংশ ব্যবসায়ী প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
গত ১৫ বছরে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে, বছরে ১ কোটি টাকা আয় করেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা এবার সর্বোচ্চ ১৬৪ জন। তবে কোটি টাকার কম আয় করে এমন প্রার্থীর হার ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
এবার প্রায় ২৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে)। শতকোটিপতি প্রার্থী সংখ্যায় ১৮, সর্বোচ্চ কোটিপতির প্রদর্শিত সম্পদমূল্য ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বশেষ তিনটি ও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোটিপতি প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
অর্থাৎ, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও কোটিপতি প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে নবম নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থী ছিলেন মাত্র ২৭ শতাংশের কিছু বেশি। সেটি ১৫ বছরের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ শতাংশে। এদিকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করা প্রার্থীদের প্রায় ৪৭ শতাংশই কোটিপতি।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়: টিআইবি
হলফনামায় আরও দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রার্থীর নামেই বড় আকারের (সর্বোচ্চ ৮১৩ একর) ভূমির মালিকানা রয়েছে। অথচ, দেশের আইন (ল্যান্ড রিফর্ম অ্যাক্ট-২০২৩) অনুযায়ী একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানা পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা (কৃষি জমির ক্ষেত্রে ৬০ বিঘা এবং অ-কৃষি জমিসহ যা ১০০ বিঘা পর্যন্ত যেতে পারে)।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রায় ২৭ শতাংশেই ঋণ বা দায় আছে। যার মোট পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
হলফনামার তুলনামূলক হিসাবে দেখা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারো কারো আয় সর্বোচ্চ ২ হাজার শতাংশের বেশি বেড়েছে। ৫ বছরে এমপিদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আয় বৃদ্ধির হার ২ হাজার ২৩৮ শতাংশ এবং ১৫ বছরে এই হার ৭ হাজার ১১৬ শতাংশ। একইভাবে, ৫ বছরে এমপিদের সর্বোচ্চ সম্পদ বৃদ্ধির হার ৫ হাজার ৪৭০ শতাংশ। ১৫ বছরে এই হার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৩ শতাংশ।
মন্ত্রী/ প্রতিমন্ত্রীদের ৫ বছরে আয় সর্বোচ্চ বেড়েছে ২ হাজার ১৩৪ শতাংশ, একই সময়ে ৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে ১ হাজার ৬৩ শতাংশ এবং ১৫ বছরে বেড়েছে ৬ হাজার ৩৫০ শতাংশ।
তবে হলফনামায় প্রদত্ত তথ্য পর্যাপ্ত কিনা বা বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা যায়, টিআইবির প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী, সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে, যার প্রতিফলন হলফনামায় নেই।
মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনও বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল এষ্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছেন। যে সকল কোম্পানির মোট সম্পদ মূল্য প্রায় ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার সম্ভাবনা নেই: টিআইবি
১০ মাস আগে
বার্ষিক আয় কমলেও ৫ বছরে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সম্পদ বেড়েছে ৪ গুণ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য হাসানুল ইনুর আয় তেমন না বাড়লেও গত ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।
এই সময়ে তার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ সামান্য কমে ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, গত ১০ বছরে ইনুর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ২৯ গুণ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পেশায় রাজনৈতিক কর্মী ও প্রকৌশলী হাসানুল হক ইনু। তার আয়ের বড় অংশ আসে ব্যবসা, বেতন-ভাতা, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও টিভি টকশো থেকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় ইনু ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৪৯ টাকা, বেতন-ভাতা থেকে তার আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা, টিভি টকশো ও ব্যাংক সুদ থেকে পেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৭০ টাকা। সব মিলিয়ে তার বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তিনি আয় দেখিয়েছিলেন ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৬২৩ টাকা। সে হিসেবে ইনুর বার্ষিক আয় একটু কমে গেছে।
তা সত্বেও, গত পাঁচ বছরে হাসানুল হক ইনুর সম্পদ বেড়ে প্রায় ৪ গুণ হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তিনি সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন ১ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার ৮৬৬ টাকা।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নয়: ইনু
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্যে এর পরিমাণ ৩ কোটি ৯২ লাখ ৭৬ হাজার ২২৯ টাকা।
বর্তমানে ইনুর নগদ অর্থের পরিমান ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৪ টাকা, সোনা রয়েছে ২৫ ভরি।
১৯৭৪ সালের দাম অনুযায়ী এই সোনার দাম দেখানো হয়েছে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া, তার ৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি আছে। আর রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী হলফনামায় ইনুর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে অবিশ্বাস্যভাবে।
স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ২৫৮ টাকা।
এর মধ্যে নগদ অর্থ রয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৩ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৭০ টাকা, তার নামে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৫ টাকার একটি অ্যাপার্ন্টমেন্ট আছে।
এছাড়া, তার স্ত্রীর ৪০ ভরি সোনা আছে, ১৯৭৪ সালের বাজার মূল্য অনুযায়ী এ সোনার দাম দেখানো হয়েছে ১২ হাজার টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় হাসানুল হক ইনু তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকা।
আর দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় জাসদ সভাপতি তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৬ লাখ ৩৮ হাজার ১৯০ টাকা।
আরও পড়ুন: সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে: ইনু
১১ মাস আগে
দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হুইপ সামশুল হক ও তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৪১ গুণ
দেড় দশকে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর আয় বেড়েছে ৪১ গুণ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দেওয়া হলফনামায় তার সম্পদের এ বিবরণ পাওয়া যায়।
সামশুল হক বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি হলেও এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি। তাই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন।
গত ৩০ নভেম্বর ইসিতে হলফনামা জমা দেন সামশুল হক।
আরও পড়ুন: বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আয় বৈষম্য বেড়েছে: ড. বিনায়ক সেন
এতে দেখা যায়, ২০০৮ সালে জমা দেওয়া হলফনামার চেয়ে সামশুল হক ও তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪১ গুণ। একইসঙ্গে নিজের আয় বেড়েছে প্রায় ২১ গুণ।
২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, সেসময় তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্য ভাড়া থেকে ৪৫ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় হতো তার।
ওই সময়ে স্ত্রী কিংবা নির্ভরশীলদের কোনো আয় ছিল না হলফনামায়।
২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে সামশুল হক চৌধুরীর হাতে নগদ ছিল এক হাজার ৩৬৯ টাকা। লিমিটেড কোম্পানির ৪০টি শেয়ার ছিল।
যার মূল্য দেখানো হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা। ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি টয়োটা গাড়ি ছিল। সোনা ও মূল্যবান ধাতু ছিল ২৫ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছিল ৩০ হাজার টাকার এবং ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ছিল।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে ছয় লাখ ৭৫ হাজার টাকার অকৃষি জমি, হালিশহর হাউজিং এস্টেট এবং রিয়াজ উদ্দিন বাজারে দুটি দালানের দাম দেখানো ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
ওই সময়ে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার ঋণ ছিল সামশুল হক চৌধুরীর।
অন্যদিকে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলে দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, বর্তমানে স্ত্রীসহ হুইপের বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ১৯৮ টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর বার্ষিক আয় রয়েছে ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৮ টাকা।
বার্ষিক আয়ের মধ্যে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্য ভাড়া খাতে আয় ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৪ টাকা। ব্যবসা খাতে আয় ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা।
শেয়ার, সঞ্চয়পত্র কিংবা ব্যাংক আমানত খাতে আয় ৭ লাখ ৯৬ হাজার ১০৮ টাকা। হুইপের ভাতা খাতে ১১ লাখ চার হাজার এবং অন্য খাতে আয় রয়েছে ২৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৮ টাকা।
একইভাবে হুইপপত্নীর আয়ের মধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্য ভাড়া খাতে বছরে আয় ৪ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ টাকা। ব্যবসা খাতে আয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সঞ্চয়পত্র খাতে আয় চার লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা এবং ব্যাংক আমানতের সুদ হিসেবে আয় ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে হুইপের হাতে নগদ রয়েছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা, রয়েছে ১০ হাজার ৩২ ডলার সাত সেন্ট। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯ টাকা।
গণনা প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ২৬০০ শেয়ার রয়েছে হুইপের। এই শেয়ারের দাম দেখানো হয়েছে দুই লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের ১০০০ শেয়ার রয়েছে সামশুল হক চৌধুরীর। এসব শেয়ারের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
ব্যাংকে এফডিআর রয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকার। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৩০ লাখ টাকার। এক কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি এবং ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মিলে মোট দুটি ল্যান্ড ক্রুজার রয়েছে হুইপ সামশুলের।
১৫ বছর আগের মতোই বর্তমানে সোনা ও মূল্যবান ধাতু ২৫ হাজার টাকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩০ হাজার টাকার এবং ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। অন্য খাতে অস্ত্র ও ব্যবসায়িক মূলধন হিসেবে দেখানো হয়েছে ২২ লাখ ১৩ হাজার ৯২৭ টাকা।
একইভাবে হুইপপত্নীর নগদ টাকা রয়েছে ২৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৮৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা। গণনা প্রপার্টিজ লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ২০০০টি।
এসব শেয়ারের দাম দেখানো হয়েছে দুই লাখ টাকা। একইভাবে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের হুইপের সমপরিমাণ ১০০০ শেয়ার রয়েছে হুইপপত্নীর। এসব শেয়ারের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
ব্যাংকে এফডিআর রয়েছে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯১ টাকার। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৫০ লাখ টাকার এবং ব্যাংকে ডিপিএস (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) রয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকার।
এই সময়ে নতুন করে সোনা ও মূল্যবান ধাতু যুক্ত হয়েছে ৩০ তোলা। যার মূল্য দেখানো হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী এক লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৬০ হাজার টাকার।
বর্তমানে ব্যবসায়িক মূলধন রয়েছে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬১৩ টাকার।
এবার দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়, সামশুল হকের স্থাবর সম্পত্তিতে কৃষি জমি না থাকলেও রয়েছে ৭৪ লাখ সাত হাজার ৯২০ টাকা পরিমাণের অকৃষি জমি। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ২৫০ টাকার মূল্যের অকৃষি জমি।
রয়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার দালান। স্ত্রীর নামে রয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের আটটি টিনশডে গোডাউন, নিজের নামে ৪৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ কাঠা জমিসহ চারতলা ভবন রয়েছে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, ছয় লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমির কথা। ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের দালানের তথ্য দিয়েছিলেন তখন।
সেবার স্ত্রীর নামে স্থাবর কোনো সম্পদ নেই বলে হলফনমায় উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
১১ মাস আগে
বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আগুনসন্ত্রাস এবং দেশের ভূমি ও সম্পদ বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেওয়ার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। দেশের জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, শুক্রবার সমাবেশের নামে গণ্ডগোল করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ জন্য তারা শনিবার আবার আগুনসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, বাস পুড়িয়েছে, মানুষের সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে।
এই অপশক্তি দেশের তেল, গ্যাস, খনি বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালেও স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তি আমাদের মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, মানুষ জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকেও যারা দেশের সম্পদ ও ভূমি বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়, মানুষ তা হতে দেবে না, তাদের প্রতিহত করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শনিবার বিএনপি যেসব বাস পুড়িয়েছে সেগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস। অনেক কষ্ট করে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে যে মানুষ বাস কিনেছে, সেই বাস তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। অথচ সেসব মানুষের কোনো অপরাধ ছিল না।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এভাবে যারা রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ায়, মানুষের সহায়-সম্পত্তি, স্বপ্নকে পোড়ায়, তাদের বর্জন করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে।
আরও পড়ুন: কাঁটাতার ছিঁড়তে পারেনি নাড়ির বন্ধন: কলকাতায় তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে