দুবাই
দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাই সফর করছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: দুবাই সামিটে এআই নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতায় জোর প্রধান বিচারপতির
'শেপিং ফিউচার গভর্নমেন্টস' প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শীর্ষ সম্মেলনটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, চিন্তাবিদ এবং বেসরকারি খাতের নেতাদের একত্রিত করেছে। সম্মেলনটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য উদ্ভাবনী সমাধান চিহ্নিত করাসহ সর্বোপরি পরবর্তী প্রজন্মের সরকারগুলোকে অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করে।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
৫৯ দিন আগে
দুবাই সামিটে এআই নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতায় জোর প্রধান বিচারপতির
দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন ভবিষ্যতের কথা ভাবি, তখন অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জগুলোর বৈশ্বিক প্রকৃতিও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। এআই ও আধুনিক প্রযুক্তিগুলো কোনো দেশের সীমা বা নিয়ন্ত্রণ মানে না। তবে বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এআই নিয়ন্ত্রণে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি, যা একই সঙ্গে উদ্ভাবনী ও ন্যায়সঙ্গত।’
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গভর্নমেন্ট সামিটের ওয়ার্ল্ড রেগুলেটরি ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে এআইয়ের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘এআই ব্যবহার করে কঠোর রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ও রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি, যা নমনীয়, স্থিতিশীল ও দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে।’
‘শুধু কারিগরি বা আইনি চ্যালেঞ্জ নয়, এটি নৈতিক দায়িত্বও বটে। আমরা যখন ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তুলছি, তখন আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে এটি শুধু বর্তমানের স্বার্থ রক্ষা করবে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনও মেটাবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আধুনিক রেগুলেটরি মেকানিজম এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন তা সচল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত জটিলতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়।
বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, এআই ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থনীতি ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তবে এর পাশাপাশি এটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, এআইয়ের প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম বিধায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও নেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সময়ের আবর্তে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি।
নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর পরিমার্জনে রেগুলেটরি মেকানিজম অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আইন প্রণয়নের জন্য উদ্ভাবনী রেগুলেটরি টুলগুলো ব্যাপকভাবে গ্রহণের আহ্বানও জানান প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, এআই কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তির জটিলতা মোকাবিলায় এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট দেশীয় আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয়।
এ বিষয়ে সিভিল ও কমন ল’ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে অভিযোজনযোগ্য আধুনিক আইনি কাঠামো গঠনে বিশ্বের আইনজ্ঞ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সেক্রেটারি জেনারেল মরিয়ম আল হাম্মাদি।
৫৯ দিন আগে
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাই যাচ্ছেন ড. ইউনূস
'ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট ২০২৫'-এ যোগ দিতে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধাবর (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুবাইয়ের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।
সফরকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পারস্পরিক স্বার্থ, ভিসা উন্মুক্তকরণ, জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আজাদ এর আগে বলেছিলেন, এটি একটি সংক্ষিপ্ত সফর হবে। প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার দেশে ফিরবেন।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি দেন।
'শেপিং ফিউচার গভর্নমেন্টস' প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশ্বের সরকারের এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, চিন্তাবিদ এবং বেসরকারি খাতের নেতাদের একত্রিত করেছে। সম্মেলনটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য উদ্ভাবনী সমাধান চিহ্নিত করাসহ সর্বোপরি পরবর্তী প্রজন্মের সরকারগুলোকে অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করে।
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার জন্য এই সম্মেলনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এর আগে বলেছিলেন, সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র/সরকারপ্রধানদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভয়ংকর ও অবিশ্বাস্য’, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস
তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম দুই দেশ বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গনের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে সংহত হয়েছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, দেশটিতে অবস্থানরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
তিনি বলেন, বস্ত্র, কৃষি পণ্য এবং জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উভয় দেশ জাতিসংঘ ও ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে কাজ করছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বাংলাদেশের অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
৬০ দিন আগে
সৌদি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে বাবর
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বাবরের ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘ছেলে লাবিব ইবনে জামানকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ওমরাহ পালনের জন্য ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন বাবর।’
‘এ সময় ঢাকা থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বাবর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানটি দুবাইতে অবতরণের পর তাকে দ্রুত বিমানবন্দরের কাছের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে ডাক্তাররা চেকআপের পর তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।’
তিনি জানান, ‘বর্তমানে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ও ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কারামুক্ত বাবর
এছাড়া বাবরের বড় ছেলে তার সঙ্গে আছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাবর ওমরাহ পালনে দুবাই থেকে সৌদি আরব যাবেন।
হায়দার বলেন, বাবর ও তার ছেলে লাবিব ইবনে জামান সন্ধ্যা ৬টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বাবরের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আলাদা একটি ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। মদিনায় পৌঁছানোর পর তাদের জানানো হয় যে বাবর দুবাইতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি বুকে ব্যথা নিয়ে বাবরকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাকে অ্যাডভান্সড করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ১৭ বছর কারাভোগের পর তিনি ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান।
৭২ দিন আগে
আন্তঃস্কুল স্টেম ফেস্ট ২০২৫: যুক্তরাষ্ট্র ও দুবাই যাবে বিজয়ীরা
রাজধানীর উত্তরায় ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞানবিষয়ক সর্ববৃহৎ প্রতিযোগিতা আন্তঃস্কুল স্টেম ফেস্ট ২০২৫।
ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের হোপিয়ান ম্যাথ প্রোগ্রামিং অ্যান্ড রোবোটিক ক্লাব এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। দেশসেরা স্কুলগুলোর তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার এ আয়োজন করা হয়।
এই প্রতিযোগিতায় এবারও রাজধানীর অর্ধশতাধিক স্কুল অংশগ্রহণ করে। এছাড়া ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতায় ১৪০টি বিজ্ঞানবিষয়ক প্রজেক্টও প্রদর্শিত হয়।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত—এই চারটি বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন কার হয়। এবারের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কৃত হয়েছে মোট ২৮০ জন শিক্ষার্থী।
প্রতিটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা পেয়েছে যথাক্রমে পাঁচ, তিন ও দুই হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কারসহ মেডেল ও সনদ। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে অংশ নেওয়া চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মেডেল ও সনদ।
এবারও প্রতিযোগিতায় সেরা ৩০ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ‘নাসা রোভার চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। ‘নাসা রোভার চ্যালেঞ্জ’- এ এবার শিক্ষার্থীরা ‘রিমোট কন্ট্রোল রোভার’ ও ‘হিউম্যান পাওয়ার রোভার’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন স্কুলের ২৬২ জন শিক্ষার্থী।
একই দিনে ৫০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড ও ২২১ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বায়োকেমেস্ট্রি অলিম্পিয়াড শুরু হয়। এসব অলিম্পিয়াডে তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে অংশ নেয়।
২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গণিত অলিম্পিয়াডে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাশাপাশি তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। সমাপনীর দিন আরও ছিল প্রজেক্ট প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল রোকসানা জারিন বলেন, বাংলাদেশে স্কুল-পর্যায়ে বিজ্ঞানবিষয়ক সর্ববৃহৎ প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। শুধু আমাদের স্কুল নয়, এ বছর আমাদের প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়েছে বড় বড় ৫০টির বেশি স্কুল। এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান উৎসবের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী। তাদের বিজ্ঞানচর্চা আমাদের দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে আমেরিকায় নাসা ‘রোভার চ্যালেঞ্জ’ নামক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এটি আমাদের অনেক বড় পাওয়া। এবারও এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক সুনাম অর্জন করবে বলে আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ঢাকা মোটর ফেস্টে মিলছে প্রগতি-কিয়া’র সিরাটো সিডান কার
৭৮ দিন আগে
ছেলে দুবাই শহরে, বৃদ্ধ পাঁচু মিয়ার ঠাঁই ঝুপড়ি ঘরে
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই-গান্না আঞ্চলিক সড়কের বালিয়াখাল এলাকায় রাস্তার পাশের ঝুপড়ি ঘরে থাকেন বৃদ্ধ পাঁচু মিয়া। নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে সন্তানকে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসে। আশা ছিল, বৃদ্ধ বয়সে যে কটাদিন বাঁচবেন সে কটাদিন অন্তত শান্তিতে কাটাবেন। তবে সেই কপাল হয়নি পাঁচু মিয়ার। ছেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে থাকলেও ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবার ঠিকানা হয়েছে এখন রাস্তার পাশের একটি ঝুপড়ি ঘর।
পলিথিন আর ভাঙাচোরা টিনের ছাউনি দিয়ে মোড়ানো ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে থাকেন পাঁচু মিয়া। প্রায় ৩০ বছর ধরে রাস্তার ধারেই বসবাস ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ। তালপাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরি করে বিক্রি এবং নরসুন্দরের কাজ করে নিজের ভরণপোষণ চালান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বাড়ি ছিল পাঁচু মিয়ার। নব্বইয়ের দশকে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বালিয়াখাল বাজারে সেলুনের দোকান দিয়েছিলেন তিনি। সেই দোকান থেকে যা আয় হতো তা দিয়েই চালাতেন সংসার।
১০ বছর আগে পাঁচু মিয়ার মেয়ে নিমবিয়া মারা যান। তার বছর পাঁচেক পর মারা যান তার স্ত্রী সরভানু বেগম। এরইমধ্যে কষ্টের টাকায় ছেলে মিন্টু মিয়াকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ৭/৮ বছর থাকার পর দেশে চলে আসেন মিন্টু মিয়া। এরপর দুবাই চলে যান তিনি। ছেলে দুবাই যাওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে বাবা পাঁচু মিয়ার কোনো যোগাযোগ নেই।
৭৮ দিন আগে
দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার রাতে আল আইন হাইওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের আপন জেঠাতো ভাই আরেক প্রবাসী মোহাম্মদ রিয়াদ।
নিহত মোহাম্মদ আলমগীর (৫৫) চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ২নং মুছাপুর ওয়ার্ডের মফিজুল্লাহ কোম্পানির ছেলে। বাংলাদেশে তার তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী আছেন।
আরও পড়ুন: রাতে মাছ ধরতে গিয়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
মোহাম্মদ রিয়াদ জানান, আলমগীর ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। ওই রাতে হাইওয়েতে স্ট্রিট লাইটের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে নিজেই গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলেন আলমগীর।
কর্মস্থলে শ্রমিকদের নামিয়ে দিয়ে গাড়ি ঘোরানোর সময় পেছন থেকে দুবাইমুখী স্থানীয় আরবের একটি গাড়ি আলমগীরের গাড়িকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন আবুধাবির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মিঠু জানান, আলমগীর ৩০ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাস জীবনযাপন করছিলেন। প্রায় এক বছর আগে তিনি তার বড় মেয়ের বিয়ের জন্য দেশে গিয়েছিলেন।
বর্তমানে আলমগীরের লাশ আল আইনের আল জিমি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা দেশে পাঠানো হবে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: যশোরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
৩১৩ দিন আগে
এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা ২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাই পৌঁছাবেন: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সোমালিয়ার দস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের বহনকারী জাহাজ ১৯-২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাইয়ে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের পথে। এটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে।’
সোমবার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩ জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং সেটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ উইংগুলো কাজ করেছে।’
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দ্রুত নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি দেখা গেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এটা কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ ও নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবেন, নাকি তারা ফিরে আসবেন।'
তিনি বলেন, তবে মালিক পক্ষ গতকাল খুব ভালো একটি কথা বলেছে। নাবিকরা যদি চান বাংলাদেশে ফিরে আসবেন, তাহলে তাদের বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে, সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছে।
আরও পড়ুন: দুপুরে সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছাতে পারে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’
৩৬৩ দিন আগে
২৮তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে দেশের অর্জন নিয়ে আলোচনা
দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এ দেশের অর্জন নিয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলোচনা করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কপ-২৮ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত ছিলেন, তিনি সেখানে যেতে পারেননি, তার পক্ষ থেকে আমাকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছি সেগুলো সেখানে প্রশংসিত হয়েছে। সে কারণে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি (জিসিসিএম) যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও আইওএমের ডিরেক্টর জেনারেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশকে স্থানীয় অভিযোজনে সাফল্যের জন্য ‘গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশন এওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে।’’
ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার হলেও যেভাবে এই জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করে এসেছে সেগুলো বিশ্বব্যাপী সবসময় প্রশংসিত হয়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ২০১৫ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কপ-২৮ সম্মেলনের অন্যতম প্রধান অগ্রগতি হচ্ছে ‘লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড’ গঠন করা, যেটি আগে ছিলো না। এবং এই সম্মেলনে সবাই জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার বিষয়ে একযোগে একমত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী
এ সময় নগর পরিকল্পনায় প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগ নিয়ে প্রশ্নে পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, আমাদের দেশে বেশিরভাগ নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটিয়ে তোলা হয়নি। সে কারণে নগরগুলো ইট-পাথরের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উদ্যোগ একা গ্রহণ করেছেন। সে উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অনেকগুলো খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, খাল খননের সঙ্গে যুক্তদের চেয়েও অনেক শক্তিশালী হচ্ছে খাল দখলকারীরা। এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। অবশ্যই প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটিয়েই নগর পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। শুধু নগর পরিকল্পনা নয়, যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনাই প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটিয়ে করা প্রয়োজন।
প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
৪৭৯ দিন আগে
জলবায়ু আলোচনার চূড়ান্ত: দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে শেষ দিনে সমঝোতার চেষ্টা
বহুল আলোচিত ও প্রথম দিনে ইতিহাস সৃষ্টি করা দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ শেষ দিনের আলোচনায় দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জানায়, আজ কেবলমাত্র দুটি ইস্যু সামনে আছে। একটি হচ্ছে, জলবায়ু প্রশমনে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমানোর উচ্চাভিলাসী লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে- জলবায়ু সংকট উত্তরণে দেশগুলোর সদিচ্ছা প্রকাশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
দুবাই জলবায়ু সামিট শেষ দিনে চূড়ান্ত চুক্তিতে বিশ্ববাসীকে কী উপহার দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় অধীর বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। আজ দুবাইয়ের স্থানীয় সময় রাত পর্যন্ত চলবে আলোচনা।
জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ বা কমিয়ে আনার প্রশ্নে দুবাই জলবায়ু আলোচনায় এক অচল অবস্থা বিরাজ করছে। এই অচল অবস্থা নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিযে যাচ্ছন সম্মেলনের সভাপতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবেশমন্ত্রী সুলতান আল জাবের। তিনি যেকোনো মূল্যে দেশগুলোকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছে দুবাইকে জলবায়ু সম্মেলনের ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন। এ লক্ষে সম্মেলনের (কপ) সভাপতি বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় ‘মজলিশ’ করে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
জলবায়ু সম্মেলনের শেষ দিনে এসে সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কঠিন কাজ। তাই শেষ দিনের কাজকে সহজ করার জন্য দুই দিন আগে থেকেই ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’ শুরু করেছেন কপ সভাপতি সুলতান আল জাবের।
রবিবার থেকে তিনি গ্রুপে গ্রুপে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন। আরবি ভাষায় যাকে ‘মজলিশ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিনিধিদের সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে চূড়ান্ত সামিটে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কী আছে দুবাই জলবায়ু প্যাকেজে
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকটের বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানসহ অভিযোজন তহবিল দ্বিগুন করার দাবি বাংলাদেশের
ক্ষয়ক্ষতি তহবিল কার্যকর, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো, অভিযোজন কার্যক্রম দ্রততর করার জন্য গ্লোবাল গোল অ্যাডাপটেশন গ্রহণ, মিথেন গ্যাস নির্গমন কমিয়ে বৈশ্বিক ক্ষুধা নিবারণে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ণ, কার্বন নির্গমন কমাতে ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন মিটিগেশন গ্রহণ, বৈশ্বিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পাঁচশালা পরিকল্পনা গ্রহণ, ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন এবং ২০২৫ সাল থেকে নতুন অর্থায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ। মূলত জলবায়ু সংকট নিরসনে সব বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেই সাজানো হয়েছে দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ।
এরমধ্যে বৈশ্বেক মূল্যায়নের পাঁচশালা পরিকল্পনাটি এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্যারিস চুক্তিতে পাঁচ বছর পর পর বৈশ্বিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। সেই মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এই মূল্যায়নেই বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে কী পরিমাণ কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। এজন্য কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জালানি কতটা ফেজ আউট বা ফেজ ডাউন করতে হবে।
ক্ষয়ক্ষতির জন্য কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে, অভিযোজন বা প্রশমনের জন্য কী পরিমাণ অর্থ লাগবে সব বিষয়ই এই পরিকল্পনায় তুলে ধরা হয়েছে। এই মূল্যায়ন ও মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অনুমোদন হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। তাদের তেলের ব্যবসা কমে যাবে। এজন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর চার শতাধিক লবিস্ট যেমন দুবাইতে সক্রিয় রয়েছে, তেমনি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক জীবাশ্ম জালানি বন্ধের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
৪৮৮ দিন আগে