শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জ্যাকেটের পকেটে মাদক, চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জ্যাকেটের পকেটে মাদক পাওয়ায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এক জরুরি বৈঠকে চুয়েট কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক সেবনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। পরে দুই শিক্ষার্থীর জ্যাকেটের পকেটে মাদক পাওয়া যায়। তাই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা্ হয়েছে, শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটির ২৭০তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়েটে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থীকে শোকজ
৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের নোটিশের জবাব দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে চুয়েটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা শিক্ষার্থীদের বহনকারী বুড়িগঙ্গা বাস থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে মাদকসহ আটক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ নীতিমালা, চুয়েট-২০১৬ মোতাবেক মাদক বহন ও সেবন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে চুয়েটে ফেরার সময় বাসে মদ্যপানের সময় ৪ জনকে আটক করে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চুয়েট গেটের সামনে থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার
৯ মাস আগে
চবিতে বিভিন্ন ঘটনায় ১৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন সময় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীসহ ১৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের এক কর্মীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘৯ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় সংঘঠিত সংঘর্ষ ও মারধরের প্রতিটি ঘটনা ভালোভাবে যাচাই–বাছাই করেই এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনেকে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপে জড়াবেন না মর্মে অঙ্গীকার দিয়েছেন। অপরাধ বিবেচনায় তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ক্ষমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ফের সংঘর্ষ, সহকারী প্রক্টরসহ আহত ৯
যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে- গত বছরের ১১ আগস্ট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের চার নেত্রীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হল শাখা ছাত্রলীগের উপ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তাসফিয়া জাসারাতকে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়া, ২৬ সেপ্টেম্বর এক কর্মরত সাংবাদিককে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার ঘটনায় দুইজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের আরশিল আজিম নিলয় ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শোয়েব মোহাম্মদ আতিক।
৮ অক্টোবর আলাওল হলের কক্ষ ভাঙচুর ও প্রাধ্যক্ষকে হুমকি দেয়ার ঘটনায় দুই ছাত্রলীগকর্মীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- সমাজতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শহিদুল ইসলাম।
এছাড়া গত ২ ডিসেম্বর এ এফ রহমান হলে দেশীয় অস্ত্র হাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া, হল কক্ষ ভাঙচুরসহ মূল্যবান সম্পদ বিনষ্টকরণ ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা হুমকি প্রদর্শন ঘটনায় ছয়জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলেন- সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের অনিক দাস, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের অয়ন কান্তি সরকার, একই শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের লাবিব সাঈদ ফাইয়াজ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের সিফাতুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মোবারক হোসেন ও একই সেশনের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নাহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির শাটলে কথা কাটাকাটি, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
সর্বশেষ গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি পরপর দুদিন রাতে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল শাখা ছাত্রলীগের দুটি উপপক্ষ। এতে উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হন। আহত হয়েছিলেন সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম। এ দুই দিনের ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁরা হলেন, ফিন্যান্স বিভাগের স্নাতকোত্তরের আমিরুল হক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের ইকরামুল হক ও দর্শন বিভাগের একই বর্ষের নয়ন দেবনাথ। বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মাহমুদুল হাসান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মোহাম্মদ ফাহিম।
শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সুনাম বিনষ্টের দায়ে আইন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী মো. জোবায়ের হোসেনকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
১ বছর আগে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: জবি শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
৪ বছর আগে