পেঁয়াজ আমদানি
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি, দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছেন উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এখন দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, খোলাবাজারের চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, তাদের যথেষ্ট মজুত আছে। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না। সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) লক্ষ্যে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতে পেঁয়াজের শুল্ক বাংলাদেশের জন্য ৮০০ ডলার, আর যুক্তরাজ্যের জন্য ১ হাজার ২০০ ডলার। আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি তিন দিন ধরে দাম কমাতে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন, আলোচনা করছেন। দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধা আমি চাইলেই সবকিছু নিরসন করতে পারি না। তবে আমাদের উদ্যোগ, চেষ্টা ও চেষ্টার সফলতা আছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত, তারপরও তারা রাজি হয়েছে। সামনে তাদের দেশে নির্বাচন, সেটাও দেখতে হবে। তাদের ভোক্তা আছে, সেটা মাথায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। হয় আমরা সরকারিভাবে জি টু জি আনব অথবা আমদানিকারকদের অনুমোদন দেব। যত দ্রুত সম্ভব বাজারে যাতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে। সেখানেও অগ্রগতি হতে পারে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। আমি যদি ডলারে কনভার্ট করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চিনি আমদানি করি তাহলেও দাম কম পড়বে না। পাঁচ টাকা হয়তো এদিক-ওদিক হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমরা চাচ্ছি, চিনির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে। যে দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি, রমজান মাসে চিনির দাম একই থাকবে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
৭ মাস আগে
ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার, এই খবরে সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ২৫ টাকা কমেছে।
কয়েক দিন আগেও যে পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে সেই পেঁয়াজের দাম কমে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে।
এদিকে , সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকালে ১১টি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। যার পরিমাণ ২৮৭ মেট্রিক টন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে আরও ১০টির মতো পেয়াঁজভর্তি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
মঙ্গলবার সকালে ভোমরা স্থলবন্দরের সুপার ইফতেখারুদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকালে ভোমরা বন্দর দিয়ে ১১টি ট্রাকে ২৮৭ মেট্রিক টন পেয়াঁজ ঢুকেছে। আজ (মঙ্গলবার) সকালে আরও ১০ ট্রাক পেয়াঁজ আমদানি হতে পারে। অর্থাৎ ২১ ট্রাক পেঁয়াজ ইতোমধ্যে ভারতের ঘোজডাঙ্গা বন্দর দিয়ে ভোমরা স্থল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, যেহেতু সরকার পেয়াঁজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বিধায় পুরাতন এলসি যাদের করা ছিল তারা এলসি পরিবর্তন করে পেয়াঁজ আমদানির চেষ্টা করছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
পেয়াঁজের দাম কিছুটা কমে আসায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছে, পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দাম আরও কমে আসবে। সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।
সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আব্দুল বারী জানান, গত রবিবার পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি ছিল। সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সোমবার থেকে দাম কমে এসেছে। আমদানির সঙ্গে সঙ্গে দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন এই ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছে দেশি পেয়াজের দাম। ফলে ৮০ টাকার পেঁয়াজ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কেজিতে ২০ টাকা কমে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। তবে ৪০ টাকায় কিছু পেঁয়াজ বন্দরের মোকামে পাইকারী বিক্রি হয়েছে। আর এই এই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।
সরকার ৮০ দিন পর পেঁয়াজ আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে ৬০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। যা আজও ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সেলিম উদ্দিন জানান, আজ সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ করা হবে। এরপর থেকে দাম অনেক কমে আসবে। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দামও অনেক কমবে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার ৩০-৪০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
আরেক আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিকটনের এলসি করেছেন। যা গতকাল থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী মঈনুল হোসেন জানান, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। তবে আমদানি হচ্ছে এই খবরে দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। দু-একজন খুচরা ব্যবসায়ী ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছে।
বাজারে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ ভারতীয় পেঁয়াজ পুরোপুরি চলে আসবে। কাল থেকে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে। এতে ভোক্তারা পেঁয়াজের দামে স্বস্তি পাচ্ছে।
এদিকে সরকার দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি বন্ধ রাখে। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
১ বছর আগে
শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার জানিয়েছেন, শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় সাময়িকভাবে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছে। দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
রবিবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।
কৃষি সচিব বলেন, উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি।
আরও পড়ুন: হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
জানান হয়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এবছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০-৩৫% পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬- থেকে ২৮ লাখ টন।
সভায় আরও জানান হয়, বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮-৩০ টাকা। গতবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকার কারণে আমদানি বেশি হয়েছিল।
দেশি পেঁয়াজের বাজারদর কম ছিল, ৩০-৩৫ টাকা ছিল। কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল।
সেজন্য, পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে এবছর পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: হিলিতে আমদানি বন্ধের অজুহাতে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের
১ বছর আগে
১৫ মার্চের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই রমজান মাস। কিন্তু তার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি (আইপি) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে রমজানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, সরকার কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৫ মার্চের পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নতুন করে কোনও অনুমতি দিবে না। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ সংরক্ষণে আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
এছাড়া আসন্ন রমজানে দেশে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি হবে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়ে গেলে ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হবে।
অন্যদিকে সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম জানান, রমজান এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। যার প্রভাব ফেলে সরকার ও ভোক্তাদের ওপর। কিন্তু এবার রমজানে দাম বাড়ার কোন আশঙ্কা নেই। কারণ ভারতে এবার পেঁয়াজের ফলন বেশি হওয়ায় সেখানে দাম তুলনামূলক অনেক কম।
তিনি বলেন, দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসতে এখনও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে এবং দেশি পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, রমজানে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এখন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। ঠিক এই সময়েই সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় রমজানে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে আমদানিকারকদের ভারতে ১০ হাজার পেঁয়াজের এলসি করা আছে।
এছাড়া, ১৫ মার্চের পর আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ভোক্তাদেরও রমজানে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় রমজান মাসে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা দরকার। আর যদি আমদানির অনুমতি বন্ধ করতে হয় ঈদের পর বন্ধ করা যেতে পারে। তাহলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত থেকে রেহাই পাবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যেসব অনুমতি পত্র (আইপি) দিয়েছে এবং যেসব আইপি দেয়া হচ্ছে সেগুলোর মেয়াদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
যদি নতুন করে আইপি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশনা না আসে তাহলে এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরের মোকামে প্রতি কেজি ভালো মানের আমদানি করা পেঁয়াজ ২৪ টাকা আর দেশিয় পেঁয়াজ ২৬ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভারতীয় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা
হিলির আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে
১ বছর আগে
হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও কমছে না পেঁয়াজের দাম। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণের দাম। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার এমনই থাকবে। ঈদে দাম বাড়ার কারণ দেখছেন না তারা। গত রবিবারের পর থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত বন্দরের মোকামে পাইকারীতে প্রতি কেজিতে ৬-৭ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকায়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতীয় ৫৪টি ট্রাকে প্রায় হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রথম পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সফল তড়িৎ বিশ্বাস
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, ভারতের নাসিকসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আগের চেয়ে বেশি আমদানি করা হচ্ছে। গত ৫-৬ দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ২৪-২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু গত ৩-৪ দিন থেকে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং বৃষ্টি হওয়ায় দাম একটু বাড়তির দিকে। ফলে গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার বন্দরের মোকামে প্রকার ভেদে পাইকারী বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৪ টাকায়।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও নাজমুল হোসেন জানান, দ্বিতীয় ধাপে করোনা বেড়ে যাওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। একারণে সময় কম হওয়ায় চাহিদা মত পেঁয়াজের ট্রাক ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা কম হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদা বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় দাম বেড়ে যাচ্ছে।
তারা আরও জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকালের দিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলে চাহিদা মত পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা যেত। তাতে আসন্ন কোরবানির ঈদে বাজারে পর্যাপ্ত ভারতীয় পেঁয়াজের যোগান দেয়া যাবে। ভোক্তারা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবে। তাহলে ঈদে দাম বাড়বে না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
বন্দরে পাইকারী পেঁয়াজ কিনতে আসা ঢাকার কারওয়ান বাজারের আব্দুল লতিফ জানান, আমরা এখান থেকে পেঁয়াজ পাইকারী দরে কিনে ঢাকার বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করে থাকি। ৪-৫দিন আগে ২৬-২৭ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ শুক্রবার মোকামে সেই পেঁয়াজ কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। জানি না কোরবানির ঈদে আরও কত বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়?
এদিকে বন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ২৫টি ট্রাকে ৬২৬ মেট্রিক টন, গত বুধবার ১৬টি ট্রাকে ৪১৮ মেট্রিক টন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শনিবার শুরু
সাড়ে ৩ মাস পর ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হচ্ছে পেঁয়াজের আমদানি।
৩ বছর আগে
পেঁয়াজ আমদানি সত্ত্বেও শান্ত হয়নি ঢাকার বাজার
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আমদানি করা হলেও ঢাকার বাজারগুলোতে এখনও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
৪ বছর আগে
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার বোঝা ক্রেতার ঘাড়ে
পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ২৫-৩৫ টাকা কমলেও, খুচরা পর্যায়ে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
৪ বছর আগে
পেঁয়াজ আমদানির ৫ শতাংশ শুল্ক তুলে নিয়েছে সরকার
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে আরোপিত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার।
৪ বছর আগে