আইন-আদালত
তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তাদের পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমান তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং আইনের দৃষ্টিতে তিনি পলাতক আসামি। পলাতক থাকাবস্থায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলা পরিচালনা করতে পারবে না। এদিকে সম্প্রতি আপিল বিভাগ এক রায়ে জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন
এ কারণে হাইকোর্ট দুই পলাতক আসামির রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তা খারিজ করেছেন। তাদের মামলার ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার (ভেকেট) করেছেন। এ মামলার নথি ১০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে পাঠাতে বলেছেন এবং আদালতকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বলেছেন।
এর আগে, গত ১৯ জুন এই সংক্রান্ত পৃথক তিনটি রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুলের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য রবিবার (২৬ জুন) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আজ এ রায় আসলো।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় করা মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। একই বছর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য
তারেক রহমানের করা দুটি রিটে জরুরি ক্ষমতা আইন ও এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। তাদের পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০০৭ সালের নভেম্বরে রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
২ বছর আগে
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: চেম্বার কোর্টের আদেশ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বসার বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারকের আদেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে জায়েদ খানের করা আদালত অবমাননার অভিযোগের ওপর আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত অবমাননার আবেদনটি চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড অভার) রাখা হয়েছে।
আদালত বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে কেউ চাইলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করতে পারেন।
জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম ও নাহিদ সুলতানা যুথী। নিপুণ আক্তারের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
আদেশের পর জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম দাবি করেন, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি: নিপুণ-জায়েদের বিষয়ে শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি
এদিকে নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, নিপুণ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে আছেন। তিনিই বসবেন।
অভিনেতা জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা এবং অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করাকে 'অবৈধ' বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় গত ৬ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। একই সঙ্গে জায়েদ ও নিপুণকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
এছাড়া নিপুণকে লিভ টু আপিল করতে বলে ৪ এপ্রিল শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নিপুণের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন। পরে গত ৮ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশের পরেও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসায় নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান।
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে, তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ আক্তার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বিষয়টি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে আসছেন জায়েদ খান।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি: নিপুণ-জায়েদের দ্বন্দ্ব হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ
পরে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ আক্তারের নেতৃত্বে নতুন কমিটির একাংশ শপথগ্রহণ করে। পরে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে নিজ নিজ পদের চেয়ারে বসেন তারা। পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খান হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জায়েদ খানই এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন বলে জানানো হয়।
২ বছর আগে
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা চলবে
রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ছয় সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এই আদেশের ফলে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। পরীমণির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। এর আগে গত ১ মার্চ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মাদক মামলার কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। রুলে এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়।
আরও পড়ুন: পরীমণির মামলায় নাসির-অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৯ এপ্রিল
গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন-পরীমণির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার।
পরে পরীমণি গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে ১ শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১ মার্চ মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করেন। ওই একই দিন বিচারিক আদালতে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত পরীমণির অন্তর্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরীমণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে করা মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তাঁর গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।
২ বছর আগে
সাহিনুদ্দিন হত্যা : সাবেক এমপি আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
রাজধানীর পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলের সামনে বাবা ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি জানান। ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
অভিযোগ পত্রে অপর আসামিরা হলেন-সুমন বেপারী, মোহাম্মদ তাহের, মো. গোলাম কিবরিয়া খান, মোহাম্মদ মুরাদ, টিটু শেখ ওরফে টিটু, মোহাম্মদ রকি তালুকদার, নূর মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, ইকবাল হোসেন, মো. তরিকুল ইসলাম ইমন, তুহিন মিয়া, মো. হারুনুর রশিদ, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ও ইব্রাহিম সুমন।
এদের মধ্যে শফিক ও ইব্রাহিম পলাতক। আওয়ালসহ ১৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে।
হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় ১৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া আরও দুই অভিযুক্ত মনির ও মানিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
আরও পড়ুন: বন্দি নির্যাতন: চট্টগ্রামে জেল সুপারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
গত বছর ১৬ মে পল্লবীতে ছয় বছরের ছেলে মাশরাফির সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিকাল সাড়ে চারটায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। সাহিনুদ্দিন পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে সিরামিক রোডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২ বছর আগে
দুই মামলায় প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ফরিদপুরের প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার আসামির উপস্থিতিতে ট্রাইবুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
জানা গেছে, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, অর্থআত্মসাৎ, প্রতারণা ও সাইবার অপরাধে দেশের বিভিন্ন জেলায় অর্ধ ডজনের বেশি মামলার আসামি সিকদার লিটন। ফরিদপুর, খুলনা, পাবনা ও ঢাকার আদালতে মামলাগুলোর বিচার চলছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন তিনি। তবে প্রতারণা বন্ধ ছিল না। ছদ্মবেশে নানাভাবে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্থআত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। পরে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে যে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তার দুটোই ফেসবুকে এসে অশালীন মন্তব্য ও কুৎসা রচনার অভিযোগে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুফিয়া বেগম রোজীকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় মামলা করা হয় লিটনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
২০২০ সালের ২৫ আগস্ট সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
অপর মামলাটি দৈনিক ঢাকা টাইমস সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুৎসা রটনা, মিথ্যাচার ও ভাবমূর্তি নষ্টের অপরাধে করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আকিবুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দুটো মামলাতেই বিচার শুরু হলো সিকদার লিটনের। আগামী ৯ জুন থেকে বিচার শুরু হবে। প্রথম দিনই মামলার স্বাক্ষ্য নেয়া হবে।
২ বছর আগে
কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য কাম্য নয়: হাইকোর্ট
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন (স্টেটমেন্ট) বক্তব্য কাম্য নয়। ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য আসলে পরবর্তীতে সত্য ঘটনা উদঘাটন হলেও সাধারণ মানুষ নানা রকম ধারণা পোষণ করে।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
রিটকারী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে রিট
তিনি আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড কক্সবাজারের ঘটয়ায় পুলিশ ও র্যাবের বক্তব্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বিভিন্ন মিডিয়া তাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য এসেছে। তাই এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চাচ্ছি।’
এই সময় হাইকোর্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন (স্টেটমেন্ট) বক্তব্য কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন
মিডিয়া তথ্য খুঁজবেই তাই মিডিয়াকে দোষ দিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেন, ‘গ্রেপ্তার-মামলা কিংবা তদন্তের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি এজেন্সি আরেকটি এজেন্সিকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে তদন্ত চলাকালে তদন্ত কর্মকর্তাদের কথা কম বলাই ভালো।’
আদালত মঙ্গলবার কোন আদেশ না দিয়ে রিটটি স্যান্ডওভার রেখে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এটা বলতে বলেন, ‘তারা যেন ভিন্ন ভিন্ন (স্টেটমেন্ট) বক্তব্য না দেয়।’
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবদুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল ও আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নিলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও দেলোয়ার হোসেন।
কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল সোমবারা হাইকোর্টে রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারসহ ৬ জনকে বিবাদী করা রিটে ধর্ষণের অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপের নির্দেশনার পাশাপাশি রুল চাওয়া হয়।
গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে তার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে একটি আবাসিক হোটেলে দলবেধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন ওই নারীর স্বামী চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও তিন জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন।
পরে ওই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও র্যাব ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেয়।
২ বছর আগে
২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে থাকবে জাপানের দুই শিশু
জাপান থেকে আসা দুই শিশু ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের মা জাপানের নাগরিক এরিকো নাকানোর সঙ্গে থাকবে। শিশুদের বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবার এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর দুই শিশু ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মা ডা. এরিকো নাকানোর কাছে থাকবে বলে আপিল বিভাগ আদেশ দেন। তবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা ইমরান শরীফ এই সময়ে স্বাধীনভাবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সেদিন আদালত ৩ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি সোমবার শুনানির জন্য ওঠে। আজ দুই শিশুকে নিয়ে মা এরিকো আপিল বিভাগে আসেন।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে আগামী ২ দিন জাপানি মায়ের জিম্মায় দিতে নির্দেশ
আদালতে বাবার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
মায়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করীমও তার সঙ্গে অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
আহসানুল করীম জানান, হাইকোর্টের রায় এখনও পাওয়া যায়নি। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে এই সময়ের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন। আর আগের আদেশ কনটিনিউ করেছেন। তাই ওই সময় পর্যন্ত শিশুরা মায়ের কাছে থাকবে। দুই শিশু নিয়ে এরিকো এখন বারিধারার একটি হোটেলে থাকেন।
২০০৮ সালের ১১ জুলাই এরিকো ও ইমরানের বিয়ে হয়, তাদের তিন মেয়ে। গত বছর ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাপানি দুই শিশু থাকবে বাবার হেফাজতে: হাইকোর্ট
পরে ছোট মেয়েকে তার নানির কাছে রেখে গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এরিকো। ইমরানের কাছ থেকে ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই মেয়েশিশুকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ১৯ আগস্ট রিট করেন তিনি। পরে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে আরেকটি রিট করেন ইমরান।
২ বছর আগে
কুরআন অবমাননা: ইকবালসহ ৪ জন আরও ৫ দিনের রিমান্ডে
কুমিল্লা নানুয়া দিঘীর পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালসহ চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননা: সন্দেহভাজন ইকবাল ৭ দিনের রিমান্ডে
রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জানান, অভিযুক্ত ইকবালসহ চার আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তারা মুখ খুলতে শুরু করেছে। শুক্রবার আগের সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের নতুন রিমান্ড আবেদন করা হয়।
প্রধান অভিযুক্ত ইকবালসহ কোরআর অবমাননা মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, মণ্ডপে কোরআন পাওয়ার তথ্য ৯৯৯-এ কল করে জানানো ইকরাম হোসেন এবং নগরীর শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)-এর মাজারের সহকারী খাদেম হুমায়ুন আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আনা হয়েছে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় কুমিল্লা নগরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১০ জানুয়ারি
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সম্রাট অসুস্থ থাকায় কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত না করে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর আদালত তার উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
কাস্টডি ওয়ারেন্টে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ উল্লেখ করেন, আজ সম্রাটকে আদালতে হাজির করার দিন ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতা সম্রাট আটক
সম্রাট ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভর্তি রয়েছেন। তাই তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে কারাগার থেকে ২৫ অক্টোবর আদালতে হাজির করার (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার’ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৩ বছর আগে
অস্ত্র মামলায় নড়াইলে একজনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে অস্ত্র মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামি উপস্থিতিতে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, জাকির তালুকদার বা লিয়াকত হোসেন (৪৮) নড়াগাতী থানার কলাবাড়িয়া গ্রামের সামছুল হক শ্যাম তালুকদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১২ আগস্ট নড়াইলের নড়াগাতী থানার কান্দুরী শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে দেশি তৈরি ওয়ানশুটারগান ও পাঁচ রাউন্ড শটগানের গুলিসহ জাকির তালুকদারকে আটক করে র্যাব-৬ এর একটি দল। এ ঘটনায় নড়াগাতী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সাক্ষীদের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে জাকির তালুকদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মাকে খুনের দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এছাড়া জব্দকৃত আলামত রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করে জেলা পুলিশ লাইন্সের অস্ত্রাগারে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
৩ বছর আগে