ডা. শফিকুর রহমান
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন ও দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বেগম জিয়ার জন্য তিনি দোয়া করেন।
ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির লেখেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে রহম করুন, ক্ষমা করুন এবং তার প্রিয় জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।
তিনি আরও লেখেন, তার আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীদের মহান আল্লাহ সবরে জামিল দান করুন। আমিন।
রাজনীতিতে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে পরিচিত খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থতায় ভোগা দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রয়াণে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত আমিরের মনোনয়নপত্র জমা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জামায়াত আমিরের পক্ষে তিন সদস্যের একটি দল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অবস্থিত ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলীর হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা হলেও এবার ঢাকা-১৫ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ডা. শফিকুর রহমান।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় আজ (সোমবার) বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
১১ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এরপর গত ১৮ ডিসেম্বর তফসিল-সংক্রান্ত সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। সেখানে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় দুদিন কমিয়ে আপিল নিষ্পত্তির সময় দুদিন বাড়ানো হয়।
সংশোধিত তফসিলের নির্বাচন সময়সূচি অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে, আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
১ দিন আগে
দেশের চিকিৎসায়ই ভরসা রেখেছেন জামায়াতের আমির: ডা. তাহের
দেশের চিকিৎসায় ভরসা রেখে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশেই চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জামায়াত আমির হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরা উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
‘আমাদের কাছে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে অনেক অনুরোধ ছিল। আমিরের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশের চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আল্লাহর ওপর ভরসা করে আমরা বাংলাদেশেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’ তিনি জানান।
ডা. শফিকুর রহমান নির্দিষ্ট দলের ভিতরে সীমাবদ্ধ ব্যক্তি নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাকে পুরো জাতি শ্রদ্ধা করে। জাতি তাকে আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্বে অপরিহার্য বলে মনে করে।’
তিনি জানান, জামায়াত আমির সফল অপারেশনের ১০ দিন পর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফিরছেন। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে বাংলাদেশেই অপারেশন করাবেন।
ডা. তাহের আরও বলেন, ‘জামায়াতের আমির দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবেন, এরপর তিন সপ্তাহ পর জনসমক্ষে সক্রিয় হবেন। ডা. শফিকুর রহমান আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন এখন, দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
তিনি আরও জানান, দুই সপ্তাহ রেস্ট নেবেন। তিন সপ্তাহের পর স্বাভাবিক কাজে একটিভ হতে পারবেন।
মেডিকেল টিমের অন্যতম সদস্য ডা. শহীদ বলেন, ‘চিকিৎসার পরে তার শরীরের দ্রুত উন্নতি হয়েছে। আমরা তার সার্জারি পরবর্তী অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। দুই সপ্তাহ পর পুনরায় পরীক্ষা হবে।’
অপারেশনের পর ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেছিলেন, ‘তিনটি বাইপাস করার কথা ছিল, আমরা চারটি বাইপাস করেছি যেন কোনো দিক থেকেই সমস্যা না হয়। কোনো জটিলতা ছাড়াই সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।’
গত ২ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন।
১৪০ দিন আগে
জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির পর বর্তমানে সেরে উঠছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেল জামায়াত আমিরের খোঁজখবর নিতে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
বিএনপি নেতারা সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
পড়ুন: এনসিপি: ‘মেরুদণ্ডহীন’ ইসি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট
হাসপাতাল পরিদর্শনের পর এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে এসেছি।”
সৌজন্য স্বরূপ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পাঠানো ফুলের তোড়া জামায়াতের সহকারী মহাসচিব এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং আমিরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।
গত শনিবার ইউনাইটেড হাসপাতালে ড. শফিকুর রহমানের সফল করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়।
১৪৯ দিন আগে
দেশ যেভাবে চলছে জনগণ সন্তুষ্ট নয়, ক্ষুব্ধ: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ যেভাবে চলছে জনগণ তাতে সন্তুষ্ট নয়, ক্ষুব্ধ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকালে রংপুরের মমিনপুরে ঢাকায় জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে মৃত্যুবরণ করা শাহ আলমের কবর জিয়ারত করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর বলেন, ‘একটি দুর্নীতিমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গঠন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করবে না, করতেও দেবে না। আমরা ঘুষ খাবো না কাউকে ঘুষ খেতেও দেব না।’
তিনি বলেন, আমাদের লড়াই শ্রমিকের জন্য, কৃষকের জন্য, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য।
রংপুরের সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় মমিনপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি তো সেদিন চলেই গিয়েছিলাম। কিছু সময়ের জন্য, জানি না কোথায় ছিলাম। আপনাদের চোখের পানি, আল্লাহ তায়ালার রহমত, তিনি ফেরত দিয়েছেন। দিনের পথে লড়তে চাই জীবনের শেষ শ্বাস পর্যন্ত। আর বিদায় নিতে চাই শহীদ হয়ে। রক্তাক্ত চাদর গায়ে দিয়ে আল্লাহর দরবারে দাঁড়াতে চাই। আল্লাহ যখন জিজ্ঞেস করবেন তোর গায়ে রক্তের চাদর কেন? সেদিন যেন বলতে পারি আল্লাহ তোমার চাইতে আমার জন্য কি আর বড় সাক্ষী কেউ আছে? তুমি তো আমার সবচেয়ে বড় সাক্ষী। বলতে চাই, ইয়া মাবুদ বাংলাদেশকে তুমি কোরআনের শাসন দাও।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা অনেক শাসন দেখেছি। এগুলো শাসন ছিল না, ছিল শোষণ। আমরা সৎ শাসক চাই, কোরআনের শাসন চাই।
জামায়াতপ্রধান বলেন, মাওলানা আবু সাঈদ ইসলামী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন। চব্বিশের আন্দোলনে আমাদের সন্তান আরেক আবু সাঈদ শহীদ হয়েছে। তোমার দ্বীন কায়েমের জন্য আর যতো আবু সাঈদকে প্রয়োজন তুমি কবুল করে নাও।
পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনাকে ঘিরে ‘আ. লীগের ষড়যন্ত্রকারীদের’ প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি জামায়াতের
তিনি বলেন, জালিম শাসকের আমলে আমাদের দুইজন আমিরসহ সারাদেশে যারা শহীদ হয়েছেন সবাইকে তুমি কবুল করো।
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে বলেন, গতকাল সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ইন্তেকাল করেছেন। চিকিৎসকরা বলছেন আরও ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যারা হাসপাতালে আছেন আল্লাহ তাদের সুস্থ করে তুলুন। তাদেরকে আপনজনের বুকে ফিরিয়ে দিন।
পথসভায় দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও রংপুর মহনগরী আমির মাওলানা এটিএম আযম খাঁন প্রমুখ।
১৬১ দিন আগে
হাসপাতালে নেয়া হয়েছে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানকে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দলটির প্রেস উইং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রেস উইং ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে। বলেছে, তার পেশার, সুগার লেভেল ঠিক আছে। তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
এর আগে বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুদফায় অসুস্থ হয়ে পড়লেও তিনি মঞ্চে বসেই বক্তব্য শেষ করেন।
সাত দফা দাবিতে শনিবার (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বক্তব্য শুরুর প্রায় সাড়ে সাত মিনিট পর তিনি পড়ে যান। পরে তিনি বসে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
পড়ুন: মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন ডা. শফিক
তবে মঞ্চে থাকা চিকিৎসকরা তাকে বক্তব্য না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করব ইনশাল্লাহ। বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জন হওয়া পর্যন্ত আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি শহীদ আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সমাশাহ আলম নামে এক কর্মীর ম
সমাবেশে বক্তব্য দেন শহীদ পরিবারের সদস্য, ২৪’র জুলাই যোদ্ধা, দলের নির্বাহী পরিষদের সদস্য, নায়েবে আমির, সেক্রেটারি, সহকারী সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম শহীদ আবরারের পিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
১৬৪ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আদায় করে ছাড়ব: রংপুরে ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কারগুলো আদায় করে ছাড়ব। সুষ্ঠু নির্বাচনও ইনশাআল্লাহ আদায় করে ছাড়ব।’
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনসহ ৪ দফা দাবিতে রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না।ভোটকেন্দ্রে কোনো মাস্তানতন্ত্র চলতে দেওয়া হবে না, কালো টাকার কোনো খেলা সহ্য করা হবে না।’ মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মব কালচার চলছে। কিন্তু এসব সহিংসতায় জামায়াতের কোনো কর্মী জড়িত নয়। ১৯৭২ সাল থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে। জামায়াত সবসময় মব রাজনীতির বিরুদ্ধে।’
পড়ুন: মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সেই পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা মৌলিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনা, এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বহু ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা শুনতে পাচ্ছি, বহু ধরনের কথা ময়দানে শুনতে পাচ্ছি। বহু ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আলামত বুঝতে পারছি। আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেই- এই শেখ হাসিনা, তার হাতে সকল বাহিনী ছিল। দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল, জায়গায় জায়গায় নিজের লোক বসিয়েছিল। মান্তানদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল। কিন্তু যখন জনগণের জাগরণ, জনগণের বিস্ফোরণ হয়েছে, তখন তাকে কেউ রক্ষা করতে পারেনি।
জামায়াতপ্রধান বলেন, যেই জনগণ এতো মূল্য দিয়ে একটা পরিবর্তন এনেছে, সেই জনগণ আরেকটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেবে না ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি ফ্যাসিবাদবিরোধী এই লড়াই ততদিন চলবে, যতদিন দেশে ফ্যাসিবাদের সামান্য চিহ্নও থাকবে। ফ্যাসিবাদেকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই কেউ থামাতে পারবে না।
পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
জনসভার প্রধান বক্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি আজ মুক্তভাবে কথা বলতে পারছি। কিছুদিন আগেও আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবে, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানত না। আজকে আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লাখো জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পরানো হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হয়ে ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। তবে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
জনসভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শহিদ আবু সাঈদের বাবা ও বড়ভাই রমজান আলীসহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগরের আমির এটিএম আজম খান।
জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম।
১৭৯ দিন আগে
দেশের স্বার্থ যেখানে বিঘ্নিত হবে, সেখানে ‘নো’: জামায়াত আমির
দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুতে জামায়াতে ইসলামী রাজি হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মানবিক করিডোর হোক আর সমুদ্র বন্দর হোক; দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুতে আমরা হ্যাঁ বলব না। দেশের স্বার্থ যেখানে বিঘ্নিত হবে, সেখানে নো।’
রবিবার (২৫ মে) মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
করিডরের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি এটা করতে হয় তাহলে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে পার্লামেন্টে বসে করতে হবে। আর এখন করিডোরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে, সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে বলেছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে, যেটা ইতিহাস সৃষ্টি করবে। মানুষ হাসি মুখে ভোট দেবে। কেউ বলতে পারবে না যে, তার ভোট আরেকজন দিয়ে গেছে।
দায়িত্বশীল সম্মেলনে জামায়াত আমির বলেন, স্বৈরাচার সকল ছিদ্র বন্ধ করলেও তার পতনের ছিদ্র বন্ধ করতে পারে না। তারা সাড়ে ১৫ বছর অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে, গুম করেছে, পঙ্গু করেছে, আয়নাঘরে বন্দি করেছে, সম্পদ লুণ্ঠন করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে রাজকীয় অট্টালিকা গড়ে তুলেছে, বেগম পাড়া বানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের
কুলাউড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সম্মেলনের আয়োজন করে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াত।
তিনি আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এমন একটি সময় ছিল তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করত না। মানুষের সঙ্গে পশুর মত আচরণ করে আজ তারা বিদেশে পালিয়ে গেছে। দুঃখের বিষয় যাবার আগে তারা তাদের নেতাকর্মীদের কিছু না বলে নিজেদের জান নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ শান্তিতে কাউকে বসবাস করতে দেয়নি। তারা জুলুমের সীমা অতিক্রম করেছিল। তা সত্ত্বেও তারা জালিমের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদে তারা সোচ্ছার ছিল বলে উল্লেখ করেন জামায়াত আমির।
তিনি বলেন, আমরা গরু-ছাগল চোরদের ঘৃণা করি। কিন্তু যারা কলমের খোঁচায় রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে, তাদের বেলায় আমরা নীরব থাকি। তা মোটেও কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা পেশা ও ধর্ম দেখে মানুষকে মূল্যায়ন করবো না। শত নির্যাতন সত্ত্বেও আমাদের কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, মৌলভীবাজার-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রব প্রমুখ।
২১৯ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াত দেশে কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়ালা ভয় ও জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে। দুনিয়ার কোনো পরাশক্তির কাছে মাথানত করা হবে না। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে নতুন প্রজন্মকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।’
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাফরুলের তালতলা হালিম ফাউন্ডেশন স্কুল মাঠে কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত সহযোগি সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দেশে হযরত ওমরের (রা.) মতো সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এ কাজ করতে গেলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, মত-পথ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এজন্য সকলকে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে আওয়ামী স্টাইলে কোনো নির্বাচন হবে না: রফিকুল ইসলাম খান
তিনি বলেন, যুব সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, বিশ্বের যত বড় বড় অর্জন সবই এসেছে যুব সমাজের হাত ধরেই। তাই দেশ ও জাতির এমন ক্রান্তিকালে দেশের নতুন প্রজন্মকেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
জামায়াতপ্রধান বলেন, মোমিন জীবনের প্রকৃত সাফল্যই হচ্ছে শাহাদাত। মূলত, নবুয়াতের দরজা বন্ধ হলেও এখনো শাহাদাতের দরজা বন্ধ হয়নি। আর শাহাদাতের মৃত্যুই হচ্ছে সবচেয়ে সম্মান ও মর্যাদার। তাই মরতে যখন হবেই তখন আমাদের সকলের শাহাদাতের মৃত্যুই কাম্য।
তিনি নিজের জন্য শাহাদাতরে তামান্নার কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যদি একজনেরও শাহাদাতের প্রয়োজন হয়, তাহলে সে শাহাদাত যেন আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্যই নসীব করেন। তিনি সকলকে শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
থানা আমির উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু নাহিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
২২৭ দিন আগে
জামায়াত নির্বাচনমুখী দল, আর্ত-মানবতার মুক্তি চায়: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তার দল শুধুমাত্র ভোট বা নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল নয়, বরং আর্ত-মানবতার মুক্তি ও সমাজের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিবর্তন করতে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।’
শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত থানা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন করতে চায়। আমরা এমনভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ঢেলে সাজাতে চাই—যাতে রাষ্ট্রই সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে।
তিনি বলেন, জামায়াত এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় যেখানে মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য বা ভেদাভেদ থাকবে না। কিন্তু অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা একাজ করেনি বরং তারা আত্মস্বার্থ, ব্যক্তিস্বার্থ, শ্রেণি স্বার্থ, গোষ্ঠী স্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ রক্ষাসহ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করেছে। তাই জামায়াতকে সবসময় স্রোতের বিপরীতে কাজ করতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জামায়াতপ্রধান বলেন, আমরা নানাভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আর ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন নতুন কিছু নয় বরং নবী-রাসূলগণও তা থেকে রেহাই পাননি। অবিশ্বাসীদের জুলুম- নির্যাতনের মুখেই আল্লাহ তা’য়ালা হযরত ঈসাকে (আ.) দুনিয়া থেকে নিজের কাছে ওঠে নিয়েছেন। তাই যেকোনো জুলুম- নির্যাতনে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে হতোদ্যম হলে চলবে না, বরং সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পথচলা অতীতে নির্বিঘ্ন ছিল না— এখনো নয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তদানীন্তন জালিম সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তারা সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমাদের অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। মামলা, হামলা, গণগ্রেপ্তার, রিমান্ড, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুপ্তহত্যা ছিল আমাদের নিত্যসঙ্গী। এমনকি জুডিসিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে আমাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো জীবিত আছেন। বিপ্লব পরবর্তী অনেক সময় পার হয়ে গেছে। আগামী ২৭ তারিখ তার মামলার রায় রয়েছে। তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য সকলকে আল্লাহর তায়ালার সিজদাবনত হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশে সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ
জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করে না, বরং আমরা ময়দানে জানমালের কোরবানির মাধ্যমে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রচলিত সকল প্রকার অনিয়মের ইতিবাচক পরিবর্তন করতে চাই। এ কাজ করতে গিয়েই আমাদের অনেক ভাই শাহাদাতকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন। স্বজন হারিয়েছেন অনেকেই। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে— আমরা মজলুম হলেও জালেম হবো না। দ্বীন প্রতিষ্ঠাকে জীবনের উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। আর অনুষ্ঠানের শুরুতে দারস পেশ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও , ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দিন, মু. আতাউর রহমান সরকার, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন ও ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি প্রমুখ।
২২৮ দিন আগে