ডা. শফিকুর রহমান
ইতেকাফে বসেছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফে বসেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (২২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির প্রচার বিভাগের একটি সূত্র।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ (আরবী শাওয়াল মাসের চাঁদ) দেখা পর্যন্ত তিনি ইতিকাফে থাকবেন। রোযা ২৯টি হলে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আর রোযা ৩০টি হলে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ইতিকাফে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির
সাধারণত মুসলিমরা পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি অধিকতর আত্মশুদ্ধির জন্য ইতেকাফে বসে থাকেন। এসময়টিতে ইতেকাফে থাকা ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য সকল কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ইবাদাত ও জিকির আযকারে মশগুল থাকেন।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী পবিত্র রমজান মাসের ২০ তারিখ থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত সময়কে ধরা হয়।
১ দিন আগে
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবাণীতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এজন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া।’
‘এ সময় দেশেকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভেতরে এবং বাইরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহিদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত ও পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।’
এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচার দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
২ দিন আগে
সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির
দেশে শিক্ষা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষার কোনো নৈতিক মান নেই। যার কারণে আমরা বিশ্বের কোথাও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি না। বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো র্যাংঙ্ক নেই বললেই চলে। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ হতে শেখায়, মানুষকে সম্মান দিতে শেখায়—সেই শিক্ষা না থাকায় সমাজে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আদালত অঙ্গনে আমি বহুবার এসেছি, মুক্ত মানুষ হিসেবে নয়—বন্দী হিসেবে। আজ মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে বহু পেশা আছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, সাংবাদিক কিন্তু কারো নামের আগে বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয় না—শুধু আইনজীবীদের নামের পূর্বেই বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয়। বার ও বেঞ্চ নিয়েই বিচার কার্যক্রম। আইনজীবীরা বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আইজীবীদেরকে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড (রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত) না হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে।
জামায়াত আমির বলেন, মানবজীবনের জন্য দুটো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক দিক রয়েছে। একটি আদালত আরেকটি চিকিৎসা। এ দুটো জায়গা ঠিক হয়ে গেলে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে—অর্থাৎ সমাজ ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের দেশে এই দুটোই করুণ অবস্থায়। বলতে গেলে ন্যায়বিচার আজ নির্বাসনে। আর স্বাস্থ্যখাতে চলছে চরম অনিয়ম।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে ব্রিটিশ ল’কে মাদার ‘ল’ বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত মাদার ‘ল’ হচ্ছে কোরআনের আইন। ইসলামের আইনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আজ পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয়নি। অনেক আইন আছে—যা এসেছে কোরআন থেকে। যার কারণে বিদ্যমান অনেক আইন কোরআনের সঙ্গে খুব বেশি সাংঘর্ষিক নয়। কোরআনের আইনের ভিত্তিতে এক মানবিক সমাজ গঠনে সকলকে আন্তরিক হতে হবে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নিহত মন্টুর ১৮ মাসের শিশুর দায়িত্ব নিলেন জামায়াত আমির
তিনি বলেন, আইনজীবীরা বিচারকার্যে বিচারকদের সহায়তা করে থাকেন। এমন এক দিন আসবে যেই দিনটিকে শেষ বিচারের দিন বলা হয়। সেইদিন কেউ কাউকে সহায়তা করতে পারবে না। সেই দিন বাদী, আসামি, আইনজীবী, সাক্ষী, বিচারক সকলকে এক কাতারে থাকতে হবে। সেইদিন বিচারকের আসনে থাকবেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।
অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং অ্যাডভোকেট মশিউল আলম প্রমুখ।
৪ দিন আগে
জুলাই বিপ্লবের খুনিদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে প্রতিশ্রুত ৩০ লাখ টাকা ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের খুনিদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অন্যায় বিচার চাই না, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
সোমবার(১৭ মার্চ) বেলা ১২টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এক পথসভায় জামায়াত আমির এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নিহত মন্টুর ১৮ মাসের শিশুর দায়িত্ব নিলেন জামায়াত আমির
তিনি বলেন, কোরআন বাংলাদেশের সংবিধান হলে এবং ইসলামী দলগুলো দেশের সেবা করতে পারলে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে।
৬ দিন আগে
আগে স্থানীয়, সংস্কার শেষে পরে জাতীয় নির্বাচন: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর উপযুক্ত সংস্কার নিশ্চিত করার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার সড়কে চাঁদপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করার পরই আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত, যাতে কারও ভোট নষ্ট না হয় এবং প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকে।’
আরও পড়ুন: বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কবর দিন: জামায়াত আমির
এ সময় নির্বাচনকে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি করেন, তাদের বলছি— আল্লাহ ভিক্ষাকে হালাল করেছেন, কিন্তু চাঁদাবাজিকে হারাম করেছেন। তাই চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করাও উত্তম। অথবা আপনারা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা চান, আমরা আপনাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত, কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে চাঁদাবাজি করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যারা বিভিন্ন গাড়ীতে চাঁদাবাজি করেন, এ চাঁদাবাজির টাকা ১৮ কোটি মানুষের পকেট থেকে যায়। ভিক্ষুকের পকেট থেকেও যায়। সুতরাং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নইলে আবারও ৫ আগস্ট আসবে, আপনাদের দশাও তাদের মতো হবে।’
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মাসুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।
আরও বক্তব্য দেন জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মুহাদ্দিস আবু নসর আশরাফী, শহর জামাতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৫৩ বছরের হওয়া সব খুনের বিচার হতে হবে: জামায়াত আমির
এদিন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার সূচনা করেন সদর উপজেলা আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী। পথসভায় দলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাসহ হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
২৯ দিন আগে
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চান জামায়াত আমির ও চরমোনাই পীর
দেশের ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রশ্নে জনসাধারণের কাছে দোয়া চেয়েছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ইসলামি দলগুলো ভোটকেন্দ্রে একটি বাক্স পাঠাতে চায় বলে জানিয়েছেন দুই দলনেতা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদ্রাসা ও পীরের দরবার পরিদর্শনে যান জামায়াত আমির। এ সময় চরমোনাই মাদ্রাসায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর ও পীর রেজাউল করীম।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা মূলত ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্য দেখতে চাই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। তাই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ জন নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাকি যারা আছে ৯ ভাগ, তারাও এই দেশের মানুষ। তারা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী; এছাড়া কিছু নাস্তিকও থাকতে পারে। সবমিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ৫৪ বছর হয়েছে, কিন্তু স্বাধীন দেশের মর্যাদা পাইনি। এটার মূল কারণ হলো দুর্নীতি ও দুঃশাসন। যেখানে আল্লাহর বিধান থাকবে না, সেখানে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আসবেই। নামাজের বিধান মানলে সমাজে আল্লাহর বিধানও মানতে হবে। কিছু মানা ও কিছু না মানার কারণে দেশ এমন হয়েছে।’
‘আমাদের মনের আকাঙ্ক্ষা—পুরাটা মানতে চাই। এজন্য আমরা দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। দেশের জনগণের মনে আকাঙ্ক্ষা—একবার এই দেশে ইসলাম কায়েম হোক। কারণ মানবরচিত মতবাদ দেশবাসী দেখেছে।’
এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমাদের মিলন মেলা আল্লাহর জন্য। এই মিলন রাজনীতির মাঠেও থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। জনগণের প্রত্যাশা—নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইসলামি দলগুলোর যেন একটা বাক্স থাকে।’
এ সময় চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স কেন্দ্রে পাঠানোর প্রচেষ্টা আগেও ছিল, এখনও চলছে। বিভিন্ন কৌশলে গত ৫৩ বছর ইসলামি দলগুলোকে দূরে রাখা হয়েছে।’
‘৫ আগস্ট নতুন স্বাধীনতার মাধ্যমে ইসলামের পক্ষে একটি ভালো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রের যদি আমরা সময় উপযোগী বিচার না করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য তা অকল্যাণকর।’
আরও পড়ুন: ৭ ইসলামি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
এ সময় সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান এই দুই নেতা।
এদিন চরমোনাইয়ের প্রথম পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাকের কবর জিয়ারত করেন জামায়াত আমির। এরপর মধাহ্নভোজ শেষে ডা. শফিকুর বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দলটির কর্মীসভায় যোগ দেন।
৬১ দিন আগে
চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবে: জামায়াতের আমির
সারা দেশে চাঁদাবাজি ও দখলদারির ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা এসব করছেন, বিনয়ের সঙ্গে বলি, এগুলো বন্ধ করেন। তবে যদি আমাদের এই অনুরোধ কেউ না মানে, তাহলে বলব—আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আমাদের সন্তানেরা স্লোগান দিচ্ছে—আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। যুদ্ধ চলবে। চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে (ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দান) জেলা ও মহানগর জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির বলেন, ‘এই দেশ অনেকে শাসন করেছেন। আমাদের সন্তানেরা এত এত রক্ত কেন দিল? কারণ তারা চেয়েছে, এই সমাজ থেকে সব ধরনের দুঃশাসন ও দুর্নীতির কবর রচিত হোক।’
তিনি বলেন, রাজশাহী, যেটাকে শিক্ষার ভিলেজ, শিক্ষার গ্রাম বলা হয়, আমি আশা করি ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) পর এখানে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। এখানকার মানুষ ভদ্র, বিনয়ী ও সৎ।
আরও পড়ুন: আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের: জামায়াত আমির
তবে এ সময় সম্মিলিত কণ্ঠে ‘চাঁদাবাজি হয়’ বলে আওয়াজ তোলেন জামায়াত কর্মীরা।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাহলে আমাদের শহিদদের রক্তের প্রতি এটা কি ভালোবাসা? এই কাজ যারা করেন, বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করি, এই কাজটা ছেড়ে দেন। আমাদের শহিদেরা কষ্ট পাবেন। অফিস-আদালতে ঘুষ বাণিজ্য আছে, আবার মামলা-বাণিজ্যও অনেকে করেন। তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক অনুরোধ— ভাই, এই কাজগুলো করিয়েন না। আমাদের শহিদদের আত্মা বড় কষ্ট পাবে। আমাদের জীবন্ত সন্তানেরা যারা শহীদ হওয়ার নিয়ত করে রাস্তায় নেমেছিল, তারা কষ্ট পাবে। তাদের কষ্ট দেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘যারা রক্ত দিয়ে আজকের এই পরিবেশ দিয়ে গিয়েছে, আমরা তাদের প্রতি ঋণী ও কৃতজ্ঞ। এই ঋণের দায় আমাদের আজীবন শোধ করতে হবে। কতজন আদম সন্তানকে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারবে না। আন্দোলনের শেষ দিনগুলোতে ইন্টারনেট বন্ধ রেখে, সবকিছু অন্ধকারে রেখে অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। স্তূপে স্তূপে লাশ ট্রাকের ওপর ছুড়ে মারা হয়েছে। তারপর পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে লাশগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারব না।’
এমন সাহসী সন্তান থাকলে বাংলাদেশকে নিয়ে আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুরা প্রশ্ন করেছেন, আপনাদের দলের কতজন শহীদ হয়েছে। আমরা বলেছি, যারা শহীদ হয়েছে আমরা তাদের দলের মানুষ। কোনো দলীয় পরিচয়ে আমরা তাদের সংকীর্ণ স্থানে নামাতে চাই না। তারা জাতীয় সম্পদ। তাদের আমরা মাথার ওপরে তুলে রাখতে চাই। এক হাত চলে গেছে, আরেক হাত নিয়ে যুদ্ধ করতে চাই। এমন সাহসী মানুষ থাকলে এই জাতির ওপর কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে না।’
একমাত্র কোরআনের শাসন বাংলাদেশে ইনসাফ কায়েম করতে পারে উল্লেখ করে এই রাজনীতিক বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবে। যুদ্ধ কতক্ষণ? যতক্ষণ না ইনসাফ কায়েম হয়। এই ইনসাফ দিতে পারে একমাত্র আল কোরআন। এই কোরআনের শাসন দিয়ে আমরা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, ন্যায়-ইনসাফের মাধ্যমেই বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা ত্যাগ অনেক করেছি, আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জীবন খুব ছোট, কাজ অনেক বড়; বিশ্রামের কোনো সময় নেই।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘আমরা আল্লাহর শক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি গঠন করতে চাই। সে জাতি হবে সাহসী জাতি, বীরের জাতি। সে জাতি আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথানত করবে না। এটা করেনি বলেই ১৫টি বছর আলেম-ওলামাদের ওপর বিগত সরকার তাণ্ডব চালিয়েছে। জামায়াতের দুজন আমিরসহ ১১ জন দায়িত্বশীল নেতাকে আমাদের বুক থেকে কেড়ে নিয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ যারা করেছে, তাদের গুম করেছে। অসংখ্য ভাইকে খুন করেছে, চাকরি কেড়ে নিয়েছে, ব্যবসা ছিনিয়ে নিয়েছে, কাউকে কাউকে দেশেও থাকতে দেয়নি। মানুষের কল্যাণে কাজ করার কারণে অনেকে জিন্দা শহিদ হয়ে আছে, হাত-পা টুকরা টুকরা। এই কষ্টের জীবন নিয়ে তারা বেঁচে আছেন।’
দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীতে এদিন জামায়াতের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সোয়া ৯টায় কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহীর শহিদ সাকিব আনজুমের বাবা সাইদুল হক।
মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাইদুল হক। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে বিদায় করতে গিয়ে আমার কলিজার টুকরা সাকিব শহিদ হয়েছে। আমি একজন গর্বিত পিতা। আমার সাকিবের মতো হাজারো ছাত্র-জনতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির
সাকিব আনজুম রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৫ আগস্ট রাজশাহী নগরের শাহমখদুম কলেজের কাছে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড. মো. কেরামত আলী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল। এছাড়া বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও রাজশাহী অঞ্চলের নেতারা।
৬৪ দিন আগে
এদেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না: জামায়াত আমীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই দেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না। কিসের মেজরিটি আর কিসেরই-বা মাইনরিটি? বাংলাদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করবেন তারা সবাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই দেশের গর্বিত মর্যাদাবান নাগরিক।
তিনি বলেছেন, এই দেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না ইসলাম ধর্ম কারও ওপর জোর করে চাপানো যাবে না।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে নিজেদের বাপ-দাদার তালুক মনে করতেন, তারা চেতনার কথা বলতেন। চেতনার কথা বলে বলে এই জাতিকে তারা লুণ্ঠন করেছেন, গণহত্যা চালিয়েছেন, তাদের সন্তানেরা আকাম-কুকাম করে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছেন। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে তারা বিদেশে পাচার করেছে।… যেখানেই মেগা উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে, সেখানেই মেগা ডাকাতি করা হয়েছে।’
‘একটা পদ্মা ব্রিজ তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তা দিয়ে কমপক্ষে চারটা পদ্মা ব্রিজ তৈরি করা যেত। তাহলে বাকি তিনটার টাকা গেল কোথায়? হিসাব একেবারেই পরিস্কার। দেশের টাকা দিয়ে যারা বিদেশে বেগম পাড়া গঠন করেছেন তারাই এই টাকা চুরি করেছেন।’
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ রক্তের আমানত আমাদের রক্ষা করতে হবে, সম্মান দেখাতে হবে। আমাদের সন্তানদের স্লোগান ছিল— উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’
‘আমরাও সর্বক্ষেত্রে ন্যায় বিচার চাই। আমরা বৈষম্য চাই না। আমরা আমাদের গর্বের সন্তানদের কথা দিচ্ছি, তোমরা যেমন জীবন দিয়ে জাতিকে আরেকবার স্বাধীনতা এনে দিয়েছ, আমরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে তোমাদের দাবি পূরণ করব ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যেন এই তৌফিক আমাদের দান করেন।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির
জামায়াত আমীর বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে আমরা এমন একটা জাতি গড়ব; তখন ইনশাআল্লাহ এই দেশের মানুষ আর বিদেশে চাকরির জন্য যাবে না। যেভাবে ১৭৫৭ সালের আগে সারা বিশ্বের মানুষ এদেশে চাকরির জন্য আসত। এই দেশ আবার তার পুরনো গৌরব ফিরে পাবে। আমরা সেই গৌরবটা ফিরিয়ে আনতে চাই।’
মদিনার সনদে দেশ পরিচালনার কথা জানিয়ে এই রাজনীতিক বলেন, ‘আল্লাহর সংবিধান সবাইকে সম-অধিকার দিয়েছে। আধুনিক রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান হচ্ছে মদিনার সনদ। মদিনার সনদের এক থেকে পাঁচ নম্বর পর্যন্ত প্রত্যেকটি ধারাই মানুষের অধিকার সংরক্ষণের সনদ। সেখানে বলা হয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের অধিকার বিভক্ত করা যাবে না। ইসলামে কারো ওপর জুলুম চালানোর নির্দেশ নেই। পরিষ্কারভাবে মাদিনার সনদে তা বর্ণিত আছে।’
‘তাতে বলা আছে, সকল ধর্মের নাগরিককে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে দিতে হবে। বাইরে থেকে যদি (অন্য ধর্মের মানুষের ওপর) আক্রমণ করা হয়, মুসলমানদের দায়িত্ব হবে তাদের পক্ষ নিয়ে লড়াই করা। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করবে। কউকে জোর করে বোরকা পরাবে না। অন্য ধর্মের মা-বোনরা তাদের মতো করে পোশাক পরবে। কাউকে বাধ্য করা হবে না। যে যার মতো পেশাগত দায়িত্ব পালন করবে। এমন পরিবেশ হবে, যাতে সবাই গর্ববোধ করবে।’
দেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে ডা. শফিকুর বলেন, ‘আমাদের ছাত্র সমাজকে কথা দিচ্ছি, তোমাদের হাতে এমন শিক্ষার মান তুলে দেওয়া হবে যে বেহুদা সার্টিফিকেট নিয়ে এ দ্বারে ও দ্বারে ঘোরা লাগবে না। শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ন্যায্য পাওনা বা কাজ তোমাদের হাতে উঠে যাবে। প্রত্যেক যুবক-যুবতীর হাতকে আমরা দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে গড়তে চাই।’
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল সুজা উদ্দিন জোয়াদ্দরের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মো. মোবারক হোসেন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: মানবিক জাতি গঠনে চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের জামায়াত সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার এ কে এম আলী মুহসিন, ড. আলমগীর বিশ্বাস, মাওলানা আবদুল মতিন, ঝিনাইদহ জেলা আমীর আলী আজম মোহাম্মদ আবু বক্কর, পাবনা জেলা আমীর আবু তালেব মন্ডল, মেহেরপুর জেলা আমীর, তাজউদ্দিন খান, মাগুরা জেলা আমীর এবিএম বাকের, চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন, রাজবাড়ী জেলা আমীর অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইমরান হোসাইন ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী রবীন্দ্র নাথ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল গফুর, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মো. সোহরাব উদ্দিন, মো. খায়রুল ইসলাম রবিন, অধ্যাপক মাজহারুল হক মোমিন, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসাইন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি মো. আবু মুসা, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা, মিরপুর উপজেলা আমীর মাওলানা খন্দকার রেজাউল করিম, দৌলতপুর উপজেলা আমীর মাওলানা বেলাল উদ্দিন, কুমারখালী উপজেলা আমীর আফতাব উদ্দিন, ভেড়ামারা উপজেলা আমীর মো. জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা শরিফুল ইসলাম, খোকসা উপজেলা আমীর মো. নজরুল ইসলাম, ইবি থানা আমীর মো. রফিকুল ইসলাম, পেশাজীবী থানা সভাপতি মাহবুবুর রহমার হামীম, শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি এস এম মুহসিন প্রমুখ।
৭৮ দিন আগে
স্বৈরশাসকরা একবার পালিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না: ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বৈরশাসকরা একবার পালিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার এবার সম্পূর্ণ সমাপ্ত।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে বিগত সময়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকরা ফিরে আসেনি। এরা ডামি সরকার বলেই সামান্য ফু দিতেই উড়ে গেছে।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড়মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা জামায়েতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে জিতেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ২০১৮-তে হয়েছে মিডনাইট নির্বাচন।
এছাড়া ২৪-এ ডামি নির্বাচন হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আবার হুংকার দিচ্ছে তারা ফিরে আসবে। আবার দেশ দখল করবে। আবার আগের মতো তাণ্ডব চালাবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা বিগত সময়ে দেশ শাসন করেছেন তারা জনগণের আমানত রক্ষা করেননি। তারা জনগণের আমানতকে নিজের পকেটে ভরিয়েছেন। তারা তছরুপ, চুরি, ডাকাতি, জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন এবং সেই টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে আইনজীবীকে হত্যা করা হয়: ডা. শফিকুর
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতকে সীমা লঙ্ঘন না করারও আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ভারত যেন বাংলাদেশের অশান্তির কারণ না হয়। ১৯৭২ সাল থেকে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সংগঠিত সকল অপরাধের তদন্ত সাপেক্ষে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু ধোঁয়া তুলে ফায়দা লুটে সংখ্যালঘুদের সর্বনাশ করে ইসলামপন্থীদের ওপর দায় চাপিয়েছে।
সমতার ভিত্তিতে সকল জেলার উন্নয়ন করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটি বৈষম্য করা হয়েছে। আগামী একনেকে ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য যেকোনো একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনালের মাওলানা আব্দুল হালিম, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম ও উপজেলা জামায়াতের নেতারা।
৮৩ দিন আগে
‘ক্ষমতায় যাওয়া নয়, সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য’
ক্ষমতায় যাওয়া নয়, দেশে সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর একমাত্র উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করি, তাহলে আপনাদের অন্তরের ভালোবাসা চাই। ভালোবাসার সঙ্গে সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।’
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দুঃশাসন ও দুর্নীতিতে দেশ ডুবিয়ে দিয়েছে। গায়ের জোরে দেশ শাসন করার নামে সাড়ে ১৫ বছর শোষণ করেছে। (আওয়ামী লীগের শাসনামলে) জুলুম-নির্যাতন ছিল অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’
মানুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। সাংবিধানিকভাবে সবাই সমান। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলেমিশে বসবাস করি।’
এ সময় সংখ্যালঘু নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি আপনাদের সংখ্যালঘু বলে, চিৎকার করে বলবেন- আমরা রাষ্টের নাগরিক, আমাদের সবার অধিকার সমান।’
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
জামায়াত আমির বলেন, ‘পুরাতন জেলা হিসেবে যশোরে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে উন্নয়নের কথা বলে পা ছুঁয়ে সালাম নেয় আর ক্ষমতায় গেলে তা ভুলে যায়। জামায়াতে ইসলামী খেদমত করার সুযোগ পেলে সুষম বণ্টনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করবে।’
সম্মেলনে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মাওলানা আজিজুর রহমান, ঝিনাইদহ জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আজম, সাতক্ষীরা জেলা আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল, মাগুরা জেলা আমির এমবি বাকের, নড়াইল জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহিদ আব্দুল্লাহর পিতা আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, যশোর পূর্ব আমির মাওলানা আব্দুল আজিজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, যশোর জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, জামাত নেতা সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের প্রমূখ।
৮৬ দিন আগে