জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা
আন্দামান সাগরে দুর্ঘটনাকবলিত রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আঞ্চলিক উদ্যোগের আহ্বান ইউএনএইচসিআরের
শত শত রোহিঙ্গা নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানগুলো উদ্ধারে দ্রুত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাতে সব দেশ বিশেষ করে আন্দামান সাগরের আশেপাশের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
এছাড়াও, এই বিপজ্জনক সামুদ্রিক যাত্রা মোকাবিলা করতে ব্যাপক আঞ্চলিক পদক্ষেপের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউএনএইচসিআর।
২০২২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ৫৭০ জনেরও বেশি মানুষ সমুদ্রে মৃত বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ফের সতর্ক করেছে, উপকূলীয় দেশগুলো সময়মতো উদ্ধার অভিযান না চালালে এবং দুর্ঘটনাকবলিতদের নিরাপদ স্থানে না আনলে অনেকের মৃত্যু হতে পারে।
বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যে জেনেছে ইউএনএইচসিআর, যাত্রীবাহী দুটি নৌকারই ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে এবং বর্তমানে আন্দামান সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে।
আরেকটি বিষয় হলো আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা।
শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, দুটি নৌকায় প্রায় ৪০০ জন যাত্রী আছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানাল ইউএনএইচসিআর
১৫০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে আরেকটি নৌকা শনিবার ভোরে আচেহের উত্তরে একটি দ্বীপ সাবাং-এ পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটরাবকলিতদের খাবার ও পানি ফুরিয়ে যেতে পারে বলেও ইউএনএইচসিআর উদ্বিগ্ন।
তাদের আশঙ্কা দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার না করা হলে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
নন-ফুলমেন্টের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমুদ্র আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে হবে এবং জাতীয়তা বা আইনি অবস্থা নির্বিশেষে সমুদ্রে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার করার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।
১৪ নভেম্বর থেকে ১ হাজার জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করেছে ইউএনএইচসিআর।
ইন্দোনেশিয়ার সংহতি ও মানবতার উদাহরণ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইউএনএইচসিআর এবং তার অংশীদারেরা দুর্ঘটনাকবলিতদের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের স্থায়ী সমাধানে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় ইউএনএইচসিআর-এনজিও
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করল জাপান-ইউএনএইচসিআর
১ বছর আগে
নিকট ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন জটিল হয়ে উঠছে: জাতিসংঘ
মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির (সেনা অভ্যুত্থান) ফলে দ্রুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনাকে আরও জটিল হয়ে ওঠায় জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের দুই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা চার দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতির মূল দায়দায়িত্ব মিয়ানমারের এবং সমাধানও এখানেই রয়েছে।’
ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষা বিষয়ক সহকারী হাই কমিশনার জিলিয়ান ট্রিগস ও কার্যক্রম বিষয়ক সহকারী হাই কমিশনার রাউফ মাজু বুধবার তাদের সফর শেষ করেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সংহতির আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে যাবেন জাতিসংঘের সফররত ২ শীর্ষ কর্মকর্তা
ইউএনএইচসিআর সম্প্রতি চালু হওয়া ২০২১ সালের যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার বিশাল দায়িত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
এই সঙ্কটকে অবশ্যই ভুলে যাওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করেছে ইউএনএইচসিআর।
ট্রিগস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শরণার্থী চুক্তির দিকনির্দেশক নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ মানবতা ও সংহতি দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়া, শরণার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন করার জন্য অবশ্যই বাস্তব কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভাসানচরে যাবেন জাতিসংঘের সফররত ২ শীর্ষ কর্মকর্তা
ইউএনএইচসিআরের এই দুই কর্মকর্তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের মানবিক চেতনা ও উদার আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক প্রশংসা করেন।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ইইউ’র অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কয়েক বছরের জন্য পাওয়া ১৪ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা) অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা- ইউএনএইচসিআর।
৪ বছর আগে