শপথ
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো নিয়ে রুল জারি
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো বিধানের বৈধ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিষয়ে যুক্ত করা বিধান কেন ১৯৭২ সালের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) গীতিকবি, লেখক শহীদুল্লাহ ফরায়জীর করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে বুধবার (১১ মার্চ) রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক।
আইনজীবী বলেন, ‘সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর আগে প্রধান বিচারপতিকে শপথ পাঠ করাতেন রাষ্ট্রপতি, আর রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাতেন প্রধান বিচারপতি। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির শপথ পাঠ করানোর বিধানে পরিবর্তন আনা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। পরে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিধান বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার, সেই বিধান ফিরিয়ে আনা হয়। তাই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত আজ রুল জারি করেছেন।’
এর আগে গত সোমবার কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট শহীদুল্লাহ ফরায়েজী এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদেনে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাষ্ট্রপতির শপথে প্রধান বিচারপতির অনিবার্যতা’ শীর্ষক প্রকাশিত একটি কলামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেটি লিখেছেন রিটকারী শহীদুল্লাহ ফরায়জী।
আরও পড়ুন: সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
ওই কলামের একটি অংশে বলা হয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্টকে শপথ বাক্য পাঠ করান সেই দেশের প্রধান বিচারপতি। সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির দেশেও রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতির নিকট।
এটা বিশ্বব্যাপী সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত রেওয়াজ। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। রাষ্ট্রের প্রধানের শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করা প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের তিন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বিনষ্ট করা। এতে সংবিধানের গভীর দার্শনিক ভিত্তি থেকে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই দার্শনিক ভিত্তি হচ্ছে- রাষ্ট্রপতি সংসদের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ গ্রহণ করে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য সাংবিধানিক নির্দেশনা।
রাষ্ট্রপতির প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ বাক্য পাঠ করার এই বাধ্যবাধকতা এবং মহিমান্বিত সাংবিধানিক মর্যাদা প্রজাতন্ত্রের কেউ বিনষ্ট করতে পারেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা করেছে।
সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই আইন বলবৎ করা হয়েছে, যা প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। এটা আইন ও বিচারবিভাগের প্রতি ছিল আওয়ামী সরকারের অসম্ভব বিদ্বেষমূলক আচরণ প্রকাশের নজির— যা সাংবিধানিক ন্যায্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে।
‘৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও প্রধান বিচারপতির মর্যাদা সুরক্ষার প্রশ্নে শপথ ও ঘোষণার তৃতীয় তফসিলে বলা হয়েছিল— ‘রাষ্ট্রপতি, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হইবে।’ এগুলো আইনবিভাগ ও শাসনবিভাগের সঙ্গে বিচারবিভাগের ভারসাম্যপূর্ণ নীতি, যা সংবিধান প্রণয়নের সময়ই চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত।
১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য এবং চরিত্র যতোটুকু সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল, আওয়ামী লীগ অতি দ্রুত তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ নামক প্রজাতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ নামক দলটি কীভাবে দেখতে চায়— তার প্রতিফলন ঘটেছে তাদের আনীত সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীতে। রাষ্ট্রপতির শপথ স্পিকারের নিকট; এমন দেশ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর । বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য পুনরুদ্ধারে— রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হবে, এ বিধান বাংলাদেশে আবার চালু বা পুনর্বহাল করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের গণতান্ত্রিক ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিকাশের স্বার্থেই তা করা প্রয়োজন।
৩৭ দিন আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন সিআর আবরার
নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেবেন অধ্যাপক সিআর আবরার। তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
আরও পড়ুন: অন্তবর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হচ্ছেন আমিনুল ইসলাম
তিনি বলেন, কাল বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে তিনি শপথ নেবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ছিলেন সিআর আবরার। তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী এবং শরণার্থী ও অভিবাসী আন্দোলন গবেষণা ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সভাপতি তিনি।
৪৪ দিন আগে
উপদেষ্টা পরিষদে যোগ হচ্ছে নতুন মুখ
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যোগ হচ্ছে নতুন সদস্য। রবিবার সন্ধ্যায় নতুন সদস্যদের শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে।
অন্তবর্তী সরকারের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সম্প্রসারণ হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে সংখ্যা বলতে পারছি না।’
সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। যেখানে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি: রিজওয়ানা হাসান
এদিকে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এ দিন তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন
সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই সাক্ষাৎকারের বিষয় নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
১৫৮ দিন আগে
চসিকের মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন।
রবিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
নবনিযুক্ত চসিক মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশের একটি প্রধান নগরীর মেয়র হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন এটাই তার কাছে প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রিন চট্টগ্রাম দেখতে চাই। জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম দেখতে চাই। ক্লিন সিটি হিসেবে নগরবাসীরও একই প্রত্যাশা।’
হাসান আরিফ বলেন, পেছনের সব ধ্যান-ধারণা, চিন্তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছাত্র-জনতা-শ্রমিকদের যে অর্জনের জন্য তাদের আত্মত্যাগ রয়েছে, সে প্রত্যাশা পূরণের জন্য বৈষম্যহীন শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে দেখতে চাই। আমি মনে করি, এ প্রত্যাশা চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের। আমাদের প্রত্যাশা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, ‘চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। যদি চট্টগ্রাম শহরের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপ করা যায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি- এসব আমার নির্বাচনি ইশতেহার। নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাতকে চসিক মেয়র ঘোষণা করলেন আদালত
নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাংলাদেশ গেজেটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সরকারি গেজেট প্রকাশিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে হয়। এ বিধান অনুযায়ী রবিবার শপথ নিলেন শাহাদাত হোসেন।
শপথ অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করবে চসিক-সিএমপি
১৬৫ দিন আগে
হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ২৩ জন
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৩ জন শপথ গ্রহণ করেছেন।
বুধবার সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আজিজ আহমেদ।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সুপ্রিমকোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারপতিরা ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না: প্রধান বিচারপতি
শপথ নেওয়া ২৩ বিচারপতি হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে তাদের হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
১৯০ দিন আগে
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শপথ নিলেন যুবসমাজের প্রতিনিধিরা
বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করে গড়ে তুলতে শপথ নিলেন যুবসমাজের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে এ শপথ নেন তারা।
একই সঙ্গে তারা নিজের অবস্থান থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান এবং লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা তামাক প্রচারক এবং তামাকবিরোধী কর্মী দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পৃক্ত হই, যা স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করে। এনজিওগুলো বর্তমানে মাত্র ছয়টি মূল পয়েন্টে মনোযোগ দিচ্ছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। সব এনজিওর একত্রিত হওয়া অত্যাবশ্যক। উন্মুক্ত স্থানে ধূমপানের ওপর কঠোর নিয়মাবলী প্রয়োগ করা উচিত। যদিও ধূমপান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়, তবে আমরা অবশ্যই নির্দিষ্ট এলাকায় বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারি।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তরুণরা তাদের সফলতার প্রমাণ দিয়েছে। তাহলে তারা কেন তামাকবিরোধী ক্যাম্পেইনে সফল হতে পারবে না? আমাদের কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, অথচ তামাক ব্যবসা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তরুণদেরও এই মরণঘাতী ব্যবসা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। তামাকবিরোধী আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়াও তামাক পণ্যের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করা উচিত।’
আজহার আলী তালুকদার বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তামাক কোম্পানির তুলনায় অনেক কম। তবুও, আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছি। নেতৃত্ব তরুণদের হাতে চলে গেছে, যারা অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম। রাজনৈতিক দলগুলো যা গত ১৫ বছর ধরেও করতে পারেনি, সেখানে তরুণরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে। একই সঙ্গে আমরা একটি শক্তিশালী তামাকবিরোধী আইন প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
নুরুল আমিন বলেন, ‘দেশে একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এটাকে ধরে রাখতে হবে। পরিবারগুলোকে তামাকমুক্ত হতে চেষ্টা করা উচিত। তামাক শুধুমাত্র একটি মানসিক নির্ভরতা; এর কোনো উপকারিতা নেই। যদিও ১০০% তামাকমুক্ত দেশ অর্জন করা সম্ভব না, তবে আমাদের সফলতার হার বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে।’
২০২ দিন আগে
শপথ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন ৪ উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দিতে আরও চারজন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন।
নতুন উপদেষ্টারা হলেন- অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: জবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হলেন মোহম্মদ জাহিদ
সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান খিলক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
২৪৪ দিন আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরও ৪ উপদেষ্টা শপথ নেবেন আজ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আজ আরও চারজন শপথ নেবেন।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদমর্যাদার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
অপর উপদেষ্টা তিন উপদেষ্টা হলেন- অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠান শুক্রবার (১৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নতুন উপদেষ্টা পাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, শুক্রবার শপথ
২৪৪ দিন আগে
নতুন উপদেষ্টা পাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, শুক্রবার শপথ
নতুন মুখ নিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রসারিত হচ্ছে।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টারা শপথ নেবেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গভবনের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. ইউনূস
তবে শুক্রবার নতুন উপদেষ্টা হিসেবে কারা শপথ নেবেন তা এখনো জানা যায়নি।
গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ফারুক-ই-আজম
২৪৫ দিন আগে
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।
এর আগে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি থেকে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নতুন বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতিসহ আরও দুই উপদেষ্টা
নবনিযুক্ত চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ নিয়োগ দিয়েছেন, যা শপথের দিন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এখন থেকে প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের সঙ্গে এই চার বিচারপতি দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. ইউনূস
২৪৭ দিন আগে