শপথ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
একদিন আগে পার্লামেন্টের অধিবেশনে নির্বাচিত হওয়ার পর সোমবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শাহবাজ শরিফ।
অনাস্থা ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন শাহবাজ শরিফ এবং ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। শাহবাজ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই।
তার নিয়োগ বিতর্কিত, কারণ গত মাসের সংসদীয় নির্বাচনে তার বিরোধীরা দাবি করেছিল যে তার পক্ষে কারচুপি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে বিক্ষোভের মধ্যেই পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত শেহবাজ শরীফ
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জোর দিয়ে বলছে, নির্বাচনে তারা ভালো করেছে। কিন্তু নির্বাচনে চুরি ও অন্যান্য অনিয়মের কারণে দলটি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসন পায়নি, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য অন্যদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে।
তিনি পার্লামেন্টে ২০১ ভোট পেয়ে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ওমর আইয়ুবকে পরাজিত করেন, যিনি পান ৯২ ভোট।
সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট আরিফ শপথ বাক্য পাঠ করান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে ইসিপি
পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ১৪
মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন নতুন মুখ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাত নতুন মুখ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন নতুন প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তারা শপথ ও গোপনীয়তার শপথেও স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
তারা হলেন- রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ , নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকার, চট্টগ্রাম ১৪ আসনের নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার চাপাত, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ ইজহার খান এবং আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ডা. রোকেয়া সুলতানা।
গত ১১ জানুয়ারি ৩৭ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ২৬ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
নতুনদের নিয়ে মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪ জনে। এখন তার মন্ত্রিসভায় ২৬ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, সাংবাদিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির পত্নী ডা. রেবেকা সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর কনিষ্ঠ বোন শেখ রেহানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব হোসেনের পরিচালনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পেলেন যারা
মন্ত্রিসভায় নতুন ৭ জনকে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পেলেন যারা
সংরক্ষিত আসনের চারজন নারীসহ আরও সাত নতুন মুখ শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভায় নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তারা হলেন- আব্দুল ওয়াদুদ (রাজশাহী-৫), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম ১৪), সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, শামসুন্নাহার চাপা এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ ইজহার খান এবং আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ডা. রোকেয়া সুলতানা।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ে দায়িত্বশীল সূত্র ইউএনবিকে জানান, আরও দুই-একজন টেকনোক্র্যাট সদস্য যুক্ত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
বিকালে শপথ নেবেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আজ বিকালে শপথ নেবেন।
বুধবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আনুষ্ঠানিক সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
সংসদ সূত্রে জানা গেছে, শপথ অনুষ্ঠানের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৫০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এর মধ্যে জাতীয় পার্টির দুইজন, একজন ১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির এবং বাকি ৪৭ জন আওয়ামী লীগের।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জাতীয় পার্টির দুই সদস্য শপথ নেবেন।
শপথ নেওয়া সংসদ সদস্যরা আজকের সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন।
সূত্র জানায়, আসন বণ্টন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার: সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদকে শপথ পড়াতে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে ভোটের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
পাশাপাশি এ নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে অবিলম্বে শপথ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আদালত আদেশে বলেছেন, রিটকারী সানজিদা খানম চাইলে যথাযথ নিয়মে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে পারবেন।
এর আগে সকালে গেজেট স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন আওলাদ হোসেন।
আওলাদের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করা হয়।
ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। সানজিদা খানমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, মোতাহার হোসেন সাজু, আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
আরও পড়ুন: বিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসনটির ১৮টি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের ঘটনা ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নৌকার প্রার্থী আইনজীবী সানজিদা খানমের রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুধবার সকালে ঢাকা-৪ আসনের ভোটের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
পরে চেম্বার বিচারপতি শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
সূত্রাপুর (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৪৭, ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯ ও ডেমরা উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
আওলাদ হোসেন মোট ভোট পান ২৪ হাজার ৭৭৫টি। সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পান ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙল প্রতীক নিয়ে পান ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। তবে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট করেন নৌকার প্রার্থী আইনজীবী সানজিদা খানম।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ-৯ আসনে আ. লীগ প্রার্থী আবদুস সালামের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের
শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনে পৌঁছানোর পর সকাল ১১টার দিকে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।
সংবিধানের ১৪৮ (২ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, সরকারি গেজেটে নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে, অন্যথায় তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে ১১ জানুয়ারি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ২৯৮ জন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের বিবরণসহ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
নওগাঁ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানকার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আসনটিতে নির্বাচনের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের কারণে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বুধবার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
শপথ গ্রহণ ও সংসদে যোগদান করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুরের সেনপাড়ায় নিজ বাসভবনে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে জিএম কাদের বলেন, 'যেহেতু আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তাই এই মুহূর্তে আমরা শপথ নিতে পিছপা হব না। আমরা সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলব এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
চলতি নির্বাচনে সরকারের সততা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'যেখানে সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়েছিল, সেখানে তারা সফল হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় তারা জনগণের মন জয় করতে চেয়েছিল, সেখানে তারা বলপ্রয়োগ করেছে এবং আমাদের জনগণকে পরাজিত করেছে।’
বৈঠকের এজেন্ডা সম্পর্কে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফলে হতাশ হয়েছেন। অতএব, আমি সবার সঙ্গে বসেছি, তাদের উদ্বেগ শুনেছি এবং লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করেছি। এই তথ্যগুলো ভবিষ্যতে অনুসরণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওবায়দুল হাসান।
মঙ্গলবাল (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা, সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকিও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি অবসরে যাওয়ায় সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওবায়দুল হাসান ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
তিনি ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়াশী গ্রামে ড. আখলাকুল হোসেন আহমেদ ও বেগম হোসনে আরা হোসেনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
হাসানকে ২৫ মার্চ, ২০১২ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ১১টি রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
তার স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (অর্থ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দম্পতির ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান।
ওবায়দুল হাসানের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওবায়দুল হাসান প্রাথমিকভাবে আইন বিভাগে অধ্যয়নের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা জেলা আদালতে একজন অনুশীলনকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে নথিভুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ নেবেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
পরে তিনি ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগের বিচারক নিযুক্ত হন।
তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে শপথ নিল শিক্ষার্থীরা
সুনামগঞ্জ টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে বুয়েটের একদল শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও জামিনে মুক্ত হওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার পর নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার শপথ নিয়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে বুয়েটের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং এই শপথ গ্রহণ করে।
শপথে বলা হয়, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে এই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার জন্য আমার উপর অর্পিত সমস্ত ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব যথাসাধ্যভাবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আমি সকল অন্যায় ও বৈষম্য সম্পর্কে সচেতন এবং তার বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকব।’
শিক্ষার্থীরা শপথে আরও বলেন, ‘আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে আমরা সম্মিলিতভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ধরণের সন্ত্রাসবাদ এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে প্রতিরোধ করব। আমরা নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরণের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মূলোৎপাটন করব। যাতে আর কোনও নিরপরাধ প্রাণ হারায়। এখন থেকে কোনো নিরপরাধ ছাত্র যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় তা আমরা নিশ্চিত করব।’
শপথ গ্রহণের পর একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
সুনামগঞ্জ থেকে শিবির কর্মী সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছি এবং কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হয়, তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।’
তারা বলেন, ‘আবারও, আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা আবরার ফাহাদ হত্যার তদন্তের সময় র্যাগিং এবং অসহযোগিতার জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হওয়া আশিকুল ইসলাম বিটুকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেছি। আমরা এমন একজন কুখ্যাত ব্যক্তির সঙ্গে ক্লাস করব না এবং যদি বুয়েট কর্তৃপক্ষ তা করে। দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা ক্লাস বর্জন করতে দুবার ভাবব না।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন অভিভাবকেরা!