সরকারি নিষেধাজ্ঞা
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজবাড়ীতে চলছে ইলিশ শিকার
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজবাড়ীতে ইলিশ শিকার করছে এক শ্রেণির অসাধু জেলে ও সৌখিন মৎস্য শিকারিরা। রাজবাড়ীর ৪২ কিলোমিটার পদ্মা নদীর অংশে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের আড়ালে মাছ ধরছে জেলেরা। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার বাহির চর দৌলতদিয়া পর্যন্ত পদ্মা নদীর পাড়েই প্রকাশ্যে এসব ইলিশ বিক্রি চলছে।
মা মাছ রক্ষায় ও মাছের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এ সময় মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাড়তি লাভের আশায় ইলিশ শিকার করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পদ্মা নদীর পাড় থেকে তারা ইলিশ কিনে গ্রাম ঘুরে বিক্রি করছেন। আবার অনেকে ‘হোম ডেলিভারি’ও দিচ্ছেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার উড়াকান্দা, বরাট অন্তারমোড়, গোয়ালন্দের দেবগ্রামের তেনাপচা ও দৌলতদিয়া কলাবাগান এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে ইলিশ শিকার ও বিক্রির সত্যতা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২০০ কেজি ইলিশ জব্দসহ ২২ জেলে আটক
সদর উপজেলার বরাট ইউপির অন্তারমোড়ে দেখা যায়, নদীতে অসংখ্য জেলে নৌকায় মাছ শিকার করছেন। এর এক কিলোমিটার দূরে দেব গ্রামের তেনাপচায় নদীর পাড়ে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের ভিড়। নদী থেকে মাছ নিয়ে জেলেরা আসলেই ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। প্রতিটি নৌকায় ১০ থেকে ৩০ কেজি করে ইলিশ দেখা যায়।
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকা দেখা না গেলেও ঘাট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার ভাটিতে বাহির চর কলাবাগান এলাকায় সারি সারি নৌকা দেখা যায়। নদী থেকে মাছ ধরে জেলেরা কলাবাগান এলাকার নালায় গিয়ে বিক্রি করছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ইলিশ এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ১০০ গ্রাম করে তারা বাড়তি ছাড় পাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা গ্রাম ঘুরে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে মৎস্য বিভাগকে সহযোগিতা করছেন। প্রকাশ্যে ইলিশ শিকার ও বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, ৪২ কিলোমিটার পদ্মা নদীপথের মধ্যে ধাওয়া পাড়া থেকে বাহির চর দৌলতদিয়া পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। জনবল স্বল্পতার কারণে এতবড় এলাকায় অভিযান চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকালে, দুপুরে ও সন্ধ্যার পর পৃথক ভাগ করে অভিযান চালানো হচ্ছে।
একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত আসা যাওয়ার ফাঁকে জেলেরা নেমে পড়েন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অভিযান চালাতে সরকারিভাবে ২২ দিনের জন্য মাত্র ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ মিলেছে। অথচ এই অভিযানে প্রতিদিন শুধুমাত্র ট্রলারভাড়া, জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচ মিলে ১০ হাজার টাকার বেশি লাগছে। পাশাপাশি নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার না থাকায় অভিযানকালে ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়।
এসব সমস্যা সমাধান হলে ২৪ ঘণ্টা নির্বিঘ্নে অভিযান চালানো সম্ভব বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা।
ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইলিশ শিকার, আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্য করলে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
১ মাস আগে
জাটকা ধরার অপরাধে চাঁদপুর-শরীয়তপুরের ১৭ জেলে গ্রেপ্তার
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরার অপরাধে ১৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় ছয় লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচটি মাছ ধরার নৌকা ও ৭১ কেজি জাটকা জব্দ করার দাবি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ইউএনবিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাদের মেঘনা-পদ্মার অভয়াশ্রম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জেলেরা হলেন- আবু বক্কর মৃধা (২২), আবু কালাম মৃধা (২০), রতন মৃধা (৩১), সুমন মোল্লা (২৩), মিরা রাঢ়ী (১৯), রমিজ খান (৩৫), সুমন (২২), বোরহান উদ্দিন খালাসী (২০), হেলাল চৌধুরী (২২), সোহেল মিয়া (১৯), সজিব চৌকিদার (১৯), নাছির (২৬), রিয়াদ (২৪), মো. হুমায়ুন (৩০), আল-আমিন হোসেন (১৮), জুম্মান (১৯) ও মাহফুজ (১৯)। এদের বাড়ি শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলায়।
আরও পড়ুন: স্বপ্নপুরীতে সংঘর্ষ: জবির ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত, গ্রেপ্তার ৮
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ইতোমধ্যে মৎস্য আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।
জব্দ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। মাছ ধরার নৌকাগুলো মামলার আলামত হিসেনে নৌ থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানান ওসি।
জাটকাগুলো স্থানীয় এতিমখানা ও গরীব-দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
১ বছর আগে
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কুমিল্লায় শতাধিত বাস আটক
চলমান লকডাউনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধারে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় প্রবেশের কারণে দূর পাল্লার শতাধিক বাস আটক করেছে কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ।
রবিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আলেখারচর, মিয়ারবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের চেক পোস্টে এসব বাস আটক করতে দেখা যায়। এছাড়াও গত দুই দিন তারা এসব বাস আটক করে আসছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ মে থেকে গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণা
কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় গেল ২ দিনে কুমিল্লা অঞ্চলে শতাধিক বাস আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আটককৃত দূর পাল্লার এসব বাস স্ব-স্ব হাইওয়ে থানা ও ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় সড়কে গণপরিবহনের যাত্রা শুরু
তিনি বলেন, আটক বাসগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি শ্রমিকদের
পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এসব কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৩ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলের কারাদণ্ড
বেলকুচি উপজেলায় যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলেকে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪ বছর আগে