শাহবাগ
হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ
সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইউএনবির ফটো সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে জানান, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গতকাল শাহবাগে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের পরে আজকের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।
আরও পড়ুন: কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
৩ মাস আগে
এক দফা দাবি: আন্দোলনকারীরা এখন শাহবাগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রাজধানীর শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন ঘোষণার পর শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা করেন হাজার হাজার জনগণ।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা তাদের এক দফা দাবি ঘোষণা করে এটিকে ‘শিক্ষার্থীদের দাবি’ বলে অভিহিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশাল সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলমসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্য সমন্বয়করা।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।
অসহযোগ আন্দোলনের পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রবিবার থেকে তারা আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২
বরিশালে পুলিশ ও বক্স ও আমর্ড ব্যাটালিয়নের গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৪
৩ মাস আগে
কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’, সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
সরকারি কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী 'বাংলা ব্লকেড' পালন করছে কোটাবিরোধীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ২টি পয়েন্টে অবরোধ করছে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের নথুল্লাবাদে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের কারণে সারাদেশের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মহাসড়কের ৫ কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: বুধবার সারা দেশে 'বাংলা ব্লকেড'
কুমিল্লায় বেলা ১১টার দিকে কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও খুলনার ব্রজলাল কলেজের (বিএল) শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে নতুন রাস্তা এলাকায় রাস্তা দখলে নেয়। তারা রেললাইন অবরোধ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এদিকে সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা জব্বার মোড় এলাকায় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস থামিয়ে রেললাইনে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাংলা ব্লকেডের সমর্থনে ক্যাম্পাসে মিছিলও করে তারা।
এর আগে মঙ্গলবার কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত 'বাংলা ব্লকেড’ চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল।
এ অবরোধের কারণে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে সড়ক ও রেলপথে যান চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাপক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: 'বাংলা ব্লকেড': ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে গতকাল আপিল বিভাগে আবেদন করেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে গত ৪ জুলাই রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখা কোটা পদ্ধতি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা চ্যালেঞ্জ জানায়, যার ফলশ্রুতিতে ২০২৪ সালের ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা
৪ মাস আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলন: দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ ও অন্যান্য কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ ও এর আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।
৪ মাস আগে
কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এরপর ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল করে শাহবাগে অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবিতে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
অবরোধ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে তারা।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
৪ মাস আগে
চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে অবরোধ-বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ
চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
বয়সসীমা বর্তমান ৩০ থেকে ৩৫-এ উন্নীতসহ বিভিন্ন দাবিতে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীরা ‘চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্ম’-এর ব্যানারে অবস্থান করলে পুলিশ তাদের চলে যেতে বলে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধে পুলিশের বাধা
২ বছর আগে
শাহবাগে বামজোটের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে ‘আহত’ ৩
বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ) দাবি করেছে, রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে জোটের তিন সদস্য আহত হয়েছে। জ্বালানি, সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জোটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশব্যাপী অর্ধদিবস ধর্মঘট পালন করে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বাংলামোটর এলাকা থেকে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন সহকারী জেলা প্রশাসক (রমনা জোন) হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন পুলিশ হঠাৎ আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, এতে আমাদের তিন নেতাকর্মী আহত হয়।’
আহত এলডিএ কর্মীরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে অনেক সাধারণ মানুষ মিছিলে যোগ দেয়ায় তাদের হরতাল সফল হয়েছে বলে দাবি করেন রাজিব।
আরও পড়ুন:নিরাপদ সড়কের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, এলিফেন্ট রোড, বাংলামোটর, কাটাবন, নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় অর্ধদিবস ধর্মঘটের সমর্থনে তাদের পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
এলডিএ কর্মীরা ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে মিছিল শুরু করে পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
গত ৫ আগস্ট সরকার ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বর্তমানে ডিজেল প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, অকটেন প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল প্রতি লিটার ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।
১৭ আগস্ট দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এলডিএ-র ধর্মঘটে সমর্থন জানায়। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন:নড়াইলে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ
শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধে পুলিশের বাধা
২ বছর আগে
নড়াইলে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ
নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে একাধিক সংগঠন।
সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল জাগো হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও সামাজিক প্রতিবাদ কমিটি।
এছাড়া নারীমুক্তি সংঘ, বাংলাদেশ প্রগতি সংঘ, ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ প্রভৃতি সংগঠন সামাজিক প্রতিবাদ কমিটির ব্যানারে একত্রিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম সামজিক প্রতিবাদ কমিটির কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সোনার বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। কিন্তু নড়াইলের ঘটনা প্রমাণ করেছে আমরা মানুষ হিসেবে নিপতিত হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি বলেন, ‘শুধু নড়াইলের ঘটনা নয়। ২০১২ সালের রামুর ঘটনার বিচার হয়নি। অন্যায়ের এই সংস্কৃতি আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহিংসতা বন্ধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা এখন যে বাংলাদেশ দেখছি সেটা আমাদের চেনা বাংলাদেশ নয়। আমাদের দেশটি সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠতে চলেছে। এটাকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সেই বিদ্বেষপূর্ণ উপাদানগুলোকে তাদের বিষবাষ্প ছড়ানো থেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নড়াইলের হামলায় ভুক্তভোগী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে পাঁচ দফা দাবিও জানান তারা।
দাবিগুলো হলো- হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উদঘাটনে একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই হামলার যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, রাজনীতির নামে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।
২ বছর আগে
রাজধানীতে ট্রাকচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নিহত
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ট্রাকচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।
নিহত মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২২) নগরীর উত্তর মানিকদীর বাসিন্দা হানিফ খন্দকারের ছেলে।
নিহতের বন্ধু ফুহাদ জানান, সিফাত ও তার বন্ধু মেহেদী মোটরসাইকেলে করে পুরান ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ২ জনের মৃত্যু
শাহবাগের গনি রোড এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয় এবং এতে সিফাত ও মেহেদী আহত হয়।
সিফাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেহেদী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
২ বছর আগে
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। নগরীর শাহবাগ ও শাহজাহানপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন- আল আমিন (২৫)। তার বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায়।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে শাহজাহানপুর আইসিডি গেটের সামনে একটি ট্রাক একটি সাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই আল আমিনের মৃত্যু হয়।
শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ আল আমিনের লাশ উদ্ধার করে সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পুলিশ ট্রাকটি জব্দ ও চালককে আটক করেছে বলেও জানান এসআই।
এদিকে শুক্রবার সকালে শাহবাগের মৎস ভবন এলাকায় একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবক গুরুতর আহত হন। ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
২ বছর আগে