শাহবাগ
৩ দাবিতে শাহবাগ অবরোধ বুয়েট শিক্ষার্থীদের
তিন দফা দাবি আদায়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে তারা শাহবাগ অবরোধ করলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে - নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সকলকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশ চলছে
দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিশাদ রহমান বলেন, ‘এটি আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন। কিন্তু সরকার আমাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত করছে না। তাই আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’
১০০ দিন আগে
শাহবাগের সমাবেশে দলে দলে জড়ো হচ্ছে ছাত্রদল
বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) হাজার হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ছাত্রসমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন।
সমাবেশটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা এই সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
শাহবাগ মোড় ও আশপাশের সড়কগুলো এখন ছাত্রদলকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম, যার কারণে ওই এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ছাত্রদল ইতিমধ্যে শাহবাগ মোড়ে একটি বড় মঞ্চ স্থাপন করেছে এবং সমাবেশের জন্য লাউডস্পিকার বসিয়েছে।
স্থানটিতে কয়েকটি প্রজেক্টর ও বড় স্ক্রিনও বসানো হয়েছে। সমাবেশে আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিতে একটি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ছাত্রদল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশটি শাহবাগে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়, যদিও তারা শহীদ মিনারে সমাবেশের জন্য পূর্বেই অনুমতি পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: যেসব সড়কে আজ যান চলাচল সীমিত থাকবে
১২৩ দিন আগে
শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক
প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে আশেপাশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকাল ৩টার দিকে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর বিকাল ৫টার দিকে শাহবাগ ছেড়ে যান তারা।
আরও পড়ুন: শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক
সাম্য হত্যার বিচার, ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ, নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ একাধিক দাবিতে শাহবাগ মোড়ে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এর ফলে শাহবাগ এলাকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বৃষ্টির মধ্যে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়ে।
অবরোধ কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদকের নাছির উদ্দিন নাছিরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং অন্যান্য ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রবিবারও একই দাবিতে তারা দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন।
১৯৮ দিন আগে
শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে এবং দ্রুত বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় টানা দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে তারা শাহবাগ ছেড়ে যায়, এতে আশেপাশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রবিবার (১৮ মে) বিকাল পৌনে ৪টায় তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সেখানে বিক্ষোভ চালায়। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।
বিক্ষোভকারীরা ‘সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশাসন নিপাত যাক’ প্রভৃতি স্লোগানে মুখর করে তোলে শাহবাগ এলাকা। আন্দোলনে ঢাবিসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত ও বিচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের দাবি জানান।
ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতা দিন দিন বাড়ছে। এর আগে একই দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে ঢাবি ছাত্রদল।আরও পড়ুন: ঢাবির সাম্য হত্যাকাণ্ড: ৬ দিনের রিমান্ডে তিনজন
দুপুর ২ টার দিকে ঢাবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে অপারেজেয় বাংলায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘যে প্রশাসনের ওপর ছাত্রসংগঠনগুলোর আশা ভরসা ছিল, সেই আশা ভরসার জায়গা নষ্ট করেছে এই ভিসি-প্রক্টর।’
এদিকে, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিক্ষক সংগঠন ‘সাদা দল’ সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।
অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘সাম্য হত্যা আইওয়াশ গ্রেপ্তারে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’
২০০ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি: শাহবাগ মোড় অবরোধ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগা মোড় অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিন্টো রোড থেকে শাহবাগ অভিমুখে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে বসে পড়েন।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আজ বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোভাবে রাজনৈতিক দল নয়। ‘১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে এ দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল তারা।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণে দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে এ দেশের মানুষের রক্ত লেগে আছে। আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল।’
এর আগে এনসিপি নেতা আশরাফ মাহাদীর কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ দুপুর পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের শুরু হয়।
সমাবেশ শুরু হওয়ার পর সমাবেশস্থলের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে বিকালে ৩টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্প্রে ক্যানন পানি ছিটানো শুরু করে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে সমাবেশে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার কাছে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা
২০৯ দিন আগে
কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাজধানীর চারটি থানা পরিদর্শন করেছেন। সোমবার (১০ মার্চ) ভোরে তেজগাঁও, ধানমন্ডি, শাহবাগ ও নিউমার্কেট পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, যারা অপরাধ করবে, তাদের কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
থানাগুলো পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা থানার অভ্যর্থনা কক্ষ, হাজতখানাসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন। তিনি ডিউটি অফিসারসহ কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরো তৎপর, সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
পথিমধ্যে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত কয়েকটি চেকপোস্ট/তল্লাশিচৌকি পরিদর্শন করেন এবং দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাছাড়া তিনি যৌথ বাহিনীর কয়েকটি টহল দলের কার্যক্রম মনিটরিং করেন।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় শতাধিক তল্লাশিচৌকি/চেকপোস্ট বসানো হয়েছে ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এসব চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যারা সংঘবদ্ধভাবে মব পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে; যারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি করছে; যারা ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তিনি এসময় বিভিন্ন অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কার্যক্রম রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, রমজানে থানাসমূহ সঠিকভাবে ফাংশন করছে কিনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক ও সজাগ রয়েছে কিনা এবং তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা- তা দেখতেই এ পরিদর্শন।
২৭০ দিন আগে
হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ
সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইউএনবির ফটো সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে জানান, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গতকাল শাহবাগে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের পরে আজকের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।
আরও পড়ুন: কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
৪৮১ দিন আগে
এক দফা দাবি: আন্দোলনকারীরা এখন শাহবাগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রাজধানীর শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন ঘোষণার পর শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা করেন হাজার হাজার জনগণ।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা তাদের এক দফা দাবি ঘোষণা করে এটিকে ‘শিক্ষার্থীদের দাবি’ বলে অভিহিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশাল সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলমসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্য সমন্বয়করা।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।
অসহযোগ আন্দোলনের পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রবিবার থেকে তারা আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২
বরিশালে পুলিশ ও বক্স ও আমর্ড ব্যাটালিয়নের গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৪
৪৮৮ দিন আগে
কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’, সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
সরকারি কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী 'বাংলা ব্লকেড' পালন করছে কোটাবিরোধীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ২টি পয়েন্টে অবরোধ করছে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের নথুল্লাবাদে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের কারণে সারাদেশের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মহাসড়কের ৫ কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: বুধবার সারা দেশে 'বাংলা ব্লকেড'
কুমিল্লায় বেলা ১১টার দিকে কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও খুলনার ব্রজলাল কলেজের (বিএল) শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে নতুন রাস্তা এলাকায় রাস্তা দখলে নেয়। তারা রেললাইন অবরোধ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এদিকে সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা জব্বার মোড় এলাকায় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস থামিয়ে রেললাইনে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাংলা ব্লকেডের সমর্থনে ক্যাম্পাসে মিছিলও করে তারা।
এর আগে মঙ্গলবার কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত 'বাংলা ব্লকেড’ চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল।
এ অবরোধের কারণে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে সড়ক ও রেলপথে যান চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাপক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: 'বাংলা ব্লকেড': ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে গতকাল আপিল বিভাগে আবেদন করেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে গত ৪ জুলাই রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখা কোটা পদ্ধতি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা চ্যালেঞ্জ জানায়, যার ফলশ্রুতিতে ২০২৪ সালের ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা
৫১২ দিন আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলন: দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ ও অন্যান্য কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ ও এর আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।
৫১৯ দিন আগে