মির্জা আব্বাস
দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলদেশে আজকের এ স্বাধীনতা দিবস পালন প্রমাণ করবে যে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে দেশে কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলেন, তারা স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চান, অর্থাৎ একাত্তরের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা ছিল না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি বলব তারা যেন এখানেই নিবৃত্ত থাকেন ও স্বাধীনতা দিবসকে যেন সম্মান জানান ও শ্রদ্ধা করেন।’
বুধবার (২৬ মার্চ) জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যে নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনৈক্য কিছু নাই, একটা স্বার্থের জায়গা আছে। প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলবো না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে: মির্জা আব্বাস
তিনি আরও বলেন, ‘এখন দলীয় আদর্শের ওপর আমরা হয়তো ভিন্নভাবে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে কথা বলছি। তবে অনৈক্য যদি কেউ বলেন, এমন সময় যদি আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন—তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব।’
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আমরা সেখানেই বিশ্বাস রাখতে চাই। আমাদের বিশ্বাসের পরিবর্তন করতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন ও দেশে থেকে দেশকে স্বাধীনও করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদটা আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এখন আবার নতুন করে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন আশ্বাস পেয়েছি। দেশবাসী আরও একবার জঞ্জালমুক্ত হয়েছে।’
২৪ দিন আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে: মির্জা আব্বাস
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে 'কৃত্রিম বিভাজন' সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একসঙ্গে ইফতারে বসেছি। আমরা সবাই মিলে এই মুহূর্তটা উপভোগ করছি। আমরা যদি এভাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজ করি তাহলে সমস্যা কোথায়?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠনে অন্যান্য দলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে তাদের দল কোনো সমস্যা দেখছে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কৃত্রিম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমাদের বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন দল একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছে, অভিযোগ ছুঁড়ে দিচ্ছে—এটা ঠিক নয়। এভাবে চলতে থাকলে ৫ আগস্ট আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি— তা নষ্ট হয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেলে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিগত বছরগুলোতে এ ধরনের সমাবেশ ঘিরে স্বাভাবিক আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তা এখন আর নেই।
আরও পড়ুন: মাগুরার শিশু ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর, তার আগের বছর, এমনকি তার আগের বছরও আমরা উদ্বেগ ও আশঙ্কা নিয়ে ইফতারে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন সেই আশঙ্কা কেটে গেছে। এখন কোনো নিপীড়ন নেই এবং আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে এসেছি এবং শান্তিপূর্ণভাবে চলে যাব। ৫ আগস্ট আমাদের আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এ অবস্থা অর্জন করেছি। সেই অর্জনের সুফল আমরা ভোগ করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইফতার মাহফিলে তারা যেমন একসঙ্গে বসেছেন, তেমনি নির্বাচন থেকে শুরু করে সরকার গঠনসহ ভবিষ্যতের সব কর্মকাণ্ডে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান।
তিনি একটি উন্নত দেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন ঘৃণা, হিংসা এবং ঈর্ষা কখনই জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।
কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে ৫ আগস্টের ত্যাগ ও সংগ্রাম যেন অর্থহীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে নিজ নিজ বিবেকের কাছে জবাবদিহি করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন সুস্পষ্ট রোডম্যাপ থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার, আলাপ-প্রস্তাব অব্যাহত থাকবে। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য একটি রোডম্যাপ দরকার। আমরা ও দেশের জনগণ আশা করছি, সরকার শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ উপস্থাপন করবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা তাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন এবং তিনি তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু একটি বিষয়ে স্পষ্টতা চাই- প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দেবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
৩৭ দিন আগে
নির্বাচন পেছানোর আশঙ্কা যৌক্তিক: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সংস্কারের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন পেছানো হতে পারে বলে জনমনে যে ধারণার জন্ম হয়েছে তা ভিত্তিহীন নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার সংস্কারমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কিন্তু তাদের সংস্কার প্রস্তাবে আমি নতুন কিছু পাইনি, যা ইতোমধ্যে আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সুতরাং সংস্কার ইস্যুকে নির্বাচন পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জাতির ধারণা ভিত্তিহীন নয়।’
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাব নিয়ে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সংশোধন করে সরকার সংস্কার উদ্যোগ সম্পন্ন করতে পারে এবং দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে।
আরও পড়ুন: সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করা যায় কি না, বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
তিনি বলেন, 'সরকার এমনকি আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাব সংশোধন করে জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাও দিতে পারে। সরকার বলেছে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, কিন্তু অহেতুক বিলম্বের কারণ বুঝতে পারছি না।’
সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর পক্ষে মত দেওয়ায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলেরও সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য, কথা বলার অধিকারের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য আমাদের তাজা রক্ত দিয়েছি। কিন্তু এখন যখন ভোটের সময় এসেছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে যা খুশি তাই করেছে। তিনি বলেন, 'আপনারা (কিছু রাজনৈতিক দল) কি একই কথা ভাবেন? এই বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই বাংলাদেশ জনগণের। তাই ভেবেচিন্তে কথা বলুন, যাতে কোনো হিসাব-নিকাশ না করেই আমাদের কথা বলতে না হয়।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কিছু লোভী রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল নিছক বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে, কোনো বাস্তব কারণে নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ভারত ভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই দলগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম নেই। তারা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। তারা যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।’
মির্জা আব্বাস বলেন, কোনো দল গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছেন কেন?’
তিনি বলেন, যারা দাবি করে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, তাদের ব্যাখ্যা করা উচিত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তাদের কতজন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তিনি বলেন, এক মাসে আমাদের ৪২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আপনাদের কতজন শহীদ হয়েছে?’
বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের চেয়ে বেশি তুলে ধররা সাংবাদিকদের একটি অংশের সমালোচনাও করেন দলটির এই নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন দল, টেলিভিশন চ্যানেল ও ইউটিউবাররা সমন্বিতভাবে দলের বদনাম করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ‘আমাদের কর্তব্য হচ্ছে আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এগুলোকে প্রতিহত করা।’
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, 'তারা (অপরাধীরা) অন্যায় করে, চাঁদাবাজি করে, অপকর্ম করে, তারপর এর জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করে। কথায় বা কাজের মাধ্যমে এই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা এখন বিএনপি-জামায়াতসহ সব দলে অনুপ্রবেশ করেছে। ‘এই চাঁদাবাজরা কমবেশি সব দলেই অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের চিহ্নিত করে হয় দল থেকে বহিষ্কার করুন অথবা পুলিশের হাতে তুলে দেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিতে দুর্বৃত্ত, অপরাধী ও চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই। তিনি বলেন, বিএনপিতে খারাপ লোকের কোনো স্থান হবে না—এটা মনে রাখবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
৩৮ দিন আগে
কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে: মির্জা আব্বাস
বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল সরকারকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এরমধ্য দিয়ে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন বিলম্বিত করতে চাচ্ছেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছেন।’
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে বলতে চাই, আপনারা ডিসেম্বরের ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। আমরা সব সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইনশা আল্লাহ।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন, কখনো বলেন যাবেন না, কখনো বলেন যাবেন, কখনো বলেন এটা হলে যাব, কখনো বলেন ওটা হলে যাব।
‘আরে ভাই আপনাদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ২০০৮ সালে বিএনপি এবং আমাদের জোট নির্বাচনে গিয়েছিল, ফলে বাংলাদেশের অনেক নামিদামি, অনেক বিখ্যাত-প্রখ্যাত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে ফাঁসির কাষ্ঠে।’আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
এমন ভুল আর না করতে দলটির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ওই রকম ভুল আর করবেন না দয়া করে। একটি ভুল লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা করবেন না।’
এ সময়ে সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এটা আমি সরকারকে বলছি না, আমি বলছি এই সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। এই সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছেন।’
সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের কিংবা সুযোগসন্ধানী কিছু লোক এ সময়ে দলের নতুন করে সদস্য হওয়া চেষ্টা করবেন। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৬৪ দিন আগে
‘নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি আছি, তবে যুগ যুগ ধরে নয়’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেনে, ‘নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি আছি; সংস্কার হবে। তবে যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করতে রাজি নই। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ- এসব কিছুর জন্য রাজনৈতিক সরকার দরকার। নির্বাচনের রোডম্যাপ দরকার।’
বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
এ বিষয়টি নিয়ে মির্জা আব্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যটা শুনি নাই, আপনার মুখেই যেটুকু জানলাম। উনি যেটা বলেছেন, যথার্থ বলেছেন। নির্বাচনে যারা পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) করবে, যারা অংশীজন, তারা যদি চায় তিনি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবেন… সাদুবাদ জানাই। কিন্তু এর বাইরে কোনা কথা কারো নাই।’
‘আর সংস্কার একটা বিষয়। এটা যুগ যুগ ধরে চলবে, এটা নতুন কিছু না। এটা একটা প্যাকেট না যে, একটা প্যাকেটে করে এনে আমি সংস্কার হয়ে গেলাম। এটা সময়ের বিবর্তনে, সময়ের চাহিদায় সংস্কার প্রয়োজন হয়। আমরা আশা করছি, এই সরকার দ্রুততম সময়ে জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফেরত দেবে এটাই আমাদের কাম্য।’
তিনি বলেন, বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ভোটের অধিকার চায়। আমরা শুনেছি, আমরা দেখেছি, ভোটের কথা বললে, ইলেকশনের কথা বললে অনেকে মুখ বাকা হয়ে যায়। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব পরিষ্কার বলেছেন- আমাদের কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, এটা একটু আমাদের জানিয়ে দিন।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, দক্ষিণের তানভীর আহমেদ রবিন, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্নাসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
১২৪ দিন আগে
সরকারের ভেতরের কিছু লোক দেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে: আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করতে একটি কুচক্রী মহল কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের ভেতরেরই কিছু লোক ড. ইউনুসকে ভুল পথে চালানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেছেন, ‘অন্যদিকে, বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো ড. ইউনুসকে সঠিক পথে চালানোর জন্য কাজ করছি। তবে কিছু লোক বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ট্যাগ করার চেষ্টা করছে। দেশের বাইরে কিছু ভ্লগার আছেন, যাদের কাজই হলো বিএনপির ক্ষতি করা।’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ২১ আগস্ট একটি গ্রেনেড হামলা হয়েছিল যা পরিকল্পিত একটি বিদেশি শক্তির কাজ ছিল। তাতে বিএনপি কখনও ইনভলভ (জড়িত) ছিল না। কিন্তু ওই হামলা ঘিরে একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়। সেই মামলার আজ রায় হয়েছে, যে রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারেক রহমান জড়িত নয়।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য ১৭ বছর ধরে আমরা রাজপথে আন্দোলন করে আসছি। তার জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে যেতে হয়েছে। এত কষ্ট করার পর তাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, যে বিএনপির সঙ্গে আপনাদের শত্রুতা কী? কেন আপনারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের ট্যাগ (যুক্ত) করতে চান?’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র আর আওয়ামী লীগ এই দুটো শব্দ একসঙ্গে যায় না। বিএনপি আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায়, কারণ খালেদা জিয়া সবসময় গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।’
‘আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা গণতান্ত্রিক দল। শেখ হাসিনা যদি গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন, তাহলে দেশের আজ এই দশা হতো না।’
আরও পড়ুন: অখণ্ড ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির মধ্যেই রয়েছে শান্তির চাবিকাঠি: আব্বাস
১৩৯ দিন আগে
বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপহাস: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, রমজানে বরই দিয়ে রোজা ভাঙতে মন্ত্রীর যে পরামর্শ, সেটি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করা।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকারের মতোই এখন তারা জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করছে।
সোমবার সকালে শাজাহানপুরের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মির্জা আব্বাস প্রশ্ন করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইফতারের সময় আমদানি করা দামি ফল দিয়ে রোজা ভাঙবেন কিন্তু মানুষকে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, এরা কেমন দায়িত্বশীল সরকার?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে দেশের মানুষ চাপ ও ভয় ছাড়া ধর্মীয় কর্মকাণ্ড করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যের কারণে মানুষ ভয়ানক সময় পার করছে অথচ আওয়ামী লীগ নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা ভাবছে না
বিএনপি নেতা বলেন, তার দল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নয়, বরং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি যাতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা শুরুতেই চক্রান্ত করেছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে ব্যাপক হামলা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের’ পর, ‘ডামি সরকার’ তাদের সময় মুক্তভাবে উপভোগ করছে না কারণ তারা সবসময় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকে।
নিজের কারাবাসের কথা স্মরণ করে বিএনপি নেতা বলেন, এবারের জেল জীবন ছিল ভয়ানক কারণ আমরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কারাগারে বন্দি।
৪০৪ দিন আগে
মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর
রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগে ঢাকা রেলওলয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। আগে ১০ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এই এক মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ তিনি। তার জামিন প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ১ নভেম্বর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
৪২৫ দিন আগে
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক ৯ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিন মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনও জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
পল্টন থানার পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে এবং রমনা থানার চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে জামিনের আদেশ দেন আদালত।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন- জয়নুল আবেদীন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসকে ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
মির্জা আব্বাস, আলতাফ ও আলালের জামিন আবেদন খারিজ
৪৩৯ দিন আগে
মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে এগুলো নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ এসব মামলা করে।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
এর মধ্যে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা, পল্টন ও ঢাকা রেলওয়ে থানায় ১০টি এবং এ্যানীর বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা হয়।
গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
পরে জামিন আবেদন গ্রহণ করে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন তারা।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও ৫ অক্টোবর এ্যানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
৪৫৪ দিন আগে