মির্জা আব্বাস
জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়: মির্জা আব্বাস
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা স্বাভাবিক নয় দাবি করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ তুলেছেন, জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে ‘স্লো পয়জনিং’ করা হয়েছিল।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত রূপসী বাংলা আলোকচিত্রী প্রদর্শনী ও প্রতিযোগীতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, জাতির প্রতি অনুরোধ করব, প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি মানুষ যেন খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করেন। তার ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তা আমি দেখেছি। জেলে থাকাকালে তিনি স্লো পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছেন। তার বর্তমান অসুস্থতা স্বাভাবিক নয়।
খালেদা জিয়া আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও এখনো সংকট কাটেনি উল্লেখ করে ‘জনগণের প্রিয়’ এই নেত্রীর সুস্থতার কামনায় তিনি সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান।
এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) বিএনপি চেয়ারপারসনের সংকটাপন্ন অবস্থার খবর শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনিও বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও।
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ২৩ নভেম্বর রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা করে খালেদা জিয়ার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগে থেকেই থাকা হৃদরোগের সঙ্গে এই সংক্রমণ ফুসফুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
৫ দিন আগে
দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের পলায়নের পর বিএনপিকেও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে রাজনীতিশূন্য করতে দেশি-বিদেশি মহলের প্ররোচনায় আবারও একটি নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয় হয়েছে।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আব্বাস বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, খাগড়াছড়ির সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালকে কেন্দ্র করে ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ সাধনে সচেষ্ট মহলগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন অজুহাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার মাধ্যমে এমন চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ঘোষিত ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন না হলে দেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে বলেও সতর্ক করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
পড়ুন: কৌশল নয়, জনগণের রায়ের মাধ্যমে রাজনীতির মোকাবিলা করুন: তারেক
আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন নতুন এক মাইনাস-টু ফর্মুলা চালু হয়েছে, যা ১/১১ সময়কার মাইনাস-টু ফর্মুলার মতোই। আগেরবার সেটি এসেছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে। আর এবার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ভিন্ন আকারে একই চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’
তিনি বলেন, এসব অপচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি গোষ্ঠী সমন্বিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা ও রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিএনপিকে ‘খারাপ’ বা ‘অবিশ্বস্ত’ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এখনো প্রশাসনের ভেতরের আওয়ামীপন্থী ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক ও আদর্শিক গোষ্ঠীর একাংশ বিএনপিকে দুর্বল করতে সক্রিয় রয়েছে। ‘তারা মনে করছে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় বিএনপিকে সরিয়ে দিতে পারলেই দেশের শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে চলে যাবে।’
আব্বাস বলেন,‘যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়, তারাই নিজেদের স্বার্থে নতুন করে মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ১/১১–তে এটি এক রূপে এসেছিল, তখন একটি সেনাসমর্থিত সরকার ছিল। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকায় ভিন্ন ধরনের ‘মাইনাস-বিএনপি ফর্মুলা’ চালানো হচ্ছে।
কারা এর পেছনে রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, ‘শয়তান নানা ছদ্মবেশে আসে। একই দেশি-বিদেশি মাস্টারমাইন্ডরা নতুনভাবে মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।’
পড়ুন: আসন্ন নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে আইআরআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
তার মতে, এই প্রচেষ্ঠার উদ্দেশ্য একমাত্র বিএনপিকে দুর্বল বা সরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনীতি নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করা। এই পরিকল্পনায় পিছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়।
আব্বাস দাবি করেন, অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক আমলা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে, কারণ তারা মনে করছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিলে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল হবে। ‘প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব থেকে তারা বিএনপিকে বাদ দিতে চায়।’
তিনি বলেন, এমনকি কিছু রাজনৈতিক দলও এই সুরে সুর মিলিয়ে বলছে, বিএনপি এখন সেই একই পথে এগোচ্ছে, যা একসময় আওয়ামী লীগ অনুসরণ করেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইসলামী দলসহ কয়েকটি রাজনৈতিক শক্তি নানা ইস্যু উত্থাপন করছে, যাতে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হয়।
‘একটি দল তো বলছে, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেবে না। তারা ফ্যাসিবাদীদের মতো আচরণ করছে’ যোগ করেন আব্বাস।
এই পরিস্থিতিতে আব্বাস দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ‘আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি, নিজ দেশের মাটি অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নয়।’
তার মতে, নতুন মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা এবং সেন্ট মার্টিন, সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনাও আসলে একই সূত্রে গাঁথা, ভিন্ন কোনো বিষয় নয়।
বিএনপির এই নেতা মনে করেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হবে। বিএনপির বিপুল জনপ্রিয়তা থাকায় কিছু মহল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ‘কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে, মিথ্যা প্রচারণায় কেউ দলের জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করতে পারবে না,’ বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের সরাতে হবে। ‘অন্যথায়, সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হবে।’ বিএনপি সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং ফেব্রুয়ারিতে ভোটের প্রত্যাশায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্ভাব্য জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আব্বাসের ধারণা, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, যা সফল হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের ফেব্রুয়ারিতে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আব্বাস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে।’
পড়ুন: বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না—এ বিষয়ে আব্বাস বলেন, এটি তার ইচ্ছা ও শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ‘খালেদা জিয়া নিজেও এ বিষয়ে কিছু বলেননি।’বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়ার কোনো ভূমিকা থাকবে কি না—এমন প্রশ্নে আব্বাস বলেন, সময়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেবে।
ইসলামী দলগুলোর জোট গঠনের চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি এতে চিন্তিত নয়। ‘বাংলাদেশের জনগণ উদারপন্থী মুসলিম, তারা সাম্প্রদায়িকতাকে নয়, গণতান্ত্রিক ও মধ্যপন্থী দলকেই পছন্দ করে।’
১০৪ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতন: জড়িতদের বিচারের দাবি মির্জা আব্বাসের
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের অত্যন্ত খারাপ ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, খালেদাকে এমন একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল যেখানে ইঁদুর ও পোকামাকড় দৌড়াদৌড়ি করতো। সেখানে মানুষ তো দূরের কথা, প্রাণীদেরও বাঁচার জন্য সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি বলেন, কয়েকজন ডেপুটি জেলার ও জেলার অন্যায়ভাবে তাকে ছাদের ওপরে একটি কক্ষে রেখেছিল। আজ আমি এই অনুষ্ঠান থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেলজীবনে তার ওপরে যে অত্যাচার হয়েছে, যে নির্যাতন হয়েছে, কারা এর পেছনে দায়ী তাদের সবার বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
তিনি স্মরণ করেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের ১৫ দিন পর দেখা করার সুযোগ ছিল। দেখেছি, তিনি কী রকম মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। বাইরে থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি, তবুও ব্যর্থ হয়েছি।তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। বুঝতে পেরেছি তাঁকে তখন বোধ হয় খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দেওয়া হতো।
মির্জা আব্বাস খালেদার দীর্ঘ জীবন, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক যাত্রা বিশ্বে নেতৃত্বের এক দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি গৃহিণী থেকে জনগণের পাশে দাঁড়ানো নেতা হয়ে ওঠেন, দল ও দেশকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব দেন।
পড়ুন: ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
খালেদার শক্তি ও নিষ্ঠার প্রশংসা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা যারা কয়েকজন তাদের সাথে কাজ করেছি তারা নানা চাপের মধ্যে দেশনেত্রীর দৃঢ় মনোবল দেখেছি। গণতন্ত্রের প্রশ্নের তার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি তার যে ভালোবাসা ও স্নেহ, তা তুলনাহীন।
২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে অস্বাস্থ্যকর সেলে রাখা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করলেও বার বার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার নাকচ করে দেয়।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে, ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। এ সময় তাকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’তে গৃহবন্দি রাখা হয়।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে ও এতিমখানা-মাদ্রাসায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দলের চেয়ারপার্সনের আরোগ্য কামনায় খালেদার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনায় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শহীদদের শান্তির জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানও বক্তব্য রাখেন।
১১১ দিন আগে
সরকারকে পক্ষপাতিত্ব না করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের
অন্তর্বর্তী সরকারকে 'পক্ষপাতমূলক আচরণ' পরিহার ও দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে, পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করুন। এটি দেশের ক্ষতি করছে।’ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক মৌন মিছিল উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি পক্ষের প্রতি ঝুঁকে এবং অন্য পক্ষকে পাশ কাটিয়ে বিএনপিকে নির্মূলের করার চেষ্টা করবেন না। ‘কখনও এমন চিন্তা করবেন না।’
তিনি বলেন, বিএনপি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে।
আব্বাস বলেন, ‘আমরা এখনও আপনাদেরকে (সরকারকে) সমর্থন করছি। তাই, দয়া করে খুব শিগগিরই একটি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে চলমান অস্থিরতা শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তা না হয়—তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে যে, আপনারাই দেশকে অস্থিতিশীল করছেন—যাতে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন।’
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পড়ুন: বিভ্রান্তির রাজনীতির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
কিছু রাজনৈতিক নেতার সাম্প্রতিক আপত্তিকর মন্তব্যকে উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, কেউ কেউ বলেছেন বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হওয়ার পর বিএনপির নাম গিনেস বুকে লেখা হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা বিএনপিকে মুছে ফেলতে চায়। আমি তাদের বলছি, দয়া করে জিভ সংযত রাখুন। এটা আপনার জন্য, দেশের জন্য এবং জনগণের জন্য ভালো হবে।’
বিএনপির এই নেতা রাজনৈতিক নেতাদের তাদের দল সম্পর্কে এমন বাজে এবং অযৌক্তিক মন্তব্য না করারও আহ্বান জানান, যাতে জনরোষের সৃষ্টি না হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করবেন না বা আমাদের অন্য দিকে ঠেলে দেবেন না। আপনারা বিএনপির সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপি ঝগড়ায় জড়াবে না। বিএনপি বিশৃঙ্খলার দল নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে এবং জনগণের সঙ্গে থাকে।’
৫ আগস্টের পর কিছু রাজনৈতিক নেতার লম্বা দাবির সমালোচনাও করেন মির্জা আব্বাস। বলেন, ‘আমি জানি না তারা কী পেয়েছে বা কোথা থেকে সাহস পেয়েছে। আমরা আশা করি আপনারা শক্তিশালী এবং সাহসী হয়ে উঠবেন, কিন্তু দয়া করে বিএনপির মতো সত্যিকারের দেশপ্রেমিক দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজব এবং অপবাদ ছড়াবেন না।’
মিটফোর্ডে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন যুবদল নেতা খুনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু কেউ কেউ এই ঘটনাকে বাংলাদেশ থেকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতায় আসার পথ পরিষ্কার করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। এটা সত্য নয়। বিএনপি ১৭ বছর ধরে রাজপথে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। এখন আপনারা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা দখল করতে চান।’
পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তীব্র নিন্দা বিএনপির
তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা ক্ষমতায় আসার পথ মসৃণ করতে বিএনপিকে সরিয়ে দিতে চান তারা ভুল করছেন। ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির একজনও নেতা বা কর্মী বেঁচে থাকবেন, ততক্ষণ আপনাদের বিএনপিকে নির্মূল করার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।’
আব্বাস বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ১৭ বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তারা জানে কীভাবে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে হয় এবং কীভাবে জেলে টিকে থাকতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই হুমকি দিয়ে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না।’
বক্তৃতার শুরুতে আব্বাস জুলাইয়ের বিদ্রোহের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশ গঠনে কাজ করার পরিবর্তে কিছু দল তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ও রাজনীতিতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য শহীদদের ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
পরে, বিএনপি নেতাকর্মীরা মৌন মিছিল বের করে। মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মৌচাক এবং মালিবাগ ক্রসিং হয়ে আবুল হোটেলের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
১৩৯ দিন আগে
নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নির্বাচন দিলে বিএনপির ক্ষমতায় আসবে—এটা সরকার ও অন্য দল নিশ্চিত হয়ে গেছেন। তাই তারা নির্বাচন দিতে চান না। তিনি বলেন, নির্বাচনের কথা বললে তাদের গায়ের জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যে স্বাধীনতার জন্য জিয়াউর রহমান প্রাণ দিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে, তারেক রহমান দেশের বাহিরে—সেই গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে অপসারণ করা হচ্ছে: মির্জা আব্বাস
তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা কুকুরে মুখে ছিলাম, আজ কুকুর থেকে বাঘের মুখে পড়েছি। নিবার্চন আদায় করে আমাদের ন্যায্য হিসাব আদায় করে নিতে হবে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া তাহের সুমন, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম প্রমুখ।
২০৩ দিন আগে
প্রশাসনের বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে অপসারণ করা হচ্ছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, প্রশাসন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের সরিয়ে আওয়ামী লীগ বা জামায়াতপন্থীদের বসানো হচ্ছে।
সোমবার (১২ মে) এক আলোচনা সভায় এমন অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘সচিবালয়ের ভেতরে কী ঘটছে? ফ্যাসিস্ট দলের অনুসারীরা এখনও নিজের জায়গায় আছেন। যাদের কারাগারে থাকার কথা ছিল—তারা এখন সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ শাসনামলে সচিব ছিলেন এবং এখনও একই পদে আছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, আবার, বিএনপির আমলে প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখনও অবসর নেননি, তাদের এখন উপেক্ষা করা ও দূরে রাখা হচ্ছে।
বিএনপির প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে উপেক্ষা করা শুরু হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো বিএনপির প্রভাব দূর করা। ‘বিএনপি-সমর্থিত কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত অথবা অন্তত জামায়াতে ইসলামীর অনুগতদের পদ দেওয়া হচ্ছে... এই ধারা এখন থানা, আদালত এবং সচিবালয়ের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি-নির্মূলের এই পদক্ষেপ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে এই ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় খুশি বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি বিএনপিকে নির্মূল করা যায়, তাহলে আওয়ামী লীগের মতো বাংলাদেশের সম্পদ লুণ্ঠন করা যেতে পারে... বিএনপিই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা এখন বিদেশি প্রভাবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে এবং বাইরের প্রভুদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সচেষ্ট। যদি অন্য কোনো দেশপ্রেমিক দল থাকত, তাহলে তারা এখনই তাদের আওয়াজ তুলত।’।
তবে আব্বাস বর্তমান সরকারকে মনে করিয়ে দেন যে, পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারও বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে ভিআইপি গেট ব্যবহার করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ায় তিনি সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সংবাদপত্রে পড়েছি যে তিনি লুঙ্গি, টি-শার্ট এবং মাস্ক পরেছিলেন... কিন্তু তিনি কীভাবে ভিআইপি এলাকায় প্রবেশাধিকার পেলেন? যদি না আপনি একজন সুসম্পর্কযুক্ত ব্যক্তি বা ভিআইপি হন, তাহলে কীভাবে তা সম্ভব?’
তিনি বলেন, ভিআইপি সুবিধার সুযোগ নিয়ে হামিদ বিমানবন্দর পেরিয়ে গেলেও সরকার কিছুই না জানার ভান করেছে। ‘প্রায় ৬২২ জন আওয়ামী লীগের সদস্যও দেশ ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু সরকার বলেছে তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানে না। আপনাদের যা জানেন না, তা জানা প্রয়োজন।’
আব্বাস অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন ধরে জাতি বাংলাদেশে সার্কাসের মতো দেখতে এক ধরণের নাটক, এক ধরণের সার্কাস প্রদর্শনী দেখছে।
তিনি বলেন, ‘অতীতে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে শেখ হাসিনা যখনই কোনো পদক্ষেপ নিতে যেতেন, তখনই তিনি আমাদের মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে অন্য কোথাও কিছু গোপনীয় কাজ করতেন—আমার কাছে এটা তেমনই মনে হয়। এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেখে আমরা ধরে নিতে পারি যে, তিনি তার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারতের পুশ-ইন: সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ঝাড়লেন রিজভী
আব্বাস আরও প্রশ্ন তোলেন, শাহবাগে হঠাৎ করে নাটক কেন শুরু হলো, কারণ এলাকাটি আগে সমাবেশ ও বিক্ষোভের জন্য নিষিদ্ধ ছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, ‘ক্ষমতাসীন’ এনসিপির সদস্যরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সেখানে সমাবেশ এবং মিছিল বের করে। ‘তাদের দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। তাদের (সরকার) এটা করতে কে বাধা দিচ্ছিল? বিএনপি কি তাদের বাধা দিচ্ছিল?’
আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করার জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করার জোরালো প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ‘আমরা কেন এটা করব? তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের জীবনের ১৭ বছর কেড়ে নিয়েছে। আমরা আমাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি, গুরুতর স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছি এবং আমাদের পরিবারের কেউই শান্তিতে বাস করেনি। ১৭ বছরে আমাদের একজনও কর্মী শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। আর এখন আওয়ামী লীগকে লালন-পালন ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব আমাদেরই?’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
তিনি দাবি করেন যে, বিএনপির প্রতি ঈর্ষান্বিত ও দলকে সহ্য করতে বা গ্রহণ করতে না পেরে একটি অজনপ্রিয় দল এবং কিছু মহল ইচ্ছাকৃতভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা আরও দাবি করেন, তিনিসহ তাদের দলের নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্যে দ্ব্যর্থহীনভাবে আওয়ামী লীগের বিচারের কথা বলছেন। ‘বিএনপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করতে চায়, যারা এমন দাবি করেন—তারা জাতির শত্রু।’
২০৬ দিন আগে
দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলদেশে আজকের এ স্বাধীনতা দিবস পালন প্রমাণ করবে যে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে দেশে কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলেন, তারা স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চান, অর্থাৎ একাত্তরের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা ছিল না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি বলব তারা যেন এখানেই নিবৃত্ত থাকেন ও স্বাধীনতা দিবসকে যেন সম্মান জানান ও শ্রদ্ধা করেন।’
বুধবার (২৬ মার্চ) জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যে নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনৈক্য কিছু নাই, একটা স্বার্থের জায়গা আছে। প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলবো না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে: মির্জা আব্বাস
তিনি আরও বলেন, ‘এখন দলীয় আদর্শের ওপর আমরা হয়তো ভিন্নভাবে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে কথা বলছি। তবে অনৈক্য যদি কেউ বলেন, এমন সময় যদি আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন—তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব।’
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আমরা সেখানেই বিশ্বাস রাখতে চাই। আমাদের বিশ্বাসের পরিবর্তন করতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন ও দেশে থেকে দেশকে স্বাধীনও করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদটা আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এখন আবার নতুন করে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন আশ্বাস পেয়েছি। দেশবাসী আরও একবার জঞ্জালমুক্ত হয়েছে।’
২৫৩ দিন আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে: মির্জা আব্বাস
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে 'কৃত্রিম বিভাজন' সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একসঙ্গে ইফতারে বসেছি। আমরা সবাই মিলে এই মুহূর্তটা উপভোগ করছি। আমরা যদি এভাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজ করি তাহলে সমস্যা কোথায়?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠনে অন্যান্য দলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে তাদের দল কোনো সমস্যা দেখছে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কৃত্রিম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমাদের বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন দল একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছে, অভিযোগ ছুঁড়ে দিচ্ছে—এটা ঠিক নয়। এভাবে চলতে থাকলে ৫ আগস্ট আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি— তা নষ্ট হয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেলে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিগত বছরগুলোতে এ ধরনের সমাবেশ ঘিরে স্বাভাবিক আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তা এখন আর নেই।
আরও পড়ুন: মাগুরার শিশু ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর, তার আগের বছর, এমনকি তার আগের বছরও আমরা উদ্বেগ ও আশঙ্কা নিয়ে ইফতারে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন সেই আশঙ্কা কেটে গেছে। এখন কোনো নিপীড়ন নেই এবং আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে এসেছি এবং শান্তিপূর্ণভাবে চলে যাব। ৫ আগস্ট আমাদের আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এ অবস্থা অর্জন করেছি। সেই অর্জনের সুফল আমরা ভোগ করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইফতার মাহফিলে তারা যেমন একসঙ্গে বসেছেন, তেমনি নির্বাচন থেকে শুরু করে সরকার গঠনসহ ভবিষ্যতের সব কর্মকাণ্ডে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান।
তিনি একটি উন্নত দেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন ঘৃণা, হিংসা এবং ঈর্ষা কখনই জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।
কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে ৫ আগস্টের ত্যাগ ও সংগ্রাম যেন অর্থহীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে নিজ নিজ বিবেকের কাছে জবাবদিহি করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন সুস্পষ্ট রোডম্যাপ থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার, আলাপ-প্রস্তাব অব্যাহত থাকবে। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য একটি রোডম্যাপ দরকার। আমরা ও দেশের জনগণ আশা করছি, সরকার শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ উপস্থাপন করবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা তাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন এবং তিনি তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু একটি বিষয়ে স্পষ্টতা চাই- প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দেবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
২৬৬ দিন আগে
নির্বাচন পেছানোর আশঙ্কা যৌক্তিক: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সংস্কারের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন পেছানো হতে পারে বলে জনমনে যে ধারণার জন্ম হয়েছে তা ভিত্তিহীন নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার সংস্কারমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কিন্তু তাদের সংস্কার প্রস্তাবে আমি নতুন কিছু পাইনি, যা ইতোমধ্যে আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সুতরাং সংস্কার ইস্যুকে নির্বাচন পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জাতির ধারণা ভিত্তিহীন নয়।’
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাব নিয়ে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সংশোধন করে সরকার সংস্কার উদ্যোগ সম্পন্ন করতে পারে এবং দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে।
আরও পড়ুন: সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করা যায় কি না, বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
তিনি বলেন, 'সরকার এমনকি আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাব সংশোধন করে জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাও দিতে পারে। সরকার বলেছে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, কিন্তু অহেতুক বিলম্বের কারণ বুঝতে পারছি না।’
সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর পক্ষে মত দেওয়ায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলেরও সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য, কথা বলার অধিকারের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য আমাদের তাজা রক্ত দিয়েছি। কিন্তু এখন যখন ভোটের সময় এসেছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে যা খুশি তাই করেছে। তিনি বলেন, 'আপনারা (কিছু রাজনৈতিক দল) কি একই কথা ভাবেন? এই বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই বাংলাদেশ জনগণের। তাই ভেবেচিন্তে কথা বলুন, যাতে কোনো হিসাব-নিকাশ না করেই আমাদের কথা বলতে না হয়।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কিছু লোভী রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল নিছক বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে, কোনো বাস্তব কারণে নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ভারত ভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই দলগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম নেই। তারা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। তারা যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।’
মির্জা আব্বাস বলেন, কোনো দল গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছেন কেন?’
তিনি বলেন, যারা দাবি করে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, তাদের ব্যাখ্যা করা উচিত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তাদের কতজন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তিনি বলেন, এক মাসে আমাদের ৪২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আপনাদের কতজন শহীদ হয়েছে?’
বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের চেয়ে বেশি তুলে ধররা সাংবাদিকদের একটি অংশের সমালোচনাও করেন দলটির এই নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন দল, টেলিভিশন চ্যানেল ও ইউটিউবাররা সমন্বিতভাবে দলের বদনাম করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ‘আমাদের কর্তব্য হচ্ছে আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এগুলোকে প্রতিহত করা।’
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, 'তারা (অপরাধীরা) অন্যায় করে, চাঁদাবাজি করে, অপকর্ম করে, তারপর এর জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করে। কথায় বা কাজের মাধ্যমে এই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা এখন বিএনপি-জামায়াতসহ সব দলে অনুপ্রবেশ করেছে। ‘এই চাঁদাবাজরা কমবেশি সব দলেই অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের চিহ্নিত করে হয় দল থেকে বহিষ্কার করুন অথবা পুলিশের হাতে তুলে দেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিতে দুর্বৃত্ত, অপরাধী ও চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই। তিনি বলেন, বিএনপিতে খারাপ লোকের কোনো স্থান হবে না—এটা মনে রাখবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
২৬৭ দিন আগে
কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে: মির্জা আব্বাস
বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল সরকারকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এরমধ্য দিয়ে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন বিলম্বিত করতে চাচ্ছেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছেন।’
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে বলতে চাই, আপনারা ডিসেম্বরের ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। আমরা সব সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইনশা আল্লাহ।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন, কখনো বলেন যাবেন না, কখনো বলেন যাবেন, কখনো বলেন এটা হলে যাব, কখনো বলেন ওটা হলে যাব।
‘আরে ভাই আপনাদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ২০০৮ সালে বিএনপি এবং আমাদের জোট নির্বাচনে গিয়েছিল, ফলে বাংলাদেশের অনেক নামিদামি, অনেক বিখ্যাত-প্রখ্যাত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে ফাঁসির কাষ্ঠে।’আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
এমন ভুল আর না করতে দলটির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ওই রকম ভুল আর করবেন না দয়া করে। একটি ভুল লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা করবেন না।’
এ সময়ে সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এটা আমি সরকারকে বলছি না, আমি বলছি এই সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। এই সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছেন।’
সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের কিংবা সুযোগসন্ধানী কিছু লোক এ সময়ে দলের নতুন করে সদস্য হওয়া চেষ্টা করবেন। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৯৩ দিন আগে