মির্জা আব্বাস
আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ যার নেতৃতে যখনই ক্ষতায় গেছে, তখনই দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার বিকালে ময়মনসিংহে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
সমাবেশ শেষে নগরীর টাউন হল মোড়ে পদযাত্রা বের করে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি। তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে পদযাত্রা শেষ করে।
‘বিএনপির কোনো বন্ধু নাই’ আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্যের জবানে তিনি বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কোনো প্রভু নাই, আমাদের দেশের বাইরে যদি কোনো বন্ধু না থাকে তাহলে প্রয়োজনও নাই। দেশের মানুষই আমাদের বন্ধু। কারণ তারা বিএনপিকে পছন্দ করে।
এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। এছাড়া সকাল থেকেই বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নতুন বাজার বিএনপি কার্যালয় এবং আশপাশে অবস্থান নেয় পুলিশ।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমারা যখনই সমাবেশের ডাক দেই তারা তখনই সারা দেশে শান্তি সমাবেশ করে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মতো অশান্তি সৃষ্টিকারী দল আর একটিও নেই। আজ তারা শান্তি সমাবেশ করছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন ও শরীফুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতন এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের যতই দমন করবে, ততই মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়বে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করবে।’
সোমবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, তাদের দলের আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের আন্দোলন নিয়ে এগিয়ে যাব এবং আমাদের গ্রেপ্তার হওয়া সকল নেতাকর্মীকে মুক্ত করব। এই শাসনকে পরাজিত করার জন্য আমাদের আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে এবং আমাদের আন্দোলন সফল হবে।’
ফখরুল বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চান। ‘আসুন আমরা বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত করতে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এগিয়ে আসি। জেল থেকে বের হওয়ার পর আমরা নতুন করে শপথ নিচ্ছি যে আমরা সফল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা সরকারের ছিল, কিন্তু তারা তা এড়িয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) ভেবেছিল আমরা নয়াপল্টনে আমাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ করব এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হব এবং তারা সহিংসতার জন্য আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক খেলা করবে।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সরকারকে সহিংসতার সুযোগ না দেয়ায় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন ফখরুল ও আব্বাস।
বিএনপির কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী এবং দুই দলের শীর্ষ নেতাদের স্বজনরা কারাগারের ফটকে দুজনকে বরণ করে নেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফখরুল সরাসরি বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: এক মাস পর কারামুক্ত ফখরুল–আব্বাস
এর আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাসের জামিনের হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।
গত ৪ জানুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনের শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
ওই মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে একই দিন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
এ মামলায় গত ৩ জানুয়ারি ফখরুল ও আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর বহুল আলোচিত সমাবেশের একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
বিএনপি অবশ্য ফখরুল ও আব্বাসের অনুপস্থিতিতে সমাবেশের আয়োজন করে এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিনের হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ, তাদের জামিন বহাল থাকবে এবং মুক্তিতে থাকছে না বাধা।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রুল রক্ষণাবেক্ষণের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
৪ জানুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনের শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
ওই মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে একই দিন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
৩ জানুয়ারি এ মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
বিএনপির দুই নেতাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসকে হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন
ফখরুল-আব্বাসের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের
আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের বিষয়ে শুক্রবার আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে না।
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা প্রেসক্লাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের মুক্তিতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’
অ্যাটর্নি জেনারেলের বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দুই নেতার হাইকোর্টে জামিন প্রক্রিয়ায় আইন লঙ্ঘন হয়েছে। তাই হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: আইনমন্ত্রী
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়ে আনিসুল বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, এখন হাইকোর্ট বিষয়টি তার এখতিয়ারে নিয়েছে। ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু বলব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখেছি এবং যদি এটি সত্য হয় তবে আমি লজ্জিত ও দুঃখিত। একজন আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি বিশ্বাস করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবী এ যে ঘটনা ঘটেছে তা আইনজীবীরা করতে পারেন না। আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
বৃহস্পতিবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে তলব করেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
তলব করা ব্যক্তিরা হলেন-আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া, সচিব (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলাম।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৪ জানুয়ারি জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক হাইকোর্টে লিখিত অভিযোগ পাঠান। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বিচারপতির লিখিত অভিযোগ হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।
গত ২ জানুয়ারি আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঁইয়া, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী এবং জুবায়ের ইসলামসহ প্রায় ১০-১৫ জন আইনজীবী এসে বিচারককে অভদ্রভাবে আদালত কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন।
অভিযোগে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তানভীর আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে: আইনমন্ত্রী
চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এই দম্পতি তাদের আয়ের জ্ঞাত উৎসের বাইরে প্রায় ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
তৃতীয় দফায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে তৃতীয় দফায় করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন জামিন আবেদনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
এর আগে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে বিশেষ জামিন আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের আইনজীবী। আদালত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার দেখায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৯ ডিসেম্বর বিকালে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর ১২ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা বা ডিভিশন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বিষয়টি হাইকোর্টকে জানান।
তিনি আদালতে বলেন, তাদেরকে ডিভিশন দেয়ার জন্য গত ৯ ডিসেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদেশ দিয়েছেন। আজকে থেকে তাদেরকে ডিভিশন দেয়া হয়েছে।
পরে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহামদ আলীর বেঞ্চ আদেশের জন্য কারাগারে ডিভিশন চেয়ে দুই নেতার পক্ষে করা রিটের ওপর আগামীকাল বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
এর আগে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস তাদের জন্য ডিভিশন চেয়ে রিট করেন। পরে তা শুনানির জন্য বিকাল সাড়ে ৩টায় দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরে সাংবাদিকদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
ঢাকায় সমাবেশের আগেই ফখরুল, আব্বাসকে পাঠানো হলো কারাগারে
ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শফিউদ্দিন তাদের আইনজীবী জামিন চাইলে এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার এ মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছিল আদালত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ডিত আবদুস সামাদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও সেলিম রেজা হাবিব।
শুক্রবার(৯ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি আদালত এই মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।
শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা, ককটেল বোমা বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি ও জীবননাশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত এ্যানি ও সালামসহ বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন হাজী সেলিম
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসসহ ৭জনের জামিনের আবেদন
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
বিএনপি দাবি করেছে, রাজধানীতে পৃথক অভিযানে সাদা পোশাকের পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার ভোরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল গভীর রাতে ফখরুলের উত্তরার বাসায় গিয়ে ভোররাত ৩টার দিকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, একই সময়ে ডিবি পুলিশের আরেকটি দল আব্বাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
তাদের আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে, যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলটির প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের পর সমাবেশের বিষয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে দৃশ্যত একটি সমঝোতা হয়েছিল।
তবে, দলটির দুই শীর্ষ নেতাকে তুলে নেয়ার ফলে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে যে কোনো নৈরাজ্য হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির কয়েকজন নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, শনিবারের পরিকল্পিত সমাবেশ ঠেকাতে সরকার দলের আরও সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ৫৫৩ বিএনপি নেতাকর্মীসহ ২৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
বিএনপি জানিয়েছে, সরকার বিকল্প স্থান নির্ধারণ না করলে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে তারা।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
আব্বাস বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা আমাদের কর্মসূচির জন্য নয়াপল্টন বেছে নিয়েছি, এখন সরকারকে বিকল্প ও গ্রহণযোগ্য স্থানের পরামর্শ দিতে হবে। সরকার যদি উপযুক্ত স্থান প্রদান করতে না পারে, যাই ঘটুক না কেন আমরা আমাদের নির্বাচিত স্থানে আমাদের সমাবেশ করব।’
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
এক প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ থাকবে বলে তারা আশা করেন।
আব্বাস আরও বলেন, ‘তারা বলে আমাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হবে। কিন্তু গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বর
সড়ক গত ২০ বছর ধরে অবরুদ্ধ।অবরোধের কারণে এসব এলাকার মানুষ কি কষ্ট পাচ্ছে না?
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছেন, কারণ তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করছেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী আনী বলেন, তারা চান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ তাদের সমাবেশের বিকল্প স্থান হতে।
এ্যানি বলেছেন, ‘আমরা আজ দুপুর ২টায় পুলিশের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম যখন আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি যে আমরা আমাদের সমাবেশ নয়াপল্টন বা আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গণে করতে চাই। আমরা বর্তমানে পুলিশের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি’র বরিশাল জন সভাবেশ সফল, সব বন্ধ করে সরকারের কী লাভ হলো: মির্জা আব্বাস
বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়