মির্জা আব্বাস
‘নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি আছি, তবে যুগ যুগ ধরে নয়’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেনে, ‘নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি আছি; সংস্কার হবে। তবে যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করতে রাজি নই। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ- এসব কিছুর জন্য রাজনৈতিক সরকার দরকার। নির্বাচনের রোডম্যাপ দরকার।’
বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
এ বিষয়টি নিয়ে মির্জা আব্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যটা শুনি নাই, আপনার মুখেই যেটুকু জানলাম। উনি যেটা বলেছেন, যথার্থ বলেছেন। নির্বাচনে যারা পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) করবে, যারা অংশীজন, তারা যদি চায় তিনি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবেন… সাদুবাদ জানাই। কিন্তু এর বাইরে কোনা কথা কারো নাই।’
‘আর সংস্কার একটা বিষয়। এটা যুগ যুগ ধরে চলবে, এটা নতুন কিছু না। এটা একটা প্যাকেট না যে, একটা প্যাকেটে করে এনে আমি সংস্কার হয়ে গেলাম। এটা সময়ের বিবর্তনে, সময়ের চাহিদায় সংস্কার প্রয়োজন হয়। আমরা আশা করছি, এই সরকার দ্রুততম সময়ে জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফেরত দেবে এটাই আমাদের কাম্য।’
তিনি বলেন, বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ভোটের অধিকার চায়। আমরা শুনেছি, আমরা দেখেছি, ভোটের কথা বললে, ইলেকশনের কথা বললে অনেকে মুখ বাকা হয়ে যায়। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব পরিষ্কার বলেছেন- আমাদের কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, এটা একটু আমাদের জানিয়ে দিন।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, দক্ষিণের তানভীর আহমেদ রবিন, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্নাসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
৩ সপ্তাহ আগে
সরকারের ভেতরের কিছু লোক দেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে: আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করতে একটি কুচক্রী মহল কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের ভেতরেরই কিছু লোক ড. ইউনুসকে ভুল পথে চালানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেছেন, ‘অন্যদিকে, বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো ড. ইউনুসকে সঠিক পথে চালানোর জন্য কাজ করছি। তবে কিছু লোক বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ট্যাগ করার চেষ্টা করছে। দেশের বাইরে কিছু ভ্লগার আছেন, যাদের কাজই হলো বিএনপির ক্ষতি করা।’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ২১ আগস্ট একটি গ্রেনেড হামলা হয়েছিল যা পরিকল্পিত একটি বিদেশি শক্তির কাজ ছিল। তাতে বিএনপি কখনও ইনভলভ (জড়িত) ছিল না। কিন্তু ওই হামলা ঘিরে একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়। সেই মামলার আজ রায় হয়েছে, যে রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারেক রহমান জড়িত নয়।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য ১৭ বছর ধরে আমরা রাজপথে আন্দোলন করে আসছি। তার জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে যেতে হয়েছে। এত কষ্ট করার পর তাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, যে বিএনপির সঙ্গে আপনাদের শত্রুতা কী? কেন আপনারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের ট্যাগ (যুক্ত) করতে চান?’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র আর আওয়ামী লীগ এই দুটো শব্দ একসঙ্গে যায় না। বিএনপি আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায়, কারণ খালেদা জিয়া সবসময় গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।’
‘আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা গণতান্ত্রিক দল। শেখ হাসিনা যদি গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন, তাহলে দেশের আজ এই দশা হতো না।’
আরও পড়ুন: অখণ্ড ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির মধ্যেই রয়েছে শান্তির চাবিকাঠি: আব্বাস
১ মাস আগে
বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপহাস: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, রমজানে বরই দিয়ে রোজা ভাঙতে মন্ত্রীর যে পরামর্শ, সেটি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করা।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকারের মতোই এখন তারা জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করছে।
সোমবার সকালে শাজাহানপুরের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মির্জা আব্বাস প্রশ্ন করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইফতারের সময় আমদানি করা দামি ফল দিয়ে রোজা ভাঙবেন কিন্তু মানুষকে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, এরা কেমন দায়িত্বশীল সরকার?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে দেশের মানুষ চাপ ও ভয় ছাড়া ধর্মীয় কর্মকাণ্ড করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যের কারণে মানুষ ভয়ানক সময় পার করছে অথচ আওয়ামী লীগ নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা ভাবছে না
বিএনপি নেতা বলেন, তার দল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নয়, বরং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি যাতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা শুরুতেই চক্রান্ত করেছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে ব্যাপক হামলা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের’ পর, ‘ডামি সরকার’ তাদের সময় মুক্তভাবে উপভোগ করছে না কারণ তারা সবসময় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকে।
নিজের কারাবাসের কথা স্মরণ করে বিএনপি নেতা বলেন, এবারের জেল জীবন ছিল ভয়ানক কারণ আমরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কারাগারে বন্দি।
৯ মাস আগে
মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর
রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগে ঢাকা রেলওলয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। আগে ১০ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এই এক মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ তিনি। তার জামিন প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ১ নভেম্বর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
১০ মাস আগে
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক ৯ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিন মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনও জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
পল্টন থানার পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে এবং রমনা থানার চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে জামিনের আদেশ দেন আদালত।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন- জয়নুল আবেদীন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসকে ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
মির্জা আব্বাস, আলতাফ ও আলালের জামিন আবেদন খারিজ
১১ মাস আগে
মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে এগুলো নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ এসব মামলা করে।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
এর মধ্যে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা, পল্টন ও ঢাকা রেলওয়ে থানায় ১০টি এবং এ্যানীর বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা হয়।
গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
পরে জামিন আবেদন গ্রহণ করে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন তারা।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও ৫ অক্টোবর এ্যানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
১১ মাস আগে
মির্জা আব্বাস, আলতাফ ও আলালের জামিন আবেদন খারিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বিলকিস আক্তার মির্জা আব্বাসের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসান ইফতেখার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এছাড়া অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের।
আসামীদের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
গত ১ নভেম্বর মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার পুলিশ বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন।
র্যাব ৫ নভেম্বর টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবু আনছার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৩১ অক্টোবর আলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা
সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সম্প্রতি সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন তাদের স্বজনেরা।
কারাবন্দি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস কারাবন্দি বিরোধী নেতাদের স্বজনদের পক্ষে আইনজীবীদের মাধ্যমে স্মারকলিপি জমা দেন।
দুই পৃষ্ঠার স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে কারাগারে আটক বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেব প্রধান বিচারপতির কাছে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
স্মারকলিপিতে স্বজনরা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিচার বিভাগের অভিভাবক হিসেবে আপনি (প্রধান বিচারপতি) দেশের বিচার বিভাগকে রক্ষা, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক মিথ্যা, ভুয়া ও হয়রানিমূলক মামলায় গণগ্রেপ্তার, পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন, জামিন প্রত্যাখান এবং আদালতে গণহারে সাজা প্রতিরোধে প্রধান বিচারপতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন বলেও তারা প্রত্যাশা করেন।
স্বজনরা বলেন, বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তির জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আদালতকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিরোধীদলীয় নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।
তাদের অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ড এবং তাদের প্রিয়জনের ছবি দেখা গেছে, যারা কারাগারে অবস্থান করছেন।
বিএনপির মহিলা শাখা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্বজনদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
অনুষ্ঠানে স্বজনদের কেউ কেউ প্রিয়জনের অনুপস্থিতিতে তাদের দুঃখ ও কষ্টের কথা বলেন।
তাদের অনেকেই সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
১ বছর আগে
সম্পদের তথ্য গোপন: মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ নভেম্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রায়ের তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন (জাহাঙ্গীর) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
তবে বৃহস্পতিবার ও রবিবার আসামিপক্ষ চাইলে অতিরিক্ত শুনানি করতে পারবেন।
ওইদিন দুপুর আড়াইটার মধ্যে রায় ঘোষণা হতে পারে জানান এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
১ বছর আগে
মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও পিস্তল ছিনতাই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১ নভেম্বর) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
এর আগে, মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মির্জা আব্বাসের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মহসিন মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, ওমর ফারুক ফারুকী, গোলাম মোস্তফা খান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
শাহজাহানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক শাহ আলম রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
১ বছর আগে