কোটা
বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন: সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।
ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে ৫ মার্চ শুরু হওয়া সীমান্ত সম্মেলনটি জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন (জেআরডি) দলিল সইয়ের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার (৯ মার্চ) শেষ হয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি পাঠ করা হয়।
এতে বলা হয়, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিবেচনায় রেখে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নীতিন আগরওয়ালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি মৌলিক উদ্বেগের পাশাপাশি চোরাচালান, মানবপাচার, অসাবধানতাবশত সীমান্ত অতিক্রম ও যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের পাশাপাশি নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, সীমান্ত হাট বৃদ্ধি, আটকে থাকা আইসিপি/এলসিপি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সমাপ্তকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের সময়াবদ্ধ সম্মতি প্রদানের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
গত ২২ জানুয়ারি সিপাহী মো. রইসউদ্দিনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিএসএফ মহাপরিচালক আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বিত প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করে উভয়েই সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উভয় পক্ষ যৌথ টহল, নজরদারি, জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার, যথাযথ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ, আন্তর্জাতিক সীমান্তের (আইবি) পবিত্রতা সম্পর্কে সীমান্তের জনগণকে শিক্ষিত করা এবং অপরাধী বা বাসিন্দাদের আইবি অতিক্রম করা এবং সঠিক সময়ে তথ্য আদান-প্রদান করে নেওয়ার মাধ্যমে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বা আহত শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষ আইবি লঙ্ঘন বা অবৈধ অতিক্রম বা অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, মানব পাচার, সীমান্ত স্তম্ভ উপড়ে ফেলা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য সীমান্তের জনগণকে সংবেদনশীল রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে। সার্বিকভাবে সীমান্তের কাঙ্ক্ষিত পবিত্রতা রক্ষার আশ্বাস দিয়েছে দু'পক্ষই।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
প্রতিনিধি দলের উভয় নেতা আন্তঃসীমান্ত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিষয়ে তাদের বিদ্যমান 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাাৎক্ষণিক তথ্যের মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত চলাচল রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হন।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য সিপাহী মো. রইসউদ্দিনের মৃত্যুতে বিএসএফ মহাপরিচালক গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তবে সিপাহী রইসউদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএসএফের ডিজি নীতিন আগরওয়াল সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
সিপাহী রইসউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এটি মূলত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নয়। উভয়পক্ষের অস্পষ্টতা, কুয়াশা ও বিভ্রান্তির মধ্যে এটি ঘটেছে। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ থেকে ইউনিফর্ম বিজিবি ও বিএসএফ সদস্য বা বাংলাদেশ ও ভারত উভয় বেসামরিক নাগরিকের উপর যেকোনো হত্যা এড়াতে সমস্ত প্রচেষ্টা থাকবে।
বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগরওয়াল বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটায় ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) এ বিষয়ে জারি করা রুল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
রায়ের পর রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় হাইকোর্টের আজকের রায় যুগান্তকারী। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এবং ২০২০ এর প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা ৪টি পৃথক রিট পিটিশনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদকে শপথ পড়াতে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
তিনি বলেন, রায়ে রিটকারী ২৮৫ জন প্রতিবন্ধী নিয়োগ প্রার্থীকে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জেলার মোট ২৪৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা থেকে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় বিভিন্ন উপজেলায় ১১৪ সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী কোটায় কেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেন আদালত।
১১ ডিসেম্বর ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ক্রীড়া কোটায় ঢাবিতে ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে খেলোয়াড় কোটায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দক্ষ ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে খেলোয়াড় কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
কোটার ভিত্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না ও কোটা প্রথা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে রিটকারীদের মেধার ভিত্তিতে কেন নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী শামীম সরদার সাংবাদিকদের জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বরাদ্দ রেখে ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়। যেখানে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট পুরুষ ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
অথচ সংবিধানের ২৯ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যা অসাংবিধানিক। দেশে শত শত শিক্ষিত বেকার যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে মাত্র ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রেখে এ নিয়োগ হতে পারে না। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।
রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ এর ৮(২)(গ) এবং (ঘ) বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন তা বাতিল ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
একইসঙ্গে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং মেধা তালিক অনুসারে নিজস্ব জেলা/উপজেলায় শূন্যপদে রিট আবেদনকারীদের নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্য আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কালাবাড়ীর সঞ্জিত সরকার, পাবনার চাটমোহর উপজেলার নতুন বাজারের আনোয়ার হোসেন, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটার হাফিজুর মোল্লাসহ ১৫২ জন চাকরি প্রাথী যারা উত্তীর্ণ হননি কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেহ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। বৃহস্পতিবার এই রিটের শুনানি হয়।
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। পরে বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদের সঙ্গে পাঁচ হাজার পদ বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
হাইকোর্টে জামিন পেলেন দণ্ডিত এনামুল বাছির
কুড়িগ্রামে স্ত্রীকে বোন বানানো আনিছুর গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটা সুবিধা পেতে নিজের স্ত্রীকে বোন বানানো এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে চাকরি নিয়ে দেয়ার আলোচিত ঘটনায় আনিছুর রহমানকে সিআর মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আনিছুর রহমান রংপুর বেতারের অফিস সহকারী এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হকের সন্তান।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান জানান, আনিছুর রহমানের নামে রংপুর আদালতে চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত এনআই এ্যাক্ট ১৩৮ ধারায় মামলা রয়েছে। সে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাকে শনিবার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধ মামলায় কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার ১৩
উল্লেখ্য, আনিছুর রহমান ২০১৪ সালে নিজের শিক্ষা সনদ ও এনআইডি তথ্য গোপন করে ছোট ভাইকে রেলওয়েতে চাকরি নিয়ে দেন। তখন তিনি শিক্ষা সনদের সাথে ঠিক রেখে ছোট ভাই আজিজুল হকের জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতি করে নাম পরিবর্তন করে আনিছুর রহমান করেন। বিষয়টি ২০২০সালে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে নাগেশ্বরী এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় জামিনে রয়েছেন এই দুই ভাই।
অপরদিকে স্ত্রী সোনালী খাতুনকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সুযোগ-সুবিধা এবং সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা পাওয়ার জন্য বোন বানিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করানোয় আবারও আলোচনায় আসেন আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: বিশেষ অভিযানে কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার ৩৪, মামলা ১১
টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার
এলডিসি-পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাবে: অস্ট্রেলিয়া
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণের পরেও বাংলাদেশকে রপ্তানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা দেয়া অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রথম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্কের গতিশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য বৃহত্তর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ প্রবাহের সম্ভাবনার ওপর একটি গবেষণা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের (টিফা) অধীনে গঠিত, জেডব্লিউজি-এর প্রথম বৈঠকে সাধারণ বাণিজ্য সমস্যা, পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্য, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগের প্রচার, শক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: আইটি কানেক্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ইইউ
চাকরির ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কোটা ও আবাসন সমস্যার সমাধান চান হরিজন ও দলিতরা
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন, চাকরির ক্ষেত্রে হরিজন ও দলিতদের ৮০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা নিশ্চিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছে হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের চৌরাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করে হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়।
বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা এ্যাড. ইমরান হোসেন চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী এ্যাড. জাহিদ ইকবাল, পৌর কাউন্সিলর নাজিরা আক্তার স্বপ্না, রুনা লায়লা, ইএসডিও প্রেমদীপ প্রকল্পের সদর উপজেলা ম্যানেজার ঝর্না বেগম, হরিজন ঐক্য পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজু বাসফোর প্রমুখ।
বক্তারা সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ৮০ ভাগ কোটার বাস্তবায়ন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে হরিজন ও দলিতদের ৮০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে হরিজন ও দলিত শ্রেণির জনগোষ্ঠীর আবাসনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
আরও পড়ুন: ভারতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের জেরে দলিত তরুণীর মৃত্যু
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কোটা সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি ইউজিসি’র অনুরোধ
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি এবং ন্যায্য হারে কোটা সংরক্ষণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।