বিশ্ববিদ্যালয়
মস্কোর ফাইন্যান্সিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউনূস
রাশিয়ান ফেডারেশনের অধীন ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনে ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ওই সভায় অধ্যাপক ইউনূসকে উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি রাশিয়ার শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক স্টাফের সংখ্যা তিন হাজার। এছাড়া গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির আমন্ত্রণে সেখানকার ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনায়তনে নিজের সামাজিক কার্যক্রমের উপরে বক্তব্য দেন।
যেখানে তিনি নেট জিরো, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্বের লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক ব্যবসাভিত্তিক নতুন সভ্যতা নির্মাণে তার চিন্তা-ভাবনা ও রূপকল্প তাদের কাছে তুলে ধরেন।
ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির এই আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড পরামর্শকেন্দ্রিক উচ্চশিক্ষা কমিটির মতো কাজ করবে; যার মূল লক্ষ্য হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানো।
এছাড়া বিষয়ভিত্তিক গভীর বিশেষজ্ঞ-বিশ্লেষণ প্রদান করা, কৌশলগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য অ্যাকাডেমিক, গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করা।
প্রফেসর ইউনূস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কর্মসূচি ও গবেষণার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তৈরিতে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন।
তিনি প্রফেসর ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা তত্ত্বের প্রশংসা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্যায়ের অ্যাকাডেমিক কর্মসূচিতে এই তত্ত্ব অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন— বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মিখাইল এসকিন্দারভ, অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ভাইস রেক্টর প্রফেসর একাতেরিনা কামেনেভা, সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের পরিচালক প্রফেসর কিরিল বাবায়েভ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশানস বিভাগের প্রধান মিস লিলিয়া।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন জরুরি কাজ, বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়: ড. ইউনূস
কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রকের মানের প্রতি দায়বদ্ধতার উপর জোর দিয়ে জানিয়েছেন, বেসরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. আলমগীর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই মানসম্মত শিক্ষার উপর অবিচল দৃষ্টি নিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হলেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান
তিনি বলেন, ‘যারা শিক্ষাকে মূল্য দেয় না তারা বিকল্প পথ খুঁজতে পারে। যখন একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, কেউ কেউ বুঝতে পারে না যে এটি অলাভজনক। তাদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে, সম্ভবত ব্যবসা সম্পর্কিত। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমরা কঠোরতা বজায় রাখি। ফলস্বরূপ, আমরা প্রায়ই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো শিক্ষাগত অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষায় মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষক তৈরির কোনো গুণগত ব্যবস্থা নেই। অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টরেট ডিগ্রিও দেয় না।
ব্রেইন ড্রেন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আর ফিরে আসে না। এতে পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট দেখা দেয়।’
তিনি এই প্রবণতার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষকদের অপর্যাপ্ত বেতন কাঠামোকে দায়ী করেছেন। যা প্রতিবেশী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো অপ্রতুল। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পারিশ্রমিক খুবই কম। এসব বিষয় নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, তাহলে আমাদের সম্পদের প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক সম্পদ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। মানসম্মত শিক্ষা পেতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই।’
ব্রেইন ড্রেন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরছে না, যার ফলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সম্পদ হিসাবে চিহ্নিত করে সম্পদের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার উৎকর্ষ অর্জনের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, তাহলে আমাদের সম্পদের প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রাথমিক সম্পদ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। মানসম্মত শিক্ষা পেতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই।
মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগে ইউজিসির প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলমগীর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে অসুবিধার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাবি করতে পারে, অপর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন বা বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে তারা যোগ্য শিক্ষকদের আকৃষ্ট করছে না। তারা উচ্চতর বেতন দিতে তাদের অক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রোগ্রাম বন্ধের অনুরোধ করতে পারে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান দেশে মানসম্মত শিক্ষার মানদণ্ডের অভাবের বিষয়েও আলোকপাত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূরণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
তিনি বলেন, ‘আমাদের মানের মানদণ্ডের অভাব রয়েছে। এমন কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভাল কাজ করে তবে ইতিবাচক ফলাফল আসবে; অন্যথায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে এ ধরনের মানদণ্ড নেই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২৪ সালের শুরুতে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি চালু করা হবে। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং নতুন শিক্ষাবিদদের জন্য চার মাসের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম প্রদান করা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে এবং কাজ শুরু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি জিইও জারি করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে জিও ইস্যু করা হবে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলমগীর ইউজিসিকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনার প্রচেষ্টার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ সংশোধনে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি বিধিমালার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। যা অবশ্যই সার্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক আলমগীর আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনতে কাজ করছে এবং সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর সংশোধনী শুরু করছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ভিস রুলস থাকতে হবে এবং এই নিয়মগুলো সার্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে, আমরা ক্ষমতার বাইরে নতুন বিভাগ অনুমোদন করছি না। নতুন বিভাগের অনুমোদন দেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই সম্পদ, স্থান এবং পরীক্ষাগারের ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করি। বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি প্রোগ্রামগুলির জন্য, সর্বাধিক ৪০ জন শিক্ষার্থী, এবং সামাজিক বিজ্ঞান প্রোগ্রামের জন্য, এটি ৫০ থেকে ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এটি সর্বাধিক; এটি কম হতে পারে তবে বেশি ও হতে পারে না।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে বিলম্বের কথা উল্লেখ করে আলমগীর ইউজিসির অনীহা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে রূপান্তরের বিষয়ে আমরা কিছুটা দ্বিধায় রয়েছি, কারণ বর্তমান আইন অনুযায়ী ১২ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরিয়ে নিতে হবে। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তা মানতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের নতুন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে, আসন সংখ্যা বাড়াতে বা স্টার রেটিং পাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) প্রোগ্রাম উন্নত করতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার(২২ সেপ্টেম্বর) এই ঋণের অনুমোদন দেয় ব্যাংকটি।
এডিবির সামাজিক খাতের অর্থনীতিবিদ রিওতারো হায়াশি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে উচ্চশিক্ষায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম উন্নীত করা সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি আরও দক্ষ ও প্রযুক্তিবান্ধব স্নাতক এবং উদ্যোক্তাদের বিকাশে সহায়তা করবে, যারা দেশের আইটি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।’
আরও পড়ুন: দক্ষ জনশক্তি গড়তে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এডিবির তথ্য মতে, প্রকল্পটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফটওয়্যার প্রকৌশল ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক প্রোগ্রামগুলোকে সময়োপযোগী করবে।
এই প্রোগ্রামগুলো মিশ্র শিক্ষার কৌশলগুলো গ্রহণ করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোকে একীভূত করবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম পায় সেটি নিশ্চিত করতে এই প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
এডিবি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শ্রেণীকক্ষ ও পরীক্ষাগার স্থাপন, সহযোগিতা ওস্টার্ট-আপ স্পেস এবং সহায়ক সুবিধাদি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
এই সুবিধাগুলো জলবায়ু ও দুর্যোগসহনশীল নকশা, জ্বালানি ও পানিসাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্যগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং নারীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন শিক্ষামূলক পদ্ধতি এবং উদীয়মান ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে শিক্ষকদের সক্ষমতা তৈরি করবে।
নির্ধারিত তিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার জন্য শিল্প অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও ইন্ডাট্রি প্লেসমেন্ট করা হবে।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
প্রলয় গ্যাং: অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিস্কার
শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড, অসদাচরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে।
বহিস্কৃতরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সাকিব ফেরদৌস। দু’জনই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত 'প্রলয়' গ্যাংয়ের ঢাবির সদস্য।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে না।'
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার
গত ২৫ মার্চ কবি জসিমউদ্দিন হলের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত জোবায়েরের মা সাদিয়া আফরোজ খান ২৬ মার্চ শাহাবাগ থানায় ২৪ শিক্ষার্থীকে (প্রলয় গ্যাং সদস্য) আসামি করে মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদ্দিন হলের সামনে ডাকাতদলের সদস্যরা জোবায়েরকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
শত ব্যস্ততার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন ড. হাছান
রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও নিজ এলাকায় উন্নয়নের দায়িত্ব পালনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া অব্যাহত রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।
বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পরিবেশ রসায়নে ডক্টরেট এবং বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য ২০১৫ সালে গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনাল সম্মাননায় ভূষিত হাছান মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খন্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে এখন সম্মান শ্রেণিতে বৈশ্বিক জলবায়ু বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছেন।
করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি অনলাইনে পাঠদান করেছেন, মহামারির প্রকোপ কমে এলে আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন, দিনে দিনে বেড়ে যাওয়া ব্যস্ততার মধ্যেও অধ্যাপনা অব্যাহত রেখেছেন। কৌতুহল উদ্দীপক আঙ্গিকে পাঠদানের জন্য শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয় ড. হাছান জানান, অনলাইনের চেয়ে সরাসরি ক্লাস নেয়াই তার বেশি পছন্দ।।
উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান এর আগেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও কর্নেল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজসহ (এনডিসি) দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ লেকচার দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভাষা ও সংস্কৃতি বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন: তথ্যমন্ত্রী
উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
নাদিয়ার মৃত্যু: বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ
সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করায় সোমবার বিমানবন্দর সড়কে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা তাদের চার দফা দাবি আদায়ের জন্য দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রাস্তায় নামেন এবং সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এর আগে রবিবার, রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস নিহত শিক্ষার্থী নাদিয়াকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আর তার বন্ধু মোটরসাইকেল চালক মেহেদী আহত হন।
নাদিয়া (২৪) নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি- ভিক্টর পরিবহন ক্লাসিকের রুট পারমিট বাতিল; নাদিয়া পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদান; ঘাতক বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার এবং কাওলা এলাকায় নিরাপদ বাস স্টপেজ নির্মাণের নিশ্চয়তা প্রদান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী নিহত: চালক ও হেলপার আটক
ওসি বলেন, সড়ক অবরোধের কারণে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে; যা মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়।
দুপুর ২টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে বন্ধু মেহেদীর মোটরসাইকেলে চড়ে নাদিয়া নারদা এলাকায় যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় পৌঁছালে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান জানান, নাদিয়া রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তার বন্ধু মেহেদী সামান্য আহত হন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিআরটিসি বাসের চাপায় শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকটে অফিসগামীদের ভোগান্তি
উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের নিজস্ব উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কর্মসূচির জন্য প্রাক্তন ছাত্র সমিতির (অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) মাধ্যমে তাদের নিজস্ব তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রাক্তন ছাত্র সমিতি আছে এবং এর মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তাদের নিজস্ব তহবিল তৈরি করতে পারে।’
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল) স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা খুবই মেধাবী, তাদের একটু সুযোগ দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসতে পারে।
এ লক্ষ্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল ও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনার ছেলে-মেয়ে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে যেসব বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে।
এ লক্ষ্যে আবারও আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরুর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে ব্যাপক অস্ত্রের ব্যবহার ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই এবং দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে শক্ত হাতে দমন করা হয়েছে।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে এবং অন্যদের চাকরি দিতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশে শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায়।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে তার সরকার শিক্ষা, গবেষণা, উৎপাদন ও উৎকর্ষের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সরকার দেশকে ধীরে ধীরে শিল্পায়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে।
তিনি উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ধৈর্য ধরে শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং: শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি, এনএসইউ
নওগাঁ ও মেহেরপুরে ২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
মন্ত্রিসভায় মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ ও নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’- নামের দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। এসময় তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এতে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোটোটাইপ।’
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর আইন, ২০২২’ এবং বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ আইন, ২০২২-এর খসড়া আইন দুটি যাচাই-বাছাইয়ের শর্তে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড
এছাড়া, দেশের আলোক প্রকৌশল খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে হালকা প্রকৌশল শিল্প নীতি-২০২২-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নীতিমালার কারণে হালকা প্রকৌশল শিল্পের প্রসার ঘটবে, শিল্প খাতের ভূমিকা আরও বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’
বৈঠকে সিলেট নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটির লক্ষ্য সিলেট নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় অপরিকল্পিত নির্মাণ রোধ করে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলা।
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভিবাসন ও গতিশীলতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) মন্ত্রিসভা পূর্ববর্তীভাবে অনুমোদন করেছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রতি বছর প্রায় চার হাজার বাংলাদেশি গ্রিসে যাওয়ার সুযোগ পাবে এবং তারা প্রাথমিকভাবে গ্রিসের কৃষি খাতে কাজ করার জন্য পাঁচ বছরের অনুমতি পাবে।
এছাড়া ১৪-১৫ হাজার বাংলাদেশি যারা ইতোমধ্যে গ্রিসে অননুমোদিত হয়ে পড়েছেন তাদের এই চুক্তির আওতায় বৈধতা দেয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন
একনেকে ২ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন
চবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলা: কয়েকজন যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে দাবি ভিসির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার বলেছেন, চবি ছাত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন যুবককে শনাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বাকি অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপাচার্য এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রী হেনস্তার প্রতিবাদে রাতভর বিক্ষোভ
শিরিন বলেন, অগামী রবিবার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানাব। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কয়েকজন অপরাধীকে চিহ্নিত করেছে। কেউই রেহাই পাবে না।
এর আগে রবিবার রাত ১০টার দিকে এক ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার সময় পাঁচ যুবকের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়।
ওই যুবকরা ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে এবং তা ভাইরাল করার হুমকি দেয়। পরে তারা দুই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেল অবরোধ
হামলার তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, হয়রানির শিকার ওই ছাত্রীর বিচারের দাবিতে বুধবার রাতে ক্যাম্পাসে শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে।
মানিকগঞ্জে বাসের ধাক্কায় কলেজছাত্রসহ নিহত ২
মানিকগঞ্জের তরা কালিগঙ্গা সেতুর ওপর সেলফি পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা এক কলেজছাত্রসহ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জুয়েল মিয়া এবং তার বন্ধু মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মো. আশিকুর রহমান। তাদের দুজনের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে।
আহত হাসিবুর রহমান অটুট (২৪) জুয়েল ও আশিকুরের বন্ধু।
দুর্ঘটনা এবং নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের সড়কে ঝরল দুই নারীর প্রাণ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে দশটার দিকে মানিকগঞ্জের তরা কালিগঙ্গা সেতুর ওপর পাটুরিয়াগামী সেলফি পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জুয়েল মিয়া ও আশিকুর রহমান।
আহত মুন্নুকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে কয়েকটি সেলফি পরিবহন ভাঙচুর করেছে। এসময় পুলিশ লাঠি চার্জ করে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তেজিত এলাকাবাসী নিয়াজুরি এলাকায় একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পড়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভায়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩